দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৫ কোম্পানির ডিভিডেন্ড সংক্রান্ত পরিচালনা পর্ষদ অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত কোম্পানিগুলোর লভ্যাংশ এক নজওে প্রকাশ করা হলো: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। কোম্পানি ৫টি হলো : পূবালী ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক, লিবরা ইনফিউশন, কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্স ও ব্র্যাক ব্যাংক।

লিব্রা ইনফিউশনস: শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ঔষধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি লিব্রা ইনফিউশনস লিমিটেডের পরিচালনা বোর্ড শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। গত ৩০ জুন সমাপ্ত ২০১৯ অর্থবছরে নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এই লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে কোম্পানিটি।

এ সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১.০৫ টাকা। একই সময়ে শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) হয়েছে ১,২৬৯ টাকা। কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৪ মে। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ মে।

পূবালী ব্যাংক: শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকিং খাতের কোম্পানি পূবালী ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালনা বোর্ড শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১২.৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। গত ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২০ অর্থবছরে নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এই লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে ব্যাংকটি।

এ সময়ে ব্যাংকটির কনসোলিডেটেড শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩.৬০ টাকা। একই সময়ে কনসোলিডেটেড শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) হয়েছে ৩৭.৬৩ টাকা। ব্যাংকটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৩ জুন। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ৯ মে।

ইষ্টার্ণ ব্যাংক: শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকিং খাতের কোম্পানি ইষ্টার্ণ ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালনা বোর্ড শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১৭.৫ শতাংশ নগদ ও ১৭.৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। গত ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২০ অর্থবছরে নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এই লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে ব্যাংকটি।

এ সময়ে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি কনসোলিডেটেড আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫.০৫ টাকা। একই সময়ে শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) হয়েছে ৩৫.৬৯ টাকা। ব্যাংকটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৩০ মে। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ মে।

কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্স: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বীমা খাতের কোম্পানি কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্সের ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ পর্যন্ত সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ১০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে ৬ শতাংশ নগদ এবং ৪ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, ঘোষিত লভ্যাংশ সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারীদের সম্মতিতে অনুমোদনের জন্য আগামী ১৫ জুন, বেলা ১১টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফরমে কোম্পানিটির ২১তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ২০ মে। ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ পর্যন্ত

সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ২৯ পয়সা। গত বছরের একই সময় কোম্পানিটির ইপিএস ছিল এক টাকা ৭৫ পয়সা। অর্থাৎ আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) কমেছে ৪৬ পয়সা।

৩১ ডিসেম্বর ২০২০ পর্যন্ত সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) হয়েছে ১৯ টাকা ৮৪ পয়সা। গত বছরের একই সময় এনএভি ছিল ১৮ টাকা ৭০ পয়সা। অর্থাৎ আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য বেড়েছে এক টাকা ১৪ পয়সা।
৩১ ডিসেম্বর ২০২০ পর্যন্ত সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নগদ কার্যকরি প্রবাহ হয়েছে এক টাকা ১৬ পয়সা।

বীমা খাতের ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানিটি ২০০৮ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। এর অনুমোদিত ও পরিশোধিত মূলধন যথাক্রমে- ৬০ কোটি টাকা এবং ৪০ কোটি ৫০ হাজার টাকা। বর্তমানে কোম্পানিটির রিজার্ভের পরিমাণ ২৭ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। এ কোম্পানির ৪ কোটি ৫ হাজার ১০৮টি শেয়ারের মধ্যে ৩২.২৫ শতাংশ উদ্যোক্তা পরিচালক, ৮.১৩ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী এবং ৫৯.৬২ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে।

ব্র্যাক ব্যাংক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড সর্বশেষ হিসাববছরের (২০২০) জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত বছরের জন্য কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদেরকে সাড়ে ১৫ শতাংশ লভ্যাংশ দেবে। এর মধ্যে ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ও ৫ শতাংশ বোনাস।

আজ (১২ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে আলোচিত বছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর লভ্যাংশ সংক্রান্ত এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ব্র্যাক ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র অনুসারে, সর্বশেষ বছরে সহযোগী প্রতিষ্ঠানের আয়সহ ব্র্যাক ব্যাংকের সমন্বিত শেয়ার প্রতি আয় (Consolidated EPS) হয়েছে ৩ টাকা ৩৩ পয়সা। আগের বছর সমন্বিত ইপিএস হয়েছিল ৩ টাকা ৭৩ পয়সা। অন্যদিকে এককভাবে ব্যাংকটির ইপিএস (Solo EPS) হয়েছে ৩ টাকা ৪২ পয়সা, যা আগের বছর ৪ টাকা ২৬ পয়সা ছিল।

গত ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে সমন্বিতভাবে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ছিল ৩৬ টাকা ৬৩ পয়সা। আগামী ২৭, বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফরমের মাধ্যমে ব্যাংকটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ মে।

ব্যাংক বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তে পুঁজিবাজার বন্ধ: করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি অবনতির কারণে আগামী ১৪ এপ্রিল (বুধবার) সকাল ৬টা থেকে ২১ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ি লকডাউনের মধ্যে ব্যাংক বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আজ সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিনির্ধারকরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম দৈনিক দেশ প্রতিক্ষণকে নিশ্চিত করেছেন।

এ বিষয় পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের সিদ্ধান্ত ব্যাংক খোলা থাকলে পুঁজিবাজারও খোলা থাকবে। আর ব্যাংক বন্ধ থাকলে লেনদেনও বন্ধ থাকবে।’যেহেতু বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ঘোষণা আসছে ব্যাংক বন্ধ থাকবে সেহেতু পুঁজিবাজার বন্ধ থাকবে।

এদিকে ১২ এপ্রিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত ও বেসরকারি অফিস/আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে ও সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী নিজ নিজ কর্মস্থলে অবস্থান করবেন। তবে বিমান, সমুদ্র, নৌ ও স্থলবন্দর এবং এ সংশ্লিষ্ট অফিসগুলো এ নিষেধাজ্ঞার আওতা বহির্ভূত থাকবে।

সূত্রমতে, ১৪ থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত সরকার আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধের যে নির্দেশনা দিয়েছে, তার মধ্যে সরকারি ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে এমনিতেই তিন দিন বন্ধ থাকতো ব্যাংক। তার সঙ্গে বাড়তি কয়েক দিনের জন্য ব্যাংক বন্ধের নির্দেশনা আসতে পারে। এর আগে অবশ্য গত সপ্তাহের লকডাউনে (৫-৭ এপ্রিল) সীমিত পরিসরে ব্যাংক খোলা রাখা হয়েছিলো।

লকডাউন চলাকালীন সময়ে ব্যাংকের লেনদেন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য গভর্নর ফজলে কবিরের নেতৃত্বে বিকেলে বাংলাদেশ ব্যাংকে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের সিদ্ধান্ত বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, লকডাউন চলাকালীন সময়ে দেশের সব তফসিলি ব্যাংক বন্ধ থাকবে। তবে স্থল ও নৌ বন্দরে ব্যাংকের শাখা খোলা রাখা যাবে।

একই সঙ্গে কোন ব্যাংক যদি মনে করে নির্দিষ্ট কোন এডি শাখা খোলা রাখা দরকার, তাহলে স্ব বিবেচনায় সে শাখাটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য খোলা রাখা যাবে। এডি শাখার সঙ্গে সম্পৃক্ত প্রধান কার্যালয়ের বিভাগগুলো সীমিত জনবল দিয়ে সচল রাখা যাবে বলে সিরাজুল ইসলাম জানিয়েছেন।

আর্থিক প্রতিষ্ঠানে খেলাপি ঋণ ১০ হাজার কোটি টাকা: ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো বিতরণ করা ঋণের অধিকাংশই আদায় করতে পারছে না। করোনাকালীন সময়ে প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিশেষ সুবিধা দেয়া হলেও খেলাপি ঋণ আদায়ে তেমন অগ্রগতি দেখাতে পারছে ন। ফলে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান তারল্যের অভাবে প্রতিনিয়ত দুর্বল হচ্ছে। এ অবস্থায় অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে বেশকিছু প্রতিষ্ঠান।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের ডিসেম্বর শেষে দেখা যায় আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর বিতরণকৃত ঋণের পরিমান ছিল ৬৬ হাজার ৯২৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৫৩ কোটি টাকা। যা বিতরণ করা মোট ঋণের ১৫ দশমিক ০২ শতাংশ। এরআগের বছর ২০১৯ শেষে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মোট ঋণের পরিমাণ ছিল ৬৭ হাজার ৮০৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ঋণ ছিল ছয় হাজার ৪৪১ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের সাড়ে ৯ শতাংশ।

করোনাকালীন বিশেষ সুবিধা পেয়েও গত এক বছরের ব্যবধানে খেলাপি ঋণ বেড়েছে তিন হাজার ৬১২ কোটি টাকা, অর্থাৎ প্রায় ৩৬ শতাংশ। ২০১৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত খেলাপি ঋণ ছিল পাঁচ হাজার ৪৬০ কোটি টাকা, যা ওই সময়ের বিতরণ করা ঋণের ৭ দশমিক ৯ শতাংশ। সেই হিসাবে প্রতিষ্ঠানগুলোতে খেলাপি ঋণ বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ।

আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কয়েক বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে খারাপ করছে বেশকিছু প্রতিষ্ঠান। তাদের খেলাপি ঋণ বাড়ছে। এছাড়া করোনার কারণে ঋণ আদায় ব্যাপক কমেছে। বিভিন্ন অনিয়মের খবরে সাধারণ গ্রাহকরা আমানত তুলে নিচ্ছেন। ফলে অনেক প্রতিষ্ঠান তারল্য সংকটে পড়েছে। এদের মধ্যে কমপক্ষে ১০টি প্রতিষ্ঠান আমানতকারীদের সময়মতো টাকা ফেরত দিতে পারছে না। তারল্য সংকট কাটাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো ১০ হাজার কোটি টাকার একটি বিশেষ তহবিলও চেয়েছে।

দেশে প্রথম আর্থিক প্রতিষ্ঠানের যাত্রা শুরু হয় ১৯৮১ সালে আইপিডিসি ফাইন্যান্সের হাত ধরে। এসব আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে বাংলাদেশ ব্যাংক লাইসেন্স দিয়ে থাকে এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন ১৯৯৪- এর মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হয়। অর্থাৎ ব্যাংকগুলোর মতোই ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোরও রেগুলেটরি বডি হচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

দেশে বর্তমানে ৩৪টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। এছাড়া গত বছর স্ট্র্যাটেজি ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট নামে নতুন আরও একটি প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এ বিষয়ে মাইডাস ফাইন্যান্সিং লিমিটেডের (এমএফএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, দুই কারণে মন্দ ঋণ বাড়ে। এর একটি কারণ হলো ঋণ দেওয়ার পর তা তুলতে ব্যর্থ হলে আর দ্বিতীয়টি হলো দেশের ব্যবসা বাণিজ্য খারাপ হলে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে এমন কোন অবস্থা তৈরি হয়নি, যে মন্দ ঋণের পরিমাণ এতো বেড়ে যাবে। আমার মনে হয় যে, কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের খারাপ অবস্থা তাদের মন্দ ঋণের পরিমাণ অনেক বেশি। যার নেতিবাচক প্রভাব পুরো খাতের উপর পড়েছে।

অন্যদিকে আইডিএলসি ফাইন্যান্সের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক জামাল উদ্দিন বলেন, ব্যবসা বাণিজ্য ঠিক রাখার জন্য সরকার অনেক সুযোগ দিয়েছে। স্বাভাবিক অবস্থা না হওয়া পর্যন্ত মন্দ ঋণের আসল হিসাব পাওয়া যাবে না। ব্যবসা বাণিজ্য চলমান রাখার জন্য অনেক গ্রাহককে চাপ দিচ্ছে না প্রতিষ্ঠানগুলো। ফলে মন্দ ঋণের অবস্থা এমন মনে হচ্ছে।

ব্লক মার্কেটে দুই বীমা কোম্পানির লেনদেনের চমক: পুঁজিবাজারে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্লক মার্কেটে ১৯টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব কোম্পানির ৪৮ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জান গেছে।

কোম্পানিগুলোর ৫৬ লাখ ৪৪ হাজার ৭৪৬টি শেয়ার ৭৪ বার হাত বদল হয়েছে। এর মাধ্যমে কোম্পানিগুলোর ৪৮ কোটি ৪৯ লাখ ৪৯ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে বীমা কোম্পানির সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলো হলো-প্রভাতী ইন্সুরেন্স ও প্যারামাউন্ট ইন্সুরেন্স। প্রভাতী ইন্স্যুরেন্সের লেনদেন হয়েছে ২৮ কোটি ৪২ লাখ ৩১ হাজার টাকার শেয়ার। আর প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্সের লেনদেন হয়েছে ৫ কোটি ১০ লাখ টাকার শেয়ার।

এছাড়া রেনেটার ২ কোটি ৮০ লাখ ৯৯ হাজার টাকার, বিবিএস কেবলসের ২৭ লাখ ৩০ হাজার টাকার, বিডি ফাইন্যান্সের ১ কোটি ৭ লাখ ১৪ হাজার টাকার, বেক্সিমকোর ১১ লাখ ২৩ হাজার টাকার, বেক্সিমকো ফার্মার ১ কোটি ৯৮ লাখ ৩৬ হাজার টাকার, ডিবিএইচের ৫৬ লাখ ২০ হাজার টাকার, ইস্টার্ন ব্যাংকের ২ কোটি ৪৮ লাখ ৩৮ হাজার টাকার, জিবিবি পাওয়ারের ২৯ লাখ ১৫ হাজার টাকার,

গ্রামীণফোনের ৮৭ লাখ ৮১ হাজার টাকার, জনতা ইন্স্যুরেন্সের ৫ লাখ ১৩ হাজার টাকার, ম্যারিকোর ৭২ লাখ ১০ হাজার টাকার, রূপালী ইন্স্যুরেন্সের ৩৮ লাখ ৭৩ হাজার টাকার, সী পার্লের ৫১ লাখ ৩৫ হাজার টাকার, শাশা ডেনিমসের ৯ লাখ ৬৫ হাজার টাকার, সিমটেক্সের ১৭ লাখ ৬০ হাজার টাকার, সোনারবাংলা ইন্স্যুরেন্সের ৫ লাখ ৫ হাজার টাকার এবং উত্তরা ব্যাংকের ২ কোটি ৫০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।