দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: করোনাভাইরাস প্রতিরোধে কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেও ব্যাংকের লেনদেন চালু রাখতে চায় সরকার। মঙ্গলবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনরের কাছে দেয়া এক চিঠিতে এ কথা জানানো হয়েছে। বিষয়টিতে সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে অনুরোধ করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আগামী বৃহস্পতিবার থেকে ব্যাংক খোলা রাখার সিদ্ধান্ত আসতে পারে। তবে ব্যাংক খোলা রাখলে পুঁজিবাজার খোলা থাকবে বলে এর আগে একাধিকবার জানিয়েছেন বিএসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। তিনি জানান, ব্যাংক চালু থাকলে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে পুঁজিবাজারের লেনদেনও চালু থাকবে। তবে ব্যাংকের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পুঁজিবাজারের লেনদেন নির্ধারণ করা হবে।

এর আগে বুধবার থেকে টানা সাতদিন ব্যাংক বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। সোমবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করে ব্যাংকিং লেনদেন বন্ধের এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।

এদিকে কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেও ব্যাংক চালু রাখার পক্ষে মত দিয়েছে সরকার। মঙ্গলবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনরের কাছে দেয়া এক চিঠিতে এ কথা জানানো হয়েছে। সিদ্ধান্ত নেবে বাংলাদেশ ব্যাংক। সোমবার সরকারের প্রজ্ঞাপনের পর কেন্দ্রীয় ব্যাংক কেবল বন্দর এলাকার ব্যাংক ছাড়া বাকিগুলো এক সপ্তাহের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে। কিন্তু এ নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠার পর মঙ্গলবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের কাছে ব্যাংক খোলা রাখার নির্দেশ দেয়ার অনুরোধ জানায়।

বিশেষ প্রয়োজনে ব্যাংক চালু রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে চিঠি দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। মঙ্গলবার মাঠ প্রশাসন অধিশাখার উপ সচিব রেজাউল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। ‘বিশেষ প্রয়োজনে ব্যাংকিং সেবা প্রদান’ সংক্রান্ত এ চিঠিতে বলা হয়, ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত ব্যাংকিং সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারির জন্য আদেশক্রমে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব রেজাউল ইসলাম স্বাক্ষরিত চিঠির অনুলিপি প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব, অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব ও মন্ত্রিপরিষদ সচিবের একান্ত সচিবের কাছেও পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয় জানতে চাইলে রেজাউল ইসলাম বলেন, বিশেষ প্রয়োজনে ব্যাংক চালু রাখতে এ চিঠি পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক কী সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে, সে বিষয়ে জানতে চাইলে ব্যাংক ও আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থার বক্তব্য তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম কল কেটে দিয়েছেন। গত শুক্রবার যখন সরকার ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ দেয়ার ঘোষণা দেয়, তখন সিরাজুল ইসলাম বলেন, ব্যাংক খোলা রাখতে হবে।

সরকার এই এক সপ্তাহে সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ ঘোষণা করলেও জরুরি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো চালু থাকবে। ব্যাংক খাতকে জরুরি সেবা হিসেবেই ধরা হয়। কেন্ত্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম সেদিন বলেন, ব্যাংক খোলা রাখার বিকল্প নেই।

ব্যাংক চালু রাখার পক্ষে সিদ্ধান্ত সরকারের: কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেও ব্যাংক চালু রাখার পক্ষে মত দিয়েছে সরকার। মঙ্গলবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনরের কাছে দেয়া এক চিঠিতে এ কথা জানানো হয়েছে। সিদ্ধান্ত নেবে বাংলাদেশ ব্যাংক। সোমবার সরকারের প্রজ্ঞাপনের পর কেন্দ্রীয় ব্যাংক কেবল বন্দর এলাকার ব্যাংক ছাড়া বাকিগুলো এক সপ্তাহের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে। কিন্তু এ নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠার পর মঙ্গলবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের কাছে ব্যাংক খোলা রাখার নির্দেশ দেয়ার অনুরোধ জানায়।

বিশেষ প্রয়োজনে ব্যাংক চালু রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে চিঠি দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। মঙ্গলবার মাঠ প্রশাসন অধিশাখার উপ সচিব রেজাউল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। ‘বিশেষ প্রয়োজনে ব্যাংকিং সেবা প্রদান’ সংক্রান্ত এ চিঠিতে বলা হয়, ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত ব্যাংকিং সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারির জন্য আদেশক্রমে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব রেজাউল ইসলাম স্বাক্ষরিত চিঠির অনুলিপি প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব, অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব ও মন্ত্রিপরিষদ সচিবের একান্ত সচিবের কাছেও পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয় জানতে চাইলে রেজাউল ইসলাম বলেন, বিশেষ প্রয়োজনে ব্যাংক চালু রাখতে এ চিঠি পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক কী সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে, সে বিষয়ে জানতে চাইলে ব্যাংক ও আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থার বক্তব্য তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম কল কেটে দিয়েছেন। গত শুক্রবার যখন সরকার ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ দেয়ার ঘোষণা দেয়, তখন সিরাজুল ইসলাম বলেন, ব্যাংক খোলা রাখতে হবে।

সরকার এই এক সপ্তাহে সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ ঘোষণা করলেও জরুরি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো চালু থাকবে। ব্যাংক খাতকে জরুরি সেবা হিসেবেই ধরা হয়। কেন্ত্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম সেদিন বলেন, ব্যাংক খোলা রাখার বিকল্প নেই।

সেদিন তিনি বলেন ‘এ সংকটের মধ্যেও ব্যাংক খোলা রাখতে হবে। কারণ, মানুষ ব্যাংকিং লেনদেন না করতে পারলে অন্যান্য সংকটে পড়বে। চিকিৎসার জন্যও ব্যাংকের টাকা দরকার। সরকারের নির্দেশনার সঙ্গে সমন্বয় করে কীভাবে, কোন কৌশলে ব্যাংকিং সেবা দেয়া যায় সেটা সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’

তবে সোমবার সরকার বিধি নিষেধ নিয়ে যে প্রজ্ঞাপন দেয়, তাতে জানানো হয় আর্থিক প্রতিষ্ঠানও বন্ধ থাকবে। পরে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এক সার্কুলারে জানায়, আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম চালু রাখার স্বার্থে কেবল বন্দর এলাকার ব্যাংকগুলো চালু থাকবে। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে গত ৫ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহের জন্য বাইরে জনসমাগমে বিধিনিষেধের মধ্যে ব্যাংক খোলা ছিল আড়াই ঘণ্টার জন্য।

সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত চলেছে লেনদেন। এরপর কঠোর বিধি নিষেধের আগের দুই দিন সোমবার সকাল ১০টা থেকে দেড়টা আর মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল তিনটা পর্যন্ত লেনদেন চলে।

ব্যাংক বন্ধের এই সিদ্ধান্তে চমকে গেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘এক সপ্তাহের জন্য ব্যাংক এভাবে আগে কখনও বন্ধ করা হয়নি। কিন্তু ব্যাংক সেবা একবারে বন্ধ করে দেয়ায় বড় সংখ্যাক মানুষ সমস্যায় পড়বে। অন্যান্য বিষয় বাদ দিলাম, চিকিৎসা করতেও মানুষের টাকার প্রয়োজন হবে।’

সাধারণ ছুটির আগে স্বস্তির পুঁজিবাজার, সূচক বেড়েছে ৭০ পয়েন্ট: করোনা নিয়ন্ত্রণে কঠোর বিধিনিষেধ কার্যকরের সময়টায় আট দিনের জন্য ব্যাংকের পাশাপাশি বন্ধ হচ্ছে পুঁজিবাজার। এর আগে সবশেষ লেনদেনে দেখা গেল সূচকের উত্থান। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী ২১ এপ্রিলের পর আবার শুরু হবে পুঁজিবাজারের লেনদেন।  বন্ধের আগে দিন মঙ্গলবার আস্থার পরিচয় দিল বিনিয়োগকারীরা। লেনদেনের শুরুতে সূচক পতনের ঠাক্কা লাগলেও তা টিকেনি। বরং বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে সূচকসহ লেনদেন হওয়া বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ার দর।

এর আগের বছর করোনা মহামারি বেড়ে যাওয়ায় এক মাসের বেশি সময় ধরে বন্ধ ছিল পুঁজিবাজারের লেনদেন। সে সময় পুঁজিবাজার বন্ধ হওয়ার কয়েক কার্যদিবস আগে লেনদেন নেমে এসেছিল ৪৯ কোটি টাকায়। এছাড়া একশ থেকে সর্বোচ্চ চারশ কোটি টাকায় ছিল লেনদেন। একই ভাবে গত বছর পুঁজিবাজার বন্ধ হওয়ার আগের দিন সূচক বেড়েছিল মাত্র ৩২ পয়েন্ট। লেনদেন হয়েছিল ৩৪৮ কোটি টাকা। কিন্ত এ বছর করোনা মহামারিতে পুঁজিবাজার বন্ধের আগের দিন সূচক বেড়েছে ৭০ পয়েন্ট। আর লেনদেন হয়েছে ৫১১ কোটি টাকা।

আজ ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৭০.২২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ২৫৮.৫০ পয়েন্টে। ডিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ১৫.৬০ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৩৬.৮২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১১৯৮.৫৭ পয়েন্টে এবং ১৯৯৭.৬৩ পয়েন্টে। আজ ডিএসইতে ৫১০ কোটি ৭৫ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের দিন থেকে ১৬ কোটি ৪৪ লাখ টাকা বেশি। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৪৯৪ কোটি ৩১ লাখ টাকার।

ডিএসইতে আজ ৩৪৭টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে ২২৮টির বা ৬৫.৭১ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে। শেয়ার দর কমেছে ৬৩টির বা ১৮.১৫ শতাংশের এবং বাকি ৫৬টির বা ১৬.১৪ শতাংশের দর অপরিবর্তিত রয়েছে। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৮৫.৬১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ১৯৪.৪৫ পয়েন্টে।

সিএসইতে আজ ২১৪টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১২৪টির দর বেড়েছে, কমেছে ৬২টির আর ২৮টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে ২৫ কোটি ৬৩ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

দুই বীমা কোম্পানির শেয়ার কারণ ছাড়াই দাম বাড়ছে: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বীমা খাতের দুই কোম্পানির শেয়ারের দরন বাড়ার কোন কারন নেই। কোম্পানিগুলো কোনো কারণ ছাড়াই অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে শেয়ারের দর। এর মধ্যে একটি সোনারবাংলা ইন্স্যুরেন্স ও পুরবী জেনারেল ইন্সুরেন্স। শেয়ারের দর বাড়ার কারন নেই দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই) এমন তথ্য জানিয়েছে সোনারবাংলা ইন্স্যুরেন্স কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

তথ্য মতে, কোম্পানির শেয়ার দর অস্বাভাবিক বাড়ার কারণ জানতে চেয়ে গত ১২ এপ্রিল ডিএসই কোম্পানিটিকে চিঠি পাঠায়। ওই চিঠির জবাবে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কোনো রকম অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বাড়ছে। প্রসঙ্গত, গত ৪ এপ্রিল কোম্পানিটির শেয়ারের দাম ছিল ৪২.৮০ টাকা। আর ১২ এপ্রিল কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬১.২০ টাকায়। ফলে ৬ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়েছে ১৮.৪০ টাকা বা ৪৩ শতাংশ।

পূরবী জেনারেল: কোনো কারণ ছাড়াই অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে শেয়ারবাজারে বিমা খাতে তালিকাভুক্ত পূরবী জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারের দাম। দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই) এমন তথ্য জানিয়েছে পূরবী জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

তথ্য মতে, কোম্পানির শেয়ার দর অস্বাভাবিক বাড়ার কারণ জানতে চেয়ে গত ১১ এপ্রিল ডিএসই কোম্পানিটিকে চিঠি পাঠায়। ওই চিঠির জবাবে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কোনো রকম অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বাড়ছে। প্রসঙ্গত, গত ৪ এপ্রিল পূরবী জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারের দাম ছিল ২৪ টাকা। আর ১২ এপ্রিল কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৪ টাকায়। ফলে ৬ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ টাকা বা ৪২ শতাংশ।

বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্সের বোর্ড সভা ঘোষণা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের সভার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। কোম্পানিটির পর্ষদ সভা আগামী ২৫ এপ্রিল দুপুর ২টায় অনুষ্ঠিত হবে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, সভায় ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের নীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। পর্ষদ আলোচিত প্রতিবেদন অনুমোদন করলে তা প্রকাশ করবে কোম্পানিটি। একই সভায় কোম্পানির প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পরযালোচনা ও প্রকাশ করা হবে। ২০১৯ সাল কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের ১২ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছিল।

ইন্দো-বাংলা ফার্মার নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার: শেয়ারবাজারে ওষুধ ও রসায়ন খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালসের ওষুধ উৎপাদন এওবং বিপণনে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিয়েছে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর। মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য মতে, এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ফলে এখন থেকে কোম্পানিটি তাদের পণ্যের উৎপাদন এবং বিপণন করতে পারবে। এর আগে গত ২৩ মার্চ ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর থেকে ওষুধ উৎপাদন এবং বিপণনে নিষেধাজ্ঞার একটি চিঠি দিয়েছিল। ইন্দো-বাংলা ফার্মা ওই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিকভাবে একটি রিট আবেদন করেছিল।

পূবালী ব্যাংকের সম্পদ পুনর্মূল্যায়ন: শেয়ারবাজারে ব্যাংক খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি পূবালী ব্যাংক তাদের সম্পদ পুর্নমূল্যায়ন করেছে। এ সম্পদ পুর্নমূল্যায়নের প্রতিবেদন অনুমোদন করেছে ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ। মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য মতে, কোম্পানিটির জমি এবং সম্পদ পুর্নমূল্যায়েনের পর ৫২ কোটি ৪ লাখ ৪৩ হাজার ৯৪১ কোটি টাকা কমেছে। পুনর্মূল্যায়নের আগে জমি এবং সম্পদের মূল্য ছিল ৩১৭ কোটি ৭৬ লাখ ৭৭ হাজার ৩৩৭ টাকা। পুনর্মূল্যায়নের পর তা কমে দাঁড়িয়েছে ২৬৫ কোটি ৭২ লাখ ৩৩ হাজার ৩৯৬ টাকা। এদিকে কোম্পানি জানিয়েছে, সম্পদ পুনর্মূল্যায়নের রিপোর্ট ব্যালান্স শিটের রিজার্ভের সঙ্গে সমন্বয় করা হবে।

ডিএসইএক্স সূচকে অন্তর্ভুক্ত হলো ৩ কোম্পানি: দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্সে নতুন তিনটি কোম্পানি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। মঙ্গলবার ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

কোম্পানি তিনটি হলো, রবি আজিয়াটা, এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন এবং মীর আখতার হোসাইন লিমিটেড। আগামী রোববার থেকে কোম্পানিগুলো ডিএসইএক্স সূচকে অন্তর্ভুক্ত হবে।

মেঘনা পেট্রোলিয়ামের নগদ লভ্যাংশ প্রেরণ: শেয়ারবাজারে বিদ্যুৎ ও জ্বালনি খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি মেঘনা পেট্রোলিয়াম ২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য ঘোষিত নগদ লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের কাছে প্রেরণ করেছে। মঙ্গলবার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য মতে, ঘোষিত নগদ লভ্যাংশ বাংলাদেশ ইলেকট্রনিক ফান্ডস ট্রান্সফার নেটওয়ার্ক (বিইএফটিএন) সিস্টেমসের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের কাছে পাঠিয়েছে মেঘনা পেট্রোলিয়াম। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরে মেঘনা পেট্রোলিয়াম ১৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে।