দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত খাদ্য খাতের কোম্পানি আরডি ফুডের কর্পোরেট পরিচালক সাত লাখ শেয়ার কেনার ঘোষণা দিয়েছেন। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। কর্পোরেট পরিচালক কনক্রিট অ্যান্ড স্টিল টেকনোলজিস লিমিটেড কোম্পানিটির ৭ লাখ ৩৭ হাজার ৬১১টি শেয়ার কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী ২৯ এপ্রিলের মধ্যে স্টক এক্সেচেঞ্জের মাধ্যমে ঘোষণাকৃত শেয়ার ক্রয় সম্পন্ন করবে এই কর্পোরেট পরিচালক।

পুঁজিবাজারে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারই বিনিয়োগ অনুকূলে: পুঁজিবাজারে টানা সপ্তম দিনের মতো উত্থানে শেষ হলো লেনদেন। তবে বাজারে ঘুরে ফিরে সব খাতের শেয়ারের দর বাড়াকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন বিনিয়োগকারীরা। এই অবস্থায় পুঁজিবাজারের প্রতি বিনিয়োগ আগ্রহ তৈরি হয়েছে বিনিয়োগকারীদের। করোনা পরিস্থিতিতে চলমান লকডাউনে পুঁজিবাজারে লেনদেন হচ্ছে সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত। এই সময়ে মঙ্গলবার ডিএসইতে গত তিন মাসের সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ২৯৯ কোটি টাকা। পুঁজিবাজারের এমন অবস্থায় নতুন করে বিনিয়োগ আগ্রহী হতে দেখা গেছে বিনিয়োগকারীদের।

চলমান লকডাউন শেষ হওয়ার কথা ২১ এপ্রিল। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে সার্বিক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে লকডাউন বাড়িয়ে নেয়া হয়েছে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত। এই সময়ে পুঁজিবাজারের লেনদেন বর্তমান নিয়মেই পরিচালিত হবে বলে বিএসইসির পক্ষ থেকে জানানো হয়। করোনার এই সময়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) বিনিয়োগকারীদের ব্রোকার হাউজে না গিয়ে মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে লেনদেন করার পরামর্শ দেন। ফলে গত ৫ এপ্রিল থেকে অদ্যবধি বিনিয়োগকারীরা ডিজিটাল প্লাট ফর্মে লেনদেন করে আসছেন।

এছাড়া লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকেই বিনিয়োগকারীরা ডিজিটার প্ল্যাটফর্মে লেনদেন করে আসছেন। বুধবার অতিরিক্ত লেনদেন চাপে ডিএসই মোবাইল অ্যাপ যথাযথভাবে কাজ করেনি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে শেয়ার কেনা বেচার জন্য অর্ডার দেয়া হলেও তা ছিল ধীরগতির। অনেক অর্ডার কার্যকর হয়নি বলেও বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউজ থেকে অভিযোগ এসেছে। একই সঙ্গে ব্রোকার হাউজগুলো থেকে শেয়ার ক্রয়ের লিমিট নেয়ার ক্ষেত্রেও জটিলতা হয়েছে।

এ বিষয়ে এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে বিএসইসি নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র রেজাউল করিম বলেন, এ সংক্রান্ত কিছুটা জটিলতা হচ্ছে। করোনার এই সময়ে যেহেতু ডিএসইর প্রি ওপেনিং সেশন নেই, তাই ব্রোকার হাউজগুলোকে আগের দিন লিমিট নেয়া উচিত। লেনদেন শুরু হওয়ার পর লিমিট নিতে গেলে জটিলতা দেখা দিচ্ছে। এবং তা কার্যকর হতে ২০ থেকে ২৫ মিনিট সময় লাগছে।

তিনি বলেন, মোবাইল অ্যাপ নিয়ে এখন আগের তুলনায় অনেক বেশি লেনদেন হচ্ছে। ফলে লেনদেন সংখ্যা বেড়ে গেছে। এটা নিয়ে কমিশন কাজ করছে। যাতে মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীরা আরও বেশি অর্ডার দিতে পারে।

পুঁজিবাজার বিশ্লেষক অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, পুঁজিবাজারে টানা সূচক ও লেনদেন বাড়ছে। এতে বিনিয়োগকারীরা পুঁজিবাজারের প্রতি আগ্রহী হচ্ছে। এ ছাড়া সামনে রমজানের ঈদের কারণে এমন বাজারে নতুন বিনিয়োগ করলে মুনাফা পাবে, প্রত্যাশায় বিনিয়োগে যাচ্ছে। লকডাউনের শুরুতে বিনিয়োগকারীরা এতটা আশ্বস্ত হতে পারেনি। কিন্তু যখন দেখছে পুঁজিবাজার স্বাভাবিকভাবে লেনদেন চলছে তখনই নতুন বিনিয়োগে আগ্রহী হচ্ছে।

তিনি বলেন, পুঁজিবাজারে প্রায় সব কোম্পানির শেয়ার দরই এখন বাড়ছে। তবে সবচেয়ে বেশি যেসব কোম্পানির শেয়ারের দর বাড়ছে সেগুলোকে ফান্ডামেন্টালি বিবেচনা করা যায় না। তাই বিনিয়োগকারীদের উচিত হবে দর বাড়ছে দেখে শেয়ার না কেনা। বরং এ সময়ে ভালো মানের শেয়ার কেনা। তাহলে দীর্ঘ মেয়াদী বিনিয়োগেও লাভবান হবে। আর দর কমে গেলেও খারাপ কোম্পানির মতো বড় অংকের লোকসান দিতে হবে না।

ডিএসইর পরিচালক রকিবুর রহমান বলেন, বর্তমান বাজার পরিস্থিতি অধিকাংশ শেয়ারে বিনিয়োগ উপযোগী। বিনিয়োগকারীরা বুঝে শুনে বিনিয়োগ করলে লাভবান হবে। আমাদের দেশে অনেকগুলো মিউচ্যুয়াল ফান্ড ভালো করছে। কিন্ত যেগুলো খারাপ করছে সেটিকেই বিনিয়োগকারীরা উদাহরণ হিসাবে নিয়ে আসে। এই জায়গাটিকে ঠিক করতে হবে। আর আছে বন্ড মার্কেট। এখানে অনেকে বন্ড ছেড়ে টাকা সংগ্রহ করতে চাচ্ছে। আমি বলতে চাই, যারা বন্ড ছাড়তে আগ্রহী তাদের কী কী সম্পদ আছে সেটি আগে যাচাই করতে হবে। তা না হলে নানাভাবে বন্ড মার্কেটও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

এ প্রসঙ্গে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সকারের উপদেষ্টা ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, শুধু ব্যাংক বা মিউচুয়াল ফান্ডেরই নয়, এখন পুঁজিবাজারে বেশিরভাগ শেয়ারই ক্রয়যোগ্য অবস্থানে রয়েছে। তবে তুলনামূলকভাবে ব্যাংক ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ারদর অনেক কম। এখান থেকে দেখেশুনে বিনিয়োগ করলে ইনভেস্টরদের ভালো করার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে তাদের বিনিয়োগ করতে হবে ধৈর্য ধারণ করে। দ্রুত মুনাফা তুলব তাদের এমন প্রবণতা থেকে বের হয়ে আসতে হবে।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, বর্তমানে বিনিয়োগযোগ্য শেয়ার বা ইউনিটের মধ্যে সবার শীর্ষে রয়েছে মিউচুয়াল ফান্ড। বর্তমানে এ খাতের ইউনিটের গড় মূল্য আয় অনুপাত অবস্থান করছে দুই পয়েন্টে। মূলত ২০১০ সালে পুঁজিবাজারের ধসের পর মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটদর ক্রমেই কমতে থাকে, যার জের ধরে কমতে থাকে ফান্ডগুলোর পিই-রেশিও বা ইউনিটের মূল্য আয় অনুপাত। সম্প্রতি এ খাতের ইউনিটদর কিছুটা বাড়লেও এখনও ৩৭টি ফান্ডের মধ্যে ৩১টির ইউনিটদর অভিহিত দরের নিচে রয়েছে, যার জের ধরে ফান্ডগুলোর মূল্য আয় অনুপাত নিম্ন অবস্থানে রয়েছে। নিয়মানুযায়ী এ ধরনের পিই-রেশিওধারী কোম্পানিতে বিনিয়োগ করলে খুব অল্প সময়ে মুনাফা করা সম্ভব।

বিনিয়োগযোগ্য অবস্থানে পরের অবস্থানে রয়েছে ব্যাংক খাত। বর্তমানে এর পিই-রেশিও অবস্থান করছে ৭.৫০ পয়েন্টে। বিষয়টি নিয়ে আলাপ করলে পুঁজিবাজার-সংশ্লিষ্টরা বলেন, ২০১০ সালের ধসে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ব্যাংক ও মিউচুয়াল ফান্ডের বিনিয়োগকারীরা। কারণ ওইসব শেয়ারের দর সবচেয়ে বেশি কমে গিয়েছিল। অথচ দুটি খাতই পুঁজিবাজারের শক্তিশালী খাত। অনেক আগেই এসব শেয়ার ও ইউনিট বিনিয়োগযোগ্য অবস্থানে চলে এসেছে। আর সম্প্রতি পতনে দরে আরও কমে গেছে। এই অবস্থান থেকে শেয়ার ক্রয় করলে বিনিয়োগকারীদের ঝুঁকি অনেক কমে যায়। তারা বলেন, বর্তমানে পুঁজিবাজার বিনিয়োগযোগ্য অবস্থানে রয়েছে।

এদিকে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১.৪৩ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৪২৩.২২ পয়েন্টে। ডিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ০.৮৬ পয়েন্ট বাড়লেও শরিয়াহ সূচক ০.০৪ পয়েন্ট কমেছে।

ডিএসইতে ৭৭৬ কোটি ৬৭ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের দিন থেকে ৫২৩ কোটি ১৭ লাখ টাকা কম। আগের দিনি লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ২৯৯ কোটি ৮৪ লাখ টাকার। ডিএসইতে ৩৫৪টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে ১৩০টির বা ৩৬.৭২ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে। শেয়ার দর কমেছে ১৫৭টির বা ৪৪.৩৫ শতাংশের এবং বাকি ৬৭টির বা ১৮.৯৩ শতাংশের দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২৫.৭৮ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৭১১.২৫ পয়েন্টে। সিএসইতে আজ ২৪২টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১০২টির দর বেড়েছে, কমেছে ৯৬টির আর ৪৪টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে ৩৩ কোটি ৮২ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

১৫ কোম্পানি বোর্ড সভার তারিখ ঘোষণা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিভিন্ন খাতের ১৫ কোম্পানি ডিভিডেন্ড এবং প্রান্তিক প্রতিবেদন প্রকাশ করার জন্য বোর্ড সভার তারিখ জানিয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। কোম্পানিগুলোর হলো : পিপলস ইন্স্যুরেন্স, পদ্মা অয়েল, মেঘনা সিমেন্ট, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন, আনোয়ার গ্যালভানাইজিং, জেএমআই সিরিঞ্জ, একমি ল্যাবরেটরিজ, অলটেক্স, ইউনিক হোটেল, আমান ফিড, এশিয়া প্যাসিফিক ইন্স্যুরেন্স, ইউনিলভার কনজ্যুমার কেয়ার, আইএফআইসি, আমান কটন ফাইবার্স ও যমুনা ব্যাংক।

কোম্পানিগুলোর মধ্যে পিপলস ইন্স্যুরেন্সের ২৯ এপ্রিল দুপুর ২টায়, পদ্মা অয়েলের ২৭ এপ্রিল দুপুর ২টায়, মেঘনা সিমেন্টের ২৮ এপ্রিল দুপুর দেড়টায়, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের ২৬ এপ্রিল দুপুর ২.৩৫টায়, আনোয়ার গ্যালভানাইজিংয়ের দুপুর ২.৩০টায়, জেএমআই সিরিঞ্জ অ্যান্ড মেডিকেল ডিভাইসের ২৮ এপ্রিল বিকাল ৩টায়, একমি ল্যাবরেটরিজের ২৭ এপ্রিল বিকাল সাড়ে ৩টায়, অলটেক্সের ২৯ এপ্রিল বিকাল ৩টায়, ইউনিক হোটেলের ২৫ এপ্রিল বিকাল ৩টায়, আমান ফিডের ২৮ এপ্রিল দুপুর ২টায়, এশিয়া প্যাসিফিক জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের ২৭ এপ্রিল দুপুর ২.৩০টায়, ইউনিলভার কনজ্যুমার কেয়ারের ২৬ এপ্রিল বিকাল ৪টায়, আইএফআইসির ২৬ এপ্রিল বিকাল ৪টায়, আমান কটন ফাইবার্সের ২৫ এপ্রিল দুপুর ২টায় এবং যমুনা ব্যাংকের বোর্ড সভা ২৯ এপ্রিল দুপুর দেড়টায় অনুষ্ঠি তবে।

কোম্পানিগুলোর মধ্যে পিপলস ইন্স্যুরেন্সের বোর্ড সভায় শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ডিভিডেন্ড ঘোষণা করা হবে। অন্যদিকে পদ্মা অয়েল, মেঘনা সিমেন্ট, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন, আনোয়ার গ্যালভানাইজিং, জেএমআই সিরিঞ্জ অ্যান্ড মেডিকেল ডিভাইস, একমি ল্যাবরেটরিজ, অলটেক্স, ইউনিক হোটেল, আমান ফিড, এশিয়া প্যাসিফিক জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, ইউনিলভার কনজ্যুমার কেয়ার, আইএফআইসি, আমান কটন ফাইবার্স ও যমুনা ব্যাংকের বোর্ড সভায় কোম্পানিগুলোর প্রান্তিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।

ব্লক মার্কেটে ৩ বিমা কোম্পানির লেনদেনের চমক: পুঁজিবাজারে সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ব্লক মার্কেটে ১৯টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব কোম্পানির ১৩ কোটি ২১ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। কোম্পানিগুলোর ১৮ লাখ ৮৪ হাজার ৭৮৮টি শেয়ার ৪০ বার হাত বদল হয়েছে। এর মাধ্যমে কোম্পানিগুলোর ১৩ কোটি ২১ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে।

কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ৫ কোটি ৭৪ লাখ ১০ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে ইস্টার্ন ইন্সুরেন্সের শেয়ার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২ কোটি ১১ লাখ ৮২ হাজার টাকার সেন্ট্রাল ইন্সুরেন্স এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ১ কোটি ৮০ লাখ ৭০ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে প্রভাতী ইন্সুরেন্সের শেয়ার।

এছাড়া রবি আজিয়াটা ৯৫ লাখ ৬০ হাজার, জেনেক্সিল ৬৯ লাখ ৫৬ হাজার, ব্র্যাক ব্যাংক ৪২ লাখ, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড ২৭ লাখ ২৫ হাজার, বেক্সিমকো লিমিটেড ২০ লাখ ১৯ হাজার, বিবিএস ক্যাবলস ১৫ লাখ ৩৪ হাজার, কোহিনুর কেমিক্যাল ১৩ লাখ ৬৯ হাজার, মার্কেন্টাইল ব্যাংক ১৩ লাখ ১৩ হাজার, স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক ১১ লাখ ৯৭ হাজার,

মীর আখতার হোসাইন লিমিটেড ৯ লাখ ৯৮ হাজার, পাওয়ার গ্রিড ৭ লাখ ২৯ হাজার, মালেক স্পিন ৬ লাখ ৩৪ হাজার, এসইএমলেকচার মিউচুয়াল ফান্ড ৫ লাখ ৯২ হাজার, এসকে ট্রিমস ৫ লাখ ৬৫ হাজার, ন্যাশনাল টিউবস ৫ লাখ ৩৯ হাজার এবং অ্যাপোলো ইস্পাত ৫ লাখ ৯ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

মোবাইল অ্যাপের বিভ্রাটে বিনিয়োগকারীদের ভোগান্তি: লকডাউনের সময়ে পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের মোবাইল অ্যাপসই প্রধান নির্ভরতা। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি এবং স্টক এক্সচেঞ্জও লকডাউনে বিনিয়োগকারীদের মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে লেনদেন করার পরামর্শ দিয়েছে। কিন্তু ডিএসইর মোবাইল অ্যাপের লেনদেনে বিভ্রাট যেন নিয়মিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আজ (বুধবার) লেনদেনের শুরু থেকেই মোবাইল অ্যাপের বিভ্রাটে পড়েন বিনিয়োগকারীরা। দিনভরই তারা মোবাইল অ্যাপের বিভ্রাটে থাকেন। এতে স্বাভাবিক লেনদেনে অংশগ্রহণ করতে পারেননি বলে তারা সমূহ ক্ষতির মুখে পড়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন।

বিনিয়োগকারা অভিযোগ করেছেন, মোবাইল অ্যাপে শেয়ার কেনার জন্য ব্রোকার হাউজগুলোকে যে লিমিট দেয়, সেটিও আজ কাজ করেনি। এসব কারণে বুধবার পুঁজিবাজারের লেনদেনে শুরু থেকেই বিনিয়োগকারীদের ভোগান্তি বাড়ে, লেনদেনে নেমে আসে ধীরগতি। ব্রোকারেজ হাউজগুলো থেকে জানা যায়, অ্যাপে কাজ না করা এবং লিমিট না দিতে পারার বিষয়টি ডিএসইর ব্রোকার হাউজগুলো থেকেও নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসিকে জানানো হয়েছে।

বিএসইসি সুত্রে জানা গেছে, মোবাইল অ্যাপ নিয়ে এখন আগের তুলনায় অনেক বেশি লেনদেন হচ্ছে। ফলে লেনদেন সংখ্যা বেড়ে গেছে। এটা নিয়ে কমিশন কাজ করছে। যাতে মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীরা আরও বেশি অর্ডার দিতে পারে।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে বিএসইসি নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র রেজাউল করিম জানান, এ সংক্রান্ত কিছুটা জটিলতা হচ্ছে। করোনার এই সময়ে যেহেতু ডিএসইর প্রি ওপেনিং সেশন নেই, তাই ব্রোকার হাউজগুলোকে আগের দিন লিমিট নেয়া উচিত। লেনদেন শুরু হওয়ার পর লিমিট নিতে গেলে জটিলতা দেখা দিচ্ছে। তা কার্যকর হতে ২০ থেকে ২৫ মিনিট সময় লাগছে।

তিনি বলেন, “মোবাইল অ্যাপ নিয়ে এখন আগের তুলনায় অনেক বেশি লেনদেন হচ্ছে। ফলে লেনদেন সংখ্যা বেড়ে গেছে। এটা নিয়ে কমিশন কাজ করছে। যাতে মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীরা আরও বেশি অর্ডার দিতে পারে।”

মশিউর সিকিউরিটিজ বিনিয়োগকারী আবুল কালাম বলেন, “আজ লেনদেনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমি মোবাইল অ্যাপের ভোগান্তির মধ্যে ছিলাম। আজ আমি কী সেল করেছি, কী বাই করেছি, তা ঠিকমতো বুঝতে পারিনি। বার বার ব্রোকারেজ হাউজে ফোন করে কনফার্ম হতে হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “ অ্যাপসে আজ বার বার লগ আউট হয়েছি। লগইন করতে গেলে বার বার ডিনাইড ম্যাসেজ আসে ব্রোকারেজ হাউজের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য। আবার পরক্ষণে লকইন করা গেছে। এভাবেই আজ অনেক ঝামেলার মধ্যে ট্রেড করতে হয়েছে।”

তিনি বলেন, মোবাইল অ্যাপে এভাবে বিভ্রাট হলে ট্রেড করা যায় না। প্রতিষ্ঠানগুলোর খামখেয়ালির কারণেই আমাদের এভাবে ভোগান্তি হচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।

পুঁজিবাজারে ৪ লাখেরও বেশি বিও বছরে অব্যবহৃত থাকে: পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে প্রয়োজন হয় বিও (বেনিফিশিয়ারি ওনার্স) হিসাব। বিভিন্ন সিকিউরিটিজ লেনদেন করতে হলে প্রথমেই কোনো ব্রোকারেজ হাউজের মাধ্যমে বিও হিসাব খুলতে হয়। প্রতি বছরই লাখ লাখ বিও হিসাব খোলা হয়। তবে এরমধ্যে লেনদেনযোগ্য অন্তত ১৫ শতাংশ বা প্রায় ৪ লাখ বিও হিসাব কখনোই ব্যবহার হয় না। অথচ অব্যবহৃত এসব বিও খুলতে অন্তত ২০ কোটি টাকা ব্যয় করেন বিনিয়োগকারীরা। সিকিউরিটিজ রক্ষণাবেক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান সেন্ট্রাল ডিপজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সিডিবিএলের গত ছয় বছরের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, প্রতি বছর যত বিও হিসাব থাকে তার মধ্যে অন্তত ৪ লাখ বিও হিসাব কখনোই ব্যবহৃত হয় না। কোনো কোনো বছর অব্যবহৃত বিও হিসাবের পরিমাণ আরও বেশি থাকে। ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত সিডিবিএলে বিও হিসাবের পরিমাণ ছিল ২৫ লাখ ৫৫ হাজার ৫১১টি, যার মধ্যে কখনোই ব্যবহার হয়নি এমন হিসাবের সংখ্যা ৪ লাখ ৮ হাজার ৪২৫টি। আগের বছর ২০১৯ সালে অব্যবহৃত বিও হিসাবের সংখ্যা ছিল ৪ লাখ ৯৬ হাজার ৩৯৭টি।

ঝোঁকের বশে কিংবা বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে বিও হিসাব খোলা হলেও পরবর্তী সময়ে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করা নিয়ে দ্বিধায় পড়ে যান সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। এ কারণে বিও হিসাব খুললেও পরে এর ব্যবহার হয় না। ২০১৬ সালে সিডিবিএলে মোট বিও হিসাবের সংখ্যা ছিল ৩১ লাখ ৫৫ হাজার, যার মধ্যে অব্যবহৃত বিও ছিল ৪ লাখ ৩৮ হাজার। পরের বছর প্রায় ৪ লাখ ১০ হাজার বিও অব্যবহৃত থেকে যায়।

২০১৮ সালে ব্যবহার হয়নি ৪ লাখ ২৪ হাজার বিও। ২০১৫ সালে ৪ লাখ ৮৪ হাজার বিও ব্যবহার করেননি বিনিয়োগকারীরা। গত এক দশকে বিও হিসাব সবচেয়ে বেশি অব্যবহৃত ছিল ২০১১ সালে, সাড়ে ৬ লাখ। আর ২০১০ সালের পুঁজিবাজার ধসের বছরে অব্যবহৃত বিও হিসাব ছিল সাড়ে ৯ লাখেরও বেশি।

ব্রোকারেজ হাউজের মাধ্যমে একটি বিও হিসাব খুলতে অন্তত ৫০০ টাকা ফি দিতে হয়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে হাজার টাকা কিংবা কারও বেশি লাগে। জানা গেছে, প্রাইমারি মার্কেট চাঙ্গা থাকায় অনেক বিনিয়োগকারী একাধিক বিও হিসাব খুলে থাকেন।

কেউ কেউ একাধিক বিও চালিয়ে নিতে পারলেও ব্যাংকিং জটিলতার কারণে অনেকেই নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েন। আবার অনেক ব্যক্তি প্রভাবিত হয়ে বিও হিসাব খুললেও পরে ঝুঁকির বিষয়টি বিবেচনায় বিনিয়োগ থেকে বিরত থাকেন। বিও হিসাব অব্যবহৃত থাকার এটি একটি বড় কারণ।

এদিকে অব্যবহৃত বিও হিসাবের চেয়ে কোনো সিকিউরিটিজ না থাকা বিও হিসাবের সংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি। প্রতি বছর সিডিবিএল যে পরিমাণের বিও হিসাব রক্ষণাবেক্ষণ করে, তার অধিকাংশই হয় শূন্য ব্যালেন্স কিংবা অব্যবহৃত থাকছে। ২০২০ সালে এমন ৯ লাখ ৫ হাজার বিও ছিল যেগুলোতে কোনো সিকিউরিটিজ ছিল না। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এসব বিও খোলা হয় প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) শেয়ার পাওয়ার জন্য।

যদি কখনো এসব হিসাবের মাধ্যমে শেয়ার পাওয়া যায়, তাহলে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির লেনদেন শুরুর কয়েকদিনের মধ্যেই তা বিক্রি করে দেওয়া হয়। ফলে অধিকাংশ সময়ই এসব বিও শূন্য ব্যালেন্সে থাকে। তবে সব বিওতে শেয়ারপ্রাপ্তিও ভাগ্যের বিষয়। গত কয়েক বছরে যেসব আইপিও এসেছে, তার সবগুলোতেই আবেদনের পরিমাণ কয়েকগুণ বেশি থাকে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে মার্কেট লটের চেয়ে ৫০ গুণেরও বেশি আবেদন জমা পড়ে।

২০১৯ সালে শূন্য ব্যালেন্স থাকা বিওর সংখ্যা ছিল ১০ লাখ ৪০ হাজার। এর আগের চার বছরও শূন্য ব্যালেন্স থাকা বিও হিসাবের পরিমাণ ১০ থেকে ১২ লাখেরও বেশি ছিল। ২০১৮ সালের পর থেকে পুঁজিবাজারে অস্থিরতার কারণে বিনিয়োগকারীর সংখ্যা যেমন কমেছে, তেমনি কমেছে শেয়ার থাকা বিও হিসাবের সংখ্যাও।

পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গত এক দশকের মধ্যে ২০২০ সালে সবচেয়ে কম বিও ছিল। এ সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিও ছিল ২০১৫ সালে, ৩১ লাখ ৯৫ হাজার ৮৫২টি। পরের বছর থেকে বিও ধারাবাহিকভাবে কমতে শুরু করে, যা ২০২০ সালের জুনে এসে ২৫ লাখ ৫৫ হাজারে নামে। এ সময় শেয়ার থাকা বিওর পরিমাণ দাঁড়ায় ১২ লাখ ৪২ হাজারে। এটিও গত এক দশকে সর্বনিম্ন।

ডিএসইতে টানা লেনদেনের শীর্ষে বেক্সিমকো: সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস বুধবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানি (বেক্সিমকো) লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, কোম্পানিটির ১৪৭ কোটি ৯৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা বেক্সিমকো ফার্মার লেনদেন হয়েছে ৪৩ কোটি ২ লাখ টাকার। ৩৪ কোটি ৮৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে বিডি ফাইনান্স।

লেনদেনের তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে -রবি আজিয়াটা, লঙ্কাবাংলা ফাইন্যান্স, লাফার্জহোলসিম সিমেন্ট, এশিয়া প্যাসেফিক ইন্সুরেন্স, বৃটিশ অ্যামেরিকান ট্যোবাকো, সামিট পাওয়ার ও অগ্রণী ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড।

ডিএসইতে টানা লেনদেনের শীর্ষে বেক্সিমকো: সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস বুধবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানি (বেক্সিমকো) লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, কোম্পানিটির ১৪৭ কোটি ৯৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা বেক্সিমকো ফার্মার লেনদেন হয়েছে ৪৩ কোটি ২ লাখ টাকার। ৩৪ কোটি ৮৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে বিডি ফাইনান্স।

লেনদেনের তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে -রবি আজিয়াটা, লঙ্কাবাংলা ফাইন্যান্স, লাফার্জহোলসিম সিমেন্ট, এশিয়া প্যাসেফিক ইন্সুরেন্স, বৃটিশ অ্যামেরিকান ট্যোবাকো, সামিট পাওয়ার ও অগ্রণী ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড।

বিমা খাতের শেয়ারে আবারও ঝলক: আগের দিন পুঁজিবাজারে বড় উত্থান হয়েছিল। বড় উত্থানের দিনেও বিমা খাতের শেয়ারে ছিল বগ পতন। একদিন পর আজ (বুধবার) আবারও বিমা খাতের শেয়ারে ঝলক দেখা দিয়েছে। বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, আগেরদিন সোমবার বিমা খাতের শেয়ারে বড় চমক ছিল। ওইদিন ৫০টি বিমার মধ্যে সব কয়টর দরই বেড়েছিল। ওইদিন ডিএসতে ২২টি দর বৃদ্ধির কোম্পানির মধ্যে ১৯টিই ছিল বিমা কোম্পানি। পরেরদিন (মঙ্গলবার) বড় উত্থানের বাজারে ডিএসইতে দর পতনের শীর্ষ ২২ কোম্পানির মধ্যে ২০টিই ছিল বিমা কোম্পানি।

আজ (বুধবার) পুঁজিবাজারে আবারও বিমা কোম্পানির শেয়ারে ঝলক দেখা গেছে। এদিন খাতটির ৫০টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৩৯টির, কমেছে ৮টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ৩টির। এ খাতের আজ দর বেড়েছে ৭৮ শতাংশ শেয়ারের এবং দর কমেছে ১৬ শতাংশ শেয়ারের।

আজ ডিএসইর দর বৃ্দ্ধির শীর্ষ ১০ কোম্পানির তালিকায় বিমা খাতের কোম্পানি রয়েছে ৫টি। আর দর বৃদ্ধির শীর্ষ ২০ কোম্পানির মধ্যে বিমা খাতের শেয়ার রয়েছে ১২টি। দর বৃদ্ধির মধ্যে অন্যতম ছিল- অগ্রণী ইন্স্যুরেন্স, সন্ধানী ইন্সুরেন্স, সোনারবাংলা ইন্স্যুরেন্স, সেন্ট্রাল ইন্সুরেন্স, সিটি জেনারেল ইন্সুরেন্স, সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স, রূপালী লাইফ, রুপালী ইন্সুরেন্স, রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স, রিপাবলিক ইন্সুরেন্স, মেঘনা লাইফ,

মার্কেনটাইল ইন্সুরেন্স, ফনিক্স ইন্সুরেন্স, ফেডারেল ইন্স্যুরেন্স, ফারইস্ট লাইফ, পূরবী জেনারেল, প্রাইম লাইফ ইন্স্যুরেন্স, প্রাইম ইন্স্যুরেন্স, প্রগতি লাইফ পদ্মা লাইফ, প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স, পিপলস ইন্সুরেন্স, পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স, নর্দার্ন ইন্সুরেন্স, নিটল ইন্স্যুরেন্স, দেশ জেনারেল ইন্সুরেন্স, তাকাফুল ইন্স্যুরেন্স, ঢাকা ইন্সুরেন্স, জনতা ইন্সুরেন্স, গ্লোবাল ইন্সুরেন্স, গ্ৰীন ডেল্টা লাইফ, কর্ণফুলী ইন্স্যুরেন্স, ক্রিষ্টাল ইন্সুরেন্স, কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্স, এশিয়া প্যাসিফিক ইন্স্যুরেন্স, এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্স, ইসলামী ইন্সুরেন্স, ইস্টল্যান্ড ইন্স্যুরেন্স, ইস্টার্ন ইন্সুরেন্স, ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্স।

আর দর পতনের মধ্যে ছিল- স্ট্যান্ডার্ড ইন্সুরেন্স, বিজিআইসি, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড, প্রভাতী ইন্স্যুরেন্স, ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুরেন্স, ডেল্টা লাইফ, এশিয়া ইন্স্যুরেন্স, অপরিবর্তিত ছিল- প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্সুরেন্স, প্রগতি ইন্সুরেন্স, পপুলার লাইফের দর।