দেশ প্রতিক্ষণ, চট্টগ্রাম: কক্সবাজারে গত ৯ এবং ১০ এপ্রিল সকালে হিমছড়ি বড় ঝরনার দক্ষিণের সমুদ্রসৈকতে পর পর দুটি মৃত ও গলিত তিমি পানিতে ভেসে বালিয়াড়িতে আটকে পড়ে। পরে তিমি দুটির নমুনা সংগ্রহের পর মাটিতে পুঁতে ফেলে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন। কক্সবাজার সামুদ্রিক মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আশরাফুল হক দীর্ঘ ২ সপ্তাহ ধরে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ধারণা করেছেন, পুরুষ সঙ্গীর মৃত্যুশোকে স্ত্রী তিমিটি আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিল। পরে অন্তত ১০/১৫ দিন মৃত অবস্থায় পানিতে ভাসার পর সমুদ্র চরে আটকা পড়ে।

কক্সবাজার জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এসএম খালেকুজ্জামান জানিয়েছেন, এ প্রজাতির তিমি আমাদের বঙ্গোপসাগরে রয়েছে। বিশেষ করে সুন্দরবনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে এসব তিমি চোখে পড়ে। হয়তো তিমিটি মারা যাওয়ার পর ভাসতে ভাসতে কক্সবাজার সৈকতের উপকূলে ভিড়েছে।

উল্লেখ্য, গত ৯ ও ১০ এপ্রিল সকালের দিকে হিমছড়ি বড় ঝরনার দক্ষিণে সম্দ্রুসৈকতে বালিয়াড়িতে আটকে পড়ে দুটি মৃত তিমি। ভেসে আসা এ দুটি তিমির শরীরে পচন ধরেছিল। এরমধ্যে গত ৯ এপ্রিল সকালে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের হিমছড়ি সৈকতে ভেসে আসে ১৫ টন ওজনের মৃত প্রথম তিমি। এটি লম্বায় ছিল ৪৪ ফুট, পেটের বেড় ২৬ ফুট।

বয়স আনুমানিক ২৫ বছর। এটি স্ত্রী তিমি। এই তিমির শরীর পচে মাথার অংশ নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছিল। পরের দিন ১০ এপ্রিল সকালে একই সৈকতে ভেসে আসে ১০ টন ওজনের আরেকটি মৃত তিমি। এটি লম্বায় ৪৬ ফুট, পেটের বেড় ১৮ ফুট, ওজন প্রায় ১০ টন। এটি পুরুষ জাতের তিমি।