দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: দেশের কোটিপতিদের বড় অংশই পুঁজিবাজারে নেই। সম্পদশালী এসব ব্যক্তি তাদের অর্থ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের ঝুঁকির পরিবর্তে ব্যাংকে গচ্ছিত রাখতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। বর্তমানে দেশের ব্যাংকগুলোতে কোটি টাকা কিংবা তারও বেশি আমানত রয়েছে এমন কোটিপতির সংখ্যা ৯৩ হাজারেরও বেশি।

আর দেশের পুঁজিবাজারে কোটি টাকা কিংবা তারও বেশি বিনিয়োগ রয়েছে এমন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা মাত্র ২৩ হাজার। এ হিসাবে মাত্র এক-চতুর্থাংশ কোটিপতির বিনিয়োগ রয়েছে পুঁজিবাজারে। শেয়ার রক্ষণাবেক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান সেন্ট্রাল ডিপজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তবে গত এক বছরে পুঁজিবাজার পরিস্থিতি কিছুটা ভালো থাকায় এবং করোনায় বিকল্প বিনিয়োগের সুযোগ কমে আসার পাশাপাশি ব্যাংক আমানতের সুদহার কমে আসায় দেশের অনেক কোটিপতি পুঁজিবাজারে যুক্ত হয়েছেন বলে স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে জানা গেছে। তবে পুঁজিবাজারে কোটিপতি বিনিয়োগকারীর পরিমাণ আরও বাড়তে পারে, যদি সুশাসন নিশ্চিত করা যায়। এছাড়া ভালো আইপিও আনা ও তালিকাভুক্ত কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদনে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার মাধ্যমেও বড় বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করা যায়।

এ বিষয়ে বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, বাজার পরিস্থিতি আগের চাইতে এখন ভালো। অধিকাংশ কোম্পানি ১০ শতাংশ বা তারচেয়ে বেশি লভ্যাংশ দিচ্ছে। মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগের রিটার্নও বেশি। এতে করে যাদের কাছে সঞ্চয় রয়েছে, তাদের উচিত পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করা। তবে আপনারা যদি খেয়াল করেন তাহলে দেখবেন, ক্রমান্বয়ে বাজারের টার্নওভার ও বাজার মূলধন কিন্তু বাড়ছে। এতে বোঝা যাচ্ছে, এখানে বিনিয়োগ বাড়ছে। যদিও স্থানীয় বিনিয়োগই বেশি। তাদের বিনিয়োগ বাড়ার কারণেই গত এক বছরে এক লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকারও বেশি বাজার মূলধন বেড়েছে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে বাজার মূলধন জিডিপির ১৭ শতাংশে রয়েছে, যা এই বছরের শেষ নাগাদ ২০ শতাংশে উন্নীত হবে বলে আমরা আশা করছি। এসইসি চেয়ারম্যান বলেন, পুঁজিবাজারে শৃঙ্খলা ফিরেছে। প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসনও ধাপে ধাপে উন্নতি হচ্ছে। এতে করে বিনিয়োগকারীরা আস্থা পাবেন। আমরা বন্ড মার্কেট চালুর উদ্যোগ নিয়েছি। বন্ডের রিটার্ন ৭ থেকে ১০ শতাংশ পর্যন্ত। জিরো কুপন বন্ডে বিনিয়োগে কর অব্যাহতির সুযোগ রয়েছে। রিটার্ন ও কর সুবিধা বিবেচনায় এগুলোতে স্বয়ক্রিয়ভাবে মানুষের বিনিয়োগ আসা শুরু হবে।

শেয়ার রক্ষণাবেক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান সেন্ট্রাল ডিপজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) হিসাব অনুযায়ী, গত ২০ মে পর্যন্ত পুঁজিবাজারে ২৬ লাখ ৬০ হাজার ৪৮০টি বিও (বেনিফিশিয়ারি ওনার্স) রয়েছে। এরমধ্যে ৩ লাখ ৬৮ হাজার ৩৯৯টি বিও হিসাব কখনোই ব্যবহার হয়নি। আর ৮ লাখ ৬৪ হাজার ৮৯৬টি বিও হিসাবে শূন্য ব্যালেন্স রয়েছে। এ হিসেবে শেয়ার রয়েছে এমন সক্রিয় বিও হিসাবের সংখ্যা হচ্ছে ১৪ লাখ ২৭ হাজার ১৮৫টি।
সক্রিয় বিও হিসাবধারীর মধ্যে ২৩ হাজার ১৩৭টি বিও হিসাব রয়েছে, যেগুলোতে এক কোটি টাকা বা তার বেশি বিনিয়োগ রয়েছে।

কোটিপতি বিনিয়োগকারীদের এই সংখ্যা তালিকাভুক্ত কোম্পানির উদ্যোক্তা-পরিচালক ও বিদেশি বিনিয়োগকারী বাদ দিয়ে হিসাব করা হয়েছে। ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে এক কোটি থেকে ৫ কোটি টাকা পর্যন্ত পোর্টফোলিও মূল্য রয়েছে এমন বিনিয়োগকারীর সংখ্যা ১৯ হাজার ৭০০টি, যাদের বেশিরভাগই ব্যক্তিশ্রেণির বিনিয়োগকারী। আর ৫ কোটি ১ টাকা থেকে ১০ কোটি টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ মূল্য থাকা পোর্টফোলিওধারীর সংখ্যা ২ হাজার ২১২টি।

এছাড়া পুঁজিবাজারে ১০ টাকার বেশি বিনিয়োগ থাকা এমন পোর্টফোলিওধারীর সংখ্যা ১ হাজার ২২৫টি, যাদের বড় অংশই প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী। এই শ্রেণির বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বীমা ছাড়াও বিভিন্ন কোম্পানি রয়েছে, যেসব প্রতিষ্ঠানের কোনো কোনোটির হাজার কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগ রয়েছে।

বর্তমানে সক্রিয় বিও হিসাবধারীর মধ্যে ১ দশমিক ৬২ শতাংশ বিনিয়োগকারী রয়েছেন, যাদের পোর্টফোলিও মূল্য কোটি টাকার। সংখ্যার বিচারে পুঁজিবাজারের তুলনায় ব্যাংকে কোটিপতি বেশি থাকলেও শতাংশের হিসাবে তা অনেক কম।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ব্যাংক হিসাবের শূন্য দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ হচ্ছে কোটিপতি গ্রাহক। এ সময়ে ব্যাংকে মোট গ্রাহকের সংখ্যা হচ্ছে ১১ কোটি ৫৮ লাখ ১২ হাজার ৯৬৬টি। ওই সময় পর্যন্ত দেশের ব্যাংকগুলোতে মোট আমানতের স্থিতি ছিল ১৩ লাখ ৭৯ হাজার ১৫০ কোটি টাকা, যার ৪৩ দশমিক ১৬ শতাংশ ছিল কোটিপতিদের।

বাজার সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, দেশের বেশিরভাগ মানুষ এখনো পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ নিয়ে দ্বিধা ও শঙ্কায় ভোগেন। পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় সাধারণ মানুষ এখনো ব্যাংকে সঞ্চয় রাখতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। গত এক বছরে ব্যাংক ব্যবস্থায় সামগ্রিক সুদের হার কমে এলেও এখনো সঞ্চয়পত্রসহ কয়েকটি ক্ষেত্রে উচ্চ সুদ পাওয়া যাচ্ছে এবং কোনো ঝুঁকিও নেই।

এছাড়া পুঁজিবাজারে সুশাসনের অভাব, কোম্পানিগুলোর আর্থিক প্রতিবেদনে আস্থাহীনতা এবং কারসাজিকারক ও পুঁজিবাজার কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িতদের বিচার না হওয়ায় দেশের বেশিরভাগ মানুষ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে চান না। যদিও দেশের অর্থনীতির উন্নয়নের স্বার্থে জনসাধারণের বিস্তৃত অংশগ্রহণসহ একটি শক্তিশালী পুঁজিবাজার অপরিহার্য।

তালিকাভুক্ত ও অ-তালিকাভুক্ত কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদনের স্বচ্ছতা নিশ্চিতে ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিল (এফআরসি) গঠন করা হয়েছে। কিন্তু প্রতিষ্ঠার কয়েক বছর পার হলেও এখনো কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেনি এই নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।

পুঁজিবাজারে কোটিপতিসহ সব শ্রেণির বিনিয়োগকারীর সম্পৃক্ততা বাড়ানোর বিষয়ে বিএসইসির সাবেক কমিশনার ও শান্তা অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির ভাইস চেয়ারম্যান আরিফ খান বলেন, যাদের কোটি টাকা রয়েছে, তারা বিনিয়োগের রিটার্ন সম্পর্কে ধারণা রাখেন। তারা যখন মনে করেন পুঁজিবাজারে ব্যাংকের তুলনায় রিটার্ন বেশি আসবে, কোম্পানির আয় ভালো হওয়ার সম্ভাবনা থাকে ও ব্যাংকের এফডিআরের রিটার্ন যখন কমে যায় তখন তারা ধীরে ধীরে ব্যাংক থেকে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে ফিরবেন।

আমি নিশ্চিত যে, গত এক বছরে পুঁজিবাজারে কোটিপতি বিনিয়োগকারীর সংখ্যা বেড়েছে। কারণ গত ৭/৮ মাস ধরে বাজার ভালো হচ্ছে, তাই এ সময়ে অনেকেই পুঁজিবাজারে নতুন বিনিয়োগ নিয়ে আসছেন। তবে আরও অনেক বেশি মানুষকে পুঁজিবাজারে সম্পৃক্ত করা সম্ভব যখন তাদের টাকা লোকসানের টেনশনটা কমানো যাবে। কারণ দুইবার অনেক মানুষ আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই টেনশনটা যখন কমানো যাবে তত আস্তে আস্তে করে মানুষের অংশগ্রহণ বাড়বে বলে জানান এসইসির এই সাবেক কমিশনার।

আরিফ খান জানান, অবশ্যই সুশাসন ও কোম্পানির নিরীক্ষিত প্রতিবেদনে বিশ^াসযোগ্যতা যখন বাড়বে এবং কারসাজিকারকদের শাস্তির আওতায় আনা হবে তখনই পুঁজিবাজারের পরিধি বাড়বে। তবে এটা একটা ধারাবাহিক প্রক্রিয়া, একদিনে করা সম্ভব নয়। এরমধ্যে অনেক কিছুই শুরু হয়ে গেছে। ভালো ভালো কাজ হচ্ছে।

দুই বীমা কোম্পানির লভ্যাংশ ঘোষণা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বীমা খাতের দুই কোম্পানি সমাপ্ত অর্থবছরে লভ্যাংশ ঘোষণা করছে। কোম্পানি দুটো হলো: স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্স ও মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্স।

স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্স : পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বীমা খাতের কোম্পানি স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড গত ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত বছরের জন্য কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদেরকে ১২.৫০ লভ্যাংশ দেবে। এর পুরোটাই নগদ লভ্যাংশ। আজ অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির বোর্ড সভায় ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ সমাপ্ত অর্থবছরের লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। আগের অর্থবছরে কোম্পানিটি ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল।

সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৭ পয়সা। আগের বছর একই সময় যার পরিমাণ ছিল ১ টাকা ৮৮ পয়সা।
সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ কার্যকরী প্রবাহ ২ টাকা ৮৭ পয়সা। আগের বছর একই সময় যার পরিমাণ ছিল ২ টাকা ৪৪ পয়সা। আলোচিত বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৯ টাকা ৯ পয়সা। আগের বছর একই সময় যার পরিমাণ ছিল ১৮ টাকা ২ পয়সা।

ঘোষিত ডিভিডেন্ড সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারীদের সম্মতিতে অনুমোদনের জন্য আগামী ৮ জুলাই বেলা ১১টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এ কোম্পানির ২১তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য কোম্পানিটির রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১৩ জুন।

মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্স: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বীমা খাতের কোম্পানি মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড গত ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৯ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত বছরের জন্য কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদেরকে ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দেবে। এর পুরোটাই নগদ লভ্যাংশ। রোববার (২৩ মে) অনুষ্ঠিত কোম্পানির পরিচালনা পষর্দের বৈঠকে আলোচিত বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর লভ্যাংশ সংক্রান্ত এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

সর্বশেষ বছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (EPS) হয়েছে ১ টাকা ৬৮ পয়সা। আলোচিত বছরে কোম্পানির শেয়ার প্রতি নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো (এনওসিএফপিএস) ছিল ১ টাকা ৮ পয়সা। গত ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ১৯ টাকা ৫ পয়সা। কোম্পানিটির পরবর্তী বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আগামী ৩০ জুন , বুধবার সকাল ১১টায় ডিজিটাল প্লাটফর্মের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ১৬ জুন।

ব্লক মার্কেটে ৫ কোম্পানির লেনদেনের চমক: পুঁজিবাজারে সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ব্লক মার্কেটে ৪৪টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব কোম্পানির ১৪৪ কোটি ৭৬ লাখ ৮৩ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে কোম্পানিগুলোর ২ কোটি ২১ লাখ ৬৫ হাজার ৬৪৪টি শেয়ার ৭৮ বার হাত বদল হয়েছে। এর মাধ্যমে কোম্পানিগুলোর ১৪৪ কোটি ৭৬ লাখ ৮৩ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে।

কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৬৮ কোটি ৯০ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে রেনাটার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২২ কোটি ৬৫ লাখ টাকার সামিট পাওয়ারের, তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৩ কোটি ১০ লাখ টাকার লিন্ডে বিডির, আইডিএলসি’র ৯ কোটি ১৫ লাখ টাকার এবং বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলসের ৭ কোটি ১৩ লাখ ৮০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

এছাড়া ফার্স্ট জনতা মিউচুয়াল ফান্ডের ৬ কোটি ৭৫ লাখ ৯৩ হাজার টাকার, আনআরবিসি ব্যাংকের ৩ কোটি ৮০ লাখ ৩৩ হাজার টাকার, প্রভাতী ইন্সুরেন্সের ৩ কোটি ৬৮ লাখ টাকার, আরডি ফুডের ১ কোটি ১৬ লাখ টাকার, জেনিক্স ইনফোসিসের ১ কোটি ১১ লাখ ৮০ হাজার টাকার, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো’র ৯৮ লাখ ২৮ হাজার টাকার, বীকন ফার্মার ৮০ লাখ ৪০ হাজার টাকার, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্সুরেন্সের ৫৩ লাখ ৪৩ হাজার টাকার, প্রাইম ব্যাংকের ৫০ লাখ ২০ হাজার টাকার, প্রগতি ইন্সুরেন্সের ৩৮ লাখ ৩৪ হাজার টাকার,

খুলনা পাওয়ারের ৩৩ লাখ ৭৬ হাজার টাকার, রবি আজিয়াটার ৩১ লাখ ৬৪ হাজার টাকার, ঢাকা ব্যাংকের ৩১ লাখ ৬০ হাজার টাকার, ঢাকা ডায়িংয়ের ৩১ লাখ ৫৫ হাজার টাকার, ন্যাশনাল পলিমার ২৮ লাখ ৩ হাজার টাকার, বিএসআরএম লিমিটেড ২০ লাখ টাকার, ঢাকা ইন্সুরেন্সের ১৮ লাখ ৮৪ হাজার টাকার, রূপালী লাইফের ১৭ লাখ ৯৭ হাজার টাকার, লংকাবাংলা ফাইনান্স ১৬ লাখ টাকার,

ব্র্যাক ব্যাংকের ১৫ লাখ ৮৩ হাজার টাকার, কর্ণফুলি ইন্সুরেন্সের ১৪ লাখ ৯৬ হাজার টাকার, স্টানডার্ড ইন্সুরেন্সের ১৪ লাখ টাকার, লুবরেফের ১৩ লাখ ৯২ হাজার টাকার, প্রগতি লাইফের ১২ লাখ ৩৭ হাজার টাকার, ন্যাশনাল ফিড মিলের ১১ লাখ ৯৩ হাজার টাকার, লিগ্যাসি ফুটের ১০ লাখ ৬৮ হাজার টাকার, সিভিও পেট্রোক্যামিক্যাল ১০ লাখ ৩৫ হাজার টাকার, ডিবিএইচের ১০ লাখ ১১ হাজার টাকার,

আমান কটনের ৯ লাখ ৭৩ হাজার টাকার, প্যারামাউন্ট ইন্সুরেন্সের ৮ লাখ ২০ হাজার টাকার, মার্কেন্টাইল ইন্সুরেন্সের ৬ লাখ ৩ হাজার টাকার, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজের ৬ লাখ টাকার, কাট্টালি টেক্সটাইলের ৫ লাখ ৯৬ হাজার টাকার, ই-জেনারেশনের ৫ লাখ ৬৬ হাজার টাকার, সান লাইফ ইন্সুরেন্সের ৫ লাখ ১৩ হাজার টাকার, বিডি থাইয়ের ৫ লাখ ৪ হাজার টাকার, প্রগ্রেসিফ লাইলের ৫ লাখ ৩ হাজার টাকার, সমতা লেদার ৫ লাখ ১ হাজার টাকার, নর্দার্ন জুটের ৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

৭ কোম্পানির বোর্ড সভার তারিখ ঘোষণা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৭ কোম্পানি বোর্ড সভার তারিখ জানিয়েছে। কোম্পানিগুলো হলো: খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড, ডেল্টা স্পিনার্স, জেনেক্স ইনফোসিস, যমুনা অয়েল, ন্যাশনাল ফিড মিল, ইয়াকিন পলিমা এবং আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

কোম্পানি খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড : আগামী ২৫ মে বিকাল ৩টায় এ কোম্পানির বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় এ কোম্পানির (জানুয়ারি’২১-মার্চ’২১) পর্যন্ত তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে তা প্রকাশ করা হবে।

ডেল্টা স্পিনার্সে: আগামী ২৭ মে বিকাল সাড়ে ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে এ কোম্পানির বোর্ড সভা। সভায় এ কোম্পানির (জানুয়ারি’২১-মার্চ’২১) পর্যন্ত তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে তা প্রকাশ করা হবে।

জেনেক্স ইনফোসিস : আগামী ২৫ মে বিকাল ৪টায় এ কোম্পানির বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় এ কোম্পানির (জানুয়ারি’২১-মার্চ’২১) পর্যন্ত তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে তা প্রকাশ করা হবে।

যমুনা অয়েল : আগামী ২৫ মে বিকাল ৩টায় এ কোম্পানির বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় এ কোম্পানির (জানুয়ারি’২১-মার্চ’২১) পর্যন্ত তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে তা প্রকাশ করা হবে।

ন্যাশনাল ফিড মিল : এ কোম্পানির বোর্ড সভা আগামী ২৭ মে বিকাল সাড়ে ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় এ কোম্পানির (জানুয়ারি’২১-মার্চ’২১) পর্যন্ত তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে তা প্রকাশ করা হবে।

ইয়াকিন পলিমার : এ কোম্পানির বোর্ড সভা আগামী ২৫ মে বিকাল ৪টায় এ অনুষ্ঠিত হবে। সভায় এ কোম্পানির (জানুয়ারি’২১-মার্চ’২১) পর্যন্ত তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে তা প্রকাশ করা হবে।

আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক : এ কোম্পানির বোর্ড সভা আগামী ৩০ মে দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে। সভায় এ কোম্পানির (জানুয়ারি’২১-মার্চ’২১) পর্যন্ত প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে তা প্রকাশ করা হবে।

পুঁজিবাজারে লেনদেন সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ২টা: আগামীকাল সোমবার (২৪ মে) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত পুঁজিবাজারের লেনদেন চলবে। ব্যাংকের লেনদেন সময় বৃদ্ধি করার প্রেক্ষিতে পুঁজিবাজারের লেনদেন সময়ও বৃদ্ধি করা হয়েছে। বর্তমানে সকাল ১০টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত পুঁজিবাজারের লেনদেন চলছিল।

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসির) কমিশনার অধ্যাপক শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ রোববার (২৩ মে) সংবাদ মাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে চলমান লকডাউন বা বিধিনিষেধ আগামী ৩০ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এই সময়ে ব্যাংকগুলোর লেনদেন ও ব্যাংক খোলা রাখার সময় আগের চেয়ে আধা ঘণ্টা বাড়ানো হয়েছে। ব্যাংকের সঙ্গে সমন্বয় রেখে আগামীকাল থেকে পুঁজিবাজারের লেনদেনের সময় আধা ঘণ্টা বাড়ানো হয়েছে।

আগামী ৩০ মে পর্যন্ত বিধিনিষেধ বাড়িয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব রেজাউল ইসলাম স্বাক্ষতি প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বর্তমান করোনাভাইরাসজনিত পরিস্থিতি বিবেচনায় আগের সব বিধিনিষেধ ও কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় নতুন কিছু শর্তে ২৩ মে মধ্যরাত থেকে ৩০ মে মধ্যরাত পর্যন্ত বিধিনিষেধ বাড়ানো হলো।

ড্যাফোডিল কম্পিউটারস মুনাফায় ধবস: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ড্যাফোডিল কম্পিউটারস লিমিটেডের চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের নয় মাসে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) শেয়ারপ্রতি আয় নীট মুনাফা হয়েছে ৪৯ পয়সা। আগের বছর একই সময় ছিল ৯৬ পয়সা। নীট মুনাফা কমেছে ৪৮.৪১ শতাংশ।

আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, নয় মাসে কোম্পানিটির আয় হয়েছে ৩৬ কোটি ৭০ লাখ ৩৬ হাজার ৩৮৫ টাকা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৪১ কোটি ২৮ লাখ ৬৭ হাজার ৯৭৮ টাকা। সে হিসাবে কোম্পানটির আয় কমেছে ৪ কোটি ৫৮ লাখ ৩১ হাজার ৫৯৩ টাকা বা ১১.১০ শতাংশ।

আলোচ্য সময়ে কোম্পানটির কর পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ২ কোটি ৪৭ লাখ ১ হাজার ১১৫ টাকা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৪ কোটি ৭৮ লাখ ৮৪ হাজার ৫২৫ টাকা। সে হিসাবে কোম্পানিটির মুনাফা কমেছে ২ কোটি ৩১ লাখ ৮৩ হাজার ৪১০ টাকা বা ৪৮.৪১ শতাংশ।

অপরদিকে চলতি অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) কোম্পানিটির আয় হয়েছে ১২ কোটি ১৬ লাখ ৬৮ হাজার ৮৩৬ টাকা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ১২ কোটি ৩৩ লাখ ৮২ হাজার ৯৫ টাকা, সে হিসাবে কোম্পানিটির আয় কমেছে ১৭ লাখ ১৩ হাজার ২৫৯ টাকা বা ১.৩৮ শতাংশ।

আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির কর পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ৭৮ লাখ ২০ হাজার ১৩১ টাকা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৮১ লাখ ৭৮ হাজার ১৬৪ টাকা। সে হিসাবে কোম্পানটির মুনাফা কমেছে ৩ লাখ ৫৮ হাজার ৩৩ টাকা বা ৪.৩৭ শতাংশ।

আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১৬ পয়সা, যা আগের বছর একই সময়ও ছিল ১৬ পয়সা। ৩১ মার্চ ২০২১ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকা ৪৫ পয়সা।

ছয় কোম্পানির শেয়ারে বিক্রেতা উধাও: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ছয় কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট বিক্রি করার মতো কোনো বিনিয়োগকারী নেই। আজ লেনদেন চলাকালীন সময় কোম্পানিগুলোর শেয়ার বিক্রেতা শূন্য হয়ে পড়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্যজানা গেছে। কোম্পানিগুলোর হলো : আমান কটন, আমান ফিড, ঢাকা ডাইং, এনআরবিসি ব্যাংক, প্যারামাউন্ট ইন্সুরেন্স ও রিং শাইন টেক্সটাইল ।

আমান কটন: বৃহস্পতিবার আমান কটন শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ২৯.৪০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ২৯.৭০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩২.৩০ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ২.৯০ টাকা বা ৯.৮৬ শতাংশ বেড়েছে।

আমান ফিড: বৃহস্পতিবার আমান ফিডের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৩২ টাকায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ৩২.৬০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩৫.২০ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ৩.২০ টাকা বা ১০ শতাংশ বেড়েছে।

ঢাকা ডাইং: ঢাকা ডাইংয়ের শেয়ারের ক্লোজিং দর বৃহস্পতিবার ছিল ১৩ টাকায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ১৪.৩০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৪.৩০ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ১.৩০ টাকা বা ১০ শতাংশ বেড়েছে।

এনআরবিসি ব্যাংক : বৃহস্পতিবার এনআরবিসি ব্যাংকের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ২৮ টাকায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ২৯.৫০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩০.৮০ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ২.৮০ টাকা বা ১০ শতাংশ বেড়েছে।

প্যারামাউন্ট ইন্সুরেন্স : বৃহস্পতিবার প্যারামাউন্ট ইন্সুরেন্সের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৮১.১০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ৮০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৮৯.২০ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ৮.১০ টাকা বা ৯.৯৮ শতাংশ বেড়েছে।

রিং শাইন : বৃহস্পতিবার রিং শাইন টেক্সটাইলের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৭.১০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ৭.৮০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৭.৮০ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ০.৭০ টাকা বা ৯.৮৫ শতাংশ বেড়েছে।

ব্যাংকের লেনদেন সকাল ১০ টা থেকে ২.৩০ মিনিট পর্যন্ত: চলমান লকডাউন ৩০ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এ সময়ে ব্যাংক লেনদেনের সময় আধা ঘণ্টা বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ২৪ মে থেকে ৩০ মে পর্যন্ত ব্যাংকে লেনদেন চলবে সকাল ১০টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত। আর আনুষঙ্গিক কাজ শেষ করার জন্য ব্যাংক খোলা থাকবে ৪টা পর্যন্ত।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অফ সাইট সুপারভিশন বিভাগ রোববার এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করে সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীর কাছে পাঠিয়েছে। এর পাশাপাশি ১৩ এপ্রিল জারিকৃত সার্কুলারের সব বিষয় অপরিবর্তিত থাকবে।

গত ১৩ এপ্রিল জারিকৃত সার্কুলার অনুযায়ী, বিধি-নিষেধ চলাকালে ব্যাংকের স্থানীয় কার্যালয়সহ সব অনুমোদিত ডিলার (এডি) শাখা ও জেলা সদরে অবস্থিত ব্যাংকের প্রধান শাখা খোলা রাখতে হবে। এ ছাড়া সিটি করপোরেশন এলাকায় প্রতি দুই কিলোমিটারের মধ্যে একটি শাখা খোলা রাখতে হবে।

উপজেলা পর্যায়ে প্রতিটি ব্যাংকের একটি শাখা বৃহস্পতিবার, রোববার ও মঙ্গলবার খোলা রাখতে হবে। ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অফিসে আনা-নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

গ্রাহকের হিসাবে সব ধরনের জমা ও উত্তোলন, ডিমান্ড প্রাফট, পে-অর্ডার ইস্যু ও জমা গ্রহণ, ট্রেজারি চালান গ্রহণ, সরকারের প্রদত্ত ভাতা-অনুদান বিতরণ, বৈদেশিক রেমিট্যান্সের অর্থ পরিশোধ, গ্যাস, পানি, বিদ্যুৎ, টেলিফোন বিল গ্রহণসহ বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক চালু রাখা বিভিন্ন পেমেন্ট সিস্টেমের ক্লিয়ারিং ব্যবস্থার আওতাধীন অন্যান্য লেনদেন সুবিধা দেয়া নিশ্চিত করতে হবে।

সমুদ্র, স্থল, বিমানবন্দর এলাকায় অবস্থিত ব্যাংকের শাখা, উপশাখা, বুথগুলো সার্বক্ষণিক খোলা থাকবে। তবে স্থানীয় প্রশাসনসহ বন্দর, কাস্টমস কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্যবিধি পরিপালনে যথাযথ ভূমিকা নেবে।