দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা:  ঢাকা বাইপাস সড়ক নির্মাণে কোমর বেঁধে নামার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়নে এমনিতেই দেরি হয়েছে। তাই নির্দিষ্ট মেয়াদের মধ্যেই যাতে বাকি কাজ শেষ করা যায় সেজন্য প্রচেষ্টা নিতে হবে। মঙ্গলবার (২২ জুন) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির বৈঠকে ‘সাপোর্ট টু জয়দেবপুর-দেবগ্রাম-ভুলতা-মদনপুর সড়ক (ঢাকা বাইপাস) পিপিপি’ প্রকল্পের প্রথম সংশোধনী প্রস্তাব অনুমোদন দিতে গিয়ে তিনি এ নির্দেশ দেন। এই সংশোধনীর মাধ্যমে প্রকল্প ব্যয় ২৩৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৭৪ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। আর মেয়াদ বেড়েছে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত। বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, অন্য একটি প্রকল্প অনুমোদন দিতে গিয়ে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) বলেছেন, ‘লবণাক্ত এলাকায় শস্য চাষাবাদ, খাবার এবং যেকোনো ব্যবহারে লবণ পানি থেকে দূরে থাকতে হবে। টিউবওয়েল স্থাপন করে মাটির নিচ থেকে পানি না তুলে ভূ-উপরিস্থ পানি পরিষ্কার করে ব্যবহার করতে হবে।’ প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ঢাকার খুব কাছে গাজীপুর সিটি করপোরেশন। সেটা অগোছালো রয়েছে। এটাকে সুন্দর করতে হবে।’

এছাড়া উন্নতমানের আগর রেজিন সঞ্চয়ন প্রকল্প অনুমোদন দিতে গিয়ে আর বেশি গবেষণার নির্দেশ দিয়েছেন শেখ হাসিনা। সেই সঙ্গে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বেশি বেশি গবেষণার তাগিদ দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি তিনি বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থী ভর্তির একটি নির্দিষ্ট সীমা থাকতে হবে; যাতে ইচ্ছে অনুযায়ী শিক্ষার্থী ভর্তি করা না যায়।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘মোবাইল ফোন যেকোনো সময় যে কারও হারাতে পারে। লন্ডনে পর্যন্ত এরকম হয়। সিলেটের কিছু লোক যারা লন্ডনে থাকেন, তারা বলেন, স্যার লন্ডনে রানীর বাড়ির সামনে থেকে আমার ফোন টেনে নিয়ে গেছে। দেশে কয়েক কোটি মোবাইল ফোন জীবন্ত রয়েছে। এর মধ্যে কিছু নষ্ট হবে। কিছু হারাবে এটাই স্বাভাবিক। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আমার ফোনটিতে চার্জ করানোই হচ্ছে না। ডেড ফোন। মরদেহ খুঁজে পাওয়া কঠিন। এ বিষয়ে আমি দুঃখিত, কিন্তু শঙ্কিত নই। এটি একটি দুর্ঘটনা।’

সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে এম এ মান্নান বলেন, ‘পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আমার মত পার্থক্য বড় কোনো বিষয় নয়। আমরা প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে এক মন্ত্রিসভায় কাজ করছি। এটা জাতীয় কোনো বিষয় নয়। এলাকার কিছু টানাপোড়েন। কিছু সংসদ তার কাছে গেছে। তিনি আমাকে ফোন না করেই ডিও লেটার দিয়েছেন। এটা ঠিক হয়নি। আমি সারপ্রাইজড হয়েছি, কিন্তু শকড নই। আমাদের মধ্যে বড় কোনো মতভেদ নেই। ঠিক হয়ে যাবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাজ করেন সারা বিশ্ব নিয়ে। আমি কাজ করি গ্রাম নিয়ে। গ্রামে একটি টিউবওয়েল বসাতে পারলেই আমি খুঁশি। আকাশের তারা গোনা আমার কাজ নয়।’