দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সাত কোম্পানির বোর্ড সভার ও ট্রাস্টি সভার তারিখ জানিয়েছে। কোম্পানিগুলো সভায় অনীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করবে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের সভার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। কোম্পানিটির পর্ষদ সভা আগামী ১০ আগস্ট বিকাল সাড়ে ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, সভায় কোম্পানিটির ৩০ জুন ,২০২১ সমাপ্ত দ্বিতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। পর্ষদ আলোচিত প্রতিবেদন অনুমোদন করলে তা প্রকাশ করবে কোম্পানিটি। আগের প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় করেছিল ১ টাকা ০২ পয়সা।

তাকাফুল ইসলামী ইন্স্যুরেন্স: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি তাকাফুল ইসলামী ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের সভার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। কোম্পানিটির পর্ষদ সভা আগামী ১২ আগস্ট বিকাল ৪টায় অনুষ্ঠিত হবে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, সভায় কোম্পানিটির ৩০ জুন ,২০২১ সমাপ্ত দ্বিতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। পর্ষদ আলোচিত প্রতিবেদন অনুমোদন করলে তা প্রকাশ করবে কোম্পানিটি। আগের প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় করেছিল ৫৪ পয়সা।

বিজিআইসি: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের সভার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। কোম্পানিটির পর্ষদ সভা আগামী ৫ আগস্ট বিকাল ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, সভায় কোম্পানিটির ৩০ জুন ,২০২১ সমাপ্ত দ্বিতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। পর্ষদ আলোচিত প্রতিবেদন অনুমোদন করলে তা প্রকাশ করবে কোম্পানিটি। আগের প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় করেছিল ৬৯ পয়সা।

ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড: কোম্পানিটির বোর্ড সভা আগামী ১০ আগস্ট বিকাল ৩টা ৩০ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে। সভায় কোম্পানিটির ৩০ জুন, ২০২১ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ডিভিডেন্ড ঘোষণা করবে। ২০২০ সালে কোম্পানিটি ২০০ শতাংশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল।

নর্দার্ণ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড: কোম্পানিটির বোর্ড সভা আগামী ৭ আগস্ট দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে। সভায় কোম্পানিটির ৩০ জুন, ২০২১ সমাপ্ত দ্বিতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। আগের প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় করেছিল ৫৯ পয়সা।

এছাড়া, তালিকাভুক্ত ২ মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ট্রাস্টি সভার আগামী ৯ আগস্ট অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ফান্ডগুলোর ৩০ জুন, ২০২১ পর্যন্ত সমাপ্ত সময়ের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ইউনিটহোল্ডারদের জন্য ডিভিডেন্ড ঘোষণা করবে।

ফান্ডগুলোর মধ্যে এসইএমএল এফবিএসএল গ্রোথ ফান্ডের ট্রাস্টি সভা আগামী ৯ আগস্ট দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে। অন্যদিকে, এসইএমএল লেকচার ইক্যুয়িটি ম্যানেজমেন্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ট্রাস্টি সভা ৯ আগস্ট দুপুর ২টা ৩৫ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে।

পার্শ্ববর্তী দেশের তুলনায় আমাদের পুঁজিবাজার অবমূল্যায়িত: শেখ সামসুদ্দিন: বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শেখ সামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, পুঁজিবাজার একটি খুবই সংবেদনশীল জায়গা। এখানে অল্পতেই প্রভাব পড়ে। তাই সবাইকে অযৌক্তিক ও অপ্রয়োজনীয় মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকার আহবান করেছেন তিনি। কারন পার্শ্ববর্তী দেশের তুলনায় আমাদের পুঁজিবাজার অবমূল্যায়িত। এখনো অনেক শেয়ার বিনিয়োগযোগ্য রয়েছে।

সোমবার ক্যাপিটাল মার্কেট স্টাবিলাইজেশন ফান্ড নিয়ে আয়োজিত এক সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। যা আয়োজন করে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কর্তৃপক্ষ। এতে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত প্রায় সব কোম্পানির প্রতিনিধিরাসহ অন্যান্যরা অংশগ্রহণ করে।

সম্প্রতি গণমাধ্যমে দু-একজন শেয়ারবাজার নিয়ে বিরুপ মন্তব্য করেছেন। তাদের দাবি, শেয়ারবাজার অনেক বেড়ে গেছে। এখনই এই বাজারকে টেনে ধরা উচিত। অন্যথায় এরইমধ্যে অতিমূল্যায়িত হয়ে যাওয়া শেয়ার যদি আরও বাড়ে, তাহলে ধস নামতে পারে।

সভায় বিএসইসির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, বাজারকে অযৌক্তিকভাবে বিতর্কিত করে তোলা ঠিক না। অন্যরা যা বলে বলুক, কমিশন সব সময় বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে কাজ করছে। তাই যৌক্তিকভাবেই বিনিয়োগকারীরা বাজারের প্রতি আস্থা রাখছেন। কমিশনসহ সবাই বাজার ব্যবস্থা তৈরীর নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে। যা শেয়ারবাজারকে আরো উন্নত পর্যায়ে নিয়ে যাবে।

অনুষ্ঠানে ক্যাপিটাল মার্কেট স্টাবিলাইজেশন ফান্ড ব্যবহার নিয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএসইসির সহযোগি পরিচালক নজরুল ইসলাম। তিনি মূল প্রবন্ধে ফান্ডের উদ্দেশ্য, ব্যবহার, ফান্ড ব্যবহারে পর্ষদ গঠন প্রক্রিয়া, ফান্ড হস্তান্তরের প্রক্রিয়া, দাবি মেটানোর প্রক্রিয়া এবং স্টক এক্সচেঞ্জ, ডিপি ও সিডিবিএলের দায়িত্ব সর্ম্পক্যে তুলে ধরেন। এতে বিএসইসির নির্বাহি পরিচালক সাইফুর রহমান, ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারিক আমিন ভূইয়াসহ অন্যান্যরা অংশগ্রহন করেন।

বাংলাদেশে বিনিয়োগে রয়েছে উচ্চ হারে রিটার্নের নিশ্চয়তা: বিএসইসি চেয়ারম্যান: বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, বাংলাদেশে ব্যবসার সুন্দর পরিবেশ রয়েছে। তেমনি বাংলাদেশ বিনিয়োগকারীদের জন্য অপেক্ষা করছে। আসুন বাংলাদেশে বিনিয়োগ করুন। এখানে বিনিয়োগ করে উচ্চ হারে রিটার্নের নিশ্চয়তা রয়েছে বিনিয়োগকারীদের। বাংলাদেশের অর্থনীতি দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। শিক্ষিত, অর্ধশিক্ষিত শ্রমশক্তি আমাদের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধিকে এগিয়ে নিতে সহযোগিতা করছে।

সোমবার বিশ্বের তথ্য প্রযুক্তির রাজধানী খ্যাত ক্যালিফোর্নিয়ার সান ফ্রান্সিসকোর স্থানীয় সময় বিকাল সাড়ে ৫টায় (বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার, ৩ আগস্ট সকাল সাড়ে ৬টা) হায়াত রিজেন্সি সান্তা ক্লারা হোটেলের বলরুমে রোড শো’র উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় রোড শোতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি খাত বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।

অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা রয়েছে, গতিশীল অর্থনীতি, বিশেষ করে শেয়ারবাজার গতিশীল। তাছাড়া বাংলাদেশে দিন দিন রিজার্ভে রেকর্ড গড়ছে। যা দিয়ে ১০ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব হবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের আর্থিক খাতে শক্তিশালী গভর্নেন্স রয়েছে। বিশেষ করে শেয়ার মার্কেটে শক্তিশালী গভর্নেন্স পরিপালন করা হয়। শেয়ার মার্কেটের তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোকে নিয়মিত মনিটরিং করা হয়। তাদের পারফর্মেন্সের খোঁজখবর নিয়মিত রাখা হয়।

এর মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা হয়। বাংলাদেশে বিনিয়োগকারীদের বেশ সুরক্ষা দেওয়া হয়। নিটা অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে প্রবাসী ও বিদেশি বিনিয়োগকারীরা সহজে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে পারে। এই অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে কোনো ধরনের অনুমোদন ছাড়াই খুব সহজে প্রবাসী ও বিদেশি বিনিয়োগকারীরা তাদের বিনিয়োগের অর্থ ও লভ্যাংশ ফেরত আনতে পারে।

বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, বিডা বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সব ধরনের সহযোগিতা করে থাকেন। বেপজা বিনিয়োগকারীদের জন্য প্লট ও অন্যান্য বিষয়ে তদারকি করেন। সুতরাং বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য খুবই ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ বিরাজ করছে।

বাংলাদেশে বিনিয়োগ করে নিশ্চিত রিটার্ন পাওয়া সম্ভব উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুন্দর পরিবেশ রয়েছে। বিশেষ করে বাংলাদেশের শেয়ার মার্কেটে বিগত দিনে বেশ সংস্কার করা হয়েছে। ফলে দিন দিন শেয়ার মার্কেট নতুন উচ্চতার দিকে যাচ্ছে। সূচক, লেনদেন, বাজার মূলধনে নতুন রেকর্ড গড়ছে। ফলে বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করে উচ্চ হারে রিটার্নের নিশ্চয়তা রয়েছে।

তিনি বলেন, হংকং ভিত্তিক এশিয়ান ফন্ট্রিয়ার ক্যাপিটাল ফান্ডের মতে, বাংলাদেশের শেয়ারবাজার করোনাকালে ২০২০ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে এশিয়ার মধ্যে সেরা পারফর্ম করেছে। ঢাকার স্টক এক্সচেঞ্জে ডাবল ডিজিট প্রবৃদ্ধি হয়েছে। লেনদেন, সূচক এবং বাজার মূলধন বেড়ে দিন দিন রেকর্ড গড়ছে।

বিএসইসি চেয়ারম্যান আরও বলেন, বাংলাদেশের শেয়ার মার্কেট আধুনিকতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে স্মল ক্যাপ বোর্ড, অল্টারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট বোর্ড, ভেঞ্চার ক্যাপিটাল, স্টার্ট আপ কোম্পানির জন্য তহবিল সংগ্রহের সুযোগ রয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশের ই-কমার্স মার্কেট দিন দিন এগিয়ে যাচ্ছে। গ্লোবাল রেঙ্ক ৬ এ অবস্থান করছে বাংলাদেশের ই কমার্স মার্কেট।

রোড শোর শুরুতে সান্তা ক্লারার মেয়র লিসা এম. গিলমোর সালমান এফ রহমান ও অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামকে মেয়রাল সার্টিফিকেট প্রদান করেন (মেয়রের পক্ষ থেকে স্বীকৃতি সনদ)। তারা মেয়রকে নকশি কাঁথা উপহার দেন। পাশাপাশি মেয়র বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্রেস্ট দেন। ক্রেস্টটি প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে দিতে সালমান এফ রহমানের হাতে সেটি তুলে দেন তিনি।

সান ফ্রান্সিসকোর রোড শোতে আরও উপস্থিত ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার, বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম, বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষের (বেপজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. নজরুল ইসলামসহ সরকারি বেসরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা যোগ দিয়েছেন।

পুঁজিবাজারের গতিশীলতা রোধ করতে চায় তথাকথিত বুদ্ধিজিবীরা: বাংলাদেশের পুঁজিবাজার যখনই একটু গতিশীলতা পায় তখনি তথাকথিত বুদ্ধিজিবীরা বাজারেকে গতি রোধ করে তাদের স্বার্থ রক্ষা করতে চায়। এমন তথাকথিত বুদ্ধিজিবীরা মিডিয়াতে পুঁজিবাজার নিয়ে নেতিবাচক, বিনিয়োগকারীদের স্বার্থের পরিপন্থি ও উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন। এমন উস্কানিমূলক বক্তব্যে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদ।

মঙ্গলবার বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের এক জরুরী সভা সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়। সংগঠন থেকে জানানো হয়, দেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকা শক্তি পুঁজিবাজার। নতুন কমিশন দায়িত্ব নেয়ার পর বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহন ও সকল অংশীজনের সহযোগিতায় দীর্ঘ সময়ের মন্দাভাব কাটিয়ে পুঁজিবাজারে বর্তমানে সুবাতাস বইতে শুরু করেছে।

দেশী ও বিদেশী বিনিয়োগ পুঁজিবাজারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্থ বিনিয়োগকারীরা তাদের হারানো পুঁজি ফিরে পেতে শুরু করেছে। প্রধানমন্ত্রী পুঁজিবাজারের উন্নয়নের জন্য ৬টি দিক-নির্দেশনা দিয়েছেন। পুঁজিবাজারে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ইতোপূর্বে বিদেশে রোড শো অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বর্তমানে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের নেতৃত্বে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে আমেরিকার ৪টি শহরে রোড শো চলছে। বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে উপযুক্ত পরিবেশ থাকার কথা উল্লেখ করে রোড শো’তে বিদেশী বিনিয়োগকারীদেরকে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য আহবান জানিয়েছেন বিএসইসি-এর চেয়ারম্যান শিবলী রুবায় উল ইসলাম।

তখনই পলিসি রিসার্চ ইন্সটিটিউটের নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর- প্রথম আলো পত্রিকা, নিউজ২৪, আরটিভিসহ কিছু মিডিয়াতে পুঁজিবাজার নিয়ে নেতিবাচক, বিনিয়োগকারীদের স্বার্থের পরিপন্থি ও উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন। যেটা পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও গতিশীলতার অন্তরায়। বর্তমান বাজারকে তিনি অতি মূল্যায়িত বলে মন্তব্য করেছেন। অথচ আমাদের পুঁজিবাজারের এভারেজ পিই-১৫.০৫। ব্যাংক খাতের পিই-৭.০০। যেখানে প্রতিবেশী দেশ ইন্ডিয়াতে এভারেজ পিই-৩০ এর উপরে এবং থাইল্যান্ডে পিই-২৭ এর বেশি। পলিসি রিসার্চ ইন্সটিটিউটের নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুরের পুঁজিবাজার নিয়ে এমন মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছে সংগঠনটি।

উক্ত সভায় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সভাপতি মিজান উর রশিদ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক কাজী আবদুর রাজ্জাক, সহ-সভাপতি হুমায়ূন কবির, মোহাম্মদ ইসতিয়াক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মামুন হোসেন শামীম, আন্তর্জাতিক সম্পাদক আলাউদ্দিন সবুজ, কার্যকরী সদস্য ওমর শরীফ, ডাঃ মহসিনসহ অন্যান্যরা।

বিআইএফসিতে ১০ হাজার কোটি টাকার আর্থিক দুর্নীতি: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানিতে (বিআইএফসি) কয়েক হাজার কোটি টাকার আর্থিক দুর্নীতি হয়েছে বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুসন্ধানে উঠৈ এসেছে। প্রতিষ্ঠানটিতে ১০ হাজার কোটি টাকার বেশি ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনায ঘটেছে বলে অনুসন্ধানে তথ্য পাওয়া গেছে। প্রতিষ্ঠানটির তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মাহমুদ মালিকের আমলে এই অনিয়ম হয়েছে। আর্থিক অনিয়মের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মাহমুদ মালিককে ডেকেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের গঠিত তদন্ত কমিটি।

কমিটির প্রধান হচ্ছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর-৩ এ কে এম সাজেদুর রহমান খান। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন-কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক এ কে এম ফজলুর রহমান, দুই মহাব্যবস্থাপক কবির আহমেদ ও নুরুল আমিন। সদস্য সচিব করা হয়েছে উপমহাব্যবস্থাপক সারোয়ার হোসেনকে।

কমিটিকে বিআইএফসিসহ একাধিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সংঘটিত আর্থিক কেলেঙ্কারির ঘটনা তদন্ত করতে বলা হয়। তদন্ত কমিটি ইতোমধ্যে ১০ হাজার কোটি টাকার বেশি আর্থিক কেলেঙ্কারির ঘটনা চিহ্নিত করতে পেরেছে। এর আগে পিপলস লিজিংয়ের কয়েকটি বিষয় চিহ্নিত করে মামলাও হয়েছে। বাকি অভিযোগের বিষয়ে প্রমাণ সংগ্রহ চলছে। এরই মধ্যে বিআইএফসিতে সংঘটিত আর্থিক অনিয়মের অনেক ঘটনাই চিহ্নিত করেছে বলে সূত্র নিশ্চিত করেছে।

সূত্রে জানা গেছে, বিআইএফসি’র আর্থিক দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়ায় মাহমুদ মালিকের স্ত্রী ও বিএফআইসির সাবেক পরিচালক হাফসা আলমকেও ডেকেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের তদন্ত কমিটি। সুকুজা ভেঞ্চার ক্যাপিটালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবেও তৎকালীন সময়ে দায়িত্বে ছিলেন হাফসা আলম। তবে হাফসা আলম ইতোমধ্যে গোপনে দেশ থেকে বিদেশে চলে গেছেন বলে সূত্র জানায়।

মাহমুদ মালিক বিআইএফসিতে ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর ইডকল নামের রাষ্ট্রায়ত্ত আরেকটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে যোগ দেন। গত ৩১ জুলাই তার মেয়াদ শেষ হয়। এরপর বাংলাদেশ ব্যাংক তার মেয়াদ আর বৃদ্ধি করেনি।

এর আগে বিআইএফসি-তে সংঘটিত আর্থিক অনিয়মের বিষয়টি তদন্ত করতে নির্দেশনা দিয়েছে আদালত। এরপর গত ১৫ ফেব্রুয়ারি বিআইএফসির আর্থিক অনিয়মের ঘটনায় জড়িতদের দায়দায়িত্ব নির্ধারণে তদন্ত কমিটি গঠন করে বাংলাদেশ ব্যাংক। কমিটির নাম দেয়া হয় ‘ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি’।

জানা গেছে, তদন্তের জন্য এর আগেও মাহমুদ মালিক ও তার স্ত্রী হাফসা আলমকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি। সেই ধারাবাহিকতায় আজ ৩ আগস্ট ডাকা হয়েছে। কিন্তু স্ত্রী হাফসা আলম দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। সুকুজা ভেঞ্চার ক্যাপিটালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন হাফসা আলম। বিআইএফসির শেয়ারহোল্ডার হচ্ছে সুকুজা ভেঞ্চার ক্যাপিটাল। সুজার পক্ষে হাফসা আলম দীর্ঘদিন বিআইএফসির পর্ষদ সদস্য ছিলেন। এই সময়ে তিনি আর্থিক অনিয়মের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন।

জানা গেছে, বর্তমানে দেশে ৩৫টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে ১০টির আর্থিক অবস্থাই বেশ নাজুক। এর মধ্যে বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি (বিআইএফসি) অন্যতম। বিএফআইসি গত তিন বছর ধরে কোনো আর্থিক বিবরণী প্রকাশ করছে না। এর আগে প্রকাশ করা আর্থিক বিবরণীতে ২০১৭ সালে লোকসান গুনেছে ৭০ কোটি টাকা, ২০১৬ সালে ৬৮ কোটি টাকা ও ২০১৫ সালে ৬২ কোটি টাকা লোকসান দেয়। স

সর্বশেষ বিনিয়োগকারীদের ডিভিডেন্ড দিয়েছিল ২০১৩ সালে। ওই সময়ে বিনিয়োগকারীদের ৫ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড দিয়েছিল প্রতিষ্ঠানটি। এরপর থেকে আর কোনো ডিভিডেন্ড দেয়নি প্রতিষ্ঠানটি।

মঙ্গলবার ব্লক মার্কেটে ৪ কোম্পানির লেনদেনের চমক: পুঁজিবাজারে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ব্লক মার্কেটে ৫৩টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব কোম্পানির ৩০ কোটি ৭৭ লাখ ৬১ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। কোম্পানিগুলোর ৫৯ লাখ ১৭ হাজার ৭৮১টি শেয়ার ৮৬ বার হাত বদল হয়েছে। এর মাধ্যমে কোম্পানিগুলোর ৩০ কোটি ৭৭ লাখ ৬১ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে।

কোম্পানিগুলোর মধ্যে ৪ কোম্পানির বড় লেনদেন হয়েছে। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি শেয়ার লেনদেন হয়েছে সাউথইস্ট ব্যাংকের। কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৪ কোটি ৩৬ লক্ষ ৫ হাজার টাকার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ এইচআর টেক্সটাইলের ৩ কোটি ৩৬ লক্ষ ৬৩ হাজার টাকার, তৃতীয় সর্বোচ্চ রেনাটার ২ কোটি ৭৪ লক্ষ টাকার, চতুর্থ সর্বোচ্চ গ্রামীণফোনের ২ কোটি ২৭ লক্ষ ৭৩ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে।

এছাড়া, সোনালী পেপারের ১ কোটি ৯০ লক্ষ ৪০ হাজার টাকার, ফর্চুন সুজের ১ কোটি ৬৬ লক্ষ ৮৭ হাজার টাকার, জেনেক্স ইনফোসিসের ১ কোটি ৬৪ লক্ষ ৬৬ হাজার টাকার, স্কয়ার ফার্মার ১ কোটি ৫১ লক্ষ ৩৬ হাজার টাকার, সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্সের ১ কোটি ৭ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকার, বেক্সিমকোর লিমিটেডের ১ কোটি ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর ৮৫ লক্ষ ২১ হাজার টাকার,

ম্যারিকোর ৮৩ লক্ষ ২ হাজার টাকার, গ্রীন ডেল্টা ইন্সুরেন্সের ৬৭ লক্ষ ১৮ হাজার টাকার, কুইন সাউথের ৬০ লক্ষ ৮২ হাজার টাকার, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের ৪৬ লক্ষ ৫৯ হাজার টাকার, সিএপিএমবিডিবিএল মিউচুয়াল ফান্ডের ৩৮ লক্ষ ১৯ হাজার টাকার, আরামিট সিমেন্টের ৩৪ লক্ষ ৮৯ হাজার টাকার, ব্র্যাক ব্যাংকের ৩১ লক্ষ ৩২ হাজার টাকার, মালেক স্পিনিংয়ের ৩১ লক্ষ ১ হাজার টাকার,

পিপলস ইন্সুরেন্সের ২৭ লক্ষ ৮৪ হাজার টাকার, নিউ লাইনের ২৭ লক্ষ ৬০ হাজার টাকার, এমারেল্ড অয়েলের ২৬ লক্ষ ৬৩ হাজার টাকার, প্রিমিয়ার সিমেন্টের ২২ লক্ষ ৫ হাজার টাকার, পাওয়ার গ্রীডের ২০ লক্ষ ৩৬ হাজার টাকার, কপারটেকের ২০ লক্ষ ৩০ হাজার টাকার, লঙ্কাবাংলা ফাইন্যান্সের ১৯ লক্ষ ৭০ হাজার টাকার, ওয়াইমেক্সের ১৮ লক্ষ ৭০ হাজার টাকার, বেক্সিমকো ফার্মার ১৭ লক্ষ ৮৬ হাজার টাকার, জিবিবি পাওয়ারের ১৭ লক্ষ ২৬ হাজার টাকার, আরএকে সিরামিকের ১৬ লক্ষ ৮৮ হাজার টাকার, কনফিডেন্স সিমেন্টের ১৬ লক্ষ ৭৯ হাজার টাকার,

বার্জার পেইন্টসের ১৪ লক্ষ ১০ হাজার টাকার, সিলভা ফার্মার ১৪ লক্ষ ১০ হাজার টাকার, মীর আক্তারের ১৪ লক্ষ ৯৬ হাজার টাকার, এসইএমএলএফবিএসএল গ্রোথ ফান্ডের ১২ লক্ষ টাকার, ফাইন ফুডসের ১১ লক্ষ ২ হাজার টাকার, বিকনফার্মার ১১ লক্ষ টাকার, তৌফিকা ফুডের ১০ লক্ষ ৭১ হাজার টাকার, মুন্নু ফেব্রিক্সের ১০ লক্ষ ১৬ হাজার টাকার, কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্সের ১০ লক্ষ ১৪ হাজার টাকার, শাইনপুকুর সিরামিকের ৯ লক্ষ ৮৪ হাজার টাকার, পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্সের ৮ লক্ষ ৯৬ হাজার টাকার, আমান ফিডের ৭ লক্ষ ৪৮ হাজার টাকার,

পেপার প্রসেসিংয়ের ৬ লক্ষ ৯২ হাজার টাকার, রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্সের ৬ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার, ন্যাশনাল ফিড মিলের ৬ লক্ষ ৯ হাজার টাকার, ওরিয়ন ফার্মার ৫ লক্ষ ৯০ হাজার টাকার, স্ট্যান্ডার্ড ইন্সুরেন্সের ৫ লক্ষ ৪৭ হাজার , ডাচবাংলা ব্যাংকের ৫ লক্ষ ৪৬ হাজার টাকার, ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্সের ৫ লক্ষ ৪৬ হাজার টাকার, ডেলটা ব্রাক হাউজিংয়ের ৫ লক্ষ ৬ হাজার টাকার, এশিয়ান টাইগার গ্রোথ ফান্ডের ৫ লক্ষ ২ হাজার টাকার, এসএস স্টিলের ৫ লক্ষ টাকার লেনদেন হয়েছে।

পেনিনসুলা এএমসিএল বিডিবিএল লভ্যাংশ ঘোষণা: বে-মেয়াদি মিউচ্যুয়াল ফান্ড পেনিনসুলা এএমসিএল বিডিবিএল ফান্ডের ইউনিটহোল্ডারদের জন্য ট্রাস্টি সাড়ে ১৫ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এর পুরোটাই নগদ লভ্যাংশ।

মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) ফান্ডের ট্রাস্টি কমিটির সভায় ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২০-২০২১ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এ লভ্যাংশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। ৩০ জুন, ২০২১ তারিখে যাদের হাতে ফান্ডের ইউনিট ছিল, তারা এ লভ্যাংশ পাবেন। আলোচ্য সময়ে ফান্ডটির ইউনিটপ্রতি আয় (ইপিইউ) হয় ৪ টাকা ৮৩ পয়সা। সমাপ্ত সময়ে ফান্ডটি বাজার মূল্য অনুযায়ী এনএভি হয়েছে ১৩ টাকা ৭০ পয়সা।

হঠাৎ তিন ব্যাংকের লেনদেনের চমক: পুঁজিবাজারে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসসে হঠাৎ ব্যাংক খাতের শেয়ারে সুবাতাস বইতে শুরু করছে। আজ ব্যাংক খাতের ৯৭ শতাংশ বা ৩০টি ব্যাংকের শেয়ার দর বাড়ছে। কোন ব্যাংকের শেয়ার দর না কমলেও অপরিবর্তিত রয়েছে মাত্র একটি ব্যাংকের শেয়ার দর। দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সজচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, মঙ্গলবার ব্যাংক খাতের ৩১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শেয়ার দর বেড়েছে আইএফআইসি ব্যাংকের। আজে এই ব্যাংকের শেয়ার দর বেড়েছে ৮.১৫ শতাংশ বা ১.১০ টাকা। আজ ব্যাংকটির শেয়ার দর এক পর্যায়ে সার্কিট ব্রেকারের সর্বোচ্চ চুড়ায়ও লেনদেন হয়। এদিন ব্যাংকটি লেনদেন করেছে মোট ৮২ কোটি ৩৫ লাখ ১৯ হাজার টাকার শেয়ার। এতে করে ব্যাংকটি ডিএসইতে লেনদেনে শীর্ষ দশের মধ্যে উঠে আসে। আজ ব্যাংটির মোট শেয়ার লেনদেন হয়েছে পাঁচ কোটি ৬৯ লাখ ৭০ লাখ ৪৩১টি। সর্বশেষ ব্যাংকটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৪ টাকা ৬০ পয়সায়।

ব্যাংক খাতে শেয়ার দর বৃদ্ধিতে দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেড। আজ ব্যাংকটির শেয়ার দর বেড়েছে ৩.৬৮ শতাংশ বা ৫০ পয়সা। এদিন ব্যাংকটি মোট লেনদেন করেছে ১১ কোটি ৭৩ লাখ ৬৮ হাজার টাকার শেয়ার। লেনদেন হয়েছে ৮৩ লাখ ৯২ লাখ ৭৬৭টি শেয়ার। সর্বশেষ ব্যাংকটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৪ টাকা ১০ পয়সায়।

ব্যাংক খাতে শেয়ার দর বৃদ্ধিতে দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে এবি ব্যাংক লিমিটেড। আজ ব্যাংকটির শেয়ার দর বেড়েছে ৩.৬৫ শতাংশ বা ৫০ পয়সা। এদিন ব্যাংকটি মোট লেনদেন করেছে ১১ কোটি ৮৪ লাখ ৯০ হাজার টাকার শেয়ার। লেনদেন হয়েছে ৮৩ লাখ ১০ লাখ ৭৯৭টি শেয়ার। সর্বশেষ ব্যাংকটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৪ টাকা ২০ পয়সা।

এছাড়াও ব্যাংক খাতের আজ শেয়ার দর বেড়েছে সবগুলো প্রতিষ্ঠানের। শুধুমাত্র একটি ব্যাংকের শেয়ার দর অপরিবর্তিত রয়েছে। শেয়ার দর অপরিবর্তিত থাকা ব্যাংকটি হচ্ছে মিউচ্যুয়াল ট্রাষ্ট ব্যাংক লিমিটেড।

ডিএসই চার খাতের লেনদেনে ভাটারটান: পুঁজিবাজারে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে চাঙ্গাভাব বিরাজ থাকলেও চার খাতের লেনদেনে ছন্দপতন ঘটছে। এদিন চার খাতের অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার ও লেনদেনে ভাটার টান দেখা গেছে।

তবে সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস পুঁজিবাজারে সূচক ও বাজার মূলধনে রেকর্ড হয়েছিল। আজ সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে সেই রেকর্ডকে ছাপিয়ে নতুন মাত্রায় পৌঁছাল দেশের পুঁজিবাজার। আজ সূচক, শেয়ার দর ও লেনদেনে ছিল চাঙ্গাভাব। কিন্তু তারপরও চার খাতে লেনদেনে ভাটার টান দেখা দিয়েছে। খাত চারটি হলো-ওষুধ ও রসায়ন, প্রকৌশল, বস্ত্র এবং বিমা খাত।

ওষুধ ও রসায়ন : ওষুধ ও রসায়ন খাতে আজ লেনদেন হয়েছে ১০৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা। আগেরদিন লেনদেন হয়েছিল ১৪৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা। আজ লেনদেন কমেছে ৪১ কোটি ৭০ লাখ টাকা।

প্রকৌশল : প্রকৌশল খাতে আজ লেনদেন হয়েছে ১৩৬ কোটি ৯০ লাখ টাকা। আগেরদিন লেনদেন হয়েছিল ১৭৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা। আজ লেনদেন কমেছে ৩৮ কোটি ৭০ লাখ টাকা।

বস্ত্র : বস্ত্র খাতে আজ লেনদেন হয়েছে ১২১ কোটি টাকা। আগেরদিন লেনদেন হয়েছে ১৩৯ কোটি ২০ লাখ টাকা। আজ লেনদেন কমেছে ১৮ কোটি ২০ লাখ টাকা।

বিমা : বিমা খাতে আজ লেনদেন হয়েছে ৭৯ কোটি ৩০ লাখ টাকা। আগেরদিন লেনদেন হয়েছিল ৯৫ কোটি ২০ লাখ টাকা। আজ লেনদেন কমেছে ১৫ কোটি ৯০ লাখ টাকা।