দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: চলতি বছরের ৬ মাসে ৬ কোম্পানির ৬ হাজার ৫৫০ কোটি টাকার বন্ড অনুমোদন করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। কোম্পানিগুলো হলো: আইডিএলসি, ব্র্যাক, এক্সিম ব্যাংক, আইএফআইসি ব্যাংক, বেক্সিমকো এবং সাজেদা ফাউন্ডেশন। এর মধ্যে আইডিএলসি, ব্র্যাক বাংক, এক্সিম ব্যাংক ও আইএফআইসি ব্যাংক বন্ডের মাধ্যমে ৩ হাজার ৪৫০ কোটি টাকা উত্তোলন করবে। আর বেক্সিমকো সুকুক বন্ডের মাধ্যমে ৩ হাজার কোটি টাকা এবং সাজেদা ফাউন্ডেশন গ্রিন বন্ডের মাধ্যমে ১০০ কোটি টাকা উত্তোলন করবে। বিএসইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, বিএসইসির ৭৫৭তম সভায় আর্থিক খাতের কোম্পানি আইডিএলসি ফাইন্যান্সের ৫০০ কোটি টাকার বন্ড অনুমোদন করা হয়েছে। চার বছর মেয়াদী আনসিকিউরড, নন-কনভার্টেবল এবং জিরো কুপন বন্ড স্থানীয় আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি, বিভিন্ন ফান্ড এবং কর্পোরেটসসহ অন্যান্য যোগী বিনিয়োগকারীদের প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে ইস্যু করা হবে।

উল্লেখ্য, এই বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে অর্থ উত্তোলন করে আইডিএলসি ফাইন্যান্সের চলমান আর্থিক চাহিদা পূরণ করবে। এই বন্ডের প্রতি ইউনিটের অভিহিত মূল্য ৫০ লাখ টাকা। বন্ডটির ট্রাস্টি এবং ম্যানডেটেড লিড অ্যারেঞ্জার হিসেবি যথাক্রমে ইসি সিকিউরিটিজ লিমিটেড এবং আইডিএলসি ফাইন্যান্স কাজ করছে।

বিএসইসি ৭৬৬তম কমিশন সভায় এক্সিম ব্যাংক লিমিটেড মুদারাবা বা ইসলামী শরীয়াহসম্মত ৬০০ কোটি টাকার বন্ড ইস্যুর অনুমোদন করা হয়। এক্সিম ব্যাংকের বন্ডটি হবে আনসিকিউরড, কন্টিনজেন্ট-কনভার্টেবল, ফ্লোটিং রেট, পারপেচ্যুয়াল বন্ড। বন্ডের কুপন রেট হবে ৬ থেকে ১০ শতাংশের মধ্যে। এ বন্ডটি সরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠান, মিউচ্যুয়াল ফান্ড, ইস্যুরেন্স কোম্পানি, তালিকাভুক্ত ব্যাংক, সমবায় ব্যাংক, আঞ্চলিক রুরাল ব্যাংক, সংগঠন, ট্রাষ্ট, স্বায়ত্তশাসিত কর্পোরেশনসহ অন্যান্য যোগ্য বিনিয়োগকারীদেরকে প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে ইস্যু করা হবে।

উল্লেখ্য, এ বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে অর্থ উত্তোলন করে এক্সিম ব্যাংক লিমিটেড কোম্পানির এডিশনাল টায়ার-ও ক্যাপিটাল বেজ শক্তিশালী করবে। এ বন্ডের প্রতিটি ইউনিটের অভিহিত মূল্য ১০ লাখ টাকা। আলোচিত বন্ডের অ্যারেঞ্জার সিটি ব্যাংক ক্যাপিটাল রিসোর্সেস। ট্রাস্টির দায়িত্ব পালন করবে গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি। অপরদিকে, বিএসইসি ৭৭৫তম কমিশন সভায় এক্সিম ব্যাংক লিমিটেড মুদারাবা বা ইসলামী শরীয়াহসম্মত বন্ড ইস্যু করে ৫০০ কোটি টাকার বন্ড অনুমোদন করা হয়। এক্সিম ব্যাংকের বন্ডটি হবে আনসিকিউরড, নন-কনভার্টেবল, ফ্লোটিং রেট, মুদারাবা সাব-অর্ডিনেটেড বন্ড।

বন্ডের কুপন রেট ইসলামী ব্যাংকসমূহের স্থায়ী আমানত হিসাবের লভ্যাংশের ৬ মাসের গড় এর সাথে অতিরিক্ত মার্জিন ২ শতাংশ যোগ করে নির্ধারণ করা হবে। এই বন্ডটি সরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠান, মিউচুয়াল ফান্ড, ইসুরেন্স কোম্পানি, তালিকাভুক্ত ব্যাংক, সমবায় ব্যাংক, আঞ্চলিক রুরাল ব্যাংক, সংগঠন, ট্রাষ্ট, স্বায়ত্তশাসিত কর্পোরেশনসহ অন্যান্য যোগ্য বিনিয়োগকারীদেরকে প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে ইস্যু করা হবে।

উল্লেখ্য, এই বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে অর্থ উত্তোলন করে এক্সিম ব্যাংক লিমিটেড কোম্পানির এডিশনাল টায়ার-২ ক্যাপিটাল বেজ শক্তিশালী করবে। এই বন্ডের প্রতিটি ইউনিটের অভিহিত মূল্য ১০ লাখ টাকা। এই বন্ডের প্রতি ইউনিট/লটের অভিহিত মূল্য ১ কোটি টাকা। আলোচিত বন্ডের অ্যারেঞ্জার স্টান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক লিমিটেড। আর এর ট্রাস্টির দায়িত্ব পালন করবে সেনা কল্যাণ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড।

বিএসইসির ৭৮০তম সভায় ক্ত আইএফআইসি ব্যাংকের ৫০০ কোটি টাকার আনসিকিউরড, নন-কনভার্টেবল, ফ্লোটিং রেট এবং সাবঅর্ডিনেটেড বন্ড অনুমোদন করা হয়। সাবঅর্ডিনেটেড বন্ডটির কুপন হার সর্বনিম্ন ৭.৫০ শতাংশ, সর্বোচ্চ সিলিং ১০.৫০ শতাংশ। যা আর্থিক প্রতিষ্ঠান, মিউচ্যুয়াল ফান্ড, ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি, তালিকাভুক্ত ব্যাংক, সমবায় ব্যাংক, আঞ্চলিক রুরাল ব্যাংক, সংগঠন, ট্রাস্ট, স্বায়ত্তশাসিত কর্পোরেশনসহ অন্যান্য যোগ্য বিনিয়োগকারীদের অনুকুলে প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে ইস্যু করা হবে।

উল্লেখ্য, এই বন্ড ইস্যুার মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে অর্থ উত্তোলন করে আইএফআইসি ব্যাংক টায়ার-২ মূলধন ভিত্তি শক্তিশালী করবে। এই বন্ডের প্রতি ইউনিট/লটের অভিহিত মূল্য ১ কোটি টাকা। বন্ডের ট্রাস্টি সেনা কল্যাণ ইন্স্যুরেন্স এবং অ্যারেঞ্জার হিসেবে কাজ করছে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক। এদিকে, ক্ষুদ্রঋণ দানকারী প্রতিষ্ঠান ব্র্যাকের এক হাজার ৩৫০ কোটি টাকার বন্ড অনুমোদন করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এ বন্ডের মেয়াদ দেড় বছর থেকে পাঁচ বছর।

এটি আনসিকিউরড, নন-কনভার্টেবল, পূর্ণ অবসায়নযোগ্য ও জিরো কুপন বন্ড। এ বন্ড প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, উচ্চসম্পদশালী ব্যক্তিদের কাছে প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে ইস্যু করা হবে। এ বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে অর্থ উত্তোলন করে প্রতিষ্ঠানটি ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম বৃদ্ধি করবে ব্র্যাক। এই বন্ডের প্রতি ইউনিটের অভিহিত মূল্য এক কোটি টাকা। বন্ডটির ট্রাস্টি হিসেবে এমটিবি ক্যাপিটাল লিমিটেড এবং ম্যান্ডেড লিড অ্যারেঞ্জার হিসেবে রেস ক্যাপিটাল কাজ করছে। বন্ডটি অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে অন্তর্ভুক্ত করার শর্ত জুড়ে দেয়া হয়েছে।

বিএসইসির ৭৬৯তম সভায় সাজেদা ফাউন্ডেশনের ১০০ কোটি টাকার প্রথম গ্রীণ জিরো কুপন বন্ড অনুমোদন করা হয়েছে। দুই বছর মেয়াদি সাজেদা ফাউন্ডেশন আনসিকিউরড, নন-কনভার্টেবল, ফুল্লি রিডেম্বল বন্ড। বন্ডটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি, কর্পোরেট ও উচ্চ সম্পদশালী ব্যক্তিদেরকে প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে ইস্যু করা হবে।

উল্লেখ্য, এই বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে অর্থ উত্তোলন করে নতুন এবং চলমান প্রকল্পের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটির ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমকে বর্ধিত করণের পাশাপাশি পরিবেশের উন্নয়ন নিশ্চিত করবে। এই বন্ডের প্রতি ইউনিটের অভিহিত মূল্য দশ লাখ টাকা। বন্ডটির ট্রাস্টি এবং ম্যান্ডাটেড লিড অ্যারেঞ্জার হিসাবে যথাক্রমে সেনা কল্যাণ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড এবং স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক কাজ করছে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশে এই প্রথম কমিশন কর্তৃক গ্রীণ বন্ডের অনুমোদন করা হল।

অপরদিকে, বিএসইসির ৭৭৯ তম সভায় বেক্সিমকোর সুকুক বন্ডের অনুমোদন বেক্সিমকো লিমিটেডের ৩ হাজার কোটি টাকার ৫ বছর মেয়াদি প্রস্তাবিত গ্রীন সুকুক বা ইসলামী শরীয়াহসম্মত বন্ড এর প্রস্তাবে প্রাথমিক সম্পতি দিয়েছে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি। বেক্সিমকো লিমিটেডকে লেটার অফ ইনটেন্ট পাওয়ার ৫ কার্য দিবসের মধ্যে সুকুক এর প্রস্তাবিত ট্রাস্ট্রির নিবন্ধন সনদ এবং কমিশন কর্তৃক অনুমোদিত ট্রাস্ট ডিডসহ চূড়ান্ত সাবস্ক্রিপশন এগ্রিমেন্ট জমা দেয়া স্বাপেক্ষে সম্মতিপত্র ইস্যু করা হবে।

প্রস্তাবিত গ্রিন সুকুকটি ২২.৫০ বিলিয়ন প্রাইভেট প্লেসমেন্ট (৭.৫০ বিলিয়ন বিদ্যমান শেয়ার হোল্ডারদের নিকট হতে এবং ১৫ বিলিয়ন বিদ্যমান শেয়ার হোল্ডার ব্যতীত অন্যান্ন বিনিয়োগকারীদের নিকট হতে) সুকুক ইস্যুর মাধ্যমে অর্থ উত্তলন করে বেক্সিমকো লিমিটেডের টেক্সটাইল ইউনিটের কার্যক্রম বর্ধীতকরণ এবং বেক্সিমকো দুটি সরকার অনুমোদিত সাবসিডিয়ারি নবায়ন যোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্পের (তিস্তা সোলার লিমিটেড এবং করতোয়া সোলার লিমিটেড) বাস্তবায়নের পাশাপাশি পরিবেশ উন্নয়ন এবং সংরক্ষণ নিশ্চিত করবে।

এই সুকুকের প্রতি ইউনিটে অভিহিত্মূল্য ১০০ টাকা। সুকুকটির নূন্যতম সাবস্কিপশন ৫ হাজার টাকা, নূন্যতম লট ৫০টি। সুকুকটির সর্বনিন্ম প্রিয়ডিক ডিস্ট্রিবিউশন রেট ৯ শতাংশ। সুকুকটির ট্রাস্টি হিসেবে ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ এবং ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে যথাক্রমে সিটি ব্যংক ক্যাপিটাল রিসোর্সেস ও অগ্রণী ইক্যুইটি এন্ড ইনভেস্টমেন্ট কাজ করছে।

চার কোম্পানির শেয়ারের দাম ৩ মাসের মধ্যে দ্বিগুনের বেশি: পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত চার কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে তিন মাসের মধ্যে দ্বিগুণের বেশি। কোন কারণ ছাড়াই কোম্পানিগুলোর শেয়ার দর বেড়ে চলেছে। কারসাজি করে কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে পুঁজিবাজার থেকে ফায়দা লুটার অভিযোগও রয়েছে। এছাড়া বাজার বিশ্লেষকরা কারসাজির অভিযোগ তুলছেন।  পুঁজিবাজারে এ চার কোম্পানির শেয়ার যেন সোনার হরিন। কোম্পানির চারটির মধ্যে রয়েছে: আনোয়ার গ্যালভানাইজিং, ফুয়াও সিরামিকস, বিকন ফার্মাসিটিক্যালস এবং জেনেক্স ইনফোসিস লিমিটেড।

আনোয়ার গ্যালভানাইজিং লিমিটেড: তিন মাসে কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ২০০ টাকা বা ১৭৭ শতাংশ। তিন মাস আগে কোম্পানিটির শেয়ার দর ছিলো ১১২ টাকা ৭০ পয়সায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩১২ টাকা ৭০ পয়সায়। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির পর এটি কোম্পানিটির সর্বোচ্চ দর। দেড় বছর আগেও কোম্পানিটির শেয়ার দর ৫৮ টাকার নিচে লেনদেন হয়েছে।

২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় দেখিয়েছে ২ টাকা ১৩ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ছিল ১ টাকা ৪৩ পয়সা। কোম্পানিটির শেয়ার সর্বশেষ লেনদেন হয়েছে ৩১২ টাকা ৭০ পয়সায়। সেই হিসাবে এর বর্তমান পিই রেশিও ১১০.১১। কোম্পানিটির সর্বশেষ সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ১১ টাকা ৫২ পয়সায়। ২০২০ সালে কোম্পানিটি ১০ শতাংশ ক্যাশ ও ৫ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড দিয়েছে।

ফুয়াও সিরামিকস: গত তিন মাসে ফুয়াও সিরামিকসের শেয়ার দর বেড়েছে ১৭ টাকা ১০ পয়সা বা ১৯৩ শতাংশ। তিন মাস আগে কোম্পানিটির শেয়ার দর ছিলো ১০ টাকা। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৭ টাকা ১০ পয়সায়। এক বছর আগে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৮ টাকার নিচে। ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় দেখিয়েছে ২৮ পয়সা।

কোম্পানিটির শেয়ার সর্বশেষ লেনদেন হয়েছে ২৭ টাকা ১০ পয়সায়। সেই হিসাবে এর বর্তমান পিই রেশিও ৭২.৮৬। কোম্পানিটির সর্বশেষ সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ১১ টাকা ৫০ পয়সায়। ২০২০ সালে কোম্পানিটি ১.৪০শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে।

বিকন ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেড: গত এক মাসে কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ১০৫ টাকা ২০ পয়সা বা ৮৪ শতাংশ। এক মাস আগে কোম্পানিটির শেয়ার দর ছিলো ১২৫ টাকা ২০ পয়সা। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৩০ টাকা ৯০ পয়সা। তালিকাভুক্তির পর কোম্পানিটির শেয়ার দর বর্তমানে সর্বোচ্চ দরে লেনদেন হচ্ছে। দুই বছর আগেও কোম্পানিটির শেয়ার দর ২০ টাকার নিচে লেনদেন হয়েছে।

২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় দেখিয়েছে ৩ টাকা ২৭ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ছিল ৫৫ পয়সা। কোম্পানিটির শেয়ার সর্বশেষ লেনদেন হয়েছে ২৩০ টাকা ৯০ পয়সায়। সেই হিসাবে এর বর্তমান পিই রেশিও ৫২.৯৬। কোম্পানিটির সর্বশেষ সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ২২ টাকা ৭১ পয়সায়। ২০২০ সালে কোম্পানিটি ৫ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে।

জেনেক্স ইনফোসিস লিমিটেড: গত তিন মাসে কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ৪৫ টাকা ৮০ পয়সা বা ৮৪ শতাংশ। তিন মাস আগে কোম্পানিটির শেয়ার দর ছিলো ৫৪ টাকা ৭০ পয়সা। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১০০ টাকা ৫০ পয়সায়। পুঁজিবাজারে তালিকভুক্তির কোম্পানিটির শেয়ার দর বর্তমানে সর্বোচ্চ দরে লেনদেন হচ্ছে।

চলতি বছরের মে মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস ৫৪ টাকা ৭০ পয়সায় দিনের পর দিন ক্রেতাশুন্য থেকেছে। অথচ এখন কোম্পানিটির শেয়ারে দেখা দিয়েছে বড় ঝলক। ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় দেখিয়েছে ১ টাকা ১৬ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ছিল ১ টাকা ১১ পয়সা।

কোম্পানিটির শেয়ার সর্বশেষ লেনদেন হয়েছে ১০০ টাকা ৫০ পয়সায়। সেই হিসাবে এর বর্তমান পিই রেশিও ২৪.৬৩। কোম্পানিটির সর্বশেষ সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ১৮ টাকা ১৭ পয়সায়। ২০২০ সালে কোম্পানিটি ১০ শতাংশ ক্যাশ ও ১০ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড দিয়েছে।

ওষুধ এবং রসায়ন খাতের ১৯ কোম্পানিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ: পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত ওষুধ এবং রসায়ন খাতের ৩১টি কোম্পানির মধ্যে ১৯টি বা ৬১.২৯ শতাংশ কোম্পানিতে প্রতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ। কমেছে ৪টি বা ১৩ শতাংশ কোম্পানিতে। বাকী ১০টি বা ৩২ শতাংশ কোম্পানির এখন পর্যন্ত শেয়ার ধারণ তথ্য পরিবর্তন করা হয়নি। জুন মাসের সর্বশেষ তথ্য পর্যালোচনা করে এ তথ্য জানা গেছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে জানা যায়, ওষুধ ও রসায়ন খাতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাওয়া ২০ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেড়েছে ফার কেমিক্যালের শেয়ারে। জুন মাসে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেড়েছে৭.৬৭ শতাংশ। মে মাসে কোম্পানিটির প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিলো ১৪.৫৮ শতাংশ। যা জুন মাসে বেড়ে অবস্থান করছে ২২.২৫ শতাংশে। স্পন্সারদের কাছে প্রতিষ্ঠানটির মালিকানা রয়েছে ৩০.২৪ শতাংশ। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৪৭.৫১ শতাংশ। তথ্যটি সিএসইতে আপলোড করা হলেও ডিএসইতে এখনও আপলোড করা হয়নি।

প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বাড়ায় দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে এএফসি এগ্রো বায়োটেক লিমিটেড। জুন মাসে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেড়েছে ৬.৮৬ শতাংশ। মে মাসে কোম্পানিটির প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিলো ৩২.৮৯ শতাংশ। যা জুন মাসে বেড়ে অবস্থান করছে ৩৯.৭৫ শতাংশে। স্পন্সারদের কাছে প্রতিষ্ঠানটির মালিকানা রয়েছে ৩০.২৯ শতাংশ। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ২৯.৯৬ শতাংশ।

তৃতীয় স্থানে থাকা ইন্দোবাংলা ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেডের প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেড়েছে ৩.৮৯ শতাংশ। মে মাসে কোম্পানিটির প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিলো ৯. ৯৮ শতাংশ। তা জুন মাসে বেড়ে অবস্থান করছে ১২.৮৭ শতাংশে। এছাড়া স্পন্সারদের কাছে প্রতিষ্ঠানটির মালিকানা রয়েছে ৪৩.৮২ শতাংশ। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৪৩.১৯ শতাংশ।

সেন্ট্রাল ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেডের ৩.৪৮ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বৃদ্ধির চতুর্থ স্থানে অবস্থান করছে। মে মাসে কোম্পানিটির প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিলো ১৩.৪৮ শতাংশ। যা জুন মাসে বেড়ে অবস্থান করছে ১৬.৯৬ শতাংশে। এছাড়াও স্পন্সারদের কাছে প্রতিষ্ঠানটির মালিকানা রয়েছে ২৫.৮৯ শতাংশ। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৫৭.১৫ শতাংশ।

ত্যথটি সিএসইতে আপলোড করা হলেও ডিএসইতে এখনও আপলোড করা হয়নি। এছাড়াও, জেএমআই সিরিঞ্জ অ্যান্ড মেডিকেল ডিভাইস লিমিটেডের প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেড়েছে ১.৪৭ শতাংশ। মে মাসে কোম্পানিটির প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিলো ৪.০৪ শতাংশ। তা জুন মাসে বেড়ে অবস্থান করছে ৫.৫১ শতাংশে। এছাড়াও স্পন্সারদের কাছে প্রতিষ্ঠানটির মালিকানা রয়েছে ৭৯.৬৫ শতাংশ। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ১৪.৮৪ শতাংশ।

সালভো ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেডের প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেড়েছে ১.৩১ শতাংশ। মে মাসে কোম্পানিটির প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিলো ১৬.৪২ শতাংশ। তা জুন মাসে বেড়ে অবস্থান করছে ১৭.৭৩ শতাংশে। এছাড়াও স্পন্সারদের কাছে প্রতিষ্ঠানটির মালিকানা রয়েছে ৩৯.১১ শতাংশ। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৪৩.১৪ শতাংশ।

সিলকো ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেডের প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেড়েছে ১.৩১ শতাংশ। মার্চ মাসে কোম্পানিটির প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিলো ১৬.৭৩ শতাংশ। তা জুন মাসে বেড়ে অবস্থান করছে ১৬.৪২ শতাংশে। এছাড়াও স্পন্সারদের কাছে প্রতিষ্ঠানটির মালিকানা রয়েছে ৩৯.১১ শতাংশ। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৪৩.১৪ শতাংশ। ত্যথটি সিএসইতে আপলোড করা হলেও ডিএসইতে এখনও আপলোড করা হয়নি।

এসিআই ফরমুলেশন লিমিটেডের প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেড়েছে ০.৩০ শতাংশ। মে মাসে কোম্পানিটির প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিলো ২৮.৩৫ শতাংশ। তা জুন মাসে বেড়ে অবস্থান করছে ২৮.৬৫ শতাংশে। এছাড়াও স্পন্সারদের কাছে প্রতিষ্ঠানটির মালিকানা রয়েছে ৬৬.০২ শতাংশ। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৫.৩৩ শতাংশ।

একটিভ ফাইন কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেড়েছে ২.০৫ শতাংশ। মে মাসে কোম্পানিটির প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিলো ২৭.০৫ শতাংশ। তা জুন মাসে বেড়ে অবস্থান করছে ২৯. ১০ শতাংশে। এছাড়াও স্পন্সারদের কাছে প্রতিষ্ঠানটির মালিকানা রয়েছে ১২.০৪ শতাংশ। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৫৫.৭৫ শতাংশ।

বিকন ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেডের প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেড়েছে ০.৪৪ শতাংশ। মে মাসে কোম্পানিটির প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিলো ৩৪.৬৯ শতাংশ। তা জুন মাসে বেড়ে অবস্থান করছে ৩৫.১৩ শতাংশে। এছাড়াও স্পন্সারদের কাছে প্রতিষ্ঠানটির মালিকানা রয়েছে ৩০.০০৩ শতাংশ। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৩৪.৮৫ শতাংশ।

বেক্সিমকো ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেডের প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেড়েছে ০.৩২ শতাংশ। মে মাসে কোম্পানিটির প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিলো ১৯.৩১ শতাংশ। তা জুন মাসে বেড়ে অবস্থান করছে ১৯.৬৩ শতাংশে। এছাড়াও স্পন্সারদের কাছে প্রতিষ্ঠানটির মালিকানা রয়েছে ৩০.১৮ শতাংশ। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ১৯.৬৪ শতাংশ। বিদেশী বিনিয়োগ রয়েছে ৩০.৫৫ শতাংশ।

গ্লোবাল হেব্বি কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেড়েছে ০.৪৩ শতাংশ। মে মাসে কোম্পানিটির প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিলো ১৯.৮৯ শতাংশ। তা জুন মাসে বেড়ে অবস্থান করছে ২০.৩২ শতাংশে। এছাড়াও স্পন্সারদের কাছে প্রতিষ্ঠানটির মালিকানা রয়েছে ৬৯. ০৩ শতাংশ। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ১০.৬৫ শতাংশ।

ইবনে সিনা ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেডের প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেড়েছে ০.১৭ শতাংশ। মে মাসে কোম্পানিটির প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিলো ২৩.৯৩ শতাংশ। তা জুন মাসে বেড়ে অবস্থান করছে ২৪.১০ শতাংশে। এছাড়াও স্পন্সারদের কাছে প্রতিষ্ঠানটির মালিকানা রয়েছে ৪৪.৫১ শতাংশ। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৩১.৩৯ শতাংশ।

কহিনুর কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেড়েছে ০.৩৩ শতাংশ। মে মাসে কোম্পানিটির প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিলো ১৪.৬১ শতাংশ। তা জুন মাসে বেড়ে অবস্থান করছে ১৪.৯৪ শতাংশে। এছাড়াও স্পন্সারদের কাছে প্রতিষ্ঠানটির মালিকানা রয়েছে ৫০.৫৭ শতাংশ। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৩৪.৪৫ শতাংশ।

লিবরা ইনফিউসিস লিমিটেডের প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেড়েছে ০.৫০ শতাংশ। মে মাসে কোম্পানিটির প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিলো ৫.৫৫ শতাংশ। তা জুন মাসে বেড়ে অবস্থান করছে ৬.০৫ শতাংশে। এছাড়াও স্পন্সারদের কাছে প্রতিষ্ঠানটির মালিকানা রয়েছে ৩৪.৪৩ শতাংশ। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৫৯.৫২ শতাংশ।

ওরিয়ন ইনফিউশন লিমিটেডের প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেড়েছে ০.২৭ শতাংশ। মে মাসে কোম্পানিটির প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিলো ৭.৬১ শতাংশ। তা জুন মাসে বেড়ে অবস্থান করছে ৭.৮৮ শতাংশে। এছাড়াও স্পন্সারদের কাছে প্রতিষ্ঠানটির মালিকানা রয়েছে ৪০.৬১ শতাংশ। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৫১.২৫ শতাংশ।

সিলভা ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেডের প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেড়েছে ০.২০ শতাংশ। মার্চ মাসে কোম্পানিটির প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিলো ১৭.৬৬ শতাংশ। তা জুন মাসে বেড়ে অবস্থান করছে ১৭.৮৬ শতাংশে। এছাড়াও স্পন্সারদের কাছে প্রতিষ্ঠানটির মালিকানা রয়েছে ৫২.৩৯ শতাংশ। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ২৯.৭৪ শতাংশ। ত্যথটি সিএসইতে আপলোড করা হলেও ডিএসইতে এখনও আপলোড করা হয়নি।

রেকিট বেনকিজার বাংলাদেশ লিমিটেডের প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেড়েছে ০.৩৭ শতাংশ। মার্চ মে কোম্পানিটির প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিলো ৪.০৭ শতাংশ। তা জুন মাসে বেড়ে অবস্থান করছে ৪.৪৪ শতাংশে। এছাড়াও স্পন্সারদের কাছে প্রতিষ্ঠানটির মালিকানা রয়েছে ৮২.৯৬ শতাংশ। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৫.৭৪ শতাংশ। কোম্পানিটির ত্যথ ওয়েভ সাইটে পরিবর্তন করা হলেও ডিএসইতে এখনও পরিবর্তন করা হয়নি।

স্কয়ার ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেডের প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেড়েছে ০.০৭ শতাংশ। মার্চ মাসে কোম্পানিটির প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিলো ১৩.৩৮ শতাংশ। তা জুন মাসে বেড়ে অবস্থান করছে ১৩.৪৫ শতাংশে। এছাড়াও স্পন্সারদের কাছে প্রতিষ্ঠানটির মালিকানা রয়েছে ৩৪.৫৭ শতাংশ। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৩৬.৭১ শতাংশ। কোম্পানিটির ত্যথ ওয়েভ সাইটে পরিবর্তন করা হলেও ডিএসইতে এখনও পরিবর্তন করা হয়নি।
কমেছে তিন কোম্পানিতে: তিন কোম্পানির মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ কমেছে অ্যাডভেন্ট ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেডে।

কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ কমেছে ৩.১৭ শতাংশ। মার্চ মাসে কোম্পানিটির প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিলো ২২.০৩ শতাংশ। যা জুন মাসে কমে অবস্থান করছে ১৮.৮৬ শতাংশে। স্পন্সারদের কাছে প্রতিষ্ঠানটির মালিকানা রয়েছে ৩১.৪৪ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৪৯.৭০ শতাংশ।

প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ কমায় দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে ওরিয়ন ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেড। কোম্পানিটির প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ কমেছে ১.৯৩ শতাংশ। মার্চ মাসে কোম্পানিটির প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিলো ৩৯.৮০ শতাংশ। তা জুন মাসে কমে অবস্থান করছে ৩৭.৮৭ শতাংশে। এছাড়াও স্পন্সারদের কাছে প্রতিষ্ঠানটির মালিকানা রয়েছে ৩১.৯৮ শতাংশ। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ২৮.৯৪ শতাংশ। কোম্পানিটির তথ্য সিএসইর সাইটে পরিবর্তন করা হলেও ডিএসইতে এখনও পরিবর্তন করা হয়নি।

এছাড়াও রেনাটা লিমিটেডের প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ কমেছে ০.০১ শতাংশ। মার্চ মাসে কোম্পানিটির প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিলো ১৯.৫৪ শতাংশ। তা জুন মাসে কমে অবস্থান করছে ১৯.৫৩ শতাংশে। স্পন্সারদের কাছে প্রতিষ্ঠানটির মালিকানা রয়েছে ৫১.৫৮ শতাংশ। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৬.৫৫ শতাংশ।

অপরিবর্তিত দুই কোম্পানিতে: ওয়াটা কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজের মে মাসে স্পন্সারদের কাছে শেয়ার ছিল ৩৬.৪১ শতাংশ। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৩৮ শতাংশ, সাধারণ বিনিয়োগকারীদের রয়েছে ২৫.৫৯ শতাংশ শেয়ার। জুন মাসেও কোম্পানিটির শেয়ার ধারণ অপরিবর্তিত রয়েছে।

অন্যদিকে, অবসায়নের প্রক্রিয়ায় থাকা বেক্সিমকো সিনথেটিক্স লিমিটেডে মে মাসে স্পন্সারদের কাছে ছিল ৩৫.৬৭ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২৪.০৯ শতাংশ, সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৪০.২২ শতাংশ শেয়ার এবং বিদেশীদের কাছে ০.০২ শতাংশ শেয়ার। জুন মাসেও কোম্পানিটির শেয়ার ধারণ অপরিবর্তিত রয়েছে।

তথ্য পরিবর্তন নেই ৫টিতে: ওষুধ এবং রসায়ন খাতের পাঁচটি বা ১৬.১২ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের তথ্য এখনো পরিবর্তন করা হয়নি। তথ্য পরিবর্তন না করা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে: দ্যা একমি ল্যাবরেটরীজ লিমিটেড, এমবি ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেড, ম্যারিকো বাংলাদেশ লিমিটেড, ইমাম বাটম লিমিটেডে এবং ফার্মা এইড লিমিটেড।

বিবিধ খাতের পাঁচ কোম্পানি বিনিয়োগ ঝুঁকিতে: পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত বিবিধ খাতের পাঁচ কোম্পানির লোকসান বেড়েই চলছে। এই পাঁচ কোম্পানির লোকসান বেড়েছে গত বছরের তুলনায় কয়েক গুণ। কোম্পানিগুলোর তৃতীয় প্রান্তিকের জুলাই’২০-মার্চ’২১) আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এ তথ্য পাওয়া গেছে। লোকসান বৃদ্ধি পাওয়া পাঁচ কোম্পানির মধ্যে রয়েছে জিকিউ বলপেন, খান ব্রাদার্স, মিরাকেল ইন্ডাস্ট্রিজ, সাভার রিফ্যাকটরিজ এবং উসমানিয়া গ্লাস শিট লিমিটেড। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জিকিউ বলপেন ইন্ডাস্ট্রিজ: কোম্পানিটির লোকসান বেড়েছে ৫ টাকা ৯৯ পয়সা। ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় দেখিয়েছে ৭ টাকা ৪৮ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ছিল ১ টাকা ৪৯ পয়সা। সে হিসেবে গত বছরের তুলোনায় কোম্পানিটির লোকসান বেড়েছে চার গুণের বেশি। কোম্পানিটির শেয়ার সর্বশেষ লেনদেন হয়েছে ১৩২ টাকা ৪০ পয়সায়। কোম্পানিটির সর্বশেষ সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ১২৮ টাকা ৪৭ পয়সায়।

খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ ইন্ডাস্ট্রিজ: কোম্পানিটির লোকসান বেড়েছে ৩ পয়সা। ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় দেখিয়েছে ১২ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ছিল ৯ পয়সা। সে হিসেবে গত বছরের তুলোনায় কোম্পানিটির লোকসান বেড়েছে ০.৩৩ গুণ। কোম্পানিটির শেয়ার সর্বশেষ লেনদেন হয়েছে ১৪ টাকা ৪০ পয়সায়। কোম্পানিটির সর্বশেষ সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ১২ টাকা ৩০ পয়সায়।

মিরাকেল ইন্ডাস্ট্রিজ: কোম্পানিটির লোকসান বেড়েছে ১ টাকা ৯৫ পয়সা। ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় দেখিয়েছে ৩ টাকা ১৬ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ছিল ১ টাকা ২১ পয়সা। সে হিসেবে গত বছরের তুলোনায় কোম্পানিটির লোকসান বেড়েছে দেড় গুণের বেশি। কোম্পানিটির শেয়ার সর্বশেষ লেনদেন হয়েছে ৩৬ টাকায়। কোম্পানিটির সর্বশেষ সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ৩১ টাকা ০১ পয়সায়।

উসমানিয়া গ্লাস শিট ফ্যাক্টোরী: কোম্পানিটির লোকসান বেড়েছে ৩ টাকা ৩৫ পয়সা। ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় দেখিয়েছে ৪ টাকা ৮৮ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ছিল ১ টাকা ৫৩ পয়সা।

সে হিসেবে গত বছরের তুলোনায় কোম্পানিটির লোকসান বেড়েছে দুই গুণের বেশি। কোম্পানিটির শেয়ার সর্বশেষ লেনদেন হয়েছে ৫২ টাকা ২০ পয়সায়। কোম্পানিটির সর্বশেষ সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ৮৭ টাকা ৫৫ পয়সায়।

‘যুক্তরাষ্ট্রের রোড শোর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সফল হয়েছে’: বিএসইসি চেয়ারম্যান: আমেরিকার নিউ ইয়র্ক, ওয়াশিংটন ডিসি, লস অ্যাঞ্জেলস ও সান ফ্রান্সিসকোতে সফল ভাবে রোড শো অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোড শোতে আমন্ত্রিত প্রবাসী ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সামনে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নতি, দেশের শেয়ারবাজারের সার্বিক পরিস্থিতি, বিনিয়োগবান্ধব সুযোগ-সুবিধা ও সম্ভাবনা, উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড এবং সরকারের গৃহীত ইতিবাচক পদক্ষেপ তুলে ধরা হয়েছে। এসব অগ্রগতির চিত্র দেখে অনুষ্ঠানের অতিথি এবং বিনিয়োগকারীরা রীতিমত মুগ্ধ।

যে উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য নিয়ে ‘রোড শো’ করা হয়েছে, তা পুরোপুরি সফল হয়েছে বলে মনে করেন বাংলাদেশ সিকিউরিজিট অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান (বিএসইসি) অধ্যাপক ড. শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। যুক্তরাষ্ট্রের চারটি বড় শহরে অনুষ্ঠিত ‘দি রাইজ অব বেঙ্গল টাইগার: পটেনশিয়ালস অব ট্রেড এবং ইনভেস্টমেন্ট ইন বাংলাদেশ’- শীর্ষক রোড শো’র সফলতা ও অর্জন সম্পর্কে আলাপকালে তিনি রাইজিংবিডির কাছে এ তথ্য জানিয়েছেন।

শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে রোড শো করার উদ্দেশ্যই হলো বাংলাদেশের সার্বিক অগ্রগতির চিত্র বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরা। এখানকার বিনিয়োগকারীরা জানিয়েছেন, তারা বাংলাদেশকে গ্লোবাল রাডারে দেখতে পাচ্ছিলেন না। বাংলাদেশ সম্পর্কে তারা যেসব তথ্য পাচ্ছেন, তা পুরোনো এবং নেতিবাচক তথ্য। তাই আমরা বাংলাদেশের আসল চিত্রটি তুলে ধরেছি।

আমরা চাচ্ছি যে, বিশ্বের সব দেশ জানুক বাংলাদেশ আসলেই কি করছে। কেমন উন্নতি করছে। অর্থনৈতিক সূচকের কোন জায়গায় এমন আমাদের স্থান। বাংলাদেশ কেন বিনিয়োগের জন্য উৎকৃষ্ট জায়গা। তারা এখন সাহায্য বা ঋণের জন্য আর আসে না। তারা বাংলাদেশে ট্রেড, বিজনেস ও রিলেশনশিপের জন্য আসে। এসব তথ্যই আমরা এ চার দিনের রোড শোতে তুলে ধরেছি।’

তিনি বলেন, ‘এবারের রোড শো’তে আমাদের দলে দেশের উচ্চ পর্যায়ের দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গ ছিলেন। তাদের মুখ থেকে বিভিন্ন আগ্রগতির কথা শুনে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত প্রবাসী ও বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশ সম্পর্কে উচ্চ ধারণা পেয়েছেন। আর আমাদের দেশ সামনে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হতে যাচ্ছে। তাই তার প্রাথমিক দায়িত্বগুলোও এ রোড শো’তে পালন করা হয়েছে। সার্বিক অগ্রগতির চিত্র দেখে মুগ্ধ হয়েছেন প্রবাসী ও আমেরিকান বিনিয়োগকারীরা।’

বিএসইসির চেয়ারম্যান বলেন, ‘বাংলাদেশে এখন কেন বিনিয়োগের উপযুক্ত সময়- তার প্রধান কারণগুলো রোড শো’তে বিভিন্ন তথ্য উপস্থাপন করে এবং প্রশ্নে জবাব দিয়ে বর্ণনা করা হয়েছে। বাংলাদেশের ডেমোক্রেটিভ ও ডেনসিটি সুবিধা, স্কিলড লেবার ফোর্স এবং মানুষের ক্রমবর্ধমান ক্রয়ক্ষমতার কারণে দেশে যে একটি বড় মার্কেট তৈরি হয়েছে তা আমরা জানিয়েছি এই রোড শো’তে। এছাড়া আমাদের জিওগ্রাফিক লোকেশন ও এনার্জি সলিউশন, ইনফ্রাসট্রাকচার ডেভেলপমেন্টের সচিত্র তথ্য প্রচার করা হয়েছে।

শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ‘রোড শো’তে আমন্ত্রিত বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ ও উদ্দীপনা দেখতে পেয়েছি। অনেকেই বিনিয়োগ করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আশা করি রোড শো’র মাধ্যমে পৃথিবীর বহিবিশ্বের সকলেই বাংলাদেশে বিনিয়োগে উৎসাহী হবেন। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ আরো সামনের দিকে এগিয়ে যাবে।’

বাংলাদেশে বিনিয়োগের উজ্জ্বল সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি: মাসরুর আরেফিন: আমেরিকার চারটি বড় শহরে নিউ ইয়র্ক, ওয়াশিংটন ডিসি, লস অ্যাঞ্জেলস ও সান ফ্রান্সিসকোর সিলিকন ভ্যালিতে সাফল্যের সঙ্গে ‘রোড শো’ সম্পন্ন হয়েছে। এসব শহরে বসবাসরত প্রবাসী ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানাতেই এ সম্মেলনের আয়োজন করেছিল শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

সপ্তাহব্যাপী চারদিনের এ আয়োজন সফল হওয়ায় বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগের পরিষ্কার ও উজ্জ্বল সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মাসরুর আরেফিন। সান ফ্রান্সিসকোর হায়াত রিজেন্সি হোটেলে চতুর্থ ও শেষ পর্বের রোড শো শেষে একটি অনলাইন পোর্টালের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাতে তিনি এ কথা বলেন।

রোড শো প্রসঙ্গে মাসরুর আরেফিন বলেন, ‘ যেসব ডিজিটাল ডেভেলপমেন্ট অগ্রযাত্রার সেক্টর রয়েছে, আমি কিন্তু এরকম কিছু শীর্ষ নির্বাহীর সঙ্গে কথা বলেছি। এছাড়া কিছু এনআরবি বাংলাদেশিদের সাথে পরিচয় হলো। তাছাড়া যেভাবে বিডার চেয়ারম্যান, বেপজার চেয়ারম্যান, সালমান এফ রহমান নিজে মানুষকে ডাকছেন, তাতে এদের ( বিনিয়োগকারীদের) তো আর বাংলাদেশে যেতে কোনো বাধা নেই, ওখানে গিয়ে ইপিজেডে একটা ছোট ইকোনমিক জোনে জায়গা নিয়ে ব্যবসা শুরু করতেই পারেন।

আমি কিন্তু এমন বিনিয়োগের পরিষ্কার সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি এই চার শহরে।’রোড শো তে বেশ কিছু কোম্পানি এসেছে পৃষ্ঠপোষক হিসেবে। তার  মধ্যে ইবিএল, ওয়ালটন এবং নগদ আছে। এই বিষয়টাকে আপনি কিভাবে দেখছেন? জানতে চাইলে মাসরুর আরেফিন বলেন, ‘এটি দেশের জন্য খুবই জরুরি এবং কর্তব্যের বিষয়। কারণ এরা সবাই বড় কোম্পানি। ইবিএল, নগদ ও ওয়ালটন সব বড় কোম্পানি।

বড় কোম্পানি তো শুধু প্রফিট করলে হবে না, দেশের জন্য তো কিছু করতে হবে। যেমন: আমি সিটি ব্যাংকের ম্যানিজিং ডিরেক্টর। সিটি ব্যাংক এর আগে তিনটি বিনিয়োগ সম্মেলন করেছে। সিঙ্গাপুরে দুটো এবং হংকংয়ে একটি। আসলে এগুলো কোম্পানির দায়িত্ববোধ। করপোরেট ও সামাজিক দায়িত্বের জায়গা থেকে দেশের জন্য এটি করা কর্তব্য।

আমি খুশি যে তিনটা বড় কোম্পানি আমেরিকারটা এই চার শহরে এই আয়োজনে সামিল হলো। সামনের আয়োজন সিটি ব্যাংক করতে চাচ্ছে। ইনশাআল্লাহ মালয়েশিয়া এবং অস্ট্রেলিয়াতে ও এ আয়োজন করা হবে। আমাদের সঙ্গে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কথা হচ্ছে এ বিষয়ে।’

সিটি ব্যাংকের পক্ষ থেকে এনআরবিদের উদ্দেশ্যে মাসরুর আরেফিন বলেন, ‘তাদের জন্য একটাই কথা- বাংলাদেশ থেকে আসা যারা এখানে সম্পদশালী বাংলাদেশি রয়েছেন, তারা এখন ব্যবসার জায়গা খুঁজছেন। তাদেরকে বলব, বাংলাদেশে বিজনেস স্থাপনের মতন সহজ বিষয় এখন আর কোথাও নেই। এখন কিন্তু ওয়ান স্টপ সলিউশনে চালু হলো, যেটা বিডা চালু করল। বাংলাদেশ বিনিয়োগের আর্কষণীয় জায়গা।

এখন প্রবাসীদের উচিত বাংলাদেশে আসা, এখানে বিনিয়োগ করা। এখানে শুধুমাত্র শ্রম সস্তা, সেটাই কথা না। এখানে অনেক কিছুই সুন্দর গোছানো। এখন সমস্ত কিছু কিন্তু এক জায়গায়। ভিসা থেকে নিয়ে গ্যাস, পানি, বিদ্যুৎ, ভ্যাট, এনবিআরের সবকিছু একই প্ল্যাটফর্মে পাবেন। আমরা ব্যাংক হিসেবে পাশে আছি।

তাই আপনারা বাংলাদেশে আসুন, বাংলাদেশে এই মুহূর্তে বিশ্বের ৪০তম বা ৪১তম অর্থনৈতিক সমৃদ্ধ দেশ। যে গতিতে বাংলাদেশে এগুচ্ছে, এই স্রোতের মধ্যে থাকতেই হবে। চীনের কিন্তু ওই দিন পার হয়ে গেছে। বাংলাদেশের এই সময়ে বা এই স্রোতে এই মোমেন্টে আপনারা সঙ্গী হবেন, আমরা সেটাই আশা করি।’

আমেরিকায় এই রোড শো’র সাফল্যের বিষয়ে জানতে চাইলে সান ফ্রান্সিসকোতে কর্মরত সাংবাদিক আল মামুন লস্কর বলেন, ‘এটি নিঃসন্দেহে একটি বড় বিষয়। কারণ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের বিনিয়োগের জন্য এই কর্মশালা বিরাট কর্মযজ্ঞ, যা সত্যিই প্রশংসনীয়। প্রবাসী বাংলাদেশিসহ এমনকি মার্কিনি বিদেশিরাও কল্পনা করতে পারেনি যে, এতো বড় একটি সম্মেলন করা সম্ভব। যুক্তরাষ্ট্রের বড় চারটি শহরে এই ‘রোড শো’ নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের জন্য বড় প্রাপ্তি এবং আশার আলো। এর মাধ্যমে ব্যাপক হারে বিদেশি বিনিয়োগ বাংলাদেশে আকৃষ্ট হতে পারে।’

দেশের বাইরে এমন একটি আয়োজনকে সফল করতে দেশীয় কোম্পানি ওয়ালটনের পৃষ্ঠপোষকতা প্রসঙ্গে আল মামুন লস্কর বলেন, ‘এটি নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার। কারণ, ওয়ালটন এখন শুধুমাত্র বাংলাদেশেরই নয়, এটি এখন সারা বিশ্বে পরিচিত। এই প্রতিষ্ঠানের টেকনোলজি সুনাম বিশ্বব্যাপী ছড়িয়েছে। দেশের অর্থনীতিকে সুসংহত ও শক্তিশালী করতে ওয়ালটনের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’

জুলাইয়ে পুঁজিবাজারে ফিরেছে ২০ হাজার কোটি টাকা: নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নানা উদ্যোগে দেশের পুঁজিবাজারে সূচকের একের পর এক রেকর্ড গড়েছে। একই সাথে বাজার মূলধনেও নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। বিএসইসির নানা উদ্যোগের ফসল স্বরূপ বিদায়ী মাস অর্থাৎ জুলাইয়ে বিনিয়োগকারীরা ২০ হাজার কোটি টাকা মূলধন ফিরে পেয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

মূত্র মতে, জুন মাসের শেষ কার্যদিবস ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৫ লাখ ১৪ হাজার ২৮২ কোটি ১৩ লাখ ৪ হাজার টাকায়। আর জুলাই মাসের শেষ কার্যদিবস বাজার মূলধন দাঁড়ায় ৫ লাখ ৩৪ হাজার ৪০৪ কোটি ৮০ লাখ ২৮ হাজার টাকায়। অর্থাৎ মাসের ব্যবধানে ডিএসইতে বাজার মূলধন ২০ হাজার ১২২ কোটি ৬৭ লাখ ২৪ হাজার টাকা বা ৩.২১ শতাংশ ফিরে পেয়েছে বিনিয়োগকারীরা। তবে আগস্ট মাসের ৩ তারিখ ডিএসইর বাজার মূলধন ইতিহাস সৃষ্টি করে ৫ লাখ ৪১ হাজার ৫৬২ কোটি ২৫ লাখ ৩১ হাজার টাকায় দাঁড়িয়েছে।

এদিকে জুলাই মাসে ডিএসইর সব সূচক বেড়েছে। প্রধান সূচক ডিএসইএক্স জুলাই মাসে ২৭৪.৭৭ পয়েন্ট বা ৪.৪৭ শতাংশ বেড়ে ছয় হাজার ৪২৫.২৫ পয়েন্ট দাঁড়ায়। জুন মাসের শেষ কার্যদিবস এই সূচকটি ছয় হাজার ১৫০.৪৮ পয়েন্টে ছিল। জুন মাসের শেষ কার্যদিবস শরিয়াহ সূচক ছিল এক হাজার ৩১৪.৭৫ পয়েন্টে। যা জুলাই মাসে ৮৬.২৯ পয়েন্ট বা ৬.৫৬ শতাংশ বেড়ে এক হাজার ৪০১.০৪ পয়েন্টে দাঁড়ায়।

আর ডিএসই-৩০ সূচক জুলাই মাসে ১১৯.৫০ পয়েন্ট বা ৫.৪১ শতাংশ বেড়ে শেষ কার্যদিবসে দাঁড়ায় দুই হাজার ৩২৭.৮৭ পয়েন্টে। জুনা মাসের শেষ কার্যদিবস এই সূচকটি ছিল দুই হাজার ২০৮.৩৭ পয়েন্টে।

পেনিনসুলা সাধারণ বিমা ফান্ডের লভ্যাংশ ঘোষণা: বে-মেয়াদি মিউচ্যুয়াল ফান্ড পেনিনসুলা সাধারণ বিমা কর্পোরেশন ফান্ডের ইউনিটহোল্ডারদের জন্য ট্রাস্টি ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। সংশ্লিষ্ট অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র মতে, ৩০ জুন, ২০২১ তারিখে যাদের হাতে ফান্ডের ইউনিট ছিল, তারা এ লভ্যাংশ পাবেন। আলোচ্য সময়ে ফান্ডটির ইউনিটপ্রতি আয় (ইপিইউ) হয় ৩ টাকা ৮৭ পয়সা। সমাপ্ত সময়ে ফান্ডটি বাজার মূল্য অনুযায়ী এনএভি হয়েছে ১১ টাকা ৬৪ পয়সা।

পেনিনসুলা এএমসিএল বিডিবিএল ফান্ডের লভ্যাংশ ঘোষণা: বে-মেয়াদি মিউচ্যুয়াল ফান্ড পেনিনসুলা এএমসিএল বিডিবিএল ফান্ডের ইউনিটহোল্ডারদের জন্য ট্রাস্টি ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। সংশ্লিষ্ট অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র মতে ৩০ জুন, ২০২১ তারিখে যাদের হাতে ফান্ডের ইউনিট ছিল, তারা এ লভ্যাংশ পাবেন। আলোচ্য সময়ে ফান্ডটির ইউনিটপ্রতি আয় (ইপিইউ) হয় ২ টাকা ৩৯ পয়সা। সমাপ্ত সময়ে ফান্ডটি বাজার মূল্য অনুযায়ী এনএভি হয়েছে ১৪ টাকা ০৬ পয়সা।

পেনিনসুলা ব্যালেন্সড ফান্ডের রেকর্ড লভ্যাংশ ঘোষণা: বে-মেয়াদি মিউচ্যুয়াল ফান্ড পেনিনসুলা ব্যালেন্সড ফান্ডের ইউনিটহোল্ডারদের জন্য ট্রাস্টি ১৭ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। সূত্র মতে, ৩০ জুন, ২০২১ তারিখে যাদের হাতে ফান্ডের ইউনিট ছিল, তারা এ লভ্যাংশ পাবেন। আলোচ্য সময়ে ফান্ডটির ইউনিটপ্রতি আয় (ইপিইউ) হয় ২ টাকা ৩৯ পয়সা। সমাপ্ত সময়ে ফান্ডটি বাজার মূল্য অনুযায়ী এনএভি হয়েছে ১৪ টাকা ০৬ পয়সা।

দুই ব্যাংকের এজিএম বৃহস্পতিবার: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ২ ব্যাংকের বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আজ ৫ আগস্ট অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সূত্র মতে, ব্যাংক দুইটি হচ্ছে: ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক ও এনসিসি ব্যাংক লিমিটেড।
ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের এজিএম বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় ডিজিটাল প্লাটফর্মের মাধ্যমে কোম্পানিটির এজিএম অনুষ্ঠিত হবে।

৩১ ডিসেম্বর,২০২০ সমাপ্ত হিসাব বছরে ইউসিবি ১০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে ৫ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ বোনাস।
অন্যদিকে এনসিসি ব্যাংকের এজিএম বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় ডিজিটাল প্লাটফর্মের মাধ্যমে কোম্পানিটির এজিএম অনুষ্ঠিত হবে।

৩১ ডিসেম্বর,২০২০ সমাপ্ত হিসাব বছরে এনসিসিব ব্যাংক ১৫ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে সাড়ে ৭ শতাংশ নগদ ও সাড়ে ৭ শতাংশ বোনাস।

গ্রিনডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের পরিচালকের সব শেয়ার বিক্রির ঘোষণা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বীমা খাতের কোম্পানি গ্রিনডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের সব শেয়ার বিক্রির ঘোষণা। গ্রিনডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের উদ্যোক্তা মোজাম্মেল হক তার কাছে থাকা কোম্পানির ৬ লাখ ৯ হাজার ৮৭৮ টি শেয়ারের সবগুলো পাবলিক মার্কেটে বিক্রি করবেন। পরিচালক খুরশিদা চৌধুরী ব্লক মার্কেট থেকে কিনবেন ৫৭ হাজার ৪৬৯ টি শেয়ার।

তখন কোম্পানির ৩২.৭৮ শতাংশ শেয়ার থাকবে উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে। তখন আইডিআরএর নির্দেশনা পূরণে উদ্যোক্তা-পরিচালকদেরকে কিনতে হবে শেয়ারের ২৭.২২ শতাংশ অর্থাৎ ২ কোটি ৭২ লাখ ৭১ হাজার ২২৬টি। বিমা কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকদের পুঁজিবাজার থেকে শেয়ার কিনে নিজেদের হিস্যা বাড়ানোর নির্দেশনার মধ্যে একটি বিমা কোম্পানির পরিচালক তার হাতে থাকা সব শেয়ার বিক্রি করে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ-আইডিআরএর একজন কর্মকর্তা বলেছেন, এই সময়ে কোনো পরিচালকের সব শেয়ার বিক্রির সুযোগ নেই। তাদের কাছে এর আগে কয়েকজন পরিচালক শেয়ার বিক্রির প্রস্তাব নিয়ে এসেছিলেন। তাদেরকে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে এই ঘটনাটি কীভাবে ঘটল তা তারা খতিয়ে দেখবেন।

মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে গ্রিনডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের পক্ষ থেকে দেয়া এক সংবাদে জানানো হয়, গ্রিন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের উদ্যোক্তা মোজাম্মেল হক তার কাছে থাকা কোম্পানির ৬ লাখ ৯ হাজার ৮৭৮ টি শেয়ারের সবগুলো পাবলিক মার্কেটে বিক্রি করবেন। আগামী ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে তিনি এই শেয়ার বিক্রি করে দিতে চান।

কোম্পানির একজন পরিচালক শেয়ার কেনার আগ্রহের কথাও জানিয়েছেন। তবে তিনি কিনতে চেয়েছেন মোজাম্মেলের বিক্রি করার ঘোষণার দশ ভাগের এক ভাগেরও কম। আর তিনি পাবলিক মার্কেট থেকেও শেয়ার কিনবেন না। পরিচালক খুরশিদা চৌধুরী ব্লক মার্কেট থেকে কিনবেন ৫৭ হাজার ৪৬৯ টি শেয়ার। এই ঘোষণাটি এমন সময় এসেছে যখন আইডিআরএ পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকদেরকে শেয়ারের ৬০ শতাংশ ধারণ করতে বলছে।

বিমা কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকদের পরিশোধিত মূলধনের ৬০ শতাংশ শেয়ার থাকতে হবে এমন সিদ্ধান্ত ২০১০ সালের। কিন্ত ২০২১ সালের জানুয়ারিতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআরএ নতুন করে সবকটি বিমা কোম্পানির কাছে এটি পাঠালে এ নিয়ে শুরু হয় হুলস্থল। বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ আইডিআরএ উদ্যোক্তা পরিচালকদেরকে কোম্পানির ৬০ শতাংশ শেয়ার কেনার নির্দেশনা দিয়েছে।

গত ২০ জুন আইডিআরএ চেয়ারম্যান এম মোশাররফ সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময়ে বলেন, ‘তাদের (উদ্যোক্তা-পরিচালকরা) পুঁজিবাজার থেকে শেয়ার কিনতে হবে। এজন্য হঠাৎ করে শেয়ার কেনার ক্ষেত্রেও জটিলতা আছে। তবে যেহেতু এটি আইনগত বিষয়, তাই জটিলতা থাকলেও আইগনত বিষয়টিকেই আমরা গুরুত্ব দেবো।’

তবে বিধান করার ১০ বছরেও উদ্যোক্তা পরিচালকদের এই শেয়ার কিনতে বাধ্য করা হয়নি। আর শেয়ার না কিনলে বোর্ড পুনর্গঠন বিয়ে কোনো ব্যবস্থাও নেয়া হয়নি। অথচ গত এক বছরে বিমার শেয়ারে ঊর্ধ্বগতির যেসব কারণ আছে বলে ধারণা করা হয়, তার মধ্যে এই বিষয়টিও আছে বলে ধারণা করা হয়। ১০০ কোটি ১৮ লাখ ৮০ হাজার টাকা পরিশোধিত মূলধনের গ্রিনডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে আছে কোম্পানিটির মোট শেয়ারের ৩৩ দশমিক ৮৪ শতাংশ।

অর্থাৎ ১০ কোটি ১ লাখ ৮৮ হাজার ১৯৪টি শেয়ারের মধ্যে ৩ কোটি ৩৪ লাখ ২ হাজার ৭৪৩টি শেয়ার বর্তমানে উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে আছে। মোজাম্মেল হক তার মালিকানায় থাকা সব শেয়ার বিক্রি করে দিলে মালিকদের হাতে শেয়ার থাকবে ৩ কোটি ২৭ লাখ ৯২ হাজার ৮৬৫টি। আর খুরশিদা চৌধুরী শেয়ার কিনলে সেই সংখ্যা দিয়ে দাঁড়াবে ৩ কোটি ২৮ লাখ ৫০ হাজার ৩৩৪টি। তখন মোট শেয়ারের ৩২.৭৮ শতাংশ থাকবে উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে।

অর্থাৎ আইডিআরএর নির্দেশনা পূরণে তখন উদ্যোক্তা-পরিচালকদেরকে কিনতে হবে শেয়ারের ২৭.২২ শতাংশ অর্থাৎ ২ কোটি ৭২ লাখ ৭১ হাজার ২২৬টি। যখন শেয়ার বাড়ানোর কথা, তখন উল্টো কমিয়ে বিষয়ে গ্রিনডেল্টার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। কোম্পানিটির সচিব সৈয়দ মহিউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

বিষয়টি নিয়ে জানতে আইডিআরএ নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র এস এম শাকিল আক্তার বলেন, ‘উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে নূন্যতম ২ শতাংশ শেয়ার থাকতে হবে। একেবারে সব বিক্রি করে দেয়ার সুযোগ নেই। বিষয়টি সম্পর্কে জেনে জানাতে হবে।’

সম্প্রতি শাকিল জানান, কর্তৃপক্ষের অন্য একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, গত কয়েক মাসে বিমা কোম্পানির বেশ কয়েকজন উদ্যোক্তা পরিচালক শেয়ার বিক্রি ও হস্তান্তরের অনুমতি চেয়ে আবেদন করলেও তাদেরকে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে। অবশ্য সম্প্রতি ফিনিক্স ইন্স্যুরেন্সের একজন পরিচালককে ৮ লাখ ১০ হাজার শেয়ার ব্লক মার্কেটে বিক্রি করার অনুমতি দেয়া হয়েছে

আইডিআরএ যে বিমা কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকদেরকে ৬০ শতাংশ শেয়ার কিনতে বলছে, সেটি বাস্তবায়নে কোম্পানিগুলোকে ডিসেম্বর পর্যন্ত এ সময় দেয়ার কথাও সেদিন জানান তিনি। আইডিআরএর শর্ত পূরণে স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সের ৮ পরিচালক বাজার থেকে ৬০ লাখেরও বেশি শেয়ার কিনেছেন

সম্প্রতি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সের আট জন পরিচালক ৬০ শতাংশ শেয়ারের শর্ত পূরণ করতে বাজার থেকে ৬০ লাখ ৪৩ হাজার ১৪৯টি শেয়ার কিনেছেন। এর ফলে কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকদের অংশের শেয়ার প্রায় ১৩.৯৫ শতাংশ বেড়ে যায়। আর বর্তমানে কোম্পানির মোট শেয়ারের ৬৫ শতাংশ এখন উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে।

উদ্যোক্তা পরিচালকরা পুঁজিবাজার থেকে শেয়ার কেনার পর এক অভিনব ঘটনা ঘটেছে। গত জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে দর সংশোধনে যাওয়া বিমা খাতের কোম্পানিগুলোর কোনো কোনোটি এই সময়ে ৩০ শতাংশেরও বেশি দর হারিয়েছে। তবে এর বিপরীতে স্ট্যান্ডার্ডের দর বেড়েছে ৩০ শতাংশের বেশি।