দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি বার্জার পেইন্টস লিমিটেডের বোর্ড সভার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। কোম্পানিটির বোর্ড সভা আগামী ৯ আগস্ট বিকাল সাড়ে ৪টায় অনুষ্ঠিত হবে।

ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। জানা যায়, সভায় ৩০ জুন ,২০২১ পর্যন্ত কোম্পানিটির প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে প্রকাশ করবে কোম্পানিটি।

ব্লক মার্কেটে ৪ কোম্পানির লেনদেনের শীর্ষে: পুঁজিবাজারে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ব্লক মার্কেটে ৬৬টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব কোম্পানির ৩৫ কোটি ৮১ লাখ ৪৩ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। কোম্পানিগুলোর ৪৮ লাখ ৫৮৮টি শেয়ার ১১৩ বার হাত বদল হয়েছে। এর মাধ্যমে কোম্পানিগুলোর ৩৫ কোটি ৮১ লাখ ৪৩ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে।

কোম্পানিগুলোর মধ্যে ৪ কোম্পানির বড় লেনদেন হয়েছে। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি শেয়ার লেনদেন হয়েছে রেনাটার। কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৫ কোটি ৩ লাখ ৪৭ হাজার টাকার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ইউনাইটেড পাওয়ারের ৩ কোটি ৯২ লাখ টাকার, তৃতীয় সর্বোচ্চ জেনেক্স ইনফোসিসের ২ কোটি ৯৪ লাখ ৮৪ টাকার, চতুর্থ সর্বোচ্চ আমান ফিডের ২ কোটি ২৭ লাখ ৪৯ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে।

এছাড়া, ন্যাশনাল ফিড মিলের ১ কোটি ৯১ লাখ ৫৪ হাজার টাকার,এপিএসসিএল বোন্ডের ১ কোটি ৬২ লাখ ৭১ হাজার টাকার,মারিকোর ১ কোটি ৫৮ লাখ ১০ হাজার টাকার,মেঘনা লাইফের ১ কোটি ৬ লাখ ৬০ হাজার টাকার,ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর ১ কোটি ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকার, ওরিয়ন ফার্মার ৯৮ লাখ ৩ হাজার টাকার, মালেক স্পিনিংয়ের ৭৭ লাখ ২০ হাজার টাকার, সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্সের ৬৬ লাখ ১০ হাজার টাকার, আরডি ফুডের ৬৫ লাখ ১০ হাজার টাকার, স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সের ৬৪ লাখ ৯ হাজার টাকার, ব্র্যাক ব্যাংকের ৬২ লাখ ৫০ হাজার টাকার,

বিকনফার্মার ৬২ লাখ ১৩ হাজার টাকার, ফার কেমিক্যালের ৬০ লাখ ২৫ হাজার টাকার, কপারটেকের ৫৫ লাখ ৮৬ হাজার টাকার, ঢাকা ডাইংয়ের ৫৪ লাখ ২৫ হাজার টাকার, ফর্চুন সুজের ৪৭ লাখ ৯০ হাজার টাকার, বার্জার পেইন্টসের ৪৪ লাখ ৩৮ হাজার টাকার, লুবরেফের ৪২ লাখ ১৯ হাজার টাকার, প্রগ্রেস লাইফের ৩৯ লাখ ৪৩ হাজার টাকার, সাহজী বাজার পাওয়ারের ৩৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার,

সিঙ্গার বিডির ৩৬ লাখ ৭০ হাজার টাকার, এমারল্ড ওয়েলের ৩২ লাখ ২৫ হাজার টাকার, ডেল্টা লাইফের ৩০ লাখ ৪৬ হাজার টাকার, উত্তরা ব্যাংকের ২৫ লাখ ৪০ হাজার টাকার, জি পি এইচ ইস্পাতের ২৫ লাখ ২৫ হাজার টাকার, ইস্টার্ন ইন্সুরেন্সের ২৪ লাখ ৪০ হাজার টাকার, শাইনপুকুর সিরামিকের ২৪ লাখ ৩৬ হাজার টাকার, সেন্ট্রাল ফার্মার ২০ লাখ ৭৯ হাজার টাকার, আমান কটনের ২০ লাখ ১ হাজার টাকার, কে অ্যান্ড কিউ কেডিএস লিমিটেডের ১৭ লাখ ৮১ হাজার টাকার, এডিএন টেলিকমের ১৭ লাখ ৮ হাজার টাকার, প্রাইম ফাইনসের ১৫ লাখ ৯৫ হাজার টাকার,

আই টি কনসালটেন্সের ১৫ লাখ ৯৩ হাজার টাকার, এক্সপ্রেস ইন্সুরান্সের ১৫ লাখ ৭৮ হাজার টাকার, ইন্দো বাংলা ফার্মার ১৫ লাখ ৬৮হাজার টাকার, রহিমা ফুডের ১৫ লাখ ৫০ হাজার টাকার, আরএকে সিরামিকের ১৪ লাখ ৫ হাজার টাকার, প্রিমিয়ার সিমেন্টের ১৩ লাখ ৪৫ হাজার টাকার, ওরিয়ন ইনফিউশনের ১২ লাখ ৪৭ হাজার টাকার, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের ১২ লাখ ৪২হাজার টাকার, ওয়ালটনের পিএইচপি ১০ লাখ ৭৫ হাজার টাকার,

মিচুয়াল ফান্ডের ১0 লাখ ৬৪ হাজার টাকার, কেয়া কসমেটিকসের ৯ লাখ ৩০ হাজার টাকার, প্যাসিফিক ডেনিমের ৮ লাখ টাকার, আইএফআইসি মিউচুয়াল ফান্ডের ৭ লাখ ৯০ হাজার টাকার, সোনালী পেপারের ৭ লাখ ৮০ হাজার টাকার, পেপার প্রসেসিংয়ের ৭ লাখ ৬০ হাজার টাকার, বেক্সিমকো ফার্মার ৭ লাখ টাকার, ই-জেনারেশনের ৬ লাখ ২০ হাজার টাকার,

এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের ৬ লাখ ৫ হাজার টাকার, এইচআর টেক্সটাইলের ৫ লাখ ৯৫ হাজার টাকার, রূপালী ব্যাংকের ৫ লাখ ৮৮ হাজার টাকার, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের ৫ লাখ ৮১ হাজার টাকার, গোল্ডেন হারভেস্টের ৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকার, মার্কেনটাইল ইন্স্যুরেন্সের ৫ লাখ ৭০ হাজার টাকার, এশিয়ান টাইগার গ্রোথ ফান্ডের ৫ লাখ ৬৮ হাজার টাকার, বিডি থাইয়ের ৫ লাখ ৫৪ হাজার টাকার,

জিবিবি পাওয়ারের ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকার, আজিজ পাইপসের ৫ লাখ ৪৫ হাজার টাকার, সিনট্যাক্সের ৫ লাখ ২৫ হাজার টাকার, সালভো কেমিক্যালের ৫ লাখ ৬ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে।

জিএসপি ফাইন্যান্সের বোর্ড সভা ১৪ আগস্ট: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আর্থিক খাতের কোম্পানি জিএসপি ফাইন্যান্স লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের বোর্ড সভা আগামী ১৪ আগস্ট অনুষ্ঠিত হবে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। জানা গেছে, ওইদিন কোম্পানিটির বোর্ড সভা সকাল সাড়ে ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩১ ডিসেম্বর,২০২০ পর্যন্ত কোম্পানির নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও প্রকাশ করা হবে।

পুঁজিবাজারে সোমবার থেকে লেনদেন চলবে আড়াইটা পর্যন্ত: চলতি সপ্তাহের মতো আগামী সপ্তাহে রোববারও বন্ধ থাকবে পুঁজিবাজারে লেনদেন। পাশাপাশি, বাংলাদেশ ব্যাংকের লেনদেন সময়সীমা বর্তমান সময়ের চেয়ে আধা ঘণ্টা বাড়ানো হয়েছে। ফলে পুঁজিবাজারের লেনদেনও এই সময়ে আধা ঘণ্টা বাড়িয়ে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত চলবে বলে বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে।

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে চলমান শাটডাউনের সময়সীমা বাড়ানোর পরিপ্রেক্ষিতে নতুন সময় সূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। যেখানে আগামী রোববারও ব্যাংক বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

ফলে চলতি সপ্তাহের মতো আগামী সপ্তাহে রোববারও বন্ধ থাকবে পুঁজিবাজারে লেনদেন। পাশাপাশি, বাংলাদেশ ব্যাংকের লেনদেন সময়সীমা বর্তমান সময়ের চেয়ে আধাঘণ্টা বাড়ানো হয়েছে। ফলে পুঁজিবাজারের লেনদেনও এই সময়ে আধা ঘণ্টা বাড়িয়ে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত চলবে বলে বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে।

ঈদের পর দ্বিতীয় দফায় লকডাউনের সময়সীমা বাড়িয়ে তা ১০ আগস্ট পর্যন্ত নির্ধারণ করেছে সরকার। প্রথম দফায় ২৩ জুলাই থেকে ১৪ দিনের শাটডাউন ৫ আগস্ট পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়। এরপর লকডাউনের সময়সীমা আরও ৫দিন বাড়িয়ে ১০ আগস্ট করা হয়েছে, যা ৬ আগস্ট থেকে কার্যকর হবে। তবে সরকার যদি লকডাউনের সময়সীমা আর না বাড়ায় তাহলে আগামী সোমবার থেকেই পুঁজিবাজারে লেনদেন চলবে আড়াইটা পর্যন্ত।

গত বছর দেশে করোনা সংক্রমণের পর ৬৬ দিনের সাধারণ ছুটিতে ব্যাংক খোলা থাকলেও লেনদেন বন্ধ ছিল পুঁজিবাজারে। তবে বর্তমান বিএসইসি লেনদেন বন্ধ রাখার বিপক্ষে। তারা একাধিকবার জানিয়েছেন, ব্যাংকে লেনদেন চলছে, পুঁজিবাজারও চালু থাকবে।

গত সপ্তাহে পাঁচ দিন লেনদেন চললেও ব্যাংকের সঙ্গে তাল মিলিয়ে তা চলে ১০টা থেকে ১টা পর্যন্ত। কারণ, ব্যাংক খোলা ছিল দেড়টা পর্যন্ত। গত ৫ এপ্রিল লকডাউন আর ১ জুলাই শাটডাউন শুরু হলেও ব্যাংকের মতো লেনদেন বন্ধ থাকেনি পুঁজিবাজারে। শাটডাউনে প্রথম দুই রোববার ব্যাংক বন্ধ থাকায় পুঁজিবাজারেও লেনদেন চলে সপ্তাহে চার দিন।

ঈদের আগের সপ্তাহে রোববার খোলা আর ব্যাংকে লেনদেন সকাল ১০টা থেকে ৪টা পর্যন্ত চলায় পুঁজিবাজারেও লেনদেন চলে পুরোটা সময় সকাল ১০টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত। তবে ২৩ জুলাই থেকে ব্যাংকে লেনদেনের সময় কমিয়ে আনার পর পুঁজিবাজারেও লেনদেনের সময় কমায় বিএসইসি। এবার ব্যাংকে ছুটি দুই দিন বাড়িয়ে লেনদেন এক ঘণ্টা বাড়ানোয় পুঁজিবাজারেও লেনদেনের সময় এক ঘণ্টা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হলো।

আগামী রোববারও বন্ধ ব্যাংক-পুঁজিবাজার: করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় সংক্রমণ রুখতে চলমান ‘শাটডাউন’ আরও পাঁচদিন বাড়ানোয় গত সপ্তাহের মতো আগামী সপ্তাহেও রোববার ব্যাংক রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে চলতি সপ্তাহে বুধবার লেনদেন বন্ধ থাকলেও আগামী বুধবার চলবে।

ব্যাংক বন্ধ থাকায় রোববার বন্ধ রাখতে হবে পুঁজিবাজারও। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অফ সাইট সুপারভিশন বিভাগ এক সার্কুলারে এ নির্দেশনা জারি করে। তবে সোমবার ও মঙ্গলবার লেনদেন চলবে। ওই দুইদিন লেনদেন হবে সকাল ১০টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত। আর ব্যাংক খোলা থাকবে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত।

করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে গত ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত কঠোর লকডাউন জারি করা হয়। লকডাউনের আওতায় সপ্তাহের রোববার ও বুধবার ব্যাংক বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত ছিল। বাকি কার্যদিবসে ব্যাংক সকাল ১০টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত খোলা রাখার কথা বলা হয়। এর মধ্যে গত মঙ্গলবার চলমান বিধিনিষেধ আরও ৫ দিন বাড়িয়ে ১০ আগস্ট পর্যন্ত করেছে সরকার। এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করে আগামী রোববার ব্যাংক বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

দেশে কার্যরত সব তফসিলি ব্যংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠানো সার্কুলারে বলা হয়, মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে কঠোরভাবে সীমিত সংখ্যক লোকবল দিয়ে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের অত্যাবশ্যকীয় বিভাগগুলোসহ ব্যাংক স্বীয় বিবেচনায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক শাখা খোলা রাখতে পারবে।

আট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লভ্যাংশ ঘোষণা বুধবার: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আটটি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লভ্যাংশ ঘোষণা সংক্রান্ত সভা ডাকা হয়েছে একই দিনে। এই ফান্ডগুলো রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান আইসিবি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি পরিচালনা করে।

আগামী বুধবার ফান্ডগুলোর ট্রাস্টি সভা হবে বলে বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে দেয়া ঘোষণায় জানানো হয়। এ নিয়ে জুনে অর্থবছর শেষ হওয়া ৩০টি ফান্ডের মধ্যে ১৪টির লভ্যাংশ ঘোষণার বৈঠকের খবর এল।

গত জুলাই থেকে চলতি বছর জুন পর্যন্ত পুঁজিবাজারে সূচক বেড়েছে দুই হাজার পয়েন্টের বেশি। আর এই এক বছরের চাঙা বাজারের সুবিধা পাওয়া ফান্ডগুলোর মধ্যে একটি এরই মধ্যে লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আজ বৈঠক আছে আরও দুটি ফান্ডের।

বুধবার লভ্যাংশ ঘোষণা করা এনএলআই ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড ২০১২ সালে তালিকাভুক্ত হওয়ার পর রেকর্ড পরিমাণ লভ্যাংশ ঘোষণার মধ্য দিয়ে চলতি বছর ফান্ডগুলোর লভ্যাংশ কেমন হতে পারে, তার নমুনা দেখা গেছে।

গত বছর ফান্ডটি ইউনিটপ্রতি ৭৬ পয়সা লোকসান দিয়েছিল। কিন্তু চলতি বছর মুনাফা করেছ ৩ টাকা ১৪ পয়সা। আগের বছরের লোকসানের কারণে সঞ্চিতি সংরক্ষণ করার কারণে চূড়ান্ত মুনাফা হয় ১ টাকা ৮৬ পয়সা। মুনাফার কমপক্ষে ৭০ শতাংশ নগদে বিতরণের কথা থাকলেও ফান্ডটি বিতরণ করেছে ৯৪.০৯ শতাংশ।

অন্য ফান্ডগুলোও এবার রেকর্ড পরিমাণ মুনাফা করেছে বলেই তৃতীয় প্রান্তিক শেষে প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে। ফলে এক দশকের হতাশা কাটিয়ে ফান্ডগুলো এবার ভালো লভ্যাংশ দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।

অবশ্য কিছু ফান্ড গত বছর বেশ বড় অঙ্কের লোকসান দেয়ার কারণে তার বিপরীতে সঞ্চিতি সংরক্ষণ করতে পারবে, এ কারণে পুরো মুনাফার ওপর লভ্যাংশ পাবেন না ইউনিটধারীরা। তবে সঞ্চিতি সংরক্ষণ হয়ে গেলে আর পুঁজিবাজার স্থিতিশীল থাকলে আগামী বছর আরও ভালো লভ্যাংশ পাবেন তারা।

তবে আইসিবির যে আটটি ফান্ড লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে, তার কোনোটিই গত বছর লোকসান দেয়নি। আর এ কারণে তারা চলতি বছরের পুরো আয়ের ওপরই লভ্যাংশ দিতে পারবে। ফলে এগুলো বেশ ভালো লভ্যাংশ দেবে বলে আশা করছেন ইউনিটধারীরা।

ফান্ডগুলোর হিসাব-নিকাশ: আইসিবি এএমসিএল ফার্স্ট অগ্রণী ব্যাংক মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ান মার্চে তৃতীয় প্রান্তিক শেষে ইউনিটপ্রতি ৩০ পয়সা আয় করেছে। গত বছর একই সময়ে এই আয় ছিল ২৪ পয়সা। আর বছর শেষে তারা ৩৪ পয়সা আয় করে ৫০ পয়সা লভ্যাংশ দিয়েছিল।

আইসিবি এএমসিএল সোনালী ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড চলতি বছর তৃতীয় প্রান্তিক শেষে ইউনিটপ্রতি ৪১ পয়সা আয় করেছিল। গত বছর একই সময়ে এই আয় ছিল ৪০ পয়সা। আর অর্থবছর শেষে ৪১ পয়সা আয় করে ফান্ডটি ৫০ পয়সা লভ্যাংশ দিয়েছিল।

আইসিবি এএমসিএল সেকেন্ড মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ান চলতি বছর তৃতীয় প্রান্তিক শেষে ইউনিটপ্রতি আয় করেছ ৩১ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে আয় ছিল ২৫ পয়সা। আর বছর শেষে তারা ইউনিটপ্রতি ৩০ পয়সা আয় করে ৫০ পয়সা লভ্যাংশ দিয়েছিল।

আইসিবি এএমসিএল থার্ড এনআরবি মিউচ্যুয়াল ফান্ড চলতি বছর তৃতীয় প্রান্তিক শেষে ইউনিটপ্রতি আয় করেছ ২৫ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে আয় ছিল ২০ পয়সা। আর বছর শেষে তারা ইউনিটপ্রতি ২৪ পয়সা আয় করে ৫০ পয়সা লভ্যাংশ দিয়েছিল।

আইসিবি এমপ্লয়ি প্রভিডেন্ড মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ান চলতি বছর তৃতীয় প্রান্তিক শেষে ইউনিটপ্রতি আয় করেছ ৩০ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে আয় ছিল ২৬ পয়সা। আর বছর শেষে তারা ইউনিটপ্রতি ২০ পয়সা আয় করে ৫০ পয়সা লভ্যাংশ দিয়েছিল।

আইএফআইএল ইসলামি মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ান চলতি বছর তৃতীয় প্রান্তিক শেষে ইউনিট প্রতি ১১ পয়সা আয় করেছে। গত বছর একই সময়ে এই আয় ছিল ২৭ পয়সা। আর বছর শেষে ২২ পয়সা আয় করে ৪০ পয়সা লভ্যাংশ দিয়েছিল।

প্রাইম ব্যাংক ফার্স্ট আইসিবি এএমসিএল মিউচ্যুয়াল ফান্ড চলতি বছর তৃতীয় প্রান্তিক শেষে ইউনিটপ্রতি আয় করেছ ৪১ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে আয় ছিল ২৪ পয়সা। আর বছর শেষে তারা ইউনিটপ্রতি ৩১ পয়সা আয় করে ৫০ পয়সা লভ্যাংশ দিয়েছিল।

ফিনিক্স ফিন্যান্স মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ান চলতি বছর তৃতীয় প্রান্তিক শেষে ইউনিটপ্রতি আয় করেছ ২৮ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে আয় ছিল ২২ পয়সা। আর বছর শেষে তারা ইউনিটপ্রতি ২৫ পয়সা আয় করে ৫০ পয়সা লভ্যাংশ দিয়েছিল।

বস্ত্র ও বিমা কোম্পানির দাপটে চাঙ্গা পুঁজিবাজার : বস্ত্র ও বিমা খাতের কোম্পানিগুলোর দাপটে সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষ হয়েছে। দিনভর সূচকের উত্থান শেষে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক বেড়েছে ৬০ পয়েন্ট। অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক বেড়েছে ১৭৪ পয়েন্ট।

সূচকের পাশাপাশি বেড়েছে লেনদেন ও বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। আর তাতে একদিনেই বিনিয়োগকারীদের পুঁজি বেড়েছে ২ হাজার ৭৬৩ কোটি টাকা। ডিএসইর তথ্যমতে, বৃহস্পতিবার মোট ৩৭৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ২৪২টির, কমেছে ১০৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৯টির। লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৫১১ কোটি ৬৬ লাখ ৫৮ হাজার টাকা। যা প্রায় দুই মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ লেনদেন।

এর আগে গত ১০ জুন ডিএসইতে ২ হাজার ৬শ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছিল। তারপর গত মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৩১৪ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। সেই দিনের চেয়ে আজ লেনেদেন বেড়েছে ২শ কোটি টাকার মতো।

বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ায় তিন সূচকের মধ্যে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৬০ দশমিক ২০ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ৫৯৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। প্রধান সূচকের পাশাপাশি ডিএসইর অন্য সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ১৪ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৪৩৯ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১৯ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ৩৮৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে। বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ার ও সূচক বাড়ায় একদিন ডিএসইর বিনিয়োগকারীদের পুঁজি ২ হাজার ৭৬৩ কোটি ৮৫ লাখ ৬৪ হাজার টাকা বেড়ে ৫ লাখ ৪৪ হাজার ৩২৬ কোটি ১০ লাখ ৯৫ হাজার টাকায় দাঁড়িয়েছে।

ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে শীর্ষে ছিল বেক্সিমকো লিমিটেড। এরপর ক্রমান্বয়ে ছিল অরিয়ন ফার্মা, জিপিএইচ ইস্পাত, মালেক স্পিনিং, সাইফ পাওয়ার, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস, আইএফআইসি ব্যাংক, ফুয়াং সিরামিক, ব্রিটিশ আরেমিকান টোবাকো এবং ম্যাকসন স্পিনিং লিমিটেড।

অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৭৪ পয়েন্ট বেড়ে ১৯ হাজার ১৮৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩২৫টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বেড়েছে ২০৬টির, কমেছে ৯৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম। সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৮১ কোটি ১৪ লাখ ৭২হাজার ৯৫৭ টাকা।

ডিএসই ৯ কোম্পানির শেয়ার বিক্রেতা সংকট: হঠাৎ দাম বাড়ায় বিক্রেতা শূন্য হয়ে পড়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত নয়টি কোম্পানির শেয়ার। এসব কোম্পানির শেয়ার কিনতে ক্রেতাদের আগ্রহ রয়েছে। কোম্পানিগুলো হচ্ছে: উসমানিয়া গ্লাস, ঢাকা ডাইং, পেপার প্রসেসিং, জেমিনি সি ফুড, সিমটেক্স, অলটেক্স, মালেক স্পিনিং, সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল এবং সেন্ট্রাল ফার্মাসিটিউক্যালস।

আরও দাম বাড়বে, এই প্রত্যাশায় এসব কোম্পানির শেয়ার বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। তাতে শেয়ার কেনার অর্ডার থাকলেও বিক্রেতার অভাবে এসব কোম্পানিতে লেনদেন হচ্ছে না। বৃহস্পতিবার দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) এই চিত্র দেখা গেছে।

ডিএসইর তথ্য মতে, উসমানিয়া গ্লাসের শেয়ার মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) সবশেষ ৫৭ টাকায় লেনদেন হয়। বৃহস্পতিবার কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বাড়তে বাড়তে ৬২ টাকা ৭০ পয়সা হয়। এরপর আর কোনো বিক্রেতা না থাকায় এর শেয়ারের লেনদেন হচ্ছে না।

২০০৯ সালে তালিকাভুক্ত দ্যা ঢাকা ডাইং অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারিং লিমিটেডের শেয়ার সর্বশেষ লেনদেন হয়েছিল ২৪ টাকায়। বৃহস্পতিবার কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ২৪ টাকা ৪০ পয়সায়। শেয়ারটির দাম ১০ শতাংশ বেড়ে সর্বশেষ বেলা ১১টায় লেনদেন হয় ২৬ টাকা ৪০ পয়সায়। এরপরই বিক্রেতা সংকটে পড়ে শেয়ারটি।

মঙ্গলবারও হলটেড থাকা পেপার প্রসেসিংয়ের শেয়ার বৃহস্পতিবার লেনদেন শুরু হয় ১৫২ টাকা ১০ পয়সায়। এর আগের দিন সর্বশেষ লেনদেন হয়েছি ১৩৮ টাকা ৩০ পয়সায়। অর্থাৎ শেয়ারটির দাম ৯ দশমিক ৯৮ শতাংশ বাড়ায় আবারও বিক্রেতা শূন্য হয়ে পড়েছে। জেমিনি সি ফুডের শেয়ারের দাম আগের কার্যদিবসের চেয়ে সর্বোচ্চ বেড়ে ২১৩ টাকা ২০ পয়সায় লেনদেন হয়। এরপর বিক্রেতা শূন্য হয়ে এটি।

একইভাবে বস্ত্র খাতের প্রতিষ্ঠান সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ার আগের দিনের চেয়ে ২ টাকা ১০ পয়সা অর্থাৎ ৯ দশমিক ৮১ পয়সা বেড়ে বৃহস্পতিবার ২৩ টাকা ৫০ পয়সায় লেনদেন শুরু হয়। বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশা শেয়ারের দাম আরও বাড়বে তাই যাদের হাতে কোম্পানিটির শেয়ার রয়েছে তারা বিক্রি বন্ধ করে দেন।

একই খাতের কোম্পানি অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ার আগের দিনের চেয়ে ১ টাকা ৬০ পয়সা দাম বেড়েছে। এরপর থেকে শেয়ারটিতে বিক্রেতা নেই। একইভাবে মালেক স্পিনিংয়ের শেয়ার আগের দিনের চেয়ে ৯ দশমিক ৭১ শতাংশ বেড়ে ৩৩ টাকা ৯০ পয়সায় লেনদেনের পর বিক্রেতা সংকটে পড়েছে কোম্পানিটি।

ওষুধ খাতের কোম্পানি সেন্ট্রাল ফার্মা ১৮ টাকা ৮০ পয়সায় বৃহস্পতিবার লেনদেন শুরু হয়। তবে শেয়ারটির দাম ১ টাকা ৮০ পয়সা অর্থাৎ ২০ টাকা ৬০ পয়সায় পৌঁছার পর থেকে বিক্রেতা সংকটে পড়েছে। অপরদিকে ক্রেতাদের চাহিদা বেড়েছে এসব কোম্পানিতে। এছাড়া সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল কোম্পানির শেয়ারেও ক্রেতাদের আগ্রহ থাকায় কোম্পানিটির শেয়ার প্রায় বিক্রেতা শূন্য হয়ে পড়েছে।

ফেডারেল ইন্স্যুরেন্সের দ্বিতীয় প্রান্তিকে মুনাফা বাড়ছে : পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বীমা খাতের কোম্পানি ফেডারেল ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল-জুন’২১) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ডিএসই সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২৩ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ১৫ পয়সা। অন্যদিকে চলতি অর্থবছেরের প্রথম দুই প্রান্তিকে (জানুয়ারি-জুন’২১) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৫৫ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ৪২ পয়সা।

দুই প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো ছিল ১ টাকা ৩৮ পয়সা, যা গত বছর ৬১ পয়সা ছিল। ৩০ জুন, ২০২১ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ১২ টাকা ৯৫ পয়সা।

রবির সিইও মাহতাব উদ্দিনের পদত্যাগ: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বহুজাতিক কোম্পানি রবি আজিয়াটার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মাহতাব উদ্দিন আহমেদ পদত্যাগ করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে রবি।

রবির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রবির সিইও ও এমডি হিসেবে সফলতার সঙ্গে পাঁচ বছর দায়িত্ব পালন শেষে মাহতাব উদ্দিন আহমেদ তার চুক্তি আর নবায়ন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আগামী ৩১ অক্টোবর রবির সিইও হিসেবে মাহতাব উদ্দিন আহমেদের মেয়াদ শেষ হবে। তবে তিনি এখনই ছুটিতে যাচ্ছেন, আর তার দায়িত্বে না থাকার সিদ্ধান্ত এখন থেকেই কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন।

মাহতাব উদ্দিন আহমেদ তাঁর দায়িত্ব পালনকালে পূর্ণ সহযোগিতা করার জন্য ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়, আইসিটি বিভাগ, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি), বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি), ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ, রবি’র সহকর্মী ও ব্যবস্থাপনা পর্ষদ, ব্যবসায়ী সম্প্রদায়, গণমাধ্যম এবং সর্বোপরি গ্রাহকদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, মাহতাব উদ্দিন আহমেদ দেশের কোনো বহুজাতিক মোবাইল ফোন অপারেটরের প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে প্রধান নির্বাহী। রবিতে যোগ দেওয়ার আগে তিনি ১৭ বছর ইউনিলিভারের বিভিন্ন পদে কাজ করেন।

রবি’র পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান থায়াপারান সাঙ্গারাপিল্লাই বলেন, ‘দেশের শীর্ষ ডিজিটাল কোম্পানি হিসেবে রবিকে প্রতিষ্ঠায় মাহতাবের দৃঢ় ভূমিকার জন্য পরিচালনা পর্ষদের পক্ষ হতে তাঁকে আমি অভিনন্দন জানাই।’ রবির প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা (সিএফও), এম রিয়াজ রশিদ কোম্পানির ভারপ্রাপ্ত সিইও হিসেবে এই সময়ে দায়িত্ব পালন করবেন।