দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: বিদায়ী সপ্তাহে পুঁজিবাজারে উত্থান হয়েছে। বেড়েছে সূচক, বেড়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর, বেড়েছে লেনদেনও। ইবিএল সিকিউরিটিজের সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য পাওয়া গেছে।

গত সপ্তাহে ডিএসইর ২০ খাতের মধ্যে ১৭ খাতের শেয়ার দর বেড়েছে। দুই খাতের শেয়ার দর কমেছে এবং এক খাতের শেয়ার দর অপরিবর্তিত ছিল। ১৭ খাতে শেয়া দর বাড়াতে খাতগুলোর বিনিয়োগকারীরা সাপ্তাহিক রির্টানে ভালো মুনাফায় রয়েছে।

খাতগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মুনাফায় রয়েছে সিরামিক খাতের বিনিয়োগকারীরা। এই খাতের বিনিয়োগকারীরা মুনাফা পেয়েছে ৮.৬ শতাংশ। এরপর পেপার ও প্রিন্টিং খাতের বিনিয়োগকারীরা সর্বোচ্চ মুনাফা পেয়েছে ৭.৭০ শতাংশ।

এছাড়া, পেপার খাতে ৬.৪০ শতাংশ, তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ৬.২ শতাংশ, প্রকৌশল খাতে ৫.৬ শতাংশ, পাট খাতে ৫.১ শতাংশ, বস্ত্র খাতে ৫ শতাংশ, ট্যানারী খাতে ৪.৪ শতাংশ, জ্বালানি খাতে ৪.১ শতাংশ, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে ৩.৬ শতাংশ, সেবা খাতে ৩.১ শতাংশ, বিবিধ খাতে ২.৯ শতাংশ, ওষুধ ও রসায়ন খাতে ২.৭ শতাংশ, আর্থিক খাতে ২.৬ শতাংশ, সিমেন্ট খাতে ২.৫ শতাংশ, ব্যাংক খাতে ১.৩ শতাংশ,

খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে ০.৪ শতাংশ, মিউচুয়াল ফান্ড খাতে ০.৪ শতাংশ মুনাফা পেয়েছে। তবে ২ খাতের বিনিয়োগকারীরা লোকসানে রয়েছেন। খাতগুলোর মধ্যে সাধারণ বিমা খাতে ২.২০ শতাংশ, টেলিযোগাযোগ খাতে ১.৫ শতাংশ লোকসানে রয়েছে। জীবন বিমা খাত অপরিবর্তিত ছিল।

পুঁজিবাজারে বেসরকারি ৩ ব্যাংকে সরকারের বিনিয়োগ ৮৮৫ কোটি: পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত বেসরকারি তিন ব্যাংকে সরকারের বিনিয়োগ রয়েছে ৮৮৫ কোটি টাকা। ব্যাংক তিনটির মধ্যে রয়েছে আইএফআইসি ব্যাংক, এবি ব্যাংক এবং ইউসিবি ব্যাংক লিমিটেড। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সরকারি বিনিয়োগ আইএফআইসি ব্যাংক লিমিটেডে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, আইএফআইসি ব্যাংকে সরকারের বিনিয়োগ রয়েছে ৮০৭ কোটি ৬৯ লাখ ৯৪ হাজার ৮৩০ টাকা বা ব্যাংকের মোট শেয়ারের ৩২.৭৫ শতাংশ। যার পরিমান ৫৫ কোটি ৭০ লাখ ৩৪ হাজার ১২৭টি শেয়ার। ব্যাংকটির মোট শেয়ার সংখ্যা ১৭০ কোটি আট লাখ ৬৭ হাজার ৬১টি। সর্বশেষ ব্যাংকটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৪ টাকা ৫০ পয়সায়। সরকারি বিনিয়োগ ছাড়াও ব্যাংকটিতে স্পন্সরদের বিনিয়োগ রয়েছে ৪.১১ শতাংশ। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ রয়েছে ২৫.০৩ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৩৭.৩৯ শতাংশ শেয়ার।

বেসরাকরি ব্যাংক হিসেবে সরকারি বিনিয়োগে দ্বিতীয় ইউসিবি ব্যাংক লিমিটেড। ব্যাংকটিতে সরকারের বিনিয়োগ রয়েছে ১৫ কোটি ৯৭ লাখ ৬৩ হাজার ৯৪ টাকা বা ব্যাংকের মোট শেয়ারের ০.৮১ শতাংশ। যার পরিমাণ ৯৮ লাখ ৬১ হাজার ৯২০টি শেয়ার। ব্যাংকটির মোট শেয়ার সংখ্যা ১৭০ কোটি আট লাখ ৬৭ হাজার ৬১টি। সর্বশেষ ব্যাংকটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৪ টাকা ৫০ পয়সায়।

সরকারি বিনিয়োগ ছাড়াও ব্যাংকটিতে স্পন্সরদের বিনিয়োগ রয়েছে ৩৬.৬৭ শতাংশ। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ রয়েছে ১৯.৮১ শতাংশ, বিদেশী বিনিয়োগ রয়েছে ০.৭৭ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৪১.৯৪ শতাংশ শেয়ার। তৃতীয় অবস্থানে থাকা এবি ব্যাংক লিমিটেডে সরকারের বিনিয়োগ রয়েছে ৬ কোটি ৬৬ লাখ ৯৯ হাজার ৯২৬ টাকা বা ব্যাংকের মোট শেয়ারের ০.৫৭ শতাংশ।

যার পরিমাণ ৪৭ লাখ ৬৪ হাজার ২৮১টি শেয়ার। ব্যাংকটির মোট শেয়ার সংখ্যা ৮৩ কোটি ৫৮ লাখ ৩৮ হাজার ৬৭১টি। সর্বশেষ ব্যাংকটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৪ টাকায়। সরকারি বিনিয়োগ ছাড়াও ব্যাংকটিতে স্পন্সরদের বিনিয়োগ রয়েছে ৩১.৬৭ শতাংশ। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ রয়েছে ২৫.১০ শতাংশ, বিদেশী বিনিয়োগ রয়েছে ০.৮৯ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৪১.৭৭ শতাংশ শেয়ার।

চতুর্থ অবস্থানে থাকা আইসিবি ইসলামি ব্যাংক লিমিটেডে সরকারের বিনিয়োগ রয়েছে ৫৫ লাখ ৩৬ হাজার ৯৭০ টাকা বা ব্যাংকের মোট শেয়ারের ০.১৭ শতাংশ। যার পরিমাণ ১১ লাখ ২৯ হাজার ৯৯৪টি শেয়ার। ব্যাংকটির মোট শেয়ার সংখ্যা ৬৬ কোটি ৪৭ লাখ ২ হাজার ৩০০টি।

সর্বশেষ ব্যাংকটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৪ টাকা ৯০ পয়সায়। সরকারি বিনিয়োগ ছাড়াও ব্যাংকটিতে স্পন্সরদের বিনিয়োগ রয়েছে ৫২.৭৬ শতাংশ। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ রয়েছে ২২.৩৫ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ২৪.৭২ শতাংশ শেয়ার।

এছাড়াও ব্যাংক খাতে সরকারের সবচেয়ে বেশি মালিকানা রয়েছে রূপালী ব্যাংক লিমিটেডে। সরকারি এই ব্যাংকটি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হলেও এর ৯০.১৯ শতাংশ শেয়ারের মালিক সরকার। পুঁজিবাজারে ছাড়া বাকি শেয়ারের মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৪.৭৭ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৫.০৪ শতাংশ শেয়ার।

এফএএস ফাইন্যান্সের ৮৪ শতাংশই খেলাপি: রেড জোনে থাকা আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড। দীর্ঘদিন আমানতকারীদের অর্থ ফেরত দিতে পারছে না প্রতিষ্ঠানটি। নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে অভিযুক্ত এই প্রতিষ্ঠানটির মোট ঋণের ৮৪ দশমিক ৩৮ শতাংশ খেলাপি হয়ে পড়েছে। ঋণের বিপরীতে প্রয়োজনীয় সঞ্চিতি বা প্রভিশন ঘাটতির পরিমাণ এখন ৩০৫ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। এমন পরিস্থিতিতেও প্রতিষ্ঠানটিকে মূল ধারায় ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছেন নবগঠিত পরিচালনা পর্ষদ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য বলছে, ২০২০ সাল পর্যন্ত এক হাজার ৯১৯ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করেছে এফএএস ফাইন্যান্স। এর মধ্যে খেলাপি হয়ে পড়েছে এক হাজার ৬১৯ কোটি টাকা, যা মোট বিতরণের ৮৪ দশমিক ৩৮ শতাংশ। এসব ঋণের মধ্যে বেশিরভাগ আবার আদায়-অযোগ্য অর্থাৎ কু-ঋণ। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, মোট খেলাপির মধ্যে ৪০৬ কোটি টাকাই মন্দ মানের খেলাপি, হিসাব অনুযায়ী যা মোট খেলাপি ৪৩ শতাংশ। ব্যাংকারদের মতে মন্দ মানের খেলাপির এই টাকা আদায়ের সম্ভাবনা একেবারেই ক্ষীণ।

সংশ্লিষ্ট সুত্র জানায়, এসব ঋণের বেশিরভাগ টাকাই গেছে পিকে হালদারের পকেটে। পিকে হালদারের বেনামি ৯ কোম্পানির নামে নেয়া হয়েছে মোট ঋণের ৫৮ শতাংশ, যার পরিমাণ এক হাজার ১১৮ কোটি টাকা। এসব ঋণ আদায় হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই বললে চলে। হালদার কাণ্ড প্রকাশের পর থেকে আমানত ফেরত নিতে হুমড়ি খেয়ে পড়েন সাধারণ গ্রাহক। কিন্তু এখন সেসব টাকা ফেরত দেয়ার সামর্থ্য নেই প্রতিষ্ঠানটির।

বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, ঋণের বিপরীতে প্রয়োজনীয় প্রভিশন সংরক্ষণেও ব্যর্থ হয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঝুঁকিপূর্ণ তালিকা বা রেড জোনে থাকা এই প্রতিষ্ঠানটি। ২০২০ সাল শেষে ৩০৫ কোটি ৬৬ লাখ টাকার প্রভিশন ঘাটতিতে পড়েছে এফএএস ফাইনান্স। চলতি বছর ৩১ মে উদ্যোক্তাদের সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার না থাকাসহ নানা অনিয়ম ঠেকাতে ফাস ফাইন্যান্সের পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করা হয়।

ওইদিন একটি আদেশ জারির মাধ্যমে পর্ষদ পুনর্গঠন করে দেয় পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। পুনর্গঠিত পর্ষদের চেয়ারম্যান নিয়োগ করা হয় সাবেক ব্যাংকার, এনসিসি ও মেঘনা ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ নুরুল আমিনকে।

পর্ষদের স্বতন্ত্র সদস্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের শিক্ষক মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন খান, অবসর প্রস্তুতিকালীন ছুটিতে থাকা সেনা কর্মকর্তা আবু সৈয়দ মোহাম্মদ আলী, ঋণমান যাচাইকারী সংস্থা ক্রেডিট রেটিং ইনফরমেশন অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেডের (সিআরআইএসএল) উপ-প্রধান নির্বাহী সৈয়দ আবদুল্লাহ আল মামুন ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেটের ফ্যাকাল্টি মেম্বার মো. সেলিম।

বিষয়গুলো স্বীকার করে এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট নতুন চেয়ারম্যান নুরুল আমিন জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকের সব তথ্যই সঠিক। তবে নবগঠিত পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা মিলে আমরা প্রতিষ্ঠানটিকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি। বর্তমানে আমরা প্রতিষ্ঠানটিকে ব্যক্তিগতভাবে এবং এক্সটার্নাল অডিটর দ্বারা পর্যবেক্ষণ করছি। আমরা চেষ্টা করছি যাতে প্রতিষ্ঠানটা নতুনভাবে ক্ষতিগস্ত না হয়। আমানতকারীদের আস্থা ফিরিয়ে তিন থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে প্রতিষ্ঠানটিকে তার ব্যবসায়িক ধারায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব বলে মনে করেন এই অর্থনীতিবিদ।

প্রসঙ্গত, তিন হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগে কানাডায় পলাতক এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার হালদারের (পিকে হালদার)। এরই মধ্যে চলতি বছর বেশ কয়েকটি মামলা হয়েছে পিকে হালদার ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে।

বিভিন্ন হিসাবে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের কথা বলা হলেও দুদকের কাছে দেয়া বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের তথ্য থেকে জানা যায়, চারটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশান্ত কুমার হালদার সরিয়েছেন ১০ হাজার ২০০ কোটি টাকা।

বিএফইইউর তথ্যমতে, ফাস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড (এফএএস) থেকে দুই হাজার ২০০ কোটি টাকা পাচার হয়েছে। এছাড়া বাকি তিনটি কোম্পানি হলো পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড থেকে তিন হাজার কোটি টাকা এবং রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেড থেকে দুই হাজার ৫০০ কোটি টাকা সরায় পিকে হালদার চক্র।

পিকে হালদার নিজে এবং তার নিকটাত্মীয়স্বজনের নামে ও বেনামে নতুন নতুন কোম্পানি খুলে ঋণ বা লিজ নেয়ার মাধ্যমে এই অর্থ আত্মসাৎ করেন। ফাস ফাইন্যান্সের ওপর পরিচালিত বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ পরিদর্শন প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

২০০৮ সালে পুঁজিবাজারে আসা ‘বি’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ২১০ কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ১৪৯ কোটি ৭৭ হাজার টাকা। কোম্পানির মোট শেয়ারসংখ্যা ১৪ কোটি ৯০ লাখ ৭৭ হাজার ৩৬৪। মোট শেয়ারের মধ্যে ১৩ দশমিক ২০ শতাংশ উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের হাতে, ১২ দশমিক ১৪ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক এবং ৭৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীর হাতে।

২৫ কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ: সপ্তাহজুড়ে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ২৫ কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এর মধ্যে অধিকাংশ কোম্পানির ইপিএস বাড়ছে। এর মধ্যে গত বছরের এ সময়ের তুলনায় দ্বিগুনের বেশি ইপিএস বাড়ছে। কোম্পানিগুলোর আর্থিক প্রতিবেদন নিচে তুলে ধরা হলো:

ফেডারেল ইন্সুরেন্স: দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২৩ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ছিল ১৫ পয়সা। সমন্বিতভাবে (জানুয়ারি-জুন’২১) ছয় মাসে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৫৫ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ছিল ৪২ পয়সা।

মাইড্যাস ফাইন্যান্স: প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৩ টাকা ৭৮ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় ছিল ১১ পয়সা।

ইসলামি ব্যাংক: দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৬১ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় ছিল ১ টাকা ৫০ পয়সা। সমন্বিতভাবে (জানুয়ারি-জুন’২১) ছয় মাসে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৮ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় ছিল ১ টাকা ৯৪ পয়সা।

এবি ব্যাংক: দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৬ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় ছিল ৯ পয়সা। সমন্বিতভাবে (জানুয়ারি-জুন’২১) ছয় মাসে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩১ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় ছিল ১৭ পয়সা।

প্রাইম ইন্সুরেন্স: দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২০ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ২৬ পয়সা। সমন্বিতভাবে (জানুয়ারি-জুন’২১) ছয় মাসে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৭৫ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ৩১ পয়সা।

জনতা ইন্সুরেন্স: সমন্বিতভাবে (জানুয়ারি-জুন’২১) ছয় মাসে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৯৮ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় ছিল ৭০ পয়সা।

অগ্রণী ইন্সুরেন্স: দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪৯ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ১৪ পয়সা। সমন্বিতভাবে (জানুয়ারি-জুন’২১) ছয় মাসে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৭৭ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় ছিল ৪৩ পয়সা।

ইউনাইটেড ফাইন্যান্স: দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩৮ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় ছিল ১১ পয়সা। সমন্বিতভাবে (জানুয়ারি-জুন’২১) ছয় মাসে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫০ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় ছিল ২৭ পয়সা।

সাউথইস্ট ব্যাংক: দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৩৪ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় ছিল ৬৩ পয়সা। সমন্বিতভাবে (জানুয়ারি-জুন’২১) ছয় মাসে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৫৬ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় ছিল ১ টাকা ৫৯ পয়সা।

ব্যাংক এশিয়া: দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৭০ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় ছিল ২১ পয়সা। সমন্বিতভাবে (জানুয়ারি-জুন’২১) ছয় মাসে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৭৫ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় ছিল ১ টাকা ৩৭ পয়সা।

ব্র্যাক ব্যাংক: দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৯৬ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় ছিল ২১ পয়সা। সমন্বিতভাবে (জানুয়ারি-জুন’২১) ছয় মাসে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৮৫ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় ছিল ৮৪ পয়সা।

ইস্টার্ন ইন্সুরেন্স: দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৭৬ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় ছিল ৬৭ পয়সা। সমন্বিতভাবে (জানুয়ারি-জুন’২১) ছয় মাসে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৮১ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় ছিল ১ টাকা ৫৭ পয়সা।

আল-আরাফা ইসলামী ব্যাংক: দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৯০ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় ছিল ৩৪ পয়সা। সমন্বিতভাবে (জানুয়ারি-জুন’২১) ছয় মাসে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ১৬ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় ছিল ৮৪ পয়সা।

সিটি জেনারেল ইন্সুরেন্স: দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩১ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় ছিল ১৮ পয়সা। সমন্বিতভাবে (জানুয়ারি-জুন’২১) ছয় মাসে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৮১ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় ছিল ২৫ পয়সা।

স্টান্ডার্ড ইন্সুরেন্স: দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৭৩ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় ছিল ৫২ পয়সা। সমন্বিতভাবে (জানুয়ারি-জুন’২১) ছয় মাসে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৪০ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় ছিল ১ টাকা ৭ পয়সা।

প্যারামাউন্ট ইন্সুরেন্স: দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৭৪ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় ছিল ৩৭ পয়সা। সমন্বিতভাবে (জানুয়ারি-জুন’২১) ছয় মাসে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৫৮ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় ছিল ২৬ পয়সা।

ক্রিস্টাল ইন্সুরেন্স: দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪৬ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় ছিল ৪৭ পয়সা। সমন্বিতভাবে (জানুয়ারি-জুন’২১) ছয় মাসে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৯ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় ছিল ১ টাকা ২৫ পয়সা।

প্রভাতী ইন্সুরেন্স: দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৭৪ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় ছিল ৩৬ পয়সা। সমন্বিতভাবে (জানুয়ারি-জুন’২১) ছয় মাসে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৮২ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় ছিল ৯৪ পয়সা।

ভিএএম এলআরবিবিএফ মিউচুয়াল ফান্ড: দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন’২১) কোম্পানিটির ইউনিট প্রতি আয় (ইউপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৩৪ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইউনিট ইউনিট প্রতি আয় ছিল ৯ পয়সা। সমন্বিতভাবে (জানুয়ারি-জুন’২১) ছয় মাসে কোম্পানিটির ইউনিট প্রতি আয় (ইউইউপিএস) হয়েছে ১ টাকা ২৫ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইউনিট প্রতি লোকসান ছিল ৬২ পয়সা।

ভিএএম এলবিডি মিউচুয়াল ফান্ড: তৃতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন’২১) কোম্পানিটির ইউনিট প্রতি আয় (ইউপিএস) হয়েছে ৭৫ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইউনিট প্রতি আয় ছিল ৯ পয়সা। সমন্বিতভাবে নয় মাসে (অক্টোবর’২০-জুন’২১) ইউনিট প্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ৬৮ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইউনিট প্রতি লোকসান ছিল ১ টাকা ৩৬ পয়সা।

এলআর গ্লোবাল মিউচুয়াল ফান্ড: তৃতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন’২১) কোম্পানিটির ইউনিট প্রতি আয় (ইউপিএস) হয়েছে ১২ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইউনিট প্রতি আয় ছিল ৫ পয়সা। সমন্বিতভাবে নয় মাসে (অক্টোবর’২০-জুন’২১) ইউনিট প্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ৪৪ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইউনিট প্রতি লোকসান ছিল ৭২ পয়সা।

এনসিসি ব্যাংক মিউচুয়াল ফান্ড: দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন’২১) কোম্পানিটির ইউনিট প্রতি আয় (ইউপিএস) হয়েছে ৬ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইউনিট প্রতি লোকসান ছিল ৪ পয়সা। জানুয়ারি-জুন’২১) ছয় মাসে কোম্পানিটির ইউনিট প্রতি আয় (ইউপিএস) হয়েছে ৪০ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইউনিট প্রতি লোকসান ছিল ৫ পয়সা।

মার্কেন্টাইল ব্যাংক মিউচুয়াল ফান্ড: প্রথম প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন’২১) কোম্পানিটির ইউনিট প্রতি আয় (ইউপিএস) হয়েছে ১০ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইউনিট প্রতি আয় ছিল ৪ পয়সা।

এআইবিএল ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড: প্রথম প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন’২১) কোম্পানিটির ইউনিট প্রতি আয় (ইউপিএস) হয়েছে ৮ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইউনিট প্রতি আয় ছিল ৮ পয়সা।

বাংলাদেশ জেনারেল ইনসিওরেন্স লিমিটেড: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিমা খাতের কোম্পানি বাংলাদেশ জেনারেল ইনসিওরেন্স লিমিটেড চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল-জুন’২১) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৮৯ পয়সা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ৫২ পয়সা।

এদিকে, চলতি অর্থবছরের ৬ মাসে (জানুয়ারি-জুন’২১) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৫৮ পয়সা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ৯২ পয়সা। একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত সম্পদ (এনএভি) হয়েছে ২১ টাকা ০৯ পয়সা।

পুঁজিবাজারে লভ্যাংশ ঘোষণার শীর্ষে দশ কোম্পানি: পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত দশ কোম্পানি বিনিযোগকারীদের জন্য সর্বোচ্চ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। এর ফলে এই দশ কোম্পানি ডিভিডেন্ড ঘোষনায় পুঁজিবাজারে সবগুলো কোম্পানির উপরে অবস্থান করছে।

কোম্পানি দশটির মধ্যে রয়েছে ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো বাংলাদেশ, বার্জার পেইন্টস, গ্রামীণ ফোন, লিনডে বাংলাদেশ, ম্যারিকো বাংলাদেশ, মেঘনা পেট্রোলিয়াম, রেকিট বেনকিজার, ইউনিলিভার কনজিউমার কেয়ার, ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন এবং ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, সর্বশেষ বিনিয়োগকারীদেরকে সবচেয়ে বেশি ডিভিডেন্ড দিয়েছে রেকিট বেনকিজার লিমিটেড। কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের ১৪০০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৪৫০০ টাকা ২০ পয়সা।

সেই হিসাবে কোম্পানিটির পিই রেশিও দাঁড়িয়েছে ২৮.৮০ পয়েন্টে। ডিভিডেন্ড দেওয়ায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ম্যারিকো বাংলাদেশ লিমিটেড। কোম্পানিটি সর্বশেষ বিনিয়োগকারীদের ৯০০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৩৫৮ টাকা ২০ পয়সা। সেই হিসাবে এর পিই রেশিও দাঁড়িয়েছে ১৭.১৯ পয়েন্টে।

ডিভিডেন্ড ঘোষণায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো বাংলাদেশ লিমিটেড। কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের ৮০০ শতাংশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে। এর মধ্যে ৬০০ শতাংশ ক্যাশ এবং ২০০ শতাংশ বোনাস। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৫৬৭ টাকা ৫০ পয়সা। সেই হিসাবে কোম্পানিটির পিই রেশিও হয়েছে ১৭.৭৮ পয়েন্টে।

এছাড়া, সর্বশেষ বছরে ইউনিভার্সেল বাংলাদেশ লিমিটেড বিনিয়োগকারীদের জন্য ৪৪০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৮৯৬ টাকা। এরফলে কোম্পানিটির পিই অবস্থান করছে ৬৫.৯১ পয়েন্টে।

লিনডে বাংলাদেশ লিমিটেড বিনিয়োগকারীদের জন্য ৪০০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৩৮০ টাকা ৩০ পয়সা। এরফলে কোম্পানিটির পিই রেশিও অবস্থান করছে ১৬.৭০ পয়েন্টে।

বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেড বিনিয়োগকারীদের জন্য ৩৭৫ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৭৭৫ টাকা ১০ পয়সা। এরফলে কোম্পানিটির পিই রেশিও অবস্থান করছে ৩০.৫৯ পয়েন্টে।

ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড বিনিয়োগকারীদের জন্য ২০০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৪৭৩ টাকা ৮০ পয়সা। সেই হিসাবে কোম্পানিটির পিই রেশিও অবস্থান করছে ৩২.৩৮ পয়েন্টে।

গ্রামীণ ফোন বাংলাদেশ লিমিটেড বিনিয়োগকারীদের জন্য ২৭৫ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩৬৯ টাকা ৬০ পয়সা। এরফলে কোম্পানিটির পিই রেশিও অবস্থান করছে ১৪.৩৪ পয়েন্টে।

ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড বিনিয়োগকারীদের ১৫৫ শতাংশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে। এর মধ্যে ১৪৫ শতাংশ ক্যাশ এবং ১০ শতাংশ বোনাস। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৮৬ টাকা ৬০ পয়সায়।

এরফলে কোম্পানিটির পিই রেশিও অবস্থান করছে ১৪.৪৯ পয়েন্টে। মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেড বিনিয়োগকারীদের ১৫০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে।সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৯৯ টাকা। সিই হিসাবে কোম্পানিটির পিই রেশিও দাঁড়িয়েছে ৮.৫৮ পয়েন্টে।

তথ্যপ্রযুক্তির ৪ কোম্পানিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেড়েছে: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ১১টি কোম্পানির মধ্যে ৯টির প্রতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ আপডেট করা হয়েছে। এতে দেখা যায়, ৩১ মে, ২০২১ থেকে ৩০ জুন, ২০২১ পর্যন্ত এক মাসে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেড়েছে ৪টি কোম্পানিতে এবং কমেছে ৫টিতে। ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

সূত্রমতে, জুন মাসে সবচেয়ে বেশি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেড়েছে ই-জেনারেশনে ১.৫৪ শতাংশ। অন্যদিকে, জুন মাসে সবচেয়ে বেশি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ কমেছে এডিএন টেলিকমে ১.৯৮ শতাংশ, আইটি কনসালট্যান্টসে ১.৪৪ শতাংশ এবং অগ্নি সিষ্টেমে ১.০৩ শতাংশ।

আলোচ্য জুন মাসে জেনেক্স ইনফোসিস ও ইনটেক লিমিটেডের শেয়ার ধারণ পজিশন আপডেট করা হয়নি। তথ্যপ্রযুক্তি খাতের কোম্পানিগুলোর প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগের সর্বশেষ অবস্থা নিচে ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরা হলো:

আমরা নেট: ৩১ মে আমরা নেটে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ২৮.১৮ শতাংশ। যা ৩০ জুন এসে দাঁড়িয়েছে ২৭.৯৩ শতাংশে। এক মাসের ব্যবধানে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ কমেছে ০.০৫ শতাংশ।

আমরা টেক: ৩১ মে আমরা নেটে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ৪৬.৯৬ শতাংশ। যা ৩০ জুন এসে দাঁড়িয়েছে ৪৭.৪১ শতাংশে। এক মাসের ব্যবধানে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেড়েছে ০.৪৫ শতাংশ।

এডিএন টেলিকম: ৩১ মে আমরা নেটে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ২৩.৭৫ শতাংশ। যা ৩০ জুন এসে দাঁড়িয়েছে ২১.৭৭ শতাংশে। এক মাসের ব্যবধানে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ কমেছে ১.৯৮ শতাংশ।

অগ্নি সিস্টেমস: ৩১ মে আমরা নেটে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ৪৬ শতাংশ। যা ৩০ জুন এসে দাঁড়িয়েছে ৪৪.৯৭ শতাংশে। এক মাসের ব্যবধানে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ কমেছে ১.০৩ শতাংশ।

বিডিকম: ৩১ মে আমরা নেটে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ২৫.০২ শতাংশ। যা ৩০ জুন এসে দাঁড়িয়েছে ২৫.৭৮ শতাংশে। এক মাসের ব্যবধানে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেড়েছে ০.৭৬ শতাংশ।

ড্যাফোডিল কম্পিউটার: ৩১ মে আমরা নেটে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ২৫.৬৭ শতাংশ। যা ৩০ জুন এসে দাঁড়িয়েছে ২৫.০৭ শতাংশে। এক মাসের ব্যবধানে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ কমেছে ০.৬০ শতাংশ। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটিতে বিদেশি বিনিয়োগও কমেছে ০.০১ শতাংশ।

ই-জেনারেশন: ৩১ মে আমরা নেটে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ২৯.৭৮ শতাংশ। যা ৩০ জুন এসে দাঁড়িয়েছে ৩১.৩২ শতাংশে। এক মাসের ব্যবধানে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেড়েছে ১.৫৪ শতাংশ।

ইনফরমেশন সার্ভিসেস: ৩১ মে আমরা নেটে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ১২.৫৭ শতাংশ। যা ৩০ জুন এসে দাঁড়িয়েছে ১৩.৩৮ শতাংশে। এক মাসের ব্যবধানে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেড়েছে ০.৮১ শতাংশ।

আইটি কনসালট্যান্টস্: ৩১ মে আমরা নেটে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ২৫.১০ শতাংশ। যা ৩০ জুন এসে দাঁড়িয়েছে ২৩.৬৬ শতাংশে। এক মাসের ব্যবধানে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ কমেছে ১.৪৪ শতাংশ। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটিতে বিদেশি বিনিয়োগও বেড়েছে ০.০৪ শতাংশ।

পুঁজিবাজার মূলধন বেড়েছে ১৬ হাজার কোটি টাকা: করোনা পরিস্থিরি কারণে গত সপ্তাহে মাত্র ৩ দিন পুঁজিবাজারে লেনদেন হয়েছে। এ সময় সূচক বেড়ে নতুন রেকর্ড গড়েছে। আলোচ্য সময়ে পুঁজিবাজারে বাজার মূলধন বেড়েছে ১৬ হাজার ৬৪ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। শনিবার সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য মতে, গত সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৫ লাখ ৩৪ হাজার ৪০৪ কোটি ৮০ লাখ ২৭ হাজার টাকা। সপ্তাহের শেষ দিন তা দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৪৪ হাজার ৩২৬ কোটি ১০ লাখ ৯৪ হাজার টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে বাজার মূলধন বেড়েছে ৯ হাজার ৯২১ কোটি ৩০ লাখ ৬৭ হাজার টাকা বা ১ দশমিক ৮৬ শতাংশ।

গত সপ্তাহের শুরুতে সিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৪ লাখ ৬১ হাজার ৯৮৪ কোটি ১৬ লাখ টাকা। সপ্তাহের শেষ দিন তা দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৬৮ হাজার ১২৭ কোটি ৮২ লাখ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে বাজার মূলধন বেড়েছে ৬ হাজার ১৪৩ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। দুই স্টক এক্সচেঞ্জে অর্থাৎ পুরো পুঁজিবাজারে বাজার মূলধন বেড়েছে ১৬ হাজার ৬৪ কোটি ৯৫ লাখ টাকা।

এদিকে, গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ১৩ কোটি ৯৯ লাখ ৫৭ হাজার টাকা। আগের সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৭ হাজার ১২৮ কোটি ৬৬ লাখ ৫ হাজার টাকা।

আলোচ্য সময়ে ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ১১৪ কোটি ৬৭ লাখ ৪৮ হাজার টাকা বা ১.৬১ শতাংশ। অপরদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) গত সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ২৩৪ কোটি ৩০ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে সিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ২৫৯ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন কমেছে।

গত এক সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৭০ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ৫৯৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে। যা ডিএসইর ইতিহাসে রেকর্ড গড়েছে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ৩৮ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৪৩৯ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৫৮ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ৩৮৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

ডিএসইতে গেত সপ্তাহে মোট ৩৭৭ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এরমধ্যে বেড়েছে ২৮৩টির, কমেছে ৮৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১১টির শেয়ার ও ইউনিট দর।

গত সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৫৫২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯ হাজার ১৮৮ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসসিএক্স ৩২৩ পয়েন্ট বেড়ে ১১ হাজার ৫১৩ পয়েন্ট, সিএসই-৩০ সূচক ৩৬৭ পয়েন্ট বেড়ে ১৪ হাজার ২৪ পয়েন্টে এবং সিএসই-৫০ সূচক ৩৭ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৩৮৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

সিএসইতে গত সপ্তাহে ৩৪০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এরমধ্যে বেড়েছে ২৬৯টির, কমেছে ৫৯ টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১২টির শেয়ার ও ইউনিট দর।

বিজিআইসি মুনাফা ৭২ শতাংশ বেড়েছে: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের (বিজিআইসি) চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে (জানুয়ারি’২১-জুন’২১) শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) ৭২ শতাংশ বেড়েছে। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, কোম্পানিটির চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে (জানুয়ারি’২১-জুন’২১) শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ১.৫৮ টাকা। যার পরিমাণ আগের অর্থবছরের একই সময়ে হয়েছিল ০.৯২ টাকা। এ হিসেবে কোম্পানিটির ইপিএস ০.৬৬ টাকা বা ৭২ শতাংশ বেড়েছে।

এদিকে কোম্পানিটির চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল’২১-জুন’২১) ইপিএস হয়েছে ০.৮৯ টাকা। যার পরিমাণ আগের অর্থবছর একই সময়ে হয়েছিল ০.৫২ টাকা।

এ হিসেবে কোম্পানিটির ইপিএস ০.৩৭ টাকা বা ৭১ শতাংশ বেড়েছে। ২০২১ সালের ৩০ জুন কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২১.০৯ টাকায়।