দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি কর্ণফুলী ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের বোর্ড সভার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। কোম্পানিটির বোর্ড সভা আগামী ১২ আগস্ট বিকাল ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, সভায় কোম্পানিটির ৩০ জুন, ২০২১ পর্যন্ত দ্বিতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে অনুমোদনে পর প্রকাশ করবে কোম্পানিটি। আগের প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় করেছিল ৪৫ পয়সা।

সাউথবাংলা ব্যাংকের আইপিও শেয়ার বিও হিসাবে জমা: সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাবে জমা হয়েছে সম্প্রতি প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) সম্পন্ন করা বেসরকারি ব্যাংক সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স (এসবিএসি) ব্যাংক লিমিটেডের আইপিওর শেয়ার।

আজ সোমবার, ৯ আগস্ট বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাবে জমা হয়েছে ব্যাংকটির আইপিওতে বরাদ্দপ্রাপ্ত শেয়ার। এর আগে গত (২৯) জুলাই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান কারযালয় নিকুঞ্জে ব্যাংকটির শেয়ার বরাদ্দ দেওয়া হয়। সিডিবিএল সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, আইপিও নীতিমালায় সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংকের আইপিওতে সাধারণ বিনিয়োগকারী প্রতি ১০ হাজার টাকায় ৬৬ শেয়ার পেয়েছেন। প্রবাসী বিনিয়োগকারী প্রতি ১০ হাজার টাকায় ১০৮ শেয়ার পেয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্থ বিনিয়োগকারীরা প্রতি ১০ হাজার টাকার বিপরীতে ৭৬টি করে শেয়ার বরাদ্দ পেয়েছেন।

এর আগে ব্যাংকটি গত ৫ জুলাই থেকে ১২ জুলাই পর্যন্ত আইপিও আবেদন সম্পন্ন করে। আইপিওতে ব্যাংকটি অভিহিত মূল্য তথা ১০ টাকা দামে ১০ কোটি সাধারণ শেয়ার ইস্যু করে। আর এর মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে ১০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করে।

পুঁজিবাজার থেকে ব্যাংকটি অর্থ উত্তোলন করে সরকারি সিকিউরিটিজ ক্রয় এবং আইপিও খরচ খাতে ব্যয় করবে। ২০১৩ সালে বাণিজ্যিকভাবে যাত্রা শুরু করা সাউথবাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক গত ৯ মে আইপিওর অনুমোদন পায়। ওইদিন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) তার ৭৭৩তম সভায় এ অনুমোদন দেয়।

সাউথবাংলা এগ্রিকালচার ব্যাংকের ২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী পুন:মূল্যায়ন ছাড়া নেট অ্যাসেটভ্যালু হয়েছে ১৩.১৮ টাকা। আর ওই বছরের ৯ মাসে ইপিএস হয়েছে ০.৯৪ টাকা। যা বিগত ৫ বছরের ভারিত গড় হারে হয়েছে ১.২৪ টাকা। আইপিওতে ব্যাংকটির ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড।

পুঁজিবাজারে নুতন চার রেকর্ড সৃষ্টি: পুঁজিবাজারে রেকর্ডের পর রেকর্ড হচ্ছে। আজও পুঁজিবাজারে অনন্য চার রেকর্ড হয়েছে। এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) তিনটি সূচকই চালুর পর থেকে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে শীর্ষে অবস্থান করছে। আর ১১ বছরের মধ্যে ডিএসইতে টাকার পরিমাণে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে আজ। ডিএসই সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

এদিন ডিএসইতে ২ হাজার ৯৩৯ কোটি ৪৫ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ডিএসইতে আজ যে পরিমাণ লেনদেন হয়েছে তা ১০ বছর ৮ মাস ৪ দিন বা ২ হাজার ৫২৮ কার্যদিবসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। এর আগে ২০১০ সালের ৫ ডিসেম্বর আজকের চেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছিল। ওইদিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৩ হাজার ২৪৯ কোটি ৫৭ লাখ টাকার।

আজ ডিএসইর সব সূচকেরও নতুন রেকর্ড গড়েছে। ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৩২.০৬ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার ৬২৮.১৪ পয়েন্টে। ডিএসইর এই সূচকটি শুরু দিন থেকে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চে অবস্থান করেছে। এর আগে সূচকটি গত ৫ আগস্ট সর্বোচ্চ স্থানে অবস্থান করছিল। সূচকটি ২০১৩ সালের ২৭ জানুয়ারি থেকে চালু হয়।

আজ লেনদেন শেষে ডিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ১২.৭৬ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৬.৭৩ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে এক হাজার ৪৫২.১১ পয়েন্টে এবং দুই হাজার ৩৯২.৬২ পয়েন্টে। এই দুই সূচক অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চে অবস্থান করছে। এর আগে শরিয়াহ সূচক ২০১৪ সালের ১৯ জানুয়ারি ৯৪১.২৭ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ২০১৩ সালের ২৭ জানুয়ারি ১ হাজার ৪৬০.৩০ পয়েন্টে চালু হয়েছে।

ডিএসইতে আজ ৩৭৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ১৮১টির বা ৪৮.৪০ শতাংশের, শেয়ার দর কমেছে ১৭৩টির বা ৪৬.২৬ শতাংশের এবং ২০টির বা ৫.৩৪ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১০১.৪৪ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯ হাজার ২৮৯.৭৮ পয়েন্টে। সিএসইতে আজ ৩২১টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৫৭টির দর বেড়েছে, কমেছে ১৪৪টির আর ২০টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে ১২৮ কোটি ১৮ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

সাউথবাংলা ব্যাংকের আইপিও শেয়ার বিও হিসাবে জমা: সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাবে জমা হয়েছে সম্প্রতি প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) সম্পন্ন করা বেসরকারি ব্যাংক সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স (এসবিএসি) ব্যাংক লিমিটেডের আইপিওর শেয়ার। আজ সোমবার, ৯ আগস্ট বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাবে জমা হয়েছে ব্যাংকটির আইপিওতে বরাদ্দপ্রাপ্ত শেয়ার। এর আগে গত (২৯) জুলাই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান কারযালয় নিকুঞ্জে ব্যাংকটির শেয়ার বরাদ্দ দেওয়া হয়। সিডিবিএল সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, আইপিও নীতিমালায় সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংকের আইপিওতে সাধারণ বিনিয়োগকারী প্রতি ১০ হাজার টাকায় ৬৬ শেয়ার পেয়েছেন। প্রবাসী বিনিয়োগকারী প্রতি ১০ হাজার টাকায় ১০৮ শেয়ার পেয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্থ বিনিয়োগকারীরা প্রতি ১০ হাজার টাকার বিপরীতে ৭৬টি করে শেয়ার বরাদ্দ পেয়েছেন।

এর আগে ব্যাংকটি গত ৫ জুলাই থেকে ১২ জুলাই পর্যন্ত আইপিও আবেদন সম্পন্ন করে। আইপিওতে ব্যাংকটি অভিহিত মূল্য তথা ১০ টাকা দামে ১০ কোটি সাধারণ শেয়ার ইস্যু করে। আর এর মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে ১০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করে।

পুঁজিবাজার থেকে ব্যাংকটি অর্থ উত্তোলন করে সরকারি সিকিউরিটিজ ক্রয় এবং আইপিও খরচ খাতে ব্যয় করবে। ২০১৩ সালে বাণিজ্যিকভাবে যাত্রা শুরু করা সাউথবাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক গত ৯ মে আইপিওর অনুমোদন পায়। ওইদিন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) তার ৭৭৩তম সভায় এ অনুমোদন দেয়।

সাউথবাংলা এগ্রিকালচার ব্যাংকের ২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী পুন:মূল্যায়ন ছাড়া নেট অ্যাসেটভ্যালু হয়েছে ১৩.১৮ টাকা। আর ওই বছরের ৯ মাসে ইপিএস হয়েছে ০.৯৪ টাকা। যা বিগত ৫ বছরের ভারিত গড় হারে হয়েছে ১.২৪ টাকা। আইপিওতে ব্যাংকটির ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড।

মহামারীতে স্পিনিং মিলস ব্যবসায় রমরমা: করোনা মহামারীতে অনেক কারখানা মালিক এত বেশি অর্ডার পেয়েছেন যে বর্তমান সক্ষমতা নিয়ে সময়মতো অর্ডার ডেলিভারি দিতে পারছেন না। কয়েকটি কোম্পানি ইতোমধ্যে ঘোষণা দিয়েছে, আগামী ছয় মাসের মধ্যে নতুন কোনো অর্ডার নিতে পারবে না। মুলত আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদা বাড়ায় রমরমা ব্যবসায় করছে স্পিনিং মিলস গুলো।

এর প্রভাব পড়ছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের স্পিনিং মিলসের। তাছাড়া তৈরি পোশাক ও বস্ত্র খাতের প্রধান কাঁচামাল সুতা। সাম্প্রতিক সময়ে এই সুতার চাহিদা বেড়েছে আশাতীতভাবে। ক্রমাগত ক্রয়াদেশ বাড়ছে স্পিনিং মিলগুলোয়। অনেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত নতুন ক্রয়াদেশ পেয়েছে গত বছরের তুলনায়।

এর প্রভাবে এ খাতের তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দাম ক্রমাগত ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে গত তিন মাস ধরে। এসব ক্রয়াদেশ বাংলাদেশে আসছে মূলত চীন, ভারত ও মিয়ানমার থেকে। বাড়তি চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে সচল থাকা স্পিনিং খাতের কোম্পানিগুলো। উৎপাদন সক্ষমতার পুরোটা ব্যবহার করতে নিচ্ছে নানা কৌশল। তৈরি পোশাক, বস্ত্র, স্পিনিং খাতের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র ও আন্তর্জাতিক কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের তথ্য ঘেঁটে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।

সূত্রমতে, কভিড মহামারি, শ্রমদর, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক মেরুকরণের ফলে অনেক ক্রেতা এখন বাংলাদেশমুখী। যথাসময়ে পণ্য পেতে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক ও বস্ত্র খাতে সাম্প্রতিক সময়ে ক্রয়াদেশ বাড়িয়েছেন ক্রেতারা। যথাসময়ে পণ্য দিতে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে আমদানির পরিবর্তে দেশীয় কোম্পানির দিকে বেশি ঝুঁকছেন তৈরি পোশাক ও বস্ত্র খাতের মালিকরা। এতে স্পিনিং মিলগুলো থেকে উৎপাদিত সুতার চাহিদা বেড়েছে তাদের।

বিটিএমএর তথ্যানুসারে, ২০২০ সালে বাংলাদেশে ৪৩৩টিরও বেশি স্পিনিং মিল চালু ছিল। এ কারখানাগুলো বছরে সম্মিলিতভাবে ৩২৭০ টন কেজি তন্তু উৎপাদনে সক্ষম। স্থানীয় উৎপাদকরা নিটওয়্যারের জন্য প্রয়োজনীয় তন্তু ও ফ্যাব্রিকের প্রায় ৮৫-৮৯ শতাংশ সরবরাহ করতে সক্ষম।
বিটিএমএ-র তথ্যানুযায়ী, বোনা কাপড়ের খাতে যে পরিমাণ তন্তুর চাহিদা আছে, স্থানীয় তাঁতিরা তার ৪০ শতাংশের কম সরবরাহ করতে পারে।

এ কারণে কারণে বোনা পোশাক শিল্প বিদেশি ফ্যাব্রিকের ওপর নির্ভরশীল। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক আন্তর্জাতিক পোশাক নির্মাতাদের সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল ম্যানুফ্যাকচারার ফেডারেশন-এর (আইটিএমএফ) তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী উৎপাদিত মোট পোশাকের ৭৮ শতাংশই কৃত্রিম তন্তু থেকে তৈরি হয়। বাকি ২২ শতাংশ তৈরি হয় তুলার তন্তু থেকে।

করোনা মহামারির মধ্যেও উৎপাদনক্ষমতা বাড়াতে ও নতুন প্রযুক্তির জন্য পোশাক খাতে বিপুল বিনিয়োগ করেছেন টেক্সটাইল উদ্যোক্তারা। দেশের পোশাক খাতের ক্রমবর্ধমান রপ্তানি চাহিদা মেটাবার জন্যই বাড়ছে বিনিয়োগ।

সূত্র মতে, ২০১৮-১৯ অর্থবছর পর্যন্ত এক দশকে তৈরি পোশাকের রপ্তানি ১৭৬ শতাংশ বেড়ে পেয়ে ৩৪.১৩ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। এই সময়ে ওভেন পোশাকের রপ্তানি ১৯৮ শতাংশ বেড়ে ১৬.৬৩ বিলিয়ন ডলার এবং নিট পোশাকের রপ্তানি ১৬৫ শতাংশ বেড়ে ১৬.৫ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে তৈরি পোশাক রপ্তানি করে দেশ ২৮.৫ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো-র (ইপিবি) তথ্যানুযায়ী, মোট রপ্তানির এই পরিমাণ গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ১১.১ শতাংশ বেশি, কিন্তু ২০১৮-১৯ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১০ শতাংশ কম। পোশাক রপ্তানিকারকরা আশা করছেন, এই অর্থবছরে পোশাক রপ্তানি ৩৪ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে।

পরিসংখ্যান বলছে, তৈরি পোশাক খাত থেকে ২০১৯-২০ অর্থবছরে রপ্তানি হয়েছে তিন হাজার ১৪৫ কোটি ৬৭ লাখ ডলারের পণ্য। পূর্ববর্তী বছর অর্থাৎ ২০১৯-২০-এ যা ছিল দুই হাজার ৭৯৪ কোটি ৯১ লাখ ডলার। করোনা-পূর্ববর্তী সময় অর্থাৎ ২০১৮-১৯ অর্থবছরে রপ্তানির পরিমাণ ছিল তিন হাজার ৪১৩ কোটি ৩২ লাখ ডলার। ২০১৯-২০ অর্থবছরে এ খাত থেকে রপ্তানি কমেছিল ৬১৮ কোটি ৪০ লাখ ডলার।

স্থানীয় মুদ্রায় পাঁচ হাজার ২৫৬ কোটি টাকা। পরের অর্থবছর অর্থাৎ ২০২০-২১-এ কিছুটা বাড়লেও ২০১৮-১৯-এর তুলনায় ঘাটতি রয়েছে ২৬৭ কোটি ৬৫ লাখ ডলার। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত দুই অর্থবছরের আগের অবস্থানে ফিরে যেতে পারে রপ্তানি বাজার।

এর সঙ্গে বাড়তি প্রবৃদ্ধি যোগ করলে রপ্তানি সাড়ে তিন হাজার কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে। এতে গত দুই বছরের ঘাটতি পূরণ হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এসব মিলিয়ে এবার মোট রপ্তানি বাজারের লক্ষ্যমাত্রা আশা করা হচ্ছে, চার হাজার ছাড়িয়ে চার হাজার ২০০ কোটি ডলারে যাবে। এখন সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোক্তাদের দায়িত্বই হচ্ছে করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণে আনা। সবাইকে কাজে ফেরানো। নীতি সহায়তা ও কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে পারলে এটি সম্ভাবনা হয়ে দেখা দিতে পারে।

এ বিষয়ে একাধিক স্পিনিং মিল মালিক ও প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের সঙ্গে কথা বলেছেন এ প্রতিবেদক। এর মধ্যে কয়েকটি রয়েছে দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তারা দৈনিক দেশ প্রতিক্ষণকে বলেন, হঠাৎ গত কয়েক মাসে ক্রয়াদেশ বৃদ্ধির পেছনে কয়েকটি ফ্যাক্টর কাজ করেছে। যেগুলো বাস্তবতা পরিস্থিতিতে তৈরি হয়েছে।

আমাদের তৈরি ফিনিশড বা ব্যবহার উপযোগী পণ্যের প্রধান রপ্তানি বাজার ইউরোপ। এখন সেখানকার করোনা পরিস্থিতি উন্নতি হয়েছে। মানুষজন স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে শুরু করেছেন। কভিডকালে বাসায় থাকায় হোম অ্যাপ্লায়েন্স পণ্য বিশেষ করে বিছানার চাদর থেকে শুরু করে তোয়ালে, ম্যাট্রেস, আরামদায়ক গৃহ থাকাকালীন পোশাকের ব্যবহার বেশি হয়েছে। আবার তৈরি পোশাকগুলো পুরোনো হয়েছে। এখন সেসবের চাহিদা বেড়েছে।

স্বাভাবিক সময়ের হিসেবে এ মৌসুম হচ্ছে আমাদের অর্ডার নেয়ার সময়। কিন্তু পার্শবর্তী দেশগুলো কেউ করোনা, আবার কেউবা আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সমস্যায় পড়ে গেছে। ভারতে করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় মিল-কারখানা সচল রাখতে পারছে না। কবে নাগাদ পরিস্থিতি উন্নতি হবে তাও বলা যাচ্ছে না। মিয়ানমারে সরকার ও রাজনৈতিক সমস্যা চলছে। এসব বিবেচনায় বাংলাদেশ অনেকটাই মুক্ত। এজন্য বড় ক্রেতারা বাংলাদেশের দিকেই ঝুঁকছেন।

ক্রেতারা মনে করছেন, বাংলাদেশ থেকে যথাসময়ে পণ্য পাওয়া যাবে। আবার আন্তর্জাতিক বাজারে কিছু পণ্যের দাম বেড়েছে। সব দেশে শিপ চলাচল করছে না। বাংলাদেশে এখন কারখানাগুলো সচল রাখা যাচ্ছে। আবার বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা যথাসময়ে পণ্য দেয়ার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে পেরেছেন। সব মিলিয়ে ক্রেতারা আমাদের বেছে নিচ্ছেন। তাই ক্রয়াদেশ বেড়েছে।

এ বিষয়ে বিকেএমইএর ভাইস প্রেসিডেন্ট-২ ও মেট্রো নিটিং অ্যান্ড ডায়িং মিলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অমল পোদ্দার বলেন, ‘নতুন ক্রয়াদেশ আসছে। আমাদের নিটিং খাতের বড় রপ্তানি বাজার হচ্ছে ইউরোপের দেশগুলো। বায়াররাও ইউরোপকেন্দ্রিক। কিন্তু সেই বায়াররা এখন বাংলাদেশে ক্রয়াদেশ বাড়িয়েছে। এমনকি চীন থেকেও নতুন চাহিদা আসছে। পাশাপাশি মিয়ানমার ও ভারত থেকেও চাহিদা আসছে। ভালো সক্ষমতার কিছু মিল আগামী ছয় মাসে নতুন কোনো অর্ডার নিতে পারবে না।’

শিল্প সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এ খাতে ৪২০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ হচ্ছে, যা গত এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ। এ বিনিয়োগের উদ্দেশ্য আন্তর্জাতিক বাজারের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাবার জন্য উৎপাদন মান বাড়ানো ও উৎপাদন ব্যবস্থার আধুনিকায়ন করা। আন্তর্জাতিক বাজারে কৃত্রিম তন্তুর চাহিদা বেশি বলেই জানিয়েছেন তারা। ব্যাপক টিকাদান কর্মসূচির কারণে বাংলাদেশের পোশাকের সবচেয়ে বড় দুই বাজার ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রে মহামারি প্রকোপ কমে গেছে।

ফলে এই বাজারগুলোতে তৈরি পোশাকের চাহিদা এখন আবার প্রায় কোভিডপূর্ব সময়ের সমান বলে জানিয়েছেন শিল্প সংশ্লিষ্টরা। অনেক কারখানা মালিক এত বেশি অর্ডার পেয়েছেন যে বর্তমান সক্ষমতা নিয়ে সময়মতো অর্ডার ডেলিভারি দিতে পারবেন না। এছাড়া চীন-আমেরিকার বাণিজ্যযুদ্ধও দেশের উদ্যোক্তাদের তন্তু এবং ফ্যাব্রিকে বিনিয়োগে উৎসাহিত করেছে।

শিল্প সংশ্লিষ্টদের বরাতে আরও জানা যায়, ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ হিসেবে দেশের পোশাক খাত পলিয়েস্টার, সিন্থেটিক, ভিসকোস লিক্রা-র (কৃত্রিম তন্তু হিসেবে পরিচিত) মতো মিশ্র তন্তু ও ফ্যাব্রিক উৎপাদনে পিছিয়ে আছে। ক্রেতাদের চাহিদা মেটাবার জন্য দেশের উদ্যোক্তাদের এখনও এ জাতীয় তন্তু ও ফ্যাব্রিক আমদানি করে আনতে হয়। বাংলাদেশের প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলো ইতোমধ্যে এসব পণ্য উৎপাদনের জন্য তাদের প্রযুক্তির উন্নতি ঘটিয়েছে। এ কারণেও দেশের উদ্যোক্তারা কারখানার আধুনিকীকরণ ও উৎপাদন সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ব্যাপক বিনিয়োগ করছেন। স্টেকহোল্ডারদের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, নতুন বিনিয়োগের ফলে প্রায় ৬,০০০ লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে বলে আশা করা যায়।

বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন জানিয়েছেন, প্রায় প্রতিটি কারখানা এখন বিএমআরই (ব্যালেন্সিং, মডার্নাইজেশন, রিহ্যাবিলিটেশন, এক্সপেনশন) অর্থাৎ ভারসাম্যকরণ, আধুনিকায়ন, পুনর্বাসন ও সম্প্রসারণে বিনিয়োগ করছে। তিনি আরও জানান, গত দশ বছরে যেসব কারখানা এসব খাতে বিনিয়োগ করেনি, তারা এখন ব্যবসা থেকে ছিটকে পড়েছে।

সুতি ও কৃত্রিম ফ্যব্রিকসহ টেক্সটাইল পণ্যের চাহিদা বেড়েছে জানিয়ে মোহাম্মদ আলী খোকন বলেন, ‘বর্তমানে আমার কারখানায় প্রতিদিন ১০০ টন কাপড়ের রপ্তানি অর্ডার রয়েছে। কিন্তু আমাদের উৎপাদন ক্ষমতা মাত্র ৬০ টন। স্থানীয় উদ্যোক্তা ছাড়াও বিদেশি বিনিয়োগকারীরাও কৃত্রিম ফ্যাব্রিক উৎপাদনের জন্য দেশে কারখানা স্থাপনের জন্য এগিয়ে আসছেন।

কোরিয়ান এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোনের মালিক, বিখ্যাত কোরিয়ান শিল্প গ্রুপ ইয়ংগোন কোরিয়ান এ বছরের প্রথম দিকে ঘোষণা দিয়েছিল যে তারা কৃত্রিম ফ্যাব্রিক উৎপাদনে ২০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে। কিন্তু কৃত্রিম তন্তু তৈরি প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ অনেক পিছিয়ে আছে।

এনভয় টেক্সটাইলসের চেয়ারম্যান কুতুবউদ্দিন আহমে বলেন, মিশ্র তন্তু উৎপাদনের সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য তাদের প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগ করছে। তারা আশা করছেন, এর ফলে ওভার-রেট খরচ কমে আসবে। পুরনো কারখানা হিসেবে আমাদেরকে নতুনদের চেয়ে তুলনামূলকভাবে কম বিনিয়োগ করতে হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ইউরোপ ও আমেরিকায় কাপড়ের চাহিদা শিগগিরই মহামারিপূর্ব সময়ের চেয়েও বেড়ে যেতে পারে ধারণা করে তাদের কোম্পানির সক্ষমতা অগ্রাধিকার ঠিক করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সাবেক সভাপতি কুতুবউদ্দীন আহমদ আরও বলেন, বিক্রির জন্য যাতে কোনো মার্কেটিং করতে না হয়, সেজন্য তার প্রতিষ্ঠান উন্নতমানের ফ্যাব্রিক তৈরি করে। চীন-মার্কিন বাণিজ্যযুদ্ধের কারণেও আমাদের মিশ্র তন্তু উৎপাদনের ক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে। আগে এ তন্তু চীন থেকে আমদানি করা হতো। পোশাক খাতের আরেক বড় রপ্তানিকারক ডিবিএল গ্রুপ সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ৫৬২ কোটি টাকা বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

টেকসই পণ্য উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে শাশা ডেনিম জমি কেনার জন্য ইতোমধ্যে ৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামস মাহমুদ জানিয়েছেন, তারা বিদ্যমান সক্ষমতা ব্যবহার করে আরও বেশি উচ্চমান সম্পন্ন পণ্য উৎপাদনের পরিকল্পনা করছেন। এছাড়াও সুতা কাটা রিসাইকেলিংয়ের জন্য একটি নতুন প্ল্যান্ট ও পরিবেশবান্ধব ওয়াশিং প্ল্যান্ট স্থাপনের কাজও চালিয়ে যাচ্ছে কোম্পানিটি।

নতুন প্রকল্পটিতে প্রায় ৫ কোটি মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করা হবে বলে জানান শামস মাহমুদ। গত বছর ডেনিম মিলটি ইতালিয়ান টেক্সটাইল মিল ইওএস টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডের একটি অংশও কিনে নেয়।

ডিএসই বিক্রেতা সংকটে ১০ কোম্পানির শেয়ার: পুঁজিরবাজারে তালিকাভুক্ত ১০ কোম্পানির শেয়ার বিক্রি করার মতো কোনো বিনিয়োগকারী নেই। আজ লেনদেন চলাকালীন সময় কোম্পানিগুলোর শেয়ার বিক্রেতা শূন্য হয়ে পড়েছে। ফলে সর্বোচ্চ দরেও কোম্পানিগুলোর শেয়ার কিনতে পারছে না বিনিয়োগকারীরা ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্যজানা গেছে।

কোম্পানিগুলোর হলো : ভিএফএস থ্রেড ডাইং, একমি ল্যাবরেটরিজ, আলহাজ্ব টেক্সটাইল, উসমানিয়া গ্লাস, মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজ, তাল্লু স্পিনিং, তশরিফা, মিথুন নিটিং, এপোলো ইস্পাত এবং বেঙ্গল উইন্ডসোর।

জানা গেছে, আগেরদিন ভিএফএস থ্রেড ডাইংয়ের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ২৭ টাকায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ২৭ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৯.৭০ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ২.৭০ টাকা বা ১০ শতাংশ বেড়েছে।

একমি ল্যাবরেটরিজ : আগেরদিন একমি ল্যাবরেটরিজের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৮০.১০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ৮১.৩০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৮৮.১০ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ৮ টাকা বা ৯.৯৮ শতাংশ বেড়েছে।

উসমানিয়া গ্লাস : আগেরদিন উসমানিয়া গ্লাসের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৬২.৭০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ৬৮.৯০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৬৮.৯০ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ৬.২০ টাকা বা ৯.৮৮ শতাংশ বেড়েছে।

মিরাকল : আগেরদিন মিরাকলের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৩৬.৫০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ৩৭ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৪০.১০ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ৩.৬০ টাকা বা ৯.৮৬ শতাংশ বেড়েছে।

তাল্লু স্পিনিং : আগেরদিন তাল্লু স্পিনিংয়ের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৮.২০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ৮.৩০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৯ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ০.৮০ টাকা বা ৯.৭৫ শতাংশ বেড়েছে।

তশরিফা : আগেরদিন তশরিফার শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ১৮.৭০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ১৯.৩০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২০.৫০ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ১.৮০ টাকা বা ৯.৬২ শতাংশ বেড়েছে।

আলহাজ্ব টেক্সটাইল : আগেরদিন আলহাজ্ব টেক্সটাইলের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৪৬.৪০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ৪৭.২০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৫১ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ৪.৬০ টাকা বা ৯.৯১ শতাংশ বেড়েছে।

এপোলো ইস্পাত : আগেরদিন এপোলো ইস্পাতের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ১১.৯০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ১২.২০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৩ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ১.১০ টাকা বা ৯.২৪ শতাংশ বেড়েছে।

মিথুন নিটিং : আগেরদিন মিথুন নিটিংয়ের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ১৪.৭০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ১৫.৩০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৬.১০ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ১.৪০ টাকা বা ৯.৫২ শতাংশ বেড়েছে।

বেঙ্গল উইন্ডসোর : আগেরদিন বেঙ্গল উইন্ডসোরের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ২৮.৭০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ২৯ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩১.৫০ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ২.৮০ টাকা বা ৯.৭৫ শতাংশ বেড়েছে।

উৎপাদন শুরু করেছে উসমানিয়া গ্লাস: ফের উৎপাদন শুরু করেছে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত উসমানিয়া গ্লাস। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রায় দেড় মাস বন্ধ থাকার পর উৎপাদন শুরু করেছে প্রতিষ্ঠানটি। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য মতে, উসমানিয়া গ্লাসের কারখানায় গত ২৩ জুন আগুন লাগে। ফলে প্রায় দেড় মাস বন্ধ ছিল প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদন। ফের ৬ আগস্ট থেকে উৎপাদন শুরু করেছে কোম্পানিটি। উসমানিয়া গ্লাস শেয়ারবাজারে ১৯৮৭ সালে তালিকাভুক্ত হয়েছে। কোম্পানিটির শেয়ার সর্বশেষ ৬৮.৯০ টাকায় লেনদেন হয়েছে।

বিমা দাবি আদায় করবে মোজাফফর হোসেন স্পিনিং: অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বিমা দাবি আদায় করবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি মোজাফফর হোসেন স্পিনিং লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য মতে, কোম্পানিটির পর্ষদ বিমা দাবি ১ কোটি ২৮ লাখ ৩৪ হাজার ৩৬৪ টাকা আদায়ের অনুমোদন দিয়েছে। গত বছরের ১ নভেম্বর কোম্পানিটির অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পুনরুদ্ধারের জন্য কোম্পানিটি এই অর্থ আদায়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

মোজাফফর হোসেন স্পিনিং উল্লেখিত বিমা দাবির অর্থ ঋণ পরিশোধ, যন্ত্রপাতি পুনঃনির্মাণ এবং অন্যান্য জরুরি আনুসঙ্গিক কাজে ব্যয় করবে। কোম্পানিটি ২০১৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছে।

ডিএসইতে ১১ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ লেনদেন, সূচক ৬৬০০ পয়েন্টের মাইলফলক: পুঁজিবাজার সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সূচকের নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস সোমবার সূচকের বড় উত্থানে লেনদেন শেষ হয়েছে।

এদিন ডিএসইর ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সূচক ৬ হাজার ৬০০ পয়েন্টের নতুন মাইলফলক স্পর্শ করেছে। আগের সব রেকর্ড ভেঙে ধারাবাহিকভাবে নতুন রেকর্ড গড়েই চলেছে ডিএসইর সূচক। একইসঙ্গে এদিন টাকার পরিমাণেও লেনদেন বেড়েছে। এদিন দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রায় ১১ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে। ফলে এদিন ডিএসই’র সূচকের সঙ্গেও বাজার মূলধনে ফের নতুন রেকর্ড গড়েছে।

সোমবার উভয় শেয়ারবাজারে লেনদেনে অংশ নেওয়া অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। ডিএসই ও সিএসই সূত্রে জানা গেছে, সোমবার ডিএসইর প্রধান ডিএসইএক্স সূচকটি ৩২.০৬ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৬ হাজার ৬২৮.১৪ পয়েন্টে। সূচকটি অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ অবস্থানে পৌঁছায়।

এর আগে গত ৫ আগস্ট ডিএসইএক্স সূচকটি ৬০.২০ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান নেয় ৬ হাজার ৫৯৬.০৭ পয়েন্টে। তবে ঠিক পরের কার্যদিবস সোমবার সেই রেকর্ড ভেঙে ফের নতুন রেকর্ড গড়লো ডিএসইএক্স। তার আগে গত ৩ আগস্ট ডিএসইএক্স সূচকটি ৫৪.৩০ পয়েন্ট বেড়ে পৌঁছে ৬ হাজার ৫৩৫ পয়েন্টে।

এর আগে ২ আগস্ট ডিএসইএক্স সূচক ৬ হাজার ৪৮১ পয়েন্টে অবস্থান করে রেকর্ড গড়ে। তার আগে গত ২৯ জুলাই ডিএসইএক্স সূচক ৬ হাজার ৪২৫ পয়েন্টে এবং ২৫ জুলাই ৬ হাজার ৪২৪ পয়েন্টে অবস্থান করে রেকর্ড গড়েছিল। ডিএসইএক্স বর্তমান সূচকটি চালুর পর ২০১৭ সালের ২৬ নভেম্বর ৬ হাজার ৩৩৬ পয়েন্টে সর্বোচ্চ অবস্থানে পৌঁছেছিল। পরে শেয়ারবাজারে দীর্ঘ মন্দার প্রভাবে সূচক আর এ অবস্থানে পৌঁছাতে পারেনি।

চলতি বছরের ৩০ মে ডিএসইএক্স সূচক বেড়ে ৬ হাজার পয়েন্ট অতিক্রম করে। সূচক এ অবস্থানে আসতে সময় লেগেছে ৩ বছর ২ মাস। তারপর থেকে ডিএসইর সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় একের পর এক নতুন রেকর্ড গড়েই চলেছে। গত ১৮ জুলাই সূচক ৬ হাজার ৩৬৫ পয়েন্টে পৌঁছায়। পরদিন ১৯ জুলাই ৬ হাজার ৪০৫ পয়েন্টে দাঁড়ায় সূচক।

২৫ জুলাই ৬ হাজার ৪২৪ পয়েন্টে, ২৯ জুলাই ৬ হাজার ৪২৫ পয়েন্টে অবস্থান করে একের পর এক নতুন রেকর্ড গড়েছে। এদিন একইভাবে ডিএসই-৩০ সূচক ৬.৭৩ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ২ হাজার ৩৯২.৬২ পয়েন্টে, যা ডিএসইর ইতিহাসে সূচকটির সর্বোচ্চ অবস্থান। এর আগে গত ৫ আগস্ট ডিএসই- ৩০ সূচক ১৯.৪৪ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ২ হাজার ৩৮৫.৮৯ পয়েন্টে।

এদিকে, ডিএসইর শরিয়াহ সূচক ১২.৭৬ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ৪৫২.১১ পয়েন্টে, যা ডিএসইর ইতিহাসে সূচকটির সর্বোচ্চ অবস্থান। এর আগে গত ৫ আগস্ট শরিয়াহ সূচক ১৪.৭৩ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ১ হাজার ৪৩৯.৩৪ পয়েন্টে।

দিন শেষে ডিএসইতে ৩৭৪টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৭৮টির, কমেছে ১৭২টির এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ২৪টির। ডিএসইতে ২ হাজার ৯১০ কোটি ৩৮ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে, যা আগের দিনের চেয়ে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা বেশি।

সোমবার অপর শেয়ারবাজার সিএসইর প্রধান সিএসইএক্স সূচক ৮১.৩৮ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১১ হাজার ৫৯৪.৭০ পয়েন্টে। আর সার্বিক সিএএসপিআই সূচক ১৩৫.৪৯ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৯ হাজার ৩২৩.৮২ পয়েন্টে। এদিন, সিএসইতে ৩২১টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৬৫টির, কমেছে ১৪১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৫টির। দিন শেষে সিএসইতে ১২৭ কোটি ৫৫ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা আগের দিনের চেয়ে ৪৭ কোটি টাকা বেশি।ডিএসইর প্রতিনিধি দলের নূরানী ডাইংয়ের কারখানা পরিদর্শন: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) একটি প্রতিনিধি দল নূরানী ডাইং অ্যান্ড সোয়েটার লিমিটেডের কারখানা ও হেড অফিস পরিদর্শন করেছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, কোম্পানিটির কারখানা বন্ধ থাকায় ডিএসইর প্রতিনিধি দল কারখানার ভেতরে ও হেড অফিসে ঢুকতে পারেনি। প্রসঙ্গত, বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে নূরানী ডাইং (জানুয়ারি-মার্চ,২১) শেয়ার প্রতি ২৮ পয়সা লোকসান করেছে।

সানলাইফ ইন্স্যুরেন্সের পর্ষদ সভা ১৬ আগস্ট: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের সভার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। কোম্পানিটির পর্ষদ সভা আগামী ১৬ আগস্ট বিকাল ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, সভায় কোম্পানিটির ৩১ ডিসেম্বর ,২০২০ সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। পর্ষদ আলোচিত প্রতিবেদন অনুমোদন করলে তা প্রকাশ করবে কোম্পানিটি। ২০১৯ সালে কোম্পানিটি কোনো লভ্যাংশ দেয়নি।

১৫ কোটির লিন্ডে বিডি এখন ২১০৪ কোটি টাকা: দেশে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় অক্সিজেনের চাহিদা বেড়েছে। সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে বর্তমানে মোট অক্সিজেনের চাহিদা ২০০ থেকে ২২০ টন। এই অক্সিজেনের ১৬০ থেকে ১৭০ টন সরবরাহ করছে পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান লিন্ডে বাংলাদেশ লিমিটেড।

উৎপাদন বৃদ্ধির খবরে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারের দামও বাড়ছে। ১৫ কোটি টাকার প্রতিষ্ঠানটি গত তিন মাসে ১৭৩ কোটি ৪৮ লাখ ৮৬ হাজার ২০০ টাকা বেড়ে বর্তমানে এর বাজার মূল্য দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ১০৪ কোটি টাকায়। প্রতিনিয়ত শেয়ারের দাম বাড়ায় পুঁজিবাজার চাঙা রাখতে অবদান রাখছে লিন্ডে বাংলাদেশ। করোনায় মুনাফার এই উত্থান থেকে এরই মধ্যে নতুন করে দেশীয় তিনটি প্রতিষ্ঠান অক্সিজেন উৎপাদন শুরু করেছে।

লিন্ডে বাংলাদেশের তথ্য অনুযায়ী, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের শুরুতে অর্থাৎ এপ্রিল মাসে প্রতিষ্ঠানটি প্রতিদিন ৯০ টন অক্সিজেন উৎপাদন করতো। মে-জুন মাস থেকে করোনার সংক্রমণ বাড়ায় হাসপাতালগুলোতে রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকে। আর করোনার রোগীদের প্রধান উপকরণ হচ্ছে অক্সিজেন। ফলে অক্সিজেনের চাহিদাও বাড়তে থাকে।

১৫ কোটি টাকার প্রতিষ্ঠানটি গত তিন মাসে ১৭৩ কোটি ৪৮ লাখ ৮৬ হাজার ২০০ টাকা বেড়ে বর্তমানে এর বাজার মূল্য দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ১০৪ কোটি টাকায়। প্রতিনিয়ত শেয়ারের দাম বাড়ায় পুঁজিবাজার চাঙা রাখতে অবদান রাখছে লিন্ডে বাংলাদেশ

আগে যেখানে হাসপাতালগুলোতে দৈনিক অক্সিজেনের চাহিদা ছিল ১২০ থেকে ১৩০ টন, সেখানে এখন প্রয়োজন হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টন। এই প্রয়োজন মেটাতে লিন্ডে বাংলাদেশ বর্তমানে দৈনিক ১৬০ থেকে ১৭০ টন অক্সিজেন উৎপাদন করছে। অর্থাৎ ৭৩ থেকে ৭৫ শতাংশ উৎপাদন করছে প্রতিষ্ঠানটি। বাকি ৫০ থেকে ৬০ টন উৎপাদন করছে দেশীয় পাঁচ প্রতিষ্ঠান।

সেগুলো হচ্ছে- স্পেকট্রা অক্সিজেন লিমিটেড, ইসলাম অক্সিজেন, এ কে অক্সিজেন, ইউনিয়ন অক্সিজেন ও আবুল খায়ের স্টিল মেল্টিং মিল। তাদের মধ্যে স্পেকট্রা ও ইসলাম অক্সিজেন উৎপাদন করছে ২০ শতাংশ। বাকি ২ থেকে ৫ শতাংশ উৎপাদন করছে এ কে অক্সিজেন, ইউনিয়ন অক্সিজেন ও আবুল খায়ের স্টিল মেল্টিং মিল।

উৎপাদন হিসাবে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানটি একাই মোট চাহিদার ৭৩ থেকে ৭৫ শতাংশ অক্সিজেন সরবরাহ করছে। ফলে এপ্রিল থেকে গত ৩১ জুন পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটির মুনাফা বেড়েছে ৩৭১ শতাংশ। এ খবরে এর শেয়ারের দাম ১১৪ টাকা থেকে বেড়ে এক হাজার ৩৮২ টাকায় সর্বশেষ লেনদেন হয়েছে। গত এক মাসে শেয়ারটির দাম বেড়েছে ৮০ টাকা।

এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির সচিব আবু মোহাম্মদ নেসার বলেন, সাধারণত এপ্রিল থেকে জুন সময়ে অক্সিজেনের চাহিদা কম থাকে। কিন্তু এ বছর করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় অক্সিজেনের চাহিদা বেড়েছে। ফলে অক্সিজেনের উৎপাদন ও বিক্রি বেড়েছে কয়েকগুণ।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানটি একাই মোট চাহিদার ৭৩ থেকে ৭৫ শতাংশ অক্সিজেন সরবরাহ করছে। ফলে এপ্রিল থেকে গত ৩১ জুন পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটির মুনাফা বেড়েছে ৩৭১ শতাংশ। এ খবরে এর শেয়ারের দাম ১১৪ টাকা থেকে বেড়ে এক হাজার ৩৮২ টাকায় সর্বশেষ লেনদেন হয়েছে। গত এক মাসে শেয়ারটির দাম বেড়েছে ৮০ টাকা

তিনি আরও বলেন, ২০২০ সালের এপ্রিল-জুন সময়ের চেয়ে চলতি বছরের এপ্রিল-জুন এই তিন মাসে প্রতিষ্ঠানটির মুনাফা বেড়েছে প্রায় পাঁচগুণ। অর্থাৎ দ্বিতীয় প্রান্তিকে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) দাঁড়িয়েছে ২২ টাকা ৫৪ পয়সা। যা এর আগের বছর একই সময়ে ছিল ৪ টাকা ৭৯ পয়সা। অর্থাৎ প্রতিটি শেয়ারে প্রায় ১৮ টাকা মুনাফা বেড়েছে।

এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির মুখপাত্র সায়েকা মাজেদ বলেন, দেশে এখন প্রতিদিন ২০০ থেকে ২২০ টন অক্সিজেনের প্রয়োজন হচ্ছে। আমাদের কারখানা দুটি সম্পূর্ণ সক্ষমতা দিয়ে অক্সিজেন উৎপাদন করছে। প্রতিদিন আমরা ১৬০ থেকে ১৭০ টন অক্সিজেন সরবরাহ করছি।

প্রতিষ্ঠানটির তথ্য অনুযায়ী, উৎপাদন বাড়ায় এর শেয়ারের দাম ১২ এপ্রিল থেকে বাড়ছে। ওইদিন শেয়ারের দাম ছিল এক হাজার ২৬৮ টাকা। সেখান থেকে ১১৪ টাকা বেড়ে গত ৩ আগস্ট লেনদেন হয়েছে এক হাজার ৩৮২ টাকায়। এর মধ্যে ৫ জুন শেয়ারটি দাম ছিল এক হাজার ৩০২ টাকা ৮০ পয়সা। গত ৩ আগস্ট ৮০ টাকা বেড়ে লেনদেন হয়েছে এক হাজার ৩৮২ টাকায়।

২০২০ সালের এপ্রিল-জুন সময়ের চেয়ে চলতি বছরের এপ্রিল-জুন এই তিন মাসে প্রতিষ্ঠানটির মুনাফা বেড়েছে প্রায় পাঁচগুণ। অর্থাৎ দ্বিতীয় প্রান্তিকে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) দাঁড়িয়েছে ২২ টাকা ৫৪ পয়সা। যা এর আগের বছর একই সময়ে ছিল ৪ টাকা ৭৯ পয়সা। অর্থাৎ প্রতিটি শেয়ারে প্রায় ১৮ টাকা মুনাফা বেড়েছে।

শেয়ারের দাম বাড়ায় ১৯৭৬ সালে ১৫ কোটি ২১ লাখ আট হাজার টাকার বাজার মূল্যের প্রতিষ্ঠানটি গত তিন মাসে ১৭৩ কোটি ৪৮ লাখ ৮৬ হাজার টাকা বেড়ে বর্তমানে দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ১০৪ কোটি আট লাখ ২২ হাজার টাকায়। অর্থাৎ ৪৫ বছরে প্রতিষ্ঠানটির বাজার মূল্য ১৪০ গুণেরও বেশি বেড়েছে।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের প্রতিষ্ঠানটির এক কোটি ৫২ লাখ ১৮ হাজার ৩০০টি শেয়ারের মধ্যে এর উদ্যোক্তা-পরিচালকদের হাতে রয়েছে ৬০ শতাংশ শেয়ার। এছাড়া বিনিয়োগকারীদের হাতে ৩১ দশমিক ৯০ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে ৮ দশমিক ১০ শতাংশ শেয়ার। গত বছর অর্থাৎ ২০২০ সালে বিনিয়োগকারীদের জন্য ৪০০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এর আগের বছর (২০১৯ সাল) দেওয়া হয় ৫০০ শতাংশ লভ্যাংশ।

আল-আরাফাহর ফের এমডি হচ্ছেন ফরমান আর চৌধুরী: আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এবং সিইও হিসেবে ফরমান আর চৌধুরীকে দ্বিতীয় মেয়াদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। গত রোববার ব্যাংকের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, আগামী ১ অক্টোবর থেকে আগামী ৪ বছরের জন্য তাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। ফরমান আর চৌধুরী ২০১৮ সালের ১ অক্টোবর থেকে আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

এর আগে তিনি শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের এমডি এবং সিইও হিসেবে ৫ বছর এবং ওয়ান ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে ৬ বছর দায়িত্ব পালন করেছেন। ফরমান আর চৌধুরী আমেরিকান এক্সপ্রেস ব্যাংকে ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি হিসেবে ১৯৮৬ সালে যোগদানের মাধ্যমে তার কর্মজীবন শুরু করেন এবং ওই ব্যাংকে দীর্ঘ ১২ বছর বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেন।
ব্যাংকিং অপারেশন বিশেষ করে ক্রেডিট এবং মার্কেটিং কার্যক্রমে তার রয়েছে অপার অভিজ্ঞতা।

তিনি স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বহু প্রতিষ্ঠান থেকে ব্যাংকিং বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন এবং দেশে ও বিদেশে অনুষ্ঠিত ব্যাংকিং এবং আর্থিক খাত সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, কর্মশালা ও প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন।

সাউথ বাংলা ব্যাংকের লেনদেন শুরু ১১ আগষ্ট : তালিকাভুক্ত হওয়ার সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে সাউথ বাংলা অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স (এসবিএসি) ব্যাংক লিমিটেড। আগামী বুধবার থেকে পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরু হবে প্রতিষ্ঠানটির। এদিন দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) এসবিএসি ব্যাংক (ঝইঅঈ ইধহশ) কোড নম্বরে লেনদেন শুরু হবে। ক্যাটাগরি হবে ‘এন’। ডিএসই সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

এ বিষয়ে ডিএসইর সিনিয়র কর্মকর্তা বলেন, বুধবার যদি ব্যাংক বন্ধ না থাকে তবে এসবিএসি ব্যাংকের লেনদেন শুরু হবে। আর যদি লেনদেন বন্ধ থাকে তবে পুঁজিবাজারেও লেনদেন বন্ধ থাকবে। ফলে বৃহস্পতিবার প্রতিষ্ঠানটির লেনদেন শুরু হবে। উল্লেখ্য, করোনার সংক্রমণ রোধে সরকার মঙ্গলবার পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ চালু রেখেছে। ১১ আগস্ট থেকে শিথিল হচ্ছে বিধিনিষেধ। ফলে বুধবার ব্যাংকের লেনদেন বন্ধ রাখা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন একাধিক বাংককার।

গত ৫ জুলাই থেকে ১২ জুলাই পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটির আইপিওতে আবদেন গ্রহণ করা হয়। নিয়ম অনুসারে, কোম্পানির আইপিওতে সাধারণ বিনিয়োগকারী প্রতি ১০ হাজার টাকায় ৬৬টি শেয়ার পেয়েছেন। প্রবাসী বিনিয়োগকারী প্রতি ১০ হাজার টাকায় ১০৮ শেয়ার পেয়েছেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীরা প্রতি ১০ হাজার টাকার বিপরীতে ৭৬টি করে শেয়ার বরাদ্দ পেয়েছেন।

১০ কোটি সাধারণ শেয়ার ইস্যু করে পুঁজিবাজার থেকে ১০০ কোটি টাকা উত্তোলন করেছে সাউথ বাংলা ব্যাংক। আইপিওর অর্থ দিয়ে ব্যাংকটি সরকারি সিকিউরিটিজ ক্রয় এবং আইপিও খরচ খাতে ব্যয় করবে।

কোম্পানিটির ২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী পুনঃমূল্যায়ন ছাড়া নেট অ্যাসেট ভ্যালু হয়েছে ১৩ দশমিক ১৮ টাকা। আর ওই বছরের ৯ মাসে ইপিএস হয়েছে ৯৪ পয়সা। যা বিগত ৫ বছরের ভারিত গড় হারে হয়েছে ১ দশমিক ২৪ টাকা।

আইপিওতে কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট। স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্তির পূর্বে ব্যাংকটি কোনো প্রকার লভ্যাংশ ঘোষণা, অনুমোদন ও বিতরণ করতে পারবে না।

গত ৯ মে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৭৭৩তম সভায় কোম্পানিটিকে বাজার থেকে অর্থ উত্তোলনের জন্য আইপিও অনুমোদন দেওয়া হয়।