দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ব্লক মার্কেটে ৬৩টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব কোম্পানির ১৫৯ কোটি ৬০ লাখ ৫৭ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। কোম্পানিগুলোর ৪ কোটি ২২ লাখ ৫৪ হাজার ৭০৯টি শেয়ার ১০৭ বার হাত বদল হয়েছে। এর মাধ্যমে কোম্পানিগুলোর ১৫৯ কোটি ৬০ লাখ ৫৭ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে।

কোম্পানিগুলোর মধ্যে ৩ কোম্পানির বিশাল লেনদেন হয়েছে। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি শেয়ার লেনদেন হয়েছে আল আরাফা ইসলামী ব্যাংকের। কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৭৭ কোটি ২০ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ডেল্টা লাইফের ৩৫ কোটি ৮৫ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার। তৃতীয় সর্বোচ্চ ন্যাশনাল হাউজিংয়ের ২২ কোটি ১৮ লক্ষ ৪৬ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে।

এছাড়া, বেক্সিমকোর ২ কোটি ৯৫ লক্ষ ৯০ হাজার টাকার, জিবিবি পাওয়ারের ২ কোটি ১১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্সের ২ কোটি ৪ লক্ষ ১০ হাজার টাকার, ইসলামিক ফাইন্যান্সের ১ কোটি ১৪ লক্ষ ২৮ হাজার টাকার, প্রিমিয়ার সিমেন্টের ১ কোটি ১০ লক্ষ ৪০ হাজার টাকার, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর ১ কোটি ৭ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকার,

কে এন্ড কিউয়ের ১ কোটি টাকার, বেক্সিমকো ফার্মার ৯৪ লক্ষ টাকার, ফার কেমিক্যালের ৭৮ লক্ষ ২০ হাজার টাকার, বিকনফার্মার ৭৭ লক্ষ ৫২ হাজার টাকার, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইলের ৭৪ লক্ষ ৩৯ হাজার টাকার, রেনাটার ৬৮ লক্ষ ৭০ হাজার টাকার, কাট্টালি টেক্সটাইলের ৬৬ লক্ষ ৮০ হাজার টাকার, রহিমা ফুডের ৬৩ লক্ষ ৮০ হাজার টাকার,

আরএকে সিরামিকের ৬১ লক্ষ ৬৬ হাজার টাকার, ব্র্যাক ব্যাংকের ৫৩ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকার, নাহি অ্যালুমিনিয়ামের ৫১ লক্ষ টাকার, আমান ফিডের ৪১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকার, গ্রামীণফোনের ৪১ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকার, আরামিট সিমেন্টের ৩৫ লক্ষ ৬৪ হাজার টাকার, বেলিজিংয়ের ৩৪ লক্ষ ৩২ হাজার টাকার, এস্কোয়ার নিটের ৩৩ লক্ষ টাকার, ইউনাইটেড পাওয়ারের ২৮ লক্ষ ৯০ হাজার টাকার, ইজেনারেশনের ২৬ লক্ষ ৭৪ হাজার টাকার, কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্সের ২৪ লক্ষ ৬৯ হাজার টাকার,

ফর্চুন সুজের ১৯ লক্ষ ১১ হাজার টাকার, মালেক স্পিনিংয়ের ১৯ লক্ষ ১০ হাজার টাকার, আইএফআইসি ব্যাংকের ১৫ লক্ষ ৯৮ হাজার টাকার, ন্যাশনাল ফিড মিলের ১৪ লক্ষ ৫২ হাজার টাকার, পপুলার ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ১৩ লক্ষ ৮৭ হাজার টাকার, বারাকা পাওয়ারের ১৩ লক্ষ ৬৮ হাজার টাকার, তাল্লু স্পিনিংয়ের ১৩ লক্ষ ১৬ হাজার টাকার, এপেক্স ফুডের ১২ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকার, সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্সের ১২ লক্ষ ২০ হাজার টাকার, মেট্রো স্পিনিংয়ের ১১ লক্ষ ৮৫ হাজার টাকার,

সিম টেক্সের ১১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকার, ইন্ডেক্স এগ্রোর ১১ লক্ষ ৪ হাজার টাকার, আজিজ পাইপসের ১০ লক্ষ ৮০ হাজার টাকার, পিপলস ইন্সুরেন্সের ১০ লক্ষ ৫৮ হাজার টাকার, আরডি ফুডের ১০ লক্ষ ৩২ হাজার টাকার, রূপালী ব্যাংকের ১০ লক্ষ ২০ হাজার টাকার, সোনালী পেপারের ১০ লক্ষ ১৫ হাজার টাকার, ওয়াইম্যাক্সের ৮ লক্ষ ৯৬ হাজার, বিডি ফাইন্যান্সের৮ লক্ষ ৯২ হাজার টাকার, রুপালি ইন্স্যুরেন্সের৮ লক্ষ ৪০ হাজার টাকার,তাকাফুল ইন্স্যুরেন্সের৮ লক্ষ ২২ হাজার টাকার,

অলিম্পিকের৭ লক্ষ ৩০ হাজার টাকার, স্কয়ার ফার্মার৭ লক্ষ টাকার, ম্যাকসন স্পিনিংয়ের৬ লক্ষ ৯০ হাজার টাকার, ফনিক্স ফাইন্যান্স মিউচুয়াল ফান্ডের৫ লক্ষ ৮৫ হাজার টাকার, গোল্ডেন হারভেস্টের৫ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকার, ওরিয়ন ফার্মার৫ লক্ষ ৬২ হাজার টাকার, সালভো কেমিক্যালের ৫ লক্ষ ৬২ হাজার টাকার, প্রিমিয়ার লিজিংয়ের৫ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার,

ইন্ট্রাকো সিএনজির৫ লক্ষ ৩৮ হাজার টাকার, জেনেক্স ইনফোসিসের ৫ লক্ষ ২৫ হাজার টাকার, অ্যাসোসিয়েট অক্সিজেনের ৫ লক্ষ ৫ হাজার টাকার এবং কেয়া কসমেটিকসের৫ লক্ষ ৫ হাজার টাকার, ফার্মা এইডের ৫ লক্ষ ৪ হাজার টাকার এবং সোনারবাংলা ইন্সুরেন্সের ৫ লক্ষ ৪ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে।

৯ কোম্পানির কারসাজি খতিয়ে দেখতে বিএসইসির তদন্ত কমিটি: দীর্ঘ মন্দার পর পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতার আভাস দিচ্ছে। হারানো পুঁজি ফিরে পাওয়ার স্বপ্ন দেখছেন বিনিয়োগকারীরা। ফলে চাঙ্গাভাবে বদৌলতে ভাল-মন্দ সব কোম্পানির শেয়ার দর যেন এক হয়ে গেছে। বরং ভাল কোম্পানির চেয়ে অনেক দূর্বল মৌলের কোম্পানির শেয়ারের দর অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে।

এ অবস্থায় সাম্প্রতিক সময়ে দাম বৃদ্ধি পাওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে ৯টি কোম্পানির দর বৃদ্ধির কারণ খতিয়ে দেখতে বিএসইসির তদন্ত কমিটি গঠন করছে। কোম্পানিগুলোর শেয়ার দর খতিয়ে দেখতে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। মঙ্গলবার তদন্ত সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়। বিএসইসি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে বিএসইসির পরিচালক শেখ মাহবুব উর রহমানকে। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হচ্ছেন: বিএসইসির সহকারী পরিচালক জিয়াউর রহমান, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) উপমহাব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া ও সেন্ট্রাল ডিপজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) অ্যাপ্লিকেশন সাপোর্ট বিভাগের প্রধান মইনুল হক। কমিটিকে কমিশনে তাদের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে ৬০ কার্যদিবস সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে।

যে কোম্পানিগুলোর বিষয়ে তদন্ত হবে, সেগুলো হচ্ছে: আনোয়ার গ্যালভানাইজিং, জিবিবি পাওয়ার, এমারেল্ড অয়েল, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইনস্যুরেন্স, ন্যাশনাল ফিড মিল, পেপার প্রসেসিং অ্যান্ড প্যাকেজিং, ঢাকা ডায়িং, ফুয়াং সিরামিক ও বিকন ফার্মা লিমিটেড। আলোচিত কোম্পানিগুলোর মধ্যে এমারেল্ড অয়েল, ন্যাশনাল ফিড মিল, পেপার প্রসেসিং অ্যান্ড প্যাকেজিং ও ঢাকা ডায়িংয়ের উৎপাদন মাঝখানে বেশ কিছুদিন বন্ধ ছিল।

তারপরও গত ৬ মাসে কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দর ৫ থেকে ৭ গুণ পর্যন্ত বেড়েছে। তিন বছর আগেও বিকন ফার্মা তার উৎপাদনক্ষমতার বেশিরভাগ ব্যবহার করতে পারতো না। কারণ বাজারে এর উৎপাদিত ওষুধের ওই পরিমাণ চাহিদা ছিল না।

তাই কোম্পানিটি তার কারখানায় নিজেদের ওষুধের পাশাপাশি ভাড়ায় স্কয়ার ফার্মার ওষুধ তৈরি করে আয় বাড়ানোর চেষ্টা করেছে। তবে গত ২ বছরে কোম্পানিটির আয় কিছুটা বেড়েছে। কিন্তু আয় ৩৬ শতাংশ বাড়লেও শেয়ারের দাম বেড়েছে প্রায় ৮০০ শতাংশ।

ইস্টল্যান্ড ইন্স্যুরেন্সের পৌনে ১৭ লাখ শেয়ার বিক্রির ঘোষণা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বীমা খাতের কোম্পানি ইস্টল্যান্ড ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের এক উদ্যোক্তা পরিচালক পৌনে ১৭ লাখ শেয়ার বিক্রির ঘোষণা দিয়েছেন। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, উদ্যোক্তা পরিচালক মোয়াজ্জেম হোসেনের কাছে থাকা কোম্পানিটির সব শেয়ার অর্থাৎ ১৬ লাখ ৭৭ হাজার ৮১১টি শেয়ার পাবলিক মার্কেটে বিক্রি করার ঘোষণা দিয়েছেন। ঘোষণাকৃত শেয়ার আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে বিক্রি সম্পন্ন করবেন এই উদ্যোক্তা পরিচালক।

সাউথবাংলা ব্যাংকের দ্বিতীয় প্রান্তিক প্রকাশ: পুঁজিবাজারে লেনদেনের প্রক্রিয়ায় থাকা সাউথবাংলা এগ্রিকালচারাল ব্যাংক লিমিটেড চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি-জুন’২১) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ডিএসই সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

চলতি অর্থবছরের ৬ মাসে (জানুয়ারি-জুন’২১) ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩১ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ৪৯ পয়সা।

আইপিও পরবর্তী শেয়ার হিসাবে ব্যাংকটির ইপিএস দাঁড়িয়েছে ২৭ পয়সায়। আলোচ্য সময়ে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি প্রকৃত সম্পদ মূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৫ টাকা ২৮ পয়সা। আর আইপিও পরবর্তী শেয়ার হিসাবে দাঁড়ায় ১৪ টাকা ৬১ পয়সা।

নূরানি ডাইং অ্যান্ড স্যুয়েটার কোম্পানির বন্ধের তথ্য গোপন: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত নূরানি ডাইং অ্যান্ড স্যুয়েটার কোম্পানি বন্ধ হয়ে গেছে। এটি মূল্য সংবেদনশীল তথ্য (পিএসআই) হলেও বিনিয়োগকারীদের তা জানায়নি কোম্পানিটি।

প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) একটি প্রতিনিধি দল সম্প্রতি নূরানি ডাইংয়ের কারখানা এবং প্রধান কার্যালয় সরেজমিনে পরিদর্শনে যায়। সেখানে গিয়ে তারা কোম্পানিটির কারখানা এবং কার্যালয় বন্ধ পায়। যে কারণে পরিদর্শন দলটিটি কোম্পানিটির ভেতরে প্রবেশ করতে পারেনি।

২০১৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার পরে স্বল্প সময়ের ব্যবধানে এই দূরবস্থার মধ্যে নেমে আসল নূরানি ডাইং। ওই বছর কোম্পানিটির ব্যবসা সম্প্রসারনের জন্য প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) পুঁজিবাজার থেকে ৪৩ কোটি টাকা সংগ্রহ করা হয়। অথচ তালিকাভুক্তির ৩য় অর্থবছরেই কোম্পানিটি লোকসানের কবলে পড়েছে।

এই কোম্পানিটির ২০২০-২১ অর্থবছরের ৯ মাসে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ০.৯৫ টাকা। কিন্তু এখন আইপিওর অর্থ ব্যবহারের সুফল আসতে শুরু হওয়ার সময় হলেও বন্ধ হয়ে গেছে কোম্পানিটি।

জানা গেছে, নূরানি ডাইংয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক এসকে নুরুল আলম মারা যাওয়ার পরেই শোচণীয় অবস্থায় দিকে ধাবিত হতে থাকে কোম্পানিটি। তিনিই মূলত কোম্পানিটি পরিচালনা করতেন। তবে তার অবর্তমানে পর্ষদের অন্য পরিচালকেরা বা তার ছেলে-মেয়েরা সেটাকে এগিয়ে নিতে ব্যর্থ হয়েছেন।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া নূরানি ডাইংয়ের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ১২২ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। এরমধ্যে পুঁজিবাজারের বিভিন্ন শ্রেণীর (উদ্যোক্তা/পরিচালক ব্যতিত) বিনিয়োগকারীদের মালিকানা ৬৯.০৭ শতাংশ।

৩ বীমা কোম্পানির ক্রেডিট রেটিং সম্পন্ন: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৩ বীমা কোম্পানির ক্রেডিট রেটিং সম্পন্ন করা হয়েছে। কোম্পানিগুলো হচ্ছে- মাইডাস ফাইন্যান্স, কর্নফুলী ইন্স্যুরেন্স এবং এশিয়া প্যাসিফিক ইন্স্যুরেন্স। ডিএসই সূত্রে এ তত্য জানা গেছে।

মাইডাস ফাইন্যান্স : ন্যাশনাল ক্রেডিট রেটিং লিমিটেড (এনসিআর) মাইডাসের ’এ’ হিসেবে দীর্ঘমেয়াদি এবং ‘এসটি-২’ হিসেবে স্বল্পমেয়াদে রেটিং করেছে। ৩১ ডিসেম্বর,২০২০ সমাপ্ত সময়ের কোম্পানিটির নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনসহ প্রাসঙ্গিক অন্যান্য তথ্যের ভিত্তিতে এ রেটিং দেওয়া হয়েছে।

কর্নফুলী ইন্স্যুরেন্স : আলফা ক্রেডিট রেটিং লিমিটেড (আলফা রেটিং) কর্ণফুলী ইন্স্যুরেন্সকে “এএ+” হিসেবে দীর্ঘমেয়াদি এব ‘এসটি-২’ হিসেবে স্বল্পমেয়াদি রেটিং করেছে। কোম্পানিটির ৩১ ডিসেম্বর ,২০২০ পর্যন্ত নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনসহ প্রাসঙ্গিক অন্যান্য তথ্যের ভিত্তিতে এ রেটিং দেওয়া হয়েছে।

এশিয়া প্যাসিফিক ইন্স্যুরেন্স : আলফা রেটিং লিমিটেড (আলফা রেটিং) এশিয়া প্যাসিফিক ইন্স্যুরেন্সকে “এএ+” হিসেবে দীর্ঘমেয়াদি এবং ‘এসটি-১’ স্বল্পমেয়াদি রেটিং করেছে। কোম্পানিটির ৩১ ডিসেম্বর ,২০২০ পর্যন্ত নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনসহ প্রাসঙ্গিক অন্যান্য তথ্যের ভিত্তিতে এ রেটিং দেওয়া হয়েছে।

ডিএসই মার্কেট লিডারের তালিকায় নতুন ৪ কোম্পানি: পুঁজিবাজারে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা ষ্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই ) মার্কেট লিডারের তালিকায় নতুন করে চার কোম্পানি উঠে এসেছে। কোম্পানিগুলো হলো: অ্যাপোলো ইস্পাত, ইসলামিক ফাইন্যান্স, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স এবং এমএল ডাইং লিমিটেড। এছাড়া ও লিডারের তালিকায় রয়েছে বেক্সিমকো, ওরিয়ন ফার্মা, আইএফআইসি ব্যাংক, জিপিএইচ ইস্পাত, মালেক স্পিনিং, ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকো কোম্পানি এবং ফু ওয়াং। ডিএসই সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

অ্যাপোলো ইস্পাত: আজ অ্যাপোলো ইস্পাতের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩ কোটি ১৬ লাখ ৮৬ হাজার ৪৩০টি। যার বাজার মুল্য ছিলো ৪৩ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। কোম্পানিটি ডিএসইর মার্কেট লিডারের ৫ম স্থানে উঠে এসেছে। আজ কোম্পানিটি দর বেড়েছে ১০ পয়সা বা ০.৭৭ শতাংশ। আগেরদিন কোম্পানিটির শেয়ারদর ছিল ১৩ টাকা। আজ ক্লোজিং দর হয়েছে ১৩ টাকা ১০ পয়সায়।

ইসলামিক ফাইন্যান্স: আজ ইসলামিক ফাইন্যান্সের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১ কোটি ৬৪ লাখ ৮০ হাজার ৯৫৭টি। যার বাজার মুল্য ছিলো ৪২ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। কোম্পানিটি ডিএসইর মার্কেট লিডারের ৬ষ্ট স্থানে উঠে এসেছে। আজ কোম্পানিটি দর বেড়েছে ২ টাকা ৩০ পয়সা বা ৯.৭০ শতাংশ। আগেরদিন কোম্পানিটির শেয়ারদর ছিল ২৩ টাকা ৭০ পয়সা। আজ ক্লোজিং দর হয়েছে ২৬ টাকা।

লংকবাংলা ফাইন্যান্স: আজ লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১ কোটি ১০ লাখ ২৪ হাজার ৭৮৭টি। যার বাজার মুল্য ছিলো ৪০ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। কোম্পানিটি ডিএসইর মার্কেট লিডারের ৮ম স্থানে উঠে এসেছে। আজ কোম্পানিটি দর বেড়েছে ০.৮০ টাকা বা ৫.৪৯ শতাংশ। আগেরদিন কোম্পানিটির শেয়ারদর ছিল ৩৬ টাকা ২০ পয়সা। আজ ক্লোজিং দর হয়েছে ৩৭ টাকা ।

এমএল ডাইং: আজ এমএল ডাইংয়ের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১ কোটি ৫ লাখ ৮৩ হাজার ৭৯১টি। যার বাজার মুল্য ছিলো ৩৪ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। কোম্পানিটি ডিএসইর মার্কেট লিডারের ৯ম স্থানে উঠে এসেছে। আজ কোম্পানিটি দর বেড়েছে ০.৮০ টাকা বা ২.৫১ শতাংশ। আগেরদিন কোম্পানিটির শেয়ারদর ছিল ৩১ টাকা ৯০ পয়সা। আজ ক্লোজিং দর হয়েছে ৩২ টাকা ৭০পয়সা।

ডিএসই বড় পতন থেকে রক্ষা ১০ কোম্পানির: পুঁজিবাজারে টানা ৬ কার্যদিবস উত্থানের পর সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস কিছুটা সংশোধন হয়েছে। এদিন প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১০.৩০ পয়েন্ট। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, এদিন ১০ কোম্পানির শেয়ার দর বৃদ্ধির কারণে বাজার বড় পতন থেকে রক্ষা পেয়েছে।

কোম্পানিগুলো হলো- ওয়ালটন হাইটেক, লাফার্জ হোলসিম, আইএফআইস ব্যাংক, একমি ল্যাব, ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো, রেনাটা, এমজেএল বাংলাদেশ, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, আইসিবি এবং আইপিডিসি।

কোম্পানিগুলোর মধ্যে ওয়ালটনের দর বেড়েছে ১.০২ শতাংশ, ব্রিটিশ আমেরিকান টেবাকোর দর বেড়েছে ০.৮৬ শতাংশ, লাফার্জ হোলসিমের দর বেড়েছে ৩.২৯ শতাংশ, আইএফআইস ব্যাংকের দর বেড়েছে ৭.২৮ শতাংশ, একমি ল্যাবের দর বেড়েছে ৬.৯২ শতাংশ, রেনাটার দর বেড়েছে ০.৮৮ শতাংশ, এমজেএল বাংলাদেশের দর বেড়েছে ৩.৮৫ শতাংশ, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজের দর বেড়েছে ৩.০১ শতাংশ, আইসিবির দর বেড়েছে ১.০৮ শতাংশ এবং আইপিডিসির দর বেড়েছে ৯.৩০ শতাংশ।

কোম্পানি ১০টির দর বাড়াতে ডিএসইর সূচকে বৃদ্ধিতে অবদান রেখেছে ৪০ পয়েন্ট। এর মধ্যে ওয়ালটন হাইটেকের জন্য যোগ হয়েছে ১২.৯৩, লাফার্জ হোলসিমের জন্য ৫.৮৬, আইএফআইসি ব্যাংকের জন্য ৪.২৯,

একমি ল্যাবের জন্য ২.৯১, ব্রিটিশ আমেরকিান টোবাকোর জন্য ২.৭৩, রেনাটার ২.৭১, এমজেএল বাংলাদেশের জন্য ২.৫৪, অলিম্পিকের জন্য ২.৪৮, আইসিবির জন্য ২.৪০ এবং আইপিডিসির জন্য ২.৩০ পয়েন্ট। কোম্পানিগুলোর শেয়ার দর যদি না বাড়তে তাহলে ডিএসইতে আজ আরও ৪০ পয়েন্টের পতন।

ডিএসই বিক্রেতা সংকটে ৪ কোম্পানির শেয়ার: পুঁজিবাজারে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সূচকের ওঠানামার মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে। লেনদেন চলাকালীন দর বেড়ে ৪ কোম্পানির শেয়ার বিক্রেতা সংকটে পড়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, যেসব কোম্পানির শেয়ারে বিক্রেতা সংকট দেখা দিয়েছে সেগুলো হচ্ছে: ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্স, মেঘনা পেট ইন্ডাস্ট্রিজ, তাল্লু স্পিনিং এবং উসমানিয়া গ্লাস।

জানা গেছে, সোমবার ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্সের শেয়ার দর ছিল ৪৭ টাকা। আজ কোম্পানির শেয়ার দর বেড়ে সর্বশেষ ৫১.৭০ টাকায় লেনদেন হয়েছে। কোম্পানির শেয়ার দর ৪.৭০ টাকা বা ১০ শতাংশ বেড়েছে।

মেঘনা পেট: আগেরর দিন কোম্পানির শেয়ার দর ছিল ১৮ টাকা। আজ কোম্পানির শেয়ার দর বেড়ে সর্বশেষ ১৯.৮০ টাকায় বেচাকেনা হয়েছে। কোম্পানির শেয়ার দর ১.৮০ টাকা বা ১০ শতাংশ বেড়েছে।

তাল্লু স্পিনিং: আগের দিন কোম্পানির শেয়ার দর ছিল ৯ টাকা। আজ কোম্পানির শেয়ার দর বেড়ে সর্বশেষ ৯.৯০ টাকায় লেনদেন হয়েছে। কোম্পানির শেয়ার দর ০.৯০ টাকা বা ১০ শতাংশ বেড়েছে।

উসমানিয়া গ্লাস: আগেরর দিন কোম্পানির শেয়ার দর ছিল ৬৮.৯০ টাকা। আজ কোম্পানির শেয়ার দর বেড়ে সর্বশেষ ৭৫.৭০ টাকায় বেচাকেনা হয়েছে। কোম্পানির শেয়ার দর ৬.৮০ টাকা বা ৯.৮৬ শতাংশ বেড়েছে।

বার্জার পেইন্টের মুনাফা ছয় গুন বাড়ছে: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেড চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকের এপ্রিল থেকে জুন, ২০২১ পর্যন্ত ৩ মাসের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) বেড়েছে ৫৯৩ শতাংশ। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য মতে, প্রথম প্রান্তিকের এপ্রিল থেকে জুন, ২০২১ পর্যন্ত ৩ মাসে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ১৬.০৯ টাকা। আগের বছরের একই সময়ে মুনাফা হয়েছিল ২.৩২ টাকা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির মুনাফা বেড়েছে ১৩.৭৭ টাকা বা ৫৯৩ শতাংশ। গত ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৪৮.৮৭ টাকা।

ব্যাংক ও আর্থিক খাতের চমকের দিনেও সূচকের দরপতন: টানা ছয় কার্যদিবস পর দেশের পুঁজিবাজারে সূচক ও লেনদেন সামান্য কমেছে। ব্যাংক ও আর্থিক খাতের প্রায় সব শেয়ারের দাম বৃদ্ধির বিপরীতে বস্ত্র, বিমা এবং ওষুধ ও রসায়নসহ অধিকাংশ খাতের শেয়ারের দাম কমেছে।

তাতে দিনভর সূচক ওঠানামা শেষে পুঁজিবাজারে লেনদেন কমেছে। দিন দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক কমেছে ১০ পয়েন্ট। অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক কমেছে ৮ পয়েন্ট। সূচকের পাশাপাশি কমেছে লেনদেন ও বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। আর তাতে বিনিয়োগকারীদের পুঁজিও কিছুটা কমেছে।

বেশ কিছুদিন ধরে দাম কমার পর মঙ্গলবার আর্থিক খাতের ২৩টি কোম্পানির মধ্যে ২২টির দাম বেড়েছে। আর ব্যাংক খাতের ৩১টির মধ্যে দাম বেড়েছে ২৬টির। এই দুই খাতের দাপটেই বড় দরপতন থেকে রক্ষা পেয়েছে দেশের পুঁজিবাজার।

ডিএসইর তথ্যমতে, মঙ্গলবার মোট ৩৭৫টি প্রতিষ্ঠানের ৯৪ কোটি ১৭ লাখ ২ হাজার ৬৫৪টি শেয়ার হাত বদল হয়েছে। তা থেকে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৮৪০ কোটি ১১ লাখ ৮৭ হাজার টাকা। যা আগের দিন ছিল ২ হাজার ৯৩৯ কোটি ৪৫ লাখ ৮৬ হাজার টাকা বেশি।

লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ১৩৭টির, কমেছে ২৫৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৫টির। বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমায় তিন সূচকের মধ্যে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১০ দশমিক ৩০ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ৬১৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

প্রধান সূচকের পাশাপাশি ডিএসইর অন্য সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ৯ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৪৪২ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৮ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ৩৮৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে। ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে শীর্ষে ছিল বেক্সিমকো লিমিটেড। এরপর ক্রমান্বয়ে ছিল আইএফআইসি ব্যাংক, লাফার্জহোলসিম, অরিয়ন ফার্মা, জিপিএইচ ইস্পাত, ইসলামিক ফাইন্যান্স, মালেক স্পিনিং, লঙ্কা বাংলা ফাইন্যান্স, এমএল ডাইং এবং জিপিএইচ ইস্পাত লিমিটেড।

অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৮ পয়েন্ট কমে ১৯ হাজার ২৮১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৩০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বেড়েছে ১৩২টির, কমেছে ১৮১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৭টি কোম্পানির শেয়ারের দাম। সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১০২ কোটি ১৪ লাখ ১০ হাজার ৪০৪ টাকা। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছে ১২৮ কোটি ১৮ লাখ ২৬ হাজার ৪৬৬ টাকা।