দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বড় উত্থান হয়েছে। তবে বড় উত্থানে , স্বস্তিতে রয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক বেড়েছে ৭৬ পয়েন্ট। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক বেড়েছে ২৩৮ পয়েন্ট। সূচকের পাশাপাশি বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম ও লেনদেন।

এদিন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি প্রকৌশল, বস্ত্র, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি এবং খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের শেয়ারের দাম বেড়েছে। এ খাতগুলো সূচকের উত্থানে অবদান রেখেছে। তবে সূচক পতনে অবদান রেখেছে বিমা ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলো।

সবমিলিয়ে বৃহস্পতিবার ডিএসইতে ২০৯ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ১৪৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৩টির। তিন সূচকের মধ্যে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৭৬ দশমিক ৭ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ৬৯৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

প্রধান সূচকের পাশাপাশি ডিএসইর অন্য সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ১৪ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৪৫৯ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ২৯ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ৪২৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

ডিএসসিতে মোট ৩৭৬ প্রতিষ্ঠানের ৮৯ কোটি ১৮ লাখ ৭৪ হাজার ৬৩৩টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে। তা থেকে মোট লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৬৬১ কোটি ৭০ লাখ ১১ হাজার টাকা, যা আগের দিন ছিল ২ হাজার ২১২ কোটি ৮৯ লাখ ৮৪ হাজার টাকা।

ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে ছিল বেক্সিমকো লিমিটেড। এরপর ক্রমান্বয়ে ছিল লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, আইএফআইসি ব্যাংক, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, বেক্সিমকো ফার্মা, আল আরাফাহ ব্যাংক, মালেক স্পিনিং, ম্যাক্সন স্পিনিং, ওরিয়ন ফার্মা এবং শাইনপুকুর সিরামিক লিমিটেড।

সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২৩৮ পয়েন্ট বেড়ে ১৯ হাজার ৫১৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সিএসইতে ১৯২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ১০৪টির। ২৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৮৯ কোটি ৯৩ লাখ ৭৭ হাজার ৪৮০ টাকা।

পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ব্যাংকগুলো থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অতিরিক্ত অর্থ তুলে নেওয়া এবং নয়টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন- এসব সিদ্ধান্তের কারণে বাজার নিয়ে আগের দুদিন বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এক ধরনের শঙ্কা ও উৎকণ্ঠা কাজ করছিল। কিন্তু আজ শঙ্কা ও উৎকণ্ঠা কাটিয়ে বড় উত্থানে ফিরল পুঁজিবাজার।

হঠাৎ দুই কোম্পানির লেনদেনের চমক: পুঁজিবাজারে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) চাঙ্গা বাজারে বেড়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দর। আজ রেকর্ড পরিমান লেনদেন হতে দেখা গেছে শীর্ষ দশে উঠে আসা নতুন দুই কোম্পানির। কোম্পানি দুটির মধ্যে রয়েছে আলিফ ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি এবং সাইনপুকুর সিরামিক লিমিটেড।

আলিফ ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি : আজ ডিএসইতে আলিফ ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানির লেনদেন হয়েছে ৩ কোটি ৫৬ লাখ ৫২ হাজার ২৯০টি শেয়ার। এটি কোম্পানিটির গত দুই বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ লেনদেন। এর আগে গত ১০ জুন শেয়ারটির লেনদেন হয়েছিল ২ কোটি ৬৬ লাখ ৩২ হাজার ৫১৬টি শেয়ার।

আগেরদিন আলিফ ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানির দর ছিল ১৪ টাকা ৫০ পয়সায়। আজ লেনদেনশেষে ক্লোজিং দর হয়েছে ১৫ টাকা ৮০ পয়সা।। দর বেড়েছে ৮.৯৭ শতাংশ বা ১ টাকা ৩০ পয়সা।

২০২০-২০২১ অর্থবছরে নয় মাসে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) কোম্পানিটি তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৩৯ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ছিল ৬৩ পয়সা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকা ৬৪ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ছিল ১৪ টাকা ৫০ পয়সা।

সাইনপুকুর সিরামিক : আজ ডিএসইতে সাইনপুকুর সিরামিকের লেনদেন হয়েছে ১ কোটি ১২ লাখ ৩৫ হাজার ৩৪৭টি শেয়ার। এটি কোম্পানিটির গত দুই বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ লেনদেন। এর আগে গত ১৪ জুলাই শেয়ারটির লেনদেন হয়েছিল ৯৯ লাখ ৫৮ হাজার ৮৩৮টি শেয়ার।

২০২০-২০২১ অর্থবছরে নয় মাসে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) কোম্পানিটি তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১৪ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ছিল ০১ পয়সা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ৩০ টাকা ১০ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ছিল ২৮ টাকা ৮৮ পয়সা।

ডিএসই বিক্রেতা উধাও তিন কোম্পানির শেয়ারে: শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত তিন কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট বিক্রি করার মতো কোনো বিনিয়োগকারী নেই। আজ (১১ আগস্ট) লেনদেন চলাকালীন সময় কোম্পানিগুলোর শেয়ার বিক্রেতা শূন্য হয়ে পড়েছে। অর্থাৎ কোম্পানিগুলোর শেয়ার দর বেড়ে হল্টেড হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্যজানা গেছে।কোম্পানিগুলোর হলো : সাউথবাংলা অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক, শ্যামপুর সুগার এবং নুরানী ডাইং।

জানা গেছে, বুধবার সাউথবাংলা অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংকের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ১১ টাকায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ১২.১০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১২.১০ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ১.১০ টাকা বা ১০ শতাংশ বেড়েছে।

শ্যামপুর সুগার: বুধবার শ্যামপুর সুগারের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৭২.৬০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ৭৯.৮০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৭৯.৮০ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ৭.২০ টাকা বা ৯.৯১ শতাংশ বেড়েছে।

নুরানী ডাইং : বুধবার নুরানী ডাইংয়ের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৯.৯০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ১০.৩০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১০.৮০ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ০.৯০ টাকা বা ৯.০৯ শতাংশ বেড়েছে।

এশিয়ান টাইগার গ্রোথ ফান্ডের লভ্যাংশে চমক: শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতের এশিয়ান টাইগার সন্ধানী লাইফ গ্রোথ ফান্ডের ট্রাস্টি কমিটি ৩০ জুন ২০২১ সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ইউনিটহোল্ডারদের জন্য ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা শেষে ফান্ডটির ইউনিটপ্রতি মুনাফা (ইপিইউ) হয়েছে ১.৯৩ টাকা। আর ২০২১ সালের ৩০ জুন ফান্ডটির ইউনিটপ্রতি সম্পদ (এনএভিপিইউ) বাজার মূল্য অনুযায়ী দাঁড়িয়েছে ১২.৪১ টাকা। ইউনিটহোল্ডারদের মাঝে লভ্যাংশ বিতরণে ফান্ডটির রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ সেপ্টেম্বর।

ব্লক মার্কেটে ৫ কোম্পানির লেনদেনের চমক :পুঁজিবাজারে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ব্লক মার্কেটে ৫৮টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব কোম্পানির ৬৩ কোটি ৬৬ লাখ ৮৭ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

কোম্পানিগুলোর ১ কোটি ৩৩ লাখ ৯ হাজার ৮৮৪টি শেয়ার ৮৪ বার হাত বদল হয়েছে। এর মাধ্যমে কোম্পানিগুলোর ৬৩ কোটি ৬৬ লাখ ৮৭ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে ৫ কোম্পানির বিশাল লেনদেন হয়েছে। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি শেয়ার লেনদেন হয়েছে সাফকো স্পিনিংয়ের। কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১১ কোটি ৯৩ লাখ ৮০ হাজার টাকার।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ইসলামিক ফাইন্যান্সের ১১ কোটি ৬ লাখ ৮২ হাজার টাকার, তৃতীয় সর্বোচ্চ ব্র্যাক ব্যাংকের ৮ কোটি ৪৪ লাখ ৮০ হাজার টাকার, চতুর্থ সর্বোচ্চ রেনাটার ৫ কোটি ১৪ লাখ ২৩ হাজার টাকার, পঞ্চম সর্বোচ্চ পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্সের ৪ কোটি ৫ লাখ ১ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে।

এছাড়া, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্সের ২ কোটি ৩৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকার, বিকন ফার্মার ২ কোটি ১২ লাখ টাকার, ফরচুন সুজের ২ কোটি হাজার টাকার, মবিল যমুনার ১ কোটি ৮৮ লাখ ০০ হাজার টাকার, বেক্সিমকোর ১ কোটি ৮৫ লাখ ৩৫ হাজার টাকার, ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্সের ১ কোটি ০৫ লাখ ৬০ হাজার টাকার, ফু-ওয়াং সিরামিকের ৯২ লাখ ৪০ হাজার টাকার, রহিম টেক্সটাইলের ৯১ লাখ ৫০ হাজার টাকার, প্রিমিয়ার সিমেন্টের ৮৪ লাখ ৭০ হাজার টাকার,

বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলের ৬৯ লাখ ৯০ হাজার টাকার, এডিএন টেলিকমের ৬৩ লাখ ৮০ হাজার টাকার, শাইনপুকুর সিরামিকের ৪৬ লাখ ৮৩ হাজার টাকার, বেক্সিমকো ফার্মার ৪৩ লাখ ২২ হাজার টাকার, সিএপিএমআইবিবিএল মিউচুয়াল ফান্ডের ৪২ লাখ ৫৯ হাজার টাকার, লঙ্কাবাংলা ফাইন্যান্সের ৩৮ লাখ টাকার, এমএল ডাইংয়ের ৩৪ লাখ টাকার, ড্যাফোডিল কম্পিউটারের ৩২ লাখ ৭৫ হাজার টাকার, মোজাফ্ফর হোসেন স্পিনিংয়ের ৩১ লাখ ৯২ হাজার টাকার,

এশিয়া ইন্স্যুরেন্সের ২৮ লাখ ৫০ হাজার টাকার, ন্যাশনাল হাউসিংয়ের ২৮ লাখ টাকার, আরামিট সিমেন্টের ২৩ লাখ ৮১ হাজার টাকার, সামিট পাওয়ারের ২৩ লাখ ৭৬ হাজার টাকার, বেঙ্গল উইন্ডসোরের ২২ লাখ ৭ হাজার টাকার, আরডি ফুডের ২০ লাখ ৩৭ হাজার টাকার, এইচআর টেক্সটাইলের ১৯ লাখ ৮১ হাজার টাকার, বিডি ফাইন্যান্সের ১৬ লাখ ৬ হাজার টাকার, জেনেক্স ইনফোসিসের ১৫ লাখ ৬২ হাজার টাকার, জিপিএইচ ইস্পাতের ১৫ লাখ ৩৩ হাজার টাকার,

লাফার্জ হোল সিমের ১২ লাখ ৮৫ হাজার টাকার, প্রগতি লাইফের ১১ লাখ ৫৮ হাজার টাকার, পিপলস ইন্সুরেন্সের ১০ লাখ ৫৯ হাজার টাকার, আমান ফিডের ১০ লাখ ১৮ হাজার টাকার, মালেক স্পিনিংয়ের ১০ লাখ ১৫ হাজার টাকার, ম্যাকসন স্পিনিংয়ের ১০ লাখ টাকার, সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্সের ৯ লাখ ১৩ হাজার টাকার, একমি ল্যাবের ৯ লাখ টাকার, ন্যাশনাল ফিড মিলের ৮ লাখ ১৩ হাজার টাকার, সন্ধানী ইন্স্যুরেন্সের ৮ লাখ ৪ হাজার টাকার, স্কয়ার ফার্মার ৭ লাখ ৯৩ হাজার টাকার,

এশিয়া প্যাসিফিক ইন্স্যুরেন্সের ৭ লাখ ৭৮ হাজার টাকার, যমুনা ব্যাংকের ৭ লাখ ৫৬ হাজার টাকার, মীর আক্তারের ৭ লাখ ৪৬ হাজার টাকার, আইএফআইসি ব্যাংকের ৭ লাখ ৪৫ হাজার টাকার, সিলকো ফার্মার ৬ লাখ ১৫ হাজার টাকার, এটিসিএসএল গ্রোথ ফান্ডের ৬ লাখ ৮ হাজার টাকার, মার্কেনটাইল ইন্স্যুরেন্সের ৫ লাখ ৬২ হাজার টাকার,

কে এন্ড কিউয়ের ৫ লাখ ৬০ হাজার টাকার, সিটি ব্যাংকের ৫ লাখ ৪৪ হাজার টাকার, অ্যাসোসিয়েট অক্সিজেনের ৫ লাখ ৪২ হাজার টাকার, প্যারামাউন্টের ৫ লাখ ১৩ হাজার টাকার, সালভো কেমিক্যালের ৫ লাখ ১২ হাজার টাকার, প্রগ্রেসিভ লাইফের ৫ লাখ ৯ হাজার টাকার, ইউনাইটেড ফাইন্যান্সের ৫ লাখ ৭ হাজার টাকার টাকার লেনদেন হয়েছে।

ডিএসই’র ৩ সূচক আবারও নতুন রেকর্ড গড়লো: দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) সূচকের বড় উত্থানে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন ডিএসই’র সূচক আগের সব রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড গড়েছে।

একইসঙ্গে এদিন টাকার পরিমাণেও লেনদেন বেড়েছে। ফলে এদিন ডিএসই’র সূচকের সঙ্গেও বাজার মূলধনে ফের নতুন রেকর্ড গড়েছে। এদিন উভয় শেয়ারবাজারে লেনদেনে অংশ নেওয়া অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে।

ডিএসই ও সিএসই সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ডিএসইর প্রধান ডিএসইএক্স সূচকটি ৭৬.০৭ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৬ হাজার ৬৯৯.৩৯ পয়েন্টে। সূচকটি অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ অবস্থানে পৌঁছায়।

এর আগে গত ৯ আগস্ট ডিএসইএক্স সূচকটি ৩২.০৬ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৬ হাজার ৬২৮.১৪ পয়েন্টে। তবে ঠিক দুই কার্যদিবস পর ১২ আগস্ট সেই রেকর্ড ভেঙে ফের নতুন রেকর্ড গড়লো ডিএসইএক্স সূচক।

এর আগে গত ৫ আগস্ট ডিএসইএক্স সূচকটি ৬০.২০ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান নেয় ৬ হাজার ৫৯৬.০৭ পয়েন্টে। তার আগে গত ৩ আগস্ট ডিএসইএক্স সূচকটি ৫৪.৩০ পয়েন্ট বেড়ে পৌঁছে ৬ হাজার ৫৩৫ পয়েন্টে। ২ আগস্ট ডিএসইএক্স সূচক ৬ হাজার ৪৮১ পয়েন্টে অবস্থান করে রেকর্ড গড়ে। তার আগে গত ২৯ জুলাই ডিএসইএক্স সূচক ৬ হাজার ৪২৫ পয়েন্টে এবং ২৫ জুলাই ৬ হাজার ৪২৪ পয়েন্টে অবস্থান করে রেকর্ড গড়েছিল।

ডিএসইএক্স বর্তমান সূচকটি চালুর পর ২০১৭ সালের ২৬ নভেম্বর ৬ হাজার ৩৩৬ পয়েন্টে সর্বোচ্চ অবস্থানে পৌঁছেছিল। পরে শেয়ারবাজারে দীর্ঘ মন্দার প্রভাবে সূচক আর এ অবস্থানে পৌঁছাতে পারেনি।

এদিকে, চলতি বছরের ৩০ মে ডিএসইএক্স সূচক বেড়ে ৬ হাজার পয়েন্ট অতিক্রম করে। সূচক এ অবস্থানে আসতে সময় লেগেছে ৩ বছর ২ মাস। তারপর থেকে ডিএসইর সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় একের পর এক নতুন রেকর্ড গড়েই চলেছে। গত ১৮ জুলাই সূচক ৬ হাজার ৩৬৫ পয়েন্টে পৌঁছায়। পরদিন ১৯ জুলাই ৬ হাজার ৪০৫ পয়েন্টে দাঁড়ায় সূচক। এরপর একের পর এক নতুন রেকর্ড গড়েছে সূচকটি।

এদিন একইভাবে ডিএসই-৩০ সূচক ২৯.৯১ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ২ হাজার ৪২৭.৫৭ পয়েন্টে, যা ডিএসইর ইতিহাসে সূচকটির সর্বোচ্চ অবস্থান। এর আগে কখনও সূচকটি ২ হাজার ৪০০ পয়েন্ট ঘর স্পর্শ করেনি। এর আগে গত ৯ আগস্ট ডিএসই- ৩০ সূচক ১৩.৫৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ২ হাজার ৩৯৭.৬৫ পয়েন্টে।

এদিকে, ডিএসইর শরিয়াহ সূচক ১৪.৯৬ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ৪৫৯.০৩ পয়েন্টে, যা ডিএসইর ইতিহাসে সূচকটির সর্বোচ্চ অবস্থান। এর আগে গত ৯ আগস্ট শরিয়াহ সূচক বেড়ে অবস্থান করে ১ হাজার ৪৫২.১১ পয়েন্টে।

দিন শেষে ডিএসইতে ৩৭৬টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ২০৯টির, কমেছে ১৪৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৩টির। এদিন ডিএসইতে ২ হাজার ৬৬০ কোটি ৮৯ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে, যা আগের দিনের চেয়ে ৪৪৮ কোটি টাকা বেশি।

বৃহস্পতিবার অপর শেয়ারবাজার সিএসইর প্রধান সিএসইএক্স সূচক ১৪২.৮২ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১১ হাজার ৭০৬.০৮ পয়েন্টে। আর সার্বিক সিএএসপিআই সূচক ২৪৪.৮৮ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৯ হাজার ৫২২.৪৯ পয়েন্টে।

এদিন, সিএসইতে ৩২৩টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৯২টির, কমেছে ১০১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩০টির। দিন শেষে সিএসইতে ৮৯ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা আগের দিনের চেয়ে ৩ কোটি টাকা বেশি।

গুড ম্যানুফ্যাকচারিং প্রাকটিস সনদ পেলো বিকন ফার্মা: সিরিয়ান আরব রিপাবলিক থেকে গুড ম্যানুফ্যাকচারিং প্রাকটিস (জিএমপি) সনদ পেয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওষুধ-রসায়ন খাতের কোম্পানি বিকন ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেড। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) থেকে পাঠানো নোটিশের জবাবে এমনটি জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। বৃহস্পতিবার  ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, কোম্পানিকে ওষুধের নিবন্ধনের জন্য জিএমপি সনদ দেওয়া হয়েছে। জুলাইয়ের শেষ দিকে কোম্পানির শেয়ার দর বেশ কয়েকদিন ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধি পায়। যা আগস্টের শুরুতেও অব্যাহত ছিল।

ওই সময় কোম্পানিকে নোটিশ দেয় ডিএসই। আর নোটিশের জবাবে কোম্পানির পক্ষ থেকে জিএমপি সনদ পাওয়ার বিষয়টি জানায়। বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস ২০১০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছে।

আইসিবির ৮ মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লভ্যাংশ ঘোষণা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৮ মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ট্রাস্ট্রি তাদের ইউনিটহোল্ডারদের ২০২১ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আইসিবি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড এসব ফান্ড পরিচালনা করেন। বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

যেসব ফান্ডের লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়েছে সেগুলো হলো- আইসিবি এএমসিএল অগ্রণী ব্যাংক মিউচ্যুয়াল ফান্ড, ফনিক্স ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড, আইসিবি এএমসিএল সোনালী ব্যাংক লিমিটেড ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড, প্রাইম ব্যাংক ফার্স্ট আইসিবি এএমসিএল মিউচ্যুয়াল ফান্ড, আইএফআইএল ইসলামিক মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ান, আইসিবি এএমসিএল থার্ড এনআরবি মিউচ্যুয়াল ফান্ড, আইসিবি এএমসিএল সেকেন্ড মিউচ্যুয়াল ফান্ড, আইসিবি এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ড মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ান স্কিম ওয়ান।

আইসিবি এএমসিএল অগ্রণী ব্যাংক মিউচ্যুয়াল ফান্ড: ২০২১ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ইউনিটহোল্ডারদের জন্য ৭ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে ফান্ডটির টাস্ট্রি। সমাপ্ত হিসাব বছরে ফান্ডটির ইউনিটপ্রতি মুনাফা (ইপিইউ) হয়েছে ০.৬৮ টাকা। গত ৩০ জুন শেষে ফান্ডটির ইউনিটপ্রতি সম্পদ (এনএভিপিইউ) বাজার মূল্য অনুযায়ী দাঁড়িয়েছে ১১.৫৪ টাকা।

ফনিক্স ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড: ২০২১ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ইউনিটহোল্ডারদের জন্য ৬ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে ফান্ডটির টাস্ট্রি। সমাপ্ত হিসাব বছরে ফান্ডটির ইউনিটপ্রতি মুনাফা (ইপিইউ) হয়েছে ০.৩২ টাকা। গত ৩০ জুন শেষে ফান্ডটির ইউনিটপ্রতি সম্পদ (এনএভিপিইউ) বাজার মূল্য অনুযায়ী দাঁড়িয়েছে ৯.৬৮ টাকা।

আইসিবি এএমসিএল সোনালী ব্যাংক লিমিটেড ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড: আলোচ্য হিসাব বছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ইউনিটহোল্ডারদের জন্য ৭ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে ফান্ডটির ট্রাস্টি। সমাপ্ত হিসাব বছরে ফান্ডটির ইউনিটপ্রতি মুনাফা (ইপিইউ) হয়েছে ০.৫৩ টাকা। গত ৩০ জুন শেষে ফান্ডটির ইউনিটপ্রতি সম্পদ (এনএভিপিইউ) বাজার মূল্য অনুযায়ী দাঁড়িয়েছে ১০.৩৯ টাকা।

প্রাইম ব্যাংক ফার্স্ট আইসিবি এএমসিএল মিউচ্যুয়াল ফান্ড: আলোচ্য হিসাব বছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ইউনিটহোল্ডারদের জন্য ৭.৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে ফান্ডটির ট্রাস্টি। সমাপ্ত হিসাব বছরে ফান্ডটির ইউনিটপ্রতি মুনাফা (ইপিইউ) হয়েছে ০.৪৭ টাকা। গত ৩০ জুন শেষে ফান্ডটির ইউনিটপ্রতি সম্পদ (এনএভিপিইউ) বাজার মূল্য অনুযায়ী দাঁড়িয়েছে ১০.১৫ টাকা।

আইসিবি এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ড মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ান স্কিম ওয়ান: আলোচ্য হিসাব বছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ইউনিটহোল্ডারদের জন্য ৬ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। সমাপ্ত হিসাব বছরে ফান্ডটির ইউনিটপ্রতি মুনাফা (ইপিইউ) হয়েছে ০.৪১ টাকা। গত ৩০ জুন শেষে ফান্ডটির ইউনিটপ্রতি সম্পদ (এনএভিপিইউ) বাজার মূল্য অনুযায়ী দাঁড়িয়েছে ১২.১৬ টাকা।

আইএফআইএল ইসলামিক মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ান: আলোচ্য হিসাব বছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ইউনিটহোল্ডারদের জন্য ৪ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। সমাপ্ত হিসাব বছরে ফান্ডটির ইউনিটপ্রতি মুনাফা (ইপিইউ) হয়েছে ০.৩১ টাকা। গত ৩০ জুন শেষে ফান্ডটির ইউনিটপ্রতি সম্পদ (এনএভিপিইউ) বাজার মূল্য অনুযায়ী দাঁড়িয়েছে ৯.৫০ টাকা।

আইসিবি এএমসিএল থার্ড এনআরবি মিউচ্যুয়াল ফান্ড: আলোচ্য হিসাব বছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ইউনিটহোল্ডারদের জন্য ৭ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। সমাপ্ত হিসাব বছরে ফান্ডটির ইউনিটপ্রতি মুনাফা (ইপিইউ) হয়েছে ০.৫২ টাকা। গত ৩০ জুন শেষে ফান্ডটির ইউনিটপ্রতি সম্পদ (এনএভিপিইউ) বাজার মূল্য অনুযায়ী দাঁড়িয়েছে ৯.২২ টাকা।

আইসিবি এএমসিএল সেকেন্ড মিউচ্যুয়াল ফান্ড: আলোচ্য হিসাব বছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ইউনিটহোল্ডারদের জন্য ৮ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। সমাপ্ত হিসাব বছরে ফান্ডটির ইউনিটপ্রতি মুনাফা (ইপিইউ) হয়েছে ০.৩৭ টাকা। গত ৩০ জুন শেষে ফান্ডটির ইউনিটপ্রতি সম্পদ (এনএভিপিইউ) বাজার মূল্য অনুযায়ী দাঁড়িয়েছে ১০.৩৩ টাকা। ফান্ডগুলোর লভ্যাংশ সংক্রান্ত রেকর্ড ডে আগামী ৬ সেপ্টেম্বর নির্ধারন করা হয়েছে।

ইন্দো-বাংলার অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ উৎপাদন বন্ধে আদালতের রুল: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালসসহ ২০টি ওষুধ কোম্পানির উপর অ্যান্টিবায়োটিক উৎপাদনে আদালতের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কিন্তু আদালতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড অ্যান্টিবায়োটিক উৎপাদন করছে-এমন অভিযোগে স্বাস্থ্য সচিব লোকমান হোসেন মিয়া ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) ডা. আবুল বাসার মো. খুরশীদ, ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) বাবলু কুমার সাহা এবং ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমানের উপর আদালত রুল জারি করেছেন বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে। আদালত বিবাদীদের আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলুরুজ্জামানের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার (১১ আগস্ট) এই রুল জারি করেন।

মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) করা এক রিট আবেদনে এই আদেশ দেন আদালত। অ্যাডভোকেট রিপন বড়ৈ আবেদনটি করেন। আবেদনকারীর পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।

জানা যায়, হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ ২০১৬ সালে জিএমপি (Good Manufacturing Practice-GMP) অনুসরণ না করে ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালসসহ ২০টি কোম্পানি অ্যান্টিবায়োটিক উৎপাদন করছে মর্মে অভিযোগ করে তা বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে জনস্বার্থে রিট দায়ের করেছিল।

ওই মামলায় আদালত ২০১৬ সালের ২৪ আগস্ট ইন্দো-বাংলা ফর্মাসিউটিক্যালসসহ ২০টি ওষুধ কোম্পানির মানহীন ওষুধ উৎপাদনে নিষেধাজ্ঞা দেয়। পাশাপাশি ১৪টি কোম্পানিকে এন্টিবায়োটিক উৎপাদন বন্ধের ব্যবস্থা নিতে বলা হয়। পরবর্তীতে মামলার রুল শুনানি শেষে ২০১৭ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি আদালত আংশিক রুল যথাযথ ঘোষণা করে রায় দেন এবং ৫ সদস্য বিশিষ্ট বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করতে নির্দেশ দেওয়া হয়।

একইসঙ্গে ওই কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে জিএমপি অনুসরণের সক্ষমতা অর্জনের পর অ্যান্টিবায়োটিক উৎপাদনের অনুমতি প্রদানের জন্য নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। ওই রায়ে বিবাদীদেরকে প্রতিনিয়ত পর্যবেক্ষণ করার জন্য বলা হয়েছে, যাতে তারা জিএমপি অনুসরণ ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক উৎপাদন করতে না পারে।

এসব কোম্পানি গোপনে ওষুধ তৈরি বা বিক্রি করছে কি না এবং কোম্পানিগুলোর সর্বশেষ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে সরকারের ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে প্রতি তিন মাস পর পর আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয় রায়ে।

কিন্তু আদালতের ওই নির্দেশনা অমান্য করে ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালস অ্যান্টিবায়োটিক উৎপাদন অব্যাহত রেখেছে এবং ওষুধ প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টরা কেউ এই বিষয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছে না মর্মে অভিযোগ করে আদালত অবমাননার মামলা করেন অ্যাডভোকেট রিপন বাড়ৈ।

মামলার শুনানিকালে মনজিল মোরসেদ আদালতকে বলেন, ‘অ্যান্টিবায়োটিক একটি জীবন রক্ষাকারী মেডিসিন। সে কারণেই আদালত জিএমপি নিশ্চিত না করা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোতে অ্যান্টিবায়োটিক উৎপাদন বন্ধ রাখতে বলেছিল।।

কিন্তু আদালতের নির্দেশ অমান্য করে উৎপাদন চালিয়ে বাজারে বিক্রির মাধ্যমে অনেক মানুষের ক্ষতি করছে ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউাটক্যালস। কিন্ত ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা অন্যরা কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না।

কোম্পানির বিক্রয় ডকুমেন্ট হতেও প্রমাণ পাওয়া যায় যে, তারা অ্যান্টিবায়োটিক উৎপাদন করছে। এর ফলে তারা আদালতের ওপর অশ্রদ্ধা দেখিয়েছেন এবং আদালত অবমাননা করেছেন, যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।’

বেক্সিমকো গ্রুপের শেয়ারে সুবাতাস বইছে: পুঁজিবাজারে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বেক্সিমকো গ্রুপের চার কোম্পানি বেক্সিমকো লিমিটেড, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস, শাইনপুকুর সিরামিকস ও আইএফআইসি ব্যাংকের শেয়ারে সুবাতাস বইছে। তবে বেক্সিমকো গ্রুপের চার কোম্পানি বেক্সিমকো লিমিটেড, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস, শাইনপুকুর সিরামিকস ও আইএফআইসি ব্যাংকের দাম বেড়েছে একই দিনে।

এগুলোর মধ্যে শতকরা হিসেবে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে শাইনপুকুরের দাম। দ্বিতীয় অবস্থানে আছে বেক্সিমকো লিমিটেড, যে কোম্পানিটি নিম্ন আয়ের চক্র ভেদ করে করোনার বছরে যুক্তরাষ্ট্রে পিপিই রপ্তানি করে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। ভারত থেকে করোনার টিকা আসায় মধ্যস্থতা করার পর দ্বিগুণের বেশি বেড়েছিল বেক্সিমকো ফার্মা। টিকা আসায় অনিশ্চয়তায় দর হারানো কোম্পানিটি আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে।

আর ব্যাংকগুলোর মধ্যে সম্প্রতি সবচেয়ে বেশি বাড়ছে গত অর্থবছরে এই খাতে সবচেয়ে কম লভ্যাংশ দেয়া আইএফআইসি ব্যাংক। কেবল দাম বাড়ছে এমন নয়, দিনের সবচেয়ে বেশি লেনদেন হওয়া ৬টি কোম্পানির ৪টিই এই বেক্সিমকো গ্রুপের।

তবে পুঁজিবাজারে ভালো দিনেও বিমা খাতের শেয়ারগুলোর দর হারানো থামেনি। সেই সঙ্গে আশা জাগিয়ে মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাত যে ঘুম দিয়েছে, সেখান থেকে ওঠার কোনো নামই নেই। এদিকে দীর্ঘদিন পর বেক্সিমকো গ্রুপের শেয়ার বাড়ায় নতুন করে আগ্রহ জাগছে বিনিয়োগকারীদের। বিনিয়োগকারীরা তাদের হারানো পুজি ফিরে পাওয়ার প্রত্যাশা দেখছেন । ২০১০ সালের পর অনেক বিনিয়োগকারী বেক্সিমকো গ্রুপের শেয়ারে আটকা ছিলেন।

আজ দিন শেষে সূচক আগের দিনের তুলনায় বাড়ে ৮০ পয়েন্টের কাছাকাছি। আর এক দিনের ব্যবধানে লেনদেন আবার আড়াই হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ডিএসইএক্সের অবস্থান এখন ৬ হাজার ৬৯৯ পয়েন্ট। ডিএসইর সূচক এর চেয়ে বেশি ছিল ২০১১ সালের ২৪ জুলাইয়ের পর সর্বোচ্চ। সেদিন ডিএসই সূচকের অবস্থান ছিল ৬ হাজার ৭১০ পয়েন্ট। সেটি অতিক্রম করতে পারলে পরের ধাপ ওই বছরের ২ ফেব্রুয়ারি ৬ হাজার ৭১৯ পয়েন্ট।