দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: দেশের পুঁজিবাজারে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা রয়েছে। এর মধ্যে গত সপ্তাহে শেষ কার্যদিবসে দাম বেড়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের। এতে করে প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকারও বেশি বেড়েছে। ফলে দুই সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ৬ হাজার কোটি টাকার বেশি।

গেল সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৪৭ হাজার ৮৬৮ কোটি টাকা। যা তার আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৫ লাখ ৪৪ হাজার ৩২৬ কোটি টাকা। অর্থাৎ গেল সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ৩ কোটি ৫৪২ কোটি টাকা।

আগের সপ্তাহে বাজার মূলধন বাড়ে ৯ কোটি ৯২২ কোটি টাকা। সে হিসেবে টানা দুই সপ্তাহের উত্থানে বাজার মূলধন বাড়ল ১৩ হাজার ৪৬৪ কোটি টাকা। এর মাধ্যমে ডিএসইর বাজার মূলধন এযাবতকালের মধ্যে সর্বোচ্চ অবস্থানে রয়েছে। বাজার মূলধন বাড়া বা কমার অর্থ তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ার ও ইউনিটের দাম সম্মিলিতভাবে ওই পরিমাণ বেড়েছে বা কমেছে। অর্থাৎ বাজার মূলধন বাড়লে বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ করা অর্থের পরিমাণ বেড়ে যায়।

এদিকে গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া ১৮৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৭৮টির। আর ১২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এতে গত সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১০৩ দশমিক ৩১ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৫৭ শতাংশ। আগের পাঁচ সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক বেড়েছিল ৪৪৬ পয়েন্ট। এ হিসেবে টানা ছয় সপ্তাহের উত্থানে ডিএসইএক্স বাড়ল সাড়ে ৫’শ পয়েন্ট।

ছয় সপ্তাহের এই টানা উত্থানের কারণে ইতিহাসের সর্বোচ্চ অবস্থাতে পৌঁছে গেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স। মূল্য সূচকের ভুল গণনা বন্ধ করতে ২০১৩ সালের ২৭ জানুয়ারি নতুন সূচক ডিএসইএক্স চালু করে ডিএসই। ৪০৫৫ দশমিক ৯০ পয়েন্ট দিয়ে শুরু হওয়া সূচকটি এখন ৬ হাজার ৬৯৯ দশমিক ৩৯ পয়েন্ট অবস্থান করছে।

প্রধান মূল্য সূচক নতুন উচ্চতায় পৌঁছানের পাশাপাশি গেল সপ্তাহে বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচকও এখন ইতিহাসের সর্বোচ্চ অবস্থানে রয়েছে। গেল সপ্তাহে এই সূচকটি বেড়েছে ৪১ দশমিক ৬৮ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৭৫ শতাংশ। আগের পাঁচ সপ্তাহে সূচকটি বাড়ে ১৭৭ দশমিক ৫১ পয়েন্ট।

অপরদিকে ইসলামী শরিয়াহ ভিত্তিতে পরিচালিত কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই শরিয়াহ্ সূচকও ইতিহাসের সর্বোচ্চ অবস্থানে রয়েছে। গত সপ্তাহজুড়ে সূচকটি বেড়েছে ১৯ দশমিক ৬৯ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৩৭ শতাংশ। আগের পাঁচ সপ্তাহে সূচকটি বাড়ে ১০৫ দশমিক ৯৭ পয়েন্ট।

গত সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৬৬৩ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ২ হাজার ৩৩৭ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন বেড়েছে ৩২৫ কোটি ৫৫ লাখ টাকা বা ১৩ দশমিক ৯২ শতাংশ। এর মাধ্যমে টানা দুই সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে দুই হাজার কোটি টাকার ওপরে লেনদেন হয়েছে।

আর গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ১০ হাজার ৬৫৪ কোটি ১৭ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয় ৭ হাজার ১৩ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। সে হিসাবে মোট লেনদেন বেড়েছে ৩ হাজার ৬৪০ কোটি ১৮ লাখ টাকা বা ৫১ দশমিক ৯০ শতাংশ। মোট লেনদেন বেশি হারে বাড়ার কারণ গত সপ্তাহের আগের সপ্তাহে শেয়ারবাজারে তিন কার্যদিবস লেনদেন হয়।

গত সপ্তাহের ডিএসইতে টাকার অংকে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ার। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৭৭৯ কোটি ৬৬ লাখ ৯৭ হাজার টাকা, যা মোট লেনদেনের ৭ দশমিক ৩২ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা আইএফআইসি ব্যাংকের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩৩৯ কোটি ৬ লাখ ৯১ হাজার টাকা। ২১৯ কোটি ২২ লাখ ৩১ হাজার টাকা লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে লংকাবাংলা ফাইন্যান্স।

এছাড়া লেনদেনের শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- ওরিয়ন ফার্মা, লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ, মালেক স্পিনিং, জিপিএইচ ইস্পাত, অ্যাপোলো ইস্পাত, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস এবং ইসলামীক ফাইন্যান্স।

সম্প্রতি পুঁজিবাজারের যে উন্নয়ন হয়েছে তা প্রাথমিক : শামসুদ্দিন আহমেদ: নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার অধ্যাপক শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, সম্প্রতি পুঁজিবাজারের যে উন্নয়ন হয়েছে তাকে প্রাথমিক। পুঁজিবাজারের গভীরতা অনেক। পুঁজিবাজারের লক্ষ্য অনেক দুর। পুঁজিবাজার ক্রমান্বয়ে আরও উন্নততর হবে। এখনো বাজার মূলধন মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ২০ শতাংশের সমান হয়নি।

জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে শুক্রবার দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) আয়োজিত আলোচনা সভায় তিন এসব কথা বলেন।

সম্প্রতি দেশের বাজারে বড় ধরনের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। যার ওপর ভিত্তি করে ইতোমধ্যে মূল্য সূচক ও বাজার মূলধনে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। সেই সঙ্গে প্রতিদিন লেনদেন হচ্ছে বড় অংকের।

শেয়ারবাজারের এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার দিকে ইঙ্গিত করেই বিএসইসির কমিশনার বলেন, আমাদের পুঁজিবাজার ক্রমান্বয়ে আরও উন্নততর হবে। এখন এই পুঁজিবাজার যে ভূমিকা রেখেছে আমি মনে করি এটা প্রাথমিক। আমরা সবাই মিলে যদি কাজ করতে পারি, আমরা আরও অনেক ওপরে উঠতে পারব। আমরা এখনো বাজার মূলধন জিডিপির ২০ শতাংশ করতে পারিনি।

এ সময় তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণের মাঝেও পুঁজিবাজারের একটা ভূমিকা আছে। আমরা পুঁজিবাজার হিসেবে উৎপাদন, কর্মসংস্থান, অর্থায়ন এ কাজগুলোকে গভীরভাবে সহায়তা করি এবং সেই কাজটি করছি।

বঙ্গবন্ধুর কর্ম স্মরণ করে শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু প্রশাসনিক পুনর্গঠন করেছিলেন। স্বাস্থ্য, কৃষি, শিল্প সব ক্ষেত্র কিভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়, সে জন্য তিনি পথনির্দেশনা দিয়েছিলেন। সেই পথনির্দেশনা থেকে পথ চলার পরে আমরা আজ অনেক কিছু পেয়েছি। আরও অনেক কিছু পাওয়া বাকি আছে।

তিনি বলেন, যে বঙ্গবন্ধুকে অস্বীকার করবে, যে বাঙালি জাতির জনককে অস্বীকার করবে, সে তো বাংলাদেশের অস্তিত্বকে অস্বীকার করবে। আমাদের মাঝে এখনো অনেকে আছেন যারা বঙ্গবন্ধুকে বঙ্গবন্ধু বলতে বা তাকে স্মরণ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন না। বঙ্গবন্ধু ছাড়া তো কোনো নাম রাজনৈতিক অঙ্গনে উচ্চারণ হতে পারে না।

বিএসইসির এই কমিশনার বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার হয়েছে, শাস্তি হয়েছে। সেই শাস্তিতে আমাদের সন্তুষ্ট থাকলে হবে না। আমাদেরকে তার স্বপ্নের যে অংশগুলো বাকি রয়ে গেছে, সে অংশগুলোকে পূরণ করতে হবে। এ প্রক্রিয়ায় আমাদেরকে অনেকগুলো ষড়যন্ত্রের মুখোমুখি হতে হবে। আমরা হচ্ছিও বটে।

এ সময় তিনি বলেন, আমি গতকাল দেখলাম আমাদের তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বলছেন- আমাদের কোভিডের টিকার যে কর্মসূচি আছে, সেটির যে সুরক্ষা অ্যাপ আছে, সেটি না-কি কেউ হ্যাক করার চেষ্টা করেছে, যাতে আমাদের টিকার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। আমরা কিন্তু যথেষ্ট টিকা দিয়েছি, টিকার জন্য আন্তরিক চেষ্টা করছি। আমাদের আরও অনেক বাকি। সরকারের প্রচেষ্টার কোনো অন্ত নেই, অর্থের কোনো অভাব নেই। কিন্তু এ ধরনের ষড়যন্ত্র আছে, যাতে আমরা এগুতে না পরি। কিন্তু আমাদের বন্ধ করে রাখা যাবে না, কোনোভাবেই বন্ধ করে রাখা যাবে না।

তিনি আরও বলেন, পরের মুখাপেক্ষী আমাদের আর নেই। আমরা এখন স্বাস্থ্য সরঞ্জাম দিয়েছি আমাদের প্রতিবেশী দেশ ইন্দোনেশিয়াকে। আমরা শ্রীলঙ্কাকে আর্থিক ঋণ দিয়েছি। এ ধরনের একটা দেশ তো আসমান থেকে আসেনি। এটা অনেক প্রচেষ্টার মাধ্যমে এসেছে। অনেক স্বপ্ন বাস্তবায়নের মাধ্যমে এসেছে। যে স্বপ্নগুলো আমরা দেখেছিলাম স্বাধীনতার আগেই।

ডিএসইর চেয়ারম্যান মো. ইউনুসুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও অংশ নেন- ডিএসই’র পরিচালক মো. রকিবুর রহমান, শালিক রিজভী, সালমা নাসরিন, হাবিবুল্লাহ বাহার, মো. সিদ্দিকুর রহমান, অধ্যাপক ড. মো. মাসুদুর রহমান, ডিবিএ’র সভাপতি শরীফ আনোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেটের নির্বাহী প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. মাহমুদা আক্তার, সেন্ট্রাল কাউন্টার পার্টি বাংলাদেশ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. আব্দুস সালাম সিকদার, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম প্রমুখ।

বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে এই অর্জন আরও আগেই অর্জিত হতো: শিবলী রুবাইয়াত: একজন মানুষ কতটা সাহসী ও বিশাল হৃদয়ের অধিকারী হতে পারেন বঙ্গবন্ধু তা বিশ্বকে দেখিয়েছেন। বাংলাদেশের আজকের এই অর্জন বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে আরও অনেক আগেই অর্জিত হতো বলে জানিয়েছেন বিএসইসির চেয়ারম্যন অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম।

বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাত বার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস ২০২১ পালন উপলক্ষে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন কর্তৃক কমিশনের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।আলোচনা সভায় সভাপতিত্বের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর ড. এ কে আজাদ চৌধুরী, এমিরেটাস অধ্যাপক ও সাবেক উপাচার্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। অনুষ্ঠানে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন কমিশনের পরিচালক শেখ মাহবুব উর রহমান।

সভাপতির বক্তব্যে বিএসইসির চেয়ারম্যান বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন এবং স্বাধীনতা পরবর্তী অর্থনৈতিক উন্নয়নে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ও তা বাস্তবায়নে বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেন। তিনি কমিশন কর্তৃক আয়োজিত রোড শোতে বাংলাদেশ সম্পর্কে বহির্বিশ্বে নেতিবাচক ধারণার পরিবর্তন এসেছে উল্লেখ করে করোনার মধ্যেও জীবন ও জীবিকার মধ্যে ভারসাম্য রেখে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন।

এছাড়াও বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দায়িত্ব, কর্তব্য ও দূরদর্শিতার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বঙ্গবন্ধুর যোগ্য উত্তরসূরী, বাংলাদেশের আজকের উন্নয়নের পেছনে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ও রাজনৈতিক দর্শন এবং তার বাস্তবায়নে তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

প্রধান অতিথির প্রফেসর ড. এ কে আজাদ চৌধুরী বলেন, ১৫ ই আগষ্টের ঘাতকদের প্রচলিত আইনি প্রক্রিয়ায় বিচার ও দন্ড কার্যকরের কথা উল্লেখ করেন। বঙ্গবন্ধু সব সময় তার পরিবারের চেয়ে দেশের মুক্তি ও স্বাধীনতা অর্জনকে প্রাধান্য দিয়েছেন। এজন্য তিনি তার জীবনের সোনালী সময়ে বছরের পর বছর কারাবরণ করেছেন। বঙ্গবন্ধু হৃদয়ের বিশালতা দিয়ে আমৃত্যু মানুষকে ভালোবেসেছেন।

বক্তব্যে তিনি উল্লেখ করেন পৃথিবীর ইতিহাসে একমাত্র বঙ্গবন্ধুই অহিংস আন্দোলনের মাধ্যমে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর ০৭ ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণকে গেটিসবার্গের ভাষণের চেয়েও মহাত্তোম বলে উল্লেখ করেন।

তিনি বঙ্গবন্ধুর দর্শনকে বাংলাদেশের বর্তমান আর্থ সামাজিক অগ্রগতির ভিত্তি হিসেবে অভিমত প্রকাশ করেন। এরকম একজন মহান নেতাকে কোন বাঙালি হত্যা করতে পারে, এই কলংক বাঙালি জাতিকে আজীবন বহন করতে হবে। জাতি হিসেবে বাঙালি অকৃতজ্ঞ নয়, মুষ্টিমেয় কিছু মানুষের বিশ্বাসঘাতকতার জন্য পুরো জাতিকে মূল্য দিতে হচ্ছে। পরিশেষে প্রধান অতিথি বঙ্গবন্ধুর আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। এছাড়াও আলোচনায় আরও অংশগ্রহণ করেন কমিশনের কমিশনার শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ, কমিশনার আবদুল হালিম ও নির্বাহী পরিচালক আশরাফুল ইসলাম।

৩ মিউচুয়াল ফান্ডের চমক লভ্যাংশ ঘোষণা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৩ মিউচুয়াল ফান্ডের চমক লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়েছে। বিগত বছরের তুলনায় কোম্পানি ৩টি চমক লভ্যাংশ ঘোষণা করছে। মিউচুয়াল ফান্ড ৩টি হলো: এশিয়ান টাইগার গ্রোথ ফান্ড, সিএপিএম আইবিবিএল মিউচুয়াল ফান্ড ও সিএপিএম বিডিবিএল মিউচুয়াল ফান্ড।

এশিয়ান টাইগার গ্রোথ ফান্ড: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এশিয়ান টাইগার সন্ধানী লাইফ গ্রোথ ফান্ডের ট্রাস্টি কমিটি ৩০ জুন, ২০২১ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ১৫ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

আজ বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) অনুষ্ঠিত ফান্ডটির ট্রাস্টি কমিটির সভায় এই ডিভিডেন্ড ঘোষণা করা হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা শেষে ফান্ডটির ইউনিটপ্রতি মুনাফা (ইপিইউ) হয়েছে ১ টাকা ৯৩ পয়সা।

আলোচ্য সময়ে ফান্ডটির ইউনিটপ্রতি সম্পদ (এনএভিপিইউ) মূল্য দাঁড়িয়েছে ১২ টাকা ৪১ পয়সা। ইউনিটহোল্ডারদের মাঝে ডিভিডেন্ড বিতরণে ফান্ডটির রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ সেপ্টেম্বর।

সিএপিএম আইবিবিএল মিউচুয়াল ফান্ড: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সিএপিএম আইবিবিএল ইসলামিক ফান্ড ৩০ জুন, ২০২১ অর্থবছরের জন্য সাড়ে ১৩ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে।

আজ বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) অনুষ্ঠিত ফান্ডটির ট্রাস্টি কমিটির সভায় এই ডিভিডেন্ড ঘোষণা করা হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। সমাপ্ত অর্থবছরে ফান্ডটির ইউনিট প্রতি আয় (আইপিইউ) হয়েছে ১ টাকা ৮৯ পয়সা। আগের অর্থবছরে ইউনিট প্রতি লোকসান ছিল ৪৮ পয়সা।

আলোচ্য সময়ে ফান্ডটির ইউনিট প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (বাজার দামে) হয়েছে ১১ টাকা ৯৭ পয়সা। উল্লেখ্য, ২০২০ সালে ফান্ডটি ইউনিটহোল্ডারদের কোনো ডিভিডেন্ড দেয়নি।

সিএপিএম বিডিবিএল মিউচুয়াল ফান্ড: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সিএপিএম বিডিবিএল ব্যাংক মিউচুয়াল ফান্ড ৩০ জুন, ২০২১ অর্থবছরের জন্য ১৩ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। ২০২০ সালে ফান্ডটি ইউনিটহোল্ডারদের কোন ডিভিডেন্ড দেয়নি।

আজ বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) অনুষ্ঠিত ফান্ডটির ট্রাস্টি কমিটির সভায় এই ডিভিডেন্ড ঘোষণা করা হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। সমাপ্ত অর্থবছরে ফান্ডটির ইউনিট প্রতি আয় (আইপিইউ) হয়েছে ২ টাকা ৪১ পয়সা। আগের অর্থবছরে ইউনিট প্রতি লোকসান ছিল ৭৫ পয়সা।

পুঁজিবাজারের ব্যাংকগুলোর দৈনিক লেনদেনের তথ্য চেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক: পুঁজিবাজারসহ অনুৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগ তদারকির জন্য এবার দৈনিক ভিত্তিতে ব্যাংকগুলোর লেনদেনের তথ্য চেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রতিদিনের তথ্য বিকেল ৫টার মধ্যে পাঠাতে বলেছে ব্যাংক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।

বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, ব্যাংকগুলোর নিজস্ব ও সাবসিডিয়ারিসহ দৈনিক কোথায় কী পরিমাণ বিনিয়োগ হচ্ছে তা দৈনিক ভিত্তিতে জানাতে হবে। আজ বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের চিঠি দিয়ে এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ব্যাংকগুলোর কাছে থাকা উদ্বৃত্ত তারল্য যেন পুঁজিবাজারসহ অনুৎপাদনশীল খাতে চলে না যায় সেজন্য এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, করোনা সংক্রমণের প্রভাব মোকাবেলায় সরকারি প্রণোদনার আওতায় কম সুদের ঋণের একটি অংশ পুঁজিবাজার, জমি, ফ্ল্যাট কেনাসহ অনুৎপাদনশীল খাতে চলে যাওয়ার তথ্য পেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ কারণে গত ২৫ জুলাই সব ব্যাংকে চিঠি দিয়ে সতর্ক করা হয়। এছাড়া প্রণোদনার আওতায় ঋণের ব্যবহারসহ বিভিন্ন তথ্য চেয়ে পরবর্তীতে আরও একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ঋণের সঠিক ব্যবহার যাচাইয়ের জন্য মাঠ পর্যায়ে পরিদর্শনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। সর্বশেষ দৈনিক ভিত্তিতে মুদ্রাবাজারে লেনদেন ও বিনিয়োগের তথ্য নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, মুদ্রাবাজারে দৈনিক লেনদেনের তথ্য সংযুক্ত ছক অনুযায়ী পাঠাতে হবে। দৈনিক ভিত্তিতে বিকেল ৫টার মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের অফসাইট সুপারভিশন বিভাগে এ তথ্য দিতে হবে। এক্ষেত্রে প্রতিদিনের নিজস্ব বিনিয়োগের তথ্য পাঠাতে হবে। যেখানে নতুন বিনিয়োগ, মোট বিক্রয়মূল্য (সেল ভ্যালু) ও নেট এক্সপোজার পাঠাতে হবে। প্রতিদিনের মার্জিন ঋণের পরিমাণ, স্থিতি ও সমন্বয় জানাতে হবে। এছাড়া নিজস্ব ও সাবসিডিয়ারিতে প্রতিদিনের ঋণসীমা, তহবিল ছাড়, তহবিল সমন্বয় এবং নেট এক্সপোজারের তথ্য দিতে হবে।

বিভিন্ন কারণে ব্যাংকগুলোর হাতে প্রচুর উদ্বৃত্ত তারল্য থাকলেও আশানুরুপ ঋণ না বৃদ্ধির কারণে প্রচুর উদ্বৃত্ত তারল্য জমা হয়েছে। গত জুন শেষে ব্যাংকগুলোর অলস তারল্য দাঁড়িয়েছে ৬২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। আর ২ লাখ ৩১ হাজার কোটি টাকার উদ্বৃত্ত তারল্য রয়েছে।

ডিএসই সূচকের উত্থানে ১০ কোম্পানির অবদান: পুঁজিবাজারে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ব্রড ইনডেক্সের বড় উত্থানে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে ১০ কোম্পানি। বৃহস্পতিবার ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স বেড়েছে ৭৬ পয়েন্ট। এর ভেতরে ৪৫ পয়েন্টই এই ১০ কোম্পানির অবদান। এই ১০ কোম্পানির মধ্যে রয়েছে বেক্সিমকো, বিকন ফার্মা, ইউনাইটেড পাওয়ার, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, আল আরাফাহ ইসলামি ব্যাংক, বেক্সিমকো ফার্মা, আইসিবি, আইপিডিসি, লাফার্জহোলসিম এবং রেনাটা লিমিটেড।

এই ১০ কোম্পানির মধ্যে সব চেয়ে বেশি অবদান রয়েছে বেক্সিমকো লিমিটেডের। আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ৪.৭৮ শতাংশ। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১০৭ টাকা ৫০ পয়সায়। শেয়ার দর বৃদ্ধির কারণে ডিএসইর ব্রড ইনডেক্সে কোম্পানিটি অবদান রেখেছে ১০.২৯ পয়েন্ট।

বিকন ফার্মা: আজ সূচক বৃদ্ধিতে কোম্পানিটির অবদান ছিলো ৮.০২ পয়েন্ট। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ৭.২৭ শতাংশ। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২১৩ টাকা ৯০ পয়সায়।

ইউনাইটেড পাওয়ার: আজ সূচক বৃদ্ধিতে কোম্পানিটির অবদান ছিলো ৫.৪২ পয়েন্ট। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ১.৩৫ শতাংশ। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৯৩ টাকা।

লংকাবাংলা ফাইন্যান্স: আজ সূচক বৃদ্ধিতে কোম্পানিটির অবদান ছিলো ৪.১৩ পয়েন্ট। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ৮.৬৩ শতাংশ। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৪০ টাকা ৩০ পয়সায়।

আল আরাফাহ ইসলামি ব্যাংক: আজ সূচক বৃদ্ধিতে কোম্পানিটির অবদান ছিলো ৩.৫৭ পয়েন্ট। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ৫.৬৭ শতাংশ। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৬ টাকা ১০ পয়সায়।

বেক্সিমকো ফার্মা: আজ সূচক বৃদ্ধিতে কোম্পানিটির অবদান ছিলো ৩.৩১ পয়েন্ট। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ১.৬৩ শতাংশ। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৯৩ টাকা ৭০ পয়সায়।

আইসিবি: আজ সূচক বৃদ্ধিতে কোম্পানিটির অবদান ছিলো ৩.২৮ পয়েন্ট। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ১.৪২ শতাংশ। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১২১ টাকা ৭০ পয়সায়।

আইপিডিসি: আজ সূচক বৃদ্ধিতে কোম্পানিটির অবদান ছিলো ২.৪৯ পয়েন্ট। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ৮.৭৫ শতাংশ। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩৪ টাকা ৮০ পয়সায়।

লাফার্জহোলসিম:আজ সূচক বৃদ্ধিতে কোম্পানিটির অবদান ছিলো ২.২৩ পয়েন্ট। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ১.১৯ শতাংশ। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৬৭ টাকা ৯০ পয়সায়।

রেনাটা: আজ সূচক বৃদ্ধিতে কোম্পানিটির অবদান ছিলো ২.২২ পয়েন্ট। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ০.৬৭ শতাংশ। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৪২৭ টাকা ৮০ পয়সায়।

মিউচ্যুয়াল ফান্ডে ভালো লভ্যাংশের প্রভাব নেই পুঁজিবাজারে: মিউচ্যুয়াল ফান্ডে ভালো লভ্যাংশের প্রভাব নেই পুঁজিবাজারে। ফলে এ খাতের প্রতি দিন দিন আগ্রহ কমেছে বিনিয়োগকারীদের। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ব্যাপক দরপতনের কবলে পড়েছে মিউচ্যুয়াল ফান্ড। ৩৭টি ফান্ডের মধ্যে মাত্র ৩টির দর বেড়েছে।

অথচ বুধবারও এই খাতের ৮টি মিউচ্যুয়াল ফান্ড ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। এই পর্যন্ত এখাতে ১৪টি ফান্ড ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। বৃহস্পতিবার দুটি ফান্ড চমক ডিভিডেন্ড ঘোষণা করছে। এর মধ্যে একটি এশিয়ান টাইগার অনটি সিএপিএম ইউনিট ফান্ড।

তবে মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলো গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি ডিভিডেন্ড ঘোষণা করছে। পাশাপাশি ফান্ডগুলোর মুনাফায়ও রয়েছে চমক। কিন্তু তারপরও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের দরে ইতিবাচক প্রভাব না পড়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন বিনিয়োগকারীরা। ভালো ডিভিডেন্ড ও মুনাফা ঘোষণার পরও চাঙ্গাবাজারে বড় ইনভেস্টরদের অনাগ্রহে ইতিবাচক প্রভাব পড়ছেনা মিউচ্যুয়াল ফান্ডে।

জানা যায়, সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে পুঁজিবাজারে সূচকে রেকর্ড করেছে। জুন ক্লোজিং হওয়া প্রায় সবগুলো খাতের দর বাড়লেও এদিন পিছিয়ে ছিল মিউচ্যুয়াল ফান্ড। আজ এ মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৩৭টির মধ্যে দর কমেছে ১৬টি ফান্ডেরই দর কমেছে।

বিপরীতে দর বেড়েছে ৩টির, অপরিবর্তিত রয়েছে ৭টি এবং একটির লেনদেন হয়নি। আজ মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৭ কোটি ৮৬ লাখ ৫৬ হাজার ৭৯১টি ইউনিট ১৩ হাজার ১৭২বার হাতবদল হয়, যার বাজারমূল্য ৭৪ কোটি ৫৬ লাখ ৯৭ হাজার টাকা। এদিকে, পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত আইসিবি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির ব্যবস্থপানায় ৮ মিউচ্যুয়াল ফান্ড ইউনিটহোল্ডারদের জন্য গতকাল ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে।

বাজার সংশ্লিষ্টদের মতে, জুন ক্লোজিংয়ের ২৯টি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে প্রায় সবগুলো ফান্ডই সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) রেকর্ড পরিমাণ আয় দেখিয়েছে। ইতোমধ্যে আয়ের সাথে সামঞ্জস্য ডিভিডেন্ড দিলেও ঘুরে দাঁড়াচ্ছে না মিউচ্যুয়াল ফান্ড।

এর প্রধান কারণ হলো বড় ইনভেস্টরদের অংশগ্রহন নেই মিউচ্যুয়াল ফান্ডে। অথচ বর্তমানে মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলো যে পরিমাণ ডিভিডেন্ড দিচ্ছে তা সত্যিই ইতিবাচক। এখাতে বিনিয়োগ করে পুঁজি ঝুঁকিতে পড়ার সম্ভাবনা খুবই কম। যদি বড় ইনভেস্টররা এখাতে লেনদেনে অংশগ্রহণ করে তবে ঘুরে দাঁড়াতে পারে খাতটি।