দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের কোম্পানি লংকাবাংলা ফাইন্যান্স লিমিটেড চলতি অর্থবছরের প্রথম ও দ্বিতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। লংকাবাংলা সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। চলতি অর্থবছরের দ্বিতী প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন’২১) সহযোগী প্রতিষ্ঠানের আয়সহ প্রতিষ্ঠানটির সমন্বিত শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩০ পয়সা। গত বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে সমন্বিত ইপিএস ছিল ১ পয়সা।

অন্যদিকে অর্থববছরের ৬ মাসে (জানুয়ারি-জুন’২১) লংকাবাংলার সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ৭১ পয়সা। গত বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে সমন্বিত ইপিএস ছিল ১৪ পয়সা। দুই প্রান্তিকে সমন্বিতভাবে লংকাবাংলার শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো ছিল ২ টাকা ৪৫ পয়সা।

যা গত বছর ছিল ১ টাকা ৯২ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২১ তারিখে সমন্বিতভাবে লংকাবাংলার শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) হয়েছে ১৮ টাকা ২৪ পয়সা।

ব্যাংক খাতের ‘পুরোনো রোগে’ পুঁজিবাজারে ছন্দপতন: পুঁজিবাজারে ব্যাংক খাতের শেয়ারে আর্শীবাদ হলেও বিনিয়োগকারীদের কাছে আতঙ্ক। কারনে ব্যাংকের শেয়ারের দাম যখন দল বেঁধে বাড়লেও পরের কার্যদিবসে পুঁজিবাজারে দরপতন ঘটে। ফলে ব্যাংক খাতের শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের কাছে আতঙ্ক বলে মন্তব্য করছেন বিনিয়োগকারীরা। ইতিমধ্যে ব্যাংক খাতের শেয়ার দর বেঁধে যতবার বাড়ছে ততবার বাজার দরপতন ঘটছে বলে একাধিক বিনিয়োগকারী জানান।

পুঁজিবাজারে সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে ব্যাংক খাতের পাশাপাশি আর্থিক খাতের দরপতন ঘটে। তবে দিনের প্রায় পুরোটা সময় উত্থান হলেও শেষ বেলায় বস্ত্র খাতেও দেখা গেল দরপতন। প্রকৌশল খাতেও দিনটি ভালো যায়নি। সব মিলিয়ে উত্থানে থাকা পুঁজিবাজারে ছন্দপতন হলো। সকাল ১০টা থেকে লেনদেন শুরু হয়ে বেলা পৌনে একটা পর্যন্ত উত্থানে থাকলেও শেষ পৌনে দুই ঘণ্টায় বিক্রয়ের চাপে সূচকের পতন হলো।

দিন শেষে ১৫ পয়েন্টের পতনে সূচকের অবস্থান ৬ হাজার ৭৭১ পয়েন্ট। অবশ্য এক পর্যায়ে সূচক এখান থেকে ৫০ পয়েন্ট বেশি ছিল। লেনদেন শুরুর আধা ঘণ্টার মধ্যে সূচক এক পর্যায়ে উঠে যায় ৬ হাজার ৮২১ পয়েন্টে। তখন আশা করা হচ্ছিল আরও একটি ঝলমলে দিন বুঝি এলো পুঁজিবাজারে। তবে শেষ পর্যন্ত যত কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে, কমেছে তার প্রায় দেড় গুণ। দর সংশোধনের দিন লেনদেনও কমে গেছে।

ডিএসইতে আজ ২ হাজার ৪৬৫ কোটি ৫৩ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের কার্যদিবস থেকে ২০৭ কোটি ৯৬ লাখ টাকা কম। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৬৭৩ কোটি ৪৯ লাখ টাকার। আজ ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫.৩১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার ৭৭১.৮৪ পয়েন্টে। আজ ডিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ২.৭৭ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৪৬৬.২৫ পয়েন্টে। তবে ডিএসই-৩০ সূচক ৪.৬৫ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ৪২৬.৮২ পয়েন্টে।

ডিএসইতে আজ ৩৭৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ১৩৮টির বা ৩৬.৯০ শতাংশের, শেয়ার দর কমেছে ২১৬টির বা ৫৭.৭৫ শতাংশের এবং ২০টির বা ৫.৩৫ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২৭.৬৯ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৯ হাজার ৭৪০.৬৫ পয়েন্টে। সিএসইতে আজ ৩২৮টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৩১টির দর বেড়েছে, কমেছে ১৭৩টির আর ২৪টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে ৯২ কোটি ৪২ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

মহামারিতে পুঁজিবাজারের ১০ ব্যাংকের নগদ অর্থ সংকট: মহামারি করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) থাবায় গোটা বিশ্বের অর্থনীতি ওলট-পালট হয়ে গেছে। এর ধাক্কা লেগেছে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কার্যক্রম তথা জীবনযাত্রায়ও। আয় কমে যাওয়ায় সংসারের খরচ কমাতে অনেকেই সঞ্চয় ভেঙেছেন। আগে বেশি পরিমাণে সঞ্চয় করা অনেকেই খরচের ঘানি টানতে গিয়ে সঞ্চয় কমিয়েছেন। আবার সুদ হার কমে যাওয়ায় ব্যাংকে টাকা রাখার প্রবণতাও কমেছে।

এদিকে ব্যাংক খাতে বিপুল পরিমাণ অলস অর্থ পড়ে থাকলেও পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ১০ ব্যাংকের নগদ অর্থে টান দেখা দিয়েছে। এই ব্যাংকগুলোতে প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা তারল্য সংকট রয়েছে। এই ১০ ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে এবি ব্যাংক, ইষ্টার্ণ ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, এনআরবিসি ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক, ট্রাস্ট ব্যাংক এবং ইউসিবি।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ব্যবস্থাপনা পর্ষদের অদক্ষতা এবং ঋণ বিতরণের অনিয়মের কারণে বর্তমান পরিস্থিতিতে ব্যাংকগুলোতে নগদ অর্থের টান পড়ার অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, মহামারি করোনাভাইরাসের প্রকোপে বর্তমানে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এক ধরনের স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। ফলে ব্যাংকগুলো আমনতের অর্থ ঠিকমতো বিনিয়োগ করতে পারছে না। এতে সার্বিক ব্যাংক খাতে বিপুল পরিমাণ অলস অর্থ পড়ে আছে। এই পরিস্থিতিতে কিছু ব্যাংকের তারল্য সংকট দেখা দেয়া ভালো লক্ষণ না।

সংশ্লিষ্টরা আরও বলছেন, যখন সার্বিক ব্যাংক খাতে বিপুল অলস অর্থ পড়ে আছে, সে সময়ে কিছু ব্যাংক কী কারণে তারল্য সংকটে রয়েছে তা ক্ষতিয়ে দেখা উচিত। এ জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে পদক্ষেপ নিতে হবে। সার্বিক বিষয় ক্ষতিয়ে দেখে সমস্যা সমাধানে দ্রুত উদ্যোগ নিতে হবে। তা না হলে সামনে পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে।

ব্যাংক খাতে উদ্বৃত্ত তারল্য বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের জুন পর্যন্ত ব্যাংক খাতে উদ্বৃত্ত তারল্য রয়েছে ২ লাখ ৩১ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে একবারে অলস পড়ে আছে ৬২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। বিপুল এই অলস অর্থের একটা গতি করতে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ব্যাংক ‘বাংলাদেশ বিল’-এর মাধ্যমে নামমাত্র সুদে ব্যাংকগুলো থেকে অলস অর্থ তুলে নেয়ার পদক্ষেপ নিয়েছে। এরইমধ্যে কিছু অলস অর্থ তুলেও নেয়া হয়েছে।

ব্যাংকগুলোর চলতি বছরের জানুয়ারি-জুন এই ছয় মাসের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা যায়, এবি ব্যাংক, ইষ্টার্ণ ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, এনআরবিসি ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক, ট্রাস্ট ব্যাংক এবং ইউসিবি’র অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো ঋণাত্মক হয়ে পড়েছে। ব্যাংকগুলোতে ঋণাত্মক ক্যাশ ফ্লো আছে ৪৯৮৩ কোটি ৮৮ লাখ ৫ হাজার টাকা।

আলোচ্য ব্যাংকগুলোর মধ্যে এনআরবিসি ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক এবং ট্রাস্ট ব্যাংকের ক্যাশ ফ্লো গত বছরের প্রথম ছয় মাসে পজিটিভ ছিল। বাকি সাতটি ব্যাংকের ক্যাশ ফ্লো গত বছরও ঋণাত্মক ছিল। অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো ঋণাত্মক হওয়ার অর্থ তারল্য সংকট দেখা দেয়া। যে প্রতিষ্ঠানের ক্যাশ ফ্লো যত বেশি ঋণাত্মক, ওই প্রতিষ্ঠানের তারল্য সংকট ততো বেশি। একটি প্রতিষ্ঠানের অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো ঋণাত্মক হয়ে পড়লে ওই প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা পরিচালনায় নানামুখী সমস্যা দেখা দেয়। সময়মতো পাওনাদারের পাওনা পরিশোধ করা কষ্টকর হয়ে পড়ে।

আর্থিক প্রতিবেদনে দেখা যায়, ক্যাশ ফ্লো ঋণাত্মক অবস্থায় থাকা ব্যাংকগুলোর মধ্যে সব থেকে খারাপ অবস্থায় রয়েছে ইষ্টার্ণ ব্যাংক। চলতি বছরের জানুয়ারি-জুন সময়ে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ঋণাত্মক ৯ টাকা ২৫ পয়সা। এতে প্রতিষ্ঠানটিতে মোট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো রয়েছে ঋণাত্মক ৮৮২ কোটি ৩২ লাখ ৪৬ টাকা। গত বছরের প্রথম ছয় মাসেও ব্যাংকটির ক্যাশ ফ্লো মোটা অঙ্কে ঋণাত্মক ছিল। ২০২০ সালের জানুয়ারি-জুন সময়ে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি ক্যাশ ফ্লো ছিল ঋণাত্মক ১২ টাকা ১০ পয়সা।

দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে এবি ব্যাংক। প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারপ্রতি ক্যাশ ফ্লো ঋণাত্মক ৮ টাকা ৭৩ পয়সা। এতে মোট ঋণাত্মক ক্যাশ ফ্লো হয়েছে ৬৯৪ কোটি ৯৪ লাখ এক হাজার টাকা। গত বছর ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি ঋণাত্মক ক্যাশ ফ্লো ছিল ৩৩ টাকা ৩৮ পয়সা। এ হিসেবে প্রতিষ্ঠানটির ঋণাত্মক ক্যাশ ফ্লো কমে চার ভাগের এক ভাগে নেমে এসেছে।

অপারেটিং ক্যাশ ফ্লোর এমন উন্নতি হওয়ার কারণ হিসেবে ব্যাংকটির কর্তৃপক্ষ গ্রাহকদের কাছ থেকে বড় অঙ্কের আমানত পাওয়ার কথা জানিয়েছে। ব্যাংকটির দেয়া তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) গ্রাহকের আমানত ১ হাজার ৭৭০ কোটি টাকা বেড়েছে। শেয়ারপ্রতি ৮ টাকা ১৫ পয়সা ক্যাশ ফ্লো ঋণাত্মক হওয়ার মাধ্যমে পরের স্থানে রয়েছে ইউসিবি। প্রতিষ্ঠানটির ক্যাশ ফ্লো মোট ঋণাত্মক হওয়ার পরিমাণ ১ হাজার ৪১ কোটি ৮৯ লাখ ৩৫ হাজার টাকা।

অবশ্য শেয়ার সংখ্যা বেশি হওয়ায় সব থেকে বেশি ঋণাত্মক ক্যাশ ফ্লো রয়েছে এক্সিম ব্যাংকের। শেয়ারপ্রতি ৭ টাকা ৪৬ পয়সা হিসেবে ব্যাংকটির মোট ঋণাত্মক ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৫৩ কোটি ৫৩ লাখ ৯২ হাজার টাকা। গত বছরের প্রথম ছয় মাসেও ব্যাংকটির ক্যাশ ফ্লো বড় অঙ্কে ঋণাত্মক ছিল। ২০২০ সালের জানুয়ারি-জুন সময়ে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি ঋণাত্মক ক্যাশ ফ্লো ছিল ১৪ টাকা ৫২ পয়সা।

এছাড়া ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের ১৭৯ কোটি ৩১ লাখ ৫৬ হাজার টাকা, মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ৪৪ কোটি ৩১ লাখ ৭৯ হাজার টাকা, এনআরবিসি ব্যাংকের ৫৪ কোটি ৭৯ লাখ ৬৩ হাজার টাকা, প্রিমিয়ার ব্যাংকের ৫৭১ কোটি ৬০ লাখ ২৭ হাজার টাকা, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের ২৭৩ কোটি ৬২ লাখ ৯৪ হাজার টাকা এবং ট্রাস্ট ব্যাংকের ১৮৭ কোটি ৫২ লাখ ৭ হাজার টাকা ক্যাশ ফ্লো ঋণাত্মক রয়েছে।

পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই) অব বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ও ব্র্যাক ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. আহসান এইচ মনসুর এ বিষয়ে বলেন, যে ব্যাংকগুলো এখন তারল্য সংকটে আছে তারা ঠিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে না। তাদের ওপর মানুষের আস্থা কম। এই বাজারে তারল্য সংকট থাকার কথা না। এটি ব্যাংকগুলোর এক ধরনের সংকটেরও ইঙ্গিত দিচ্ছে। এবি ব্যাংক সংকটের মধ্যে পড়ে আছে। স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক বিভিন্ন কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত আমরা জানি।

অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) সভাপতি ও ইবিএল’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আলী রেজা ইফতেখার বিষয়টিতে বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর আমাদের ১৭৭ কোটি টাকা বেশি কালেকশন হয়েছে। আমাদের ব্যাংকের ক্যাশ ফ্লো ঋণাত্মক হওয়ার কারণ আমাদের ঋণের যে গ্রোথ হয়েছে তার থেকে আমানতের গ্রোথ কম হয়েছে।

ব্লক মার্কেটে পাঁচ কোম্পানির লেনদেনের শীর্ষে: পুঁজিবাজারে সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ব্লক মার্কেটে ৪১টি কোম্পানির লেনদেন হয়েছে। এসব কোম্পানির ৭৮ কোটি ৩৯ লাখ ৯৩ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে পাঁচ কোম্পানির বড় লেনদেন হয়েছে। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে আল আরাফাহ ইসলামি ব্যাংকের। কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৫১ কোটি ৮০ লক্ষ টাকার।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে পূবালী ব্যাংকের ১৪ কোটি ৪৯ লক্ষ টাকার, তৃতীয় সর্বোচ্চ এইচআর টেক্সটাইলের ৪ কোটি ২৩ লক্ষ ৮ হাজার টাকার, চতুর্থ সর্বোচ্চ মেঘনা পেট্রোলিয়ামের ৩ কোটি ২১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকার, পঞ্চম সর্বোচ্চ ওরিয়ন ফার্মার ৩ কোটি ১৮ লক্ষ ৯ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

এছাড়া, সালভো কেমিক্যালের ১ কোটি ৭৬ লক্ষ টাকার, জিবিবি পাওয়ারের ১ কোটি ৪৯ লক্ষ ৭০ হাজার টাকার, ইউনিলিভারের ১ কোটি ২৮ লক্ষ ২৫ হাজার টাকার, জেনেক্স ইনফোসিসের ১ কোটি ১০ লক্ষ ১৯ হাজার টাকার, সিটি জেনারেল ইন্সুরেন্সের ১ কোটি ৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার, বেক্সিমকোর ১ কোটি ৯৮ হাজার টাকার, এনসিসি ব্যাংকের ৬৭ লক্ষ ১২ হাজার টাকার, ই-স্কয়ার নিটিংয়ের ৬২ লক্ষ ২৫ হাজার টাকার,

জিএসপি ফাইন্যান্সের ৬১ লক্ষ ৭৪ হাজার টাকার, লাফার্জ হোলসিমের ৫৪ লক্ষ টাকার, পাওয়ার গ্রীডের ৫১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকার, এসএস স্টিলের ৪৭ লক্ষ ৮০ হাজার টাকার, সোনালী পেপারের ৪৬ লক্ষ ৬২ হাজার টাকার, ওরিয়ন ইনফিউশনের ৪৬ লক্ষ ১৩ হাজার টাকার, ওই ম্যাক্সের ৪৪ লক্ষ ৮ হাজার টাকার, মাটিন স্পিনিংয়ের ৩৫ লক্ষ ৮৬ হাজার টাকার, তৌফিকার ৩৪ লক্ষ ৪০ হাজার টাকার, লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের ৩১ লক্ষ ১২ হাজার টাকার, কাট্টালি টেক্সটাইলের ৩০ লক্ষ ৪৭ হাজার টাকার, প্রিমিয়ার সিমেন্টের ৩০ লক্ষ ২৬ হাজার টাকার,

নাহি অ্যালুমিনিয়ামের ২৬ লক্ষ টাকার, আরএকে সিরামিকের ১৮ লক্ষ ৭৬ হাজার টাকার, মেট্রো স্পিনিংয়ের ১৪ লক্ষ ৪০ হাজার টাকার, কেয়া কসমেটিকের ১৩ লক্ষ ৪৮ হাজার টাকার, সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্সের ১১ লক্ষ ৯২ হাজার টাকার, রহিমা ফুডের ১১ লক্ষ ৬৬ হাজার টাকার, ইফাদ অটোর ১১ লক্ষ ৩৮ হাজার টাকার, প্রাইম টেক্সটাইলের ১০ লক্ষ ৫০হাজার টাকার, রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্সের ৮ লক্ষ ৯০ হাজার টাকার,

সমরিতা ৮ লক্ষ টাকার, পিপলস ইন্সুরেন্সের ৭ লক্ষ ৫২ হাজার টাকার, ডরিন পাওয়ারের ৭ লক্ষ ১০ হাজার টাকার, ইন্ডেক্স এগ্রোর ৭ লক্ষ ১ হাজার টাকার, বেক্সিমকো ফার্মার ৭ লক্ টাকার, ফরচুন সুজের ৬ লক্ষ ২৫ হাজার টাকার, ঢাকা ব্রাক হাউসিংয়ের ৬ লক্ষ ১৫ হাজার টাকার, শাইনপুকুর সিরামিকের ৫ লক্ষ ৪ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে।

ডিএসই ৭ কোম্পানির লেনদেনের রেকর্ড: পুঁজিবাজারে সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শীর্ষে দশে থাকা ৭ কোম্পানির লেনদেনে রেকর্ড সৃষ্টি করছে। কোম্পানিগুলোর প্রতি বিনিয়োগকারীদের একটু বাড়তি আগ্রহ থাকায় লেনদেনের আগ্রহ বেড়েছে। বিনিয়োগকারীদের শেয়ার কেনার চাপে আজ কোম্পানিগুলোর লেনদেন যেমন বেড়েছে, তেমনি দরও বেড়েছে।

কোম্পানিগুলো হলো: বেক্সিমকো লিমিটেড, ওরিয়ন ফার্মা, লাফার্জহোলসিম, মালেক স্পিনিং, সাইনপুকুর সিরামিক, জেনেক্স ইনফোসিস এবং ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বেক্সিমকো লিমিটেড: শেয়ার কেনার চাপে থাকা সাত কোম্পানির মধ্যে বেক্সিমকো লিমিটেডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১ কোটি ২৪ লাখ ১০ হাজার ৩১৩টি। যার বাজার মূল্য ১৩০ কোটি ৩৯ লাখ ৯২ হাজার টাকা। আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ৩ টাকা ৯০ পয়সা। গতকাল কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছিলো ১০১ টাকা ৭০ পয়সা। আজ সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১০৫ টাকা ৬০ পয়সায়।

ওরিয়ন ফার্মা: আজ ওরিয়ন ফার্মার শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৭২ লাখ ৬৫ হাজার ৯৯৭টি। যার বাজার মূল্য ৫২ কোটি ৯০ লাখ ৬০ হাজার টাকা। আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ১ টাকা ৫০ পয়সা। গতকাল কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছিলো ৭০ টাকা ৫০ পয়সা। আজ সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৭২ টাকায়।

লাফার্জহোলসিম: আজ লাফার্জহোলসিমের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৭০ লাখ ৫৪ হাজার ৮০৮টি। যার বাজার মূল্য ৪৮ কোটি ৯৪ লাখ ৫৩ হাজার টাকা। আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ২ টাকা ৩০ পয়সা। গতকাল কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছিলো ৬৭ টাকা ৫০ পয়সা। আজ সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৬৯ টাকা ৮০ পয়সা।

মালেক স্পিনিং: আজ মালেক স্পিনিংয়ের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১ কোটি ১৮ লাখ ৪৯ হাজার ১৯৯টি। যার বাজার মূল্য ৪৪ কোটি ৪৭ লাখ ৪৭ হাজার টাকা।আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ৫০ পয়সা। গতকাল কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছিলো ৩৭ টাকা ১০ পয়সা। আজ সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩৭ টাকা ৬০ পয়সায়।

শাইনপুকুর সিরামিকস: আজ সাইনপুকুর সিরামিকের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৪৩ লাখ ৯৫ হাজার ৪৫৩টি। যার বাজার মূল্য ৩৮ কোটি ৫৯ লাখ ৮ হাজার টাকা।আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ৮ টাকা। গতকাল কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছিলো ৮১ টাকা ৭০ পয়সা। আজ সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৮৯ টাকা ৭০ পয়সায়।

জেনেক্স ইনিফোসিস: আজ জেনেক্স ইনিফোসিসের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩৪ লাখ ৩১ হাজার ১৬৯টি। যার বাজার মূল্য ৩৭ কোটি ৭১ লাখ ৪৪ হাজার টাকা।আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ৫ টাকা। গতকাল কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছিলো ১০৫ টাকা ৩০ পয়সা। আজ সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১১০ টাকা ৩০ পয়সায়।

ন্যাশনাল ব্যাংক: আজ ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৪ কোটি ৫৫ লাখ ২৫ হাজার ৯৩৫টি। যার বাজার মূল্য ৩৭ কোটি ৬৭ লাখ ৯৪০ হাজার টাকা। আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ৩০ পয়সা। গতকাল কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছিলো ৮ টাকা। আজ সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৮ টাকা ৩০ পয়সায়।

ডিএসইর সূচক উঠাতে ব্যর্থ মেগা ৩ কোম্পানি: পুঁজিবাজারে সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান ইনডেক্স কমেছে ১৫ পয়েন্ট। এর মধ্যে তিন মেগা কোম্পানি আজ সূচকে টেনে উঠানে চাইলেও ব্যর্থ হয়েছে। সূচক টেনে উঠাতে এই তিন কোম্পানির অবদান ছিলো ১৫ পয়েন্ট। এই তিন কোম্পানির মধ্যে রয়েছে ওয়ালটন, বেক্সিমকো লিমিটেড এবং লাফার্জহোলিসিম বাংলাদেশ লিমিটেড। আমার স্টক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, বুধবার ডিএসইতে ইনডেক্স বাড়ানোতে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে ওয়ালটন। আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ১১ টাকা ১০ পয়সা। এতে কোম্পানিটি ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স ডিএসইএক্স সূচক টেনে উঠানোর চেষ্টায় অবদান রেখেছে ৫.৫২ পয়েন্ট।

বেক্সিমকো লিমিটেডের শেয়ার দর বেড়েছে ৩ টাকা ৯০ পয়সা। এই কারণে কোম্পানিটি ডিএসইর সূচক উঠাতে অবদান রেখেছে ৫.১৯ পয়েন্ট। একইভাবে লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেডের অবদান রয়েছে ৪.৪১ পয়েন্ট। এই তিন কোম্পানি ডিএসইর প্রধান সূচক উঠাতে অবদান রেখেছে ১৫ পয়েন্টের বেশি।

এছাড়াও, ডিএসই ব্রড ইনডেক্স ডিএসইএক্স এর সূচক বৃদ্ধির চেষ্টায় অবদান রাখার শীর্ষ অন্য সাত কোম্পানির মধ্যে সাইন পুকুরের অবদান রয়েছে ২.১২ পয়েন্ট, সাউথ বাংলা ব্যাংকের অবদান রয়েছে ১.৬৭ পয়েন্ট,

ন্যাশনাল ব্যাংকের অবদান রয়েছে ১.৪০ পয়েন্ট, পাইওনির ইন্স্যুরেন্সের অবদান রয়েছে ১.১৯ পয়েন্ট, বেক্সিমকো ফার্মার অবদান রয়েছে ১.০৮ পয়েন্ট, তিতাস গ্যাসের অবদান রয়েছে ১.০৫ পয়েন্ট এবং জেনেক্স ইনফোসিসের অবদান রয়েছে ০.৭৪ পয়েন্ট।

ডিএসই মার্কেট লিডার নতুন ২ কোম্পানি: পুঁজিবাজারে সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে ঢাকা ষ্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই ) মার্কেট লিডারের তালিকায় নতুন দুই কোম্পানি উঠে এসেছে। কোম্পানি দুটো হলো: ন্যাশনাল ব্যাংক ও জেনেক্স ইনফোসিস লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

ন্যাশনাল ব্যাংক: আজ ন্যাশনাল ব্যাংকের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৪ কোটি ৫৪ লাখ ৪৮ হাজার ৯০২টি। যার বাজার মুল্য ছিলো ৩৭ কোটি ৬১ লাখ টাকা। কোম্পানিটি ডিএসইর মার্কেট লিডারের ৮ম স্থানে উঠে এসেছে। আজ কোম্পানিটি দর বেড়েছে ৩০ পয়সা বা ৩.৭৫ শতাংশ। আগেরদিন কোম্পানিটির শেয়ারদর ছিল ৮ টাকা। আজ ক্লোজিং দর হয়েছে ৮ টাকা ৩০ পয়সায়।

ব্যাংকটি চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২১) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) করেছে ১৩ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ৩০ পয়সা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির সম্পদ মূল্য হয়েছে ১৭ টাকা ০৮ পয়সা।

জেনেক্স ইনফোসিস: আজ জেনেক্স ইনফোসিসের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩৪ লাখ ৩১ হাজার ১৬৯টি। যার বাজার মুল্য ছিলো ৩৭ কোটি ৭১ লাখ টাকা। কোম্পানিটি ডিএসইর মার্কেট লিডারের ৯ম স্থানে উঠে এসেছে। আজ কোম্পানিটি দর বেড়েছে ৫ টাকা বা ৪.৭৫ শতাংশ। আগেরদিন কোম্পানিটির শেয়ারদর ছিল ১০৫ টাকা ৩০ পয়সা। আজ ক্লোজিং দর হয়েছে ১১০ টাকা ৩০ পয়সা।

তথ্য প্রযুক্তি খাতের কোম্পানিটির সমাপ্ত অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) ইপিএস হয়েছে ৩ টাকা ০৬ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ৩ টাকা ০১ পয়সা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির সম্পদ মূল্য হয়েছে ১৮ টাকা ০৭ পয়সা।

সম্পদ ব্যবস্থাপকের লাইসেন্স পেল সন্ধানী অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সন্ধানী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান সন্ধানী অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডকে সম্পদ ব্যবস্থাপকের লাইসেন্স প্রদান করা হয়েছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) প্রতিষ্ঠানটিকে এই লাইসেন্স প্রদান করে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সন্ধানী গ্রুপের শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্ট আরো দুটি প্রতিষ্ঠান হলো সন্ধানী লাইফ ফাইন্যান্স লিমিটেড (মার্চেন্ট ব্যাংক) এবং মোনা সিকিউরিটিজ লিমিটেড (ব্রোকারেজ হাউজ)। সন্ধানী গ্রুপের নতুন সদস্য সন্ধানী অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের লাইসেন্স প্রাপ্তির মাধ্যমে সন্ধানী গ্রুপ শেয়ারবাজারে তাদের ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধি আরো সম্প্রসারিত করার সুযোগ পেলো।

মীর আরিফুল ইসলাম সন্ধানী অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে যোগদান করেছেন। সন্ধানী অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড এ যোগদান এর পূর্বে তিনি প্রাইম ফাইন্যান্স অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের হেড অফ রিসার্চ এন্ড ফান্ড ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

তিনি এক যুগের অধিক সময় ধরে শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন। তাঁর ব্রোকারেজ অপারেশন, পোর্টফোলিও ম্যানেজমেন্ট, রিসার্চ আন্ড এনালাইসিস এবং এসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিতে কাজ করার প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা রয়েছে। পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধিতে তিনি দেশ বিদেশে বহু প্রশিক্ষণ ও কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন। শিক্ষাজীবনে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিন্যান্স বিভাগে স্নাতক ও একাউন্টিং এন্ড ইনফেরমেশন সিস্টেম বিভাগে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি ইনস্টিটিউট অফ চার্টার্ড সেক্রেটারিজ অফ বাংলাদেশ এর একজন অ্যাসোসিয়েট মেম্বার।

তিন কোম্পানির দর শেয়ার বৃদ্ধির কারন অজানা: বিনা কারণেই পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত তিন কোম্পানির শেয়ার দর অস্বাভাবিক বাড়ছে বলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই) জানিয়েছে কোম্পানিগুলো। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা যায়। কোম্পানি তিনটি হলো: সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল, স্টাইলক্রাফট এবং এইচআর টেক্সটাইল।

জানা গেছে, শেয়ার দর অস্বাভাবিক বাড়ার কারণ জানতে চেয়ে সম্প্রতি ডিএসই কোম্পানিগুলোকে নোটিশ পাঠায়। এর জবাবে কোম্পানিগুলোর পক্ষ থেকে গত জানানো হয়, কোনো রকম অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই তাদের শেয়ার দর এভাবে বাড়ছে।

উল্লেখ্য, সিভিওপেট্রোকেমিক্যালের শেয়ার দর গত ০২ আগস্ট ছিল ১১১.৯০ টাকায়। আর ১৭ আগস্ট কোম্পানিটির শেয়ারের দর বেড়ে দাঁড়ায় ১৬২.৯০ টাকায়। অর্থাৎ এই ৮ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ার দর ৫০.১০ টাকা বা ৪৫ শতাংশ বেড়েছে।

স্টাইলক্রাফটের শেয়ার দর গত ০২ আগস্ট ছিল ১৪৯.৭০ টাকায়। আর ১৮ আগস্ট কোম্পানিটির শেয়ারের দর বেড়ে দাঁড়ায় ১৯৯.৩০ টাকায়। অর্থাৎ এই ৯ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ার দর ৪৯.৬০ টাকা বা ৩৩ শতাংশ বেড়েছে।

এইচআর টেক্সটাইলের শেয়ার দর গত ১০ আগস্ট ছিল ৬২.৮০ টাকায়। আর ১৮ আগস্ট কোম্পানিটির শেয়ারের দর বেড়ে দাঁড়ায় ৭৫.৮০ টাকায়। অর্থাৎ এই ৫ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ার দর ১২.৫০ টাকা বা ২০ শতাংশ বেড়েছে।

সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্সের পর্ষদ সভা ২৬ আগস্ট: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বীমা খাতের কোম্পানি সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের সভা আগামী ২৬ আগস্ট বিকাল ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র মতে, সভায় কোম্পানিটির ৩০ জুন, ২০২১ সমাপ্ত দ্বিতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। পর্ষদ আলোচিত প্রতিবেদন অনুমোদন করলে তা প্রকাশ করবে কোম্পানিটি।

মালা শাড়ির আনোয়ার হোসেন না ফেরার দেশে: দেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী আনোয়ার গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এবং সাবেক সংসদ সদস্য মালা শাড়ির আনোয়ার হোসেন আনোয়ার হোসেন না ফেরার দেশে পারি জমালেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।

মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। আনোয়ার গ্রুপের পক্ষ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। আনোয়ার হোসেন ২০১২ সাল থেকে ডিমেনশিয়া ও বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন।

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় মরহুমের নামাজে জানাজা ধানমন্ডি ৭ নম্বর রোডে বাইতুল আমান জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে। দেশের পুরোনো উদ্যোক্তাদের অন্যতম আনোয়ার হোসেন। ছোট থেকে শুরু করেছিলেন, এখন আনোয়ার গ্রুপ দেশের অন্যতম শীর্ষ শিল্পগোষ্ঠী।
আনোয়ার হোসেন ১৯৩৮ সালে ঢাকার আলমীগোলায় (লালবাগ) জন্মগ্রহণ করেন।

১৯৭৩ সালে তিনি ধানমন্ডিতে বসবাস করা শুরু করেন। তার বাবা রহিম বখসও ব্যবসায়ী ছিলেন। মালা শাড়ি বাংলাদেশের শাড়ির জগতে প্রথম সুপরিচিত ব্র্যান্ড। দেশে মুক্তিযুদ্ধের আগে ও পরে এই শাড়ি এতটাই জনপ্রিয়তা পেয়েছিল যে, বিয়ে মানেই ছিল মালা শাড়ি দিয়ে। আনোয়ার হোসেন ব্যবসা শুরু করেন ১৯৫৩ সালে। তিনি কর্মসংস্থান করেছেন প্রায় ১৪ হাজার মানুষের।

১৯৬৮ সালে তিনি প্রথম বড় কারখানা আনোয়ার সিল্ক মিলস প্রতিষ্ঠা করেন। বস্ত্র, পাট, সিমেন্ট, ইস্পাত, আবাসন, পলিমার, আসবাব, অটোমোবাইল, ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ তার প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান প্রায় ৩৬টি। ১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠিত দ্য সিটি ব্যাংকে চার দফায় চেয়ারম্যান ছিলেন আনোয়ার হোসেন।

ব্যক্তিজীবনে আনোয়ার হোসেন তিন ছেলে ও চার মেয়ের জনক। তার মেয়েরা হলেন শাহীন বেগম, সেলিনা বেগম মালা, হাসিনা বেগম রুমা ও শাহনাজ বেগম মুন্নী। ছেলেরা হলেন মানোয়ার হোসেন, হোসেন মেহমুদ ও হোসেন খালেদ। রাজনীতিতে যোগ দিয়ে তিনি ১৯৮৮ সালের চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে ঢাকা-৮ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

আনোয়ার গ্রুপের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানসমূহ: আনোয়ার সিমেন্ট লিমিটেড, আনোয়ার সিমেন্ট শিট লিমিটেড, আনোয়ার টেক্সটাইল লিমিটেড, আনোয়ার গ্যালভানাইজিং লিমিটেড, আনোয়ার সিল্ক মিলস লিমিটেড। হোসেন ডাইং অ্যান্ড প্রিন্টিং মিলস লিমিটেড, এ-১ পলিমার লিমিটেড, পাট স্পিনিং মিলস লিমিটেড, অ্যাথেনার আসবাব ও হোমসজ্জা, মাহমুদ ইন্ডাস্ট্রিজ প্রাইভেট লিমিটেড। আনোয়ার ইস্পাত লিমিটেড, আনোয়ার ল্যান্ডমার্ক লিমিটেড, আনোয়ার ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড, এজি অটোমোবাইলস লিমিটেড (এজি অটো)।

এছাড়া গ্রুপটির মালিকানাধীন আর্থিক খাতের প্রতিষ্ঠানগুলো হলো: সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড, বাংলাদেশ ফিনান্স (বিডি ফিনান্স), বিডি ফিন্যান্স সিকিউরিটিজ, বিডি ফিনান্স ক্যাপিটাল হোল্ডিংস লিমিটেড।

ছয় মিউচুয়াল ফান্ডের ট্রাস্টি সভার তারিখ ঘোষণা: সমাপ্ত হিসাব বছর শেষে ট্রাস্টি সভার তারিখ ঘোষণা করেছে ৬ মিউচ্যুয়াল ফান্ড। আগামী ২৫ আগস্ট ফান্ডগুলোর ট্রাস্টি সভা অনুষ্ঠিত হবে। ওই সভায় ফান্ডগুলোর ২০২১ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে তা প্রকাশ করা হবে। বুধবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

যেসব ফান্ডগুলো সভার তারিখ ঘোষণা করেছে সেগুলো হলো: এক্সিম ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড, ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড, ফার্স্ট জনতা ব্যাংক মিউচ্যুয়াল ফান্ড, আইএফআইসি ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড,

ট্রাস্ট ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ান এবং ইবিএল ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড। এসব ফান্ডের ট্রাস্টি সভা নির্ধারিত দিনে বিকাল ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে। সভা শেষে ইউনিটহোল্ডারদের জন্য আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।