দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ১৩ প্রতিষ্ঠান বোর্ড সভা ও ট্রাস্টি সভার তারিখ জানিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো সভায় নিরীক্ষিত ও অনীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করবে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

পাইওনিয়র ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড: কোম্পানিটির বোর্ড সভা আগামী ২৪ আগস্ট বিকাল ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় কোম্পানিটির ৩০ জুন, ২০২১ সমাপ্ত দ্বিতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। আগের প্রান্তিকে কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি আয় করেছিল ২ টাকা ০৪ পয়সা।

দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড: কোম্পানিটির বোর্ড সভা আগামী ২৩ আগস্ট বিকাল সাড়ে ৪টায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় কোম্পানিটির ৩১ মার্চ, ৩০ জুন, ২০২১ সমাপ্ত প্রথম ও দ্বিতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।

সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড: কোম্পানিটির বোর্ড সভা আগামী ২৬ আগস্ট বিকাল ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় কোম্পানিটির ৩০ জুন, ২০২১ সমাপ্ত দ্বিতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। আগের প্রান্তিকে কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি আয় করেছিল ৭২ পয়সা।

এছাড়া, তালিকাভুক্ত ১০ মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ট্রাস্টি সভার তারিখ ঘোষণা করেছে। ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ২৫ আগস্ট ফান্ডগুলোর ট্রাস্টি সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ফান্ডগুলোর ৩০ জুন, ২০২১ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ইউনিট হোল্ডারদের জন্য ডিভিডেন্ড ঘোষণা করবে।

পপুলার লাইফ মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ানের ট্রাস্টি সভা আগামী ২৫ আগস্ট দুপুর ২টা ৩৫ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে। পিএইচপি মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ানের ট্রাস্টি সভা ২৫ আগস্ট দুপুর ২টা ৪০ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে।

ইবিএল এনআরবি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ট্রাস্টি সভা ২৫ আগস্ট দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে। এবি ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ট্রাস্টি সভা ২৫ আগস্ট বিকাল ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে। এক্সিম ব্যাংক মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ট্রাস্টি সভা আগামী ২৫ আগস্ট বিকাল ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে। ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ডের ট্রাস্টি সভা ২৫ আগস্ট বিকাল ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে। জনতা ব্যাংক মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ট্রাস্টি সভা ২৫ আগস্ট বিকাল ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে।

আইএফআইসি ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ট্রাস্টি সভা ২৫ আগস্ট বিকাল ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে। ট্রাস্ট ব্যাংক মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ানের ট্রাস্টি সভা ২৫ আগস্ট বিকাল ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে।ইবিএল ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ট্রাস্টি সভা আগামী ২৫ আগস্ট বিকাল ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে।

 

সাউথ বাংলা ব্যাংকের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান: পুঁজিবাজারে সদ্য তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের কোম্পানি সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স (এসবিএসি) ব্যাংকের চেয়ারম্যান এস এম আমজাদ হোসেনের বিরুদ্ধে নতুন করে আরও একটি অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

ক্ষমতার অপব্যবহার করে নামে-বেনামে দেশে-বিদেশে বিভিন্ন কোম্পানি খুলে গ্রাহকের বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে বৃহস্পতিবার দুদক এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শিগগিরই অনুসন্ধান টিম গঠন করা হবে বলে দুদকের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ আরিফ সাদেক নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, আমজাদ হোসেনের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে নামে- প বেনামে দেশে বিদেশে বিভিন্ন কোম্পানি খুলে ব্যাংকটির খুলনা শাখা ও কাঁটাখালী শাখা ব্যবহার করে আমদানি-রফতানি ও ঋণের আড়ালে নানাবিধ দুর্নীতি, অনিয়ম, জালিয়াতির মাধ্যমে আমানতকারীদের বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। যে কারণে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ২(শ) ধারায় সম্পৃক্ত অপরাধ অভিযোগ অনুসন্ধান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক।

এ অভিযোগ ছাড়াও সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স (এসবিএসি) ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান এস এম আমজাদ হোসেনের বিরুদ্ধে ২০০ কোটি টাকার ঋণ জালিয়াতিসহ বিভিন্ন দুর্নীতির একটি অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক। ২০১৭ সালের জুন মাস থেকে দুদক উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান ওই অনুসন্ধানের দায়িত্ব পালন করছেন।

অনুসন্ধানে ঋণ জালিয়াতির প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় আমজাদ হোসেন ও তার পরিবারবর্গের ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসাব ফ্রিজের জন্যও চিঠি দেওয়া হয়। নিষেধাজ্ঞা রয়েছে নিজ, তার স্ত্রী ও মেয়ের নামে থাকা ব্যাংকের শেয়ার বিক্রির ওপর। এমনকি সমস্ত স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ ক্রোকের জন্য দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ৭৬টি চিঠি দেয় দুদক।

এর আগে ২০২০ সালের ৯ জানুয়ারি আমজাদ হোসেন, তার স্ত্রী ও কন্যার বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞায় চিঠি দেয় দুদক। ঋণ জালিয়াতি, বিএনপি ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলীয় কর্মকাণ্ডে অর্থায়নসহ বিভিন্ন অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার বিষয়টি চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছিল। ওই চিঠিতে তাদের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিংসহ বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ার কথা উল্লেখ ছিল।

ঋণ জালিয়াতির বিষয়ে দুদক সূত্রে জানা যায়, সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান এস এম আমজাদ হোসেন ব্যাংকটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ২০০ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছেন।

মেসার্স আলফা এক্সেসরিজ অ্যান্ড এগ্রো এক্সপোর্ট লিমিটেডের নামে প্রায় ৩৩ কোটি টাকার অনিশ্চিত শ্রেণিকরণ ঋণ থাকা সত্ত্বেও নিয়মবহির্ভূতভাবে আরও ২০০ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছে।

আইডিআরএ’র চেয়ারম্যানসহ ৬ জনকে দুদকে তলব: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিমা কোম্পানি ডেলটা লাইফ ইনসুরেন্স লিমিটেডের কাছ থেকে উৎকোচ দাবির প্রেক্ষিতে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) চেয়ারম্যান ড. এম. মোশাররফ হোসেনসহ ছয় জনকে তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এর আগে কোম্পানিটি দুর্নীতি দমন কমিশননে (দুদক) উৎকোচ দাবির অভিযোগ দাখিল করে।
উক্ত অভিযোগ আমলে নিয়ে দুদক আগামি ২২ ও ২৩ আগষ্ট আইডিআরএ’র চেয়ারম্যান জনাব ড. এম. মোশাররফ হোসেন, সদস্য জনাব মোঃ দলিল উদ্দিন এবং সদস্য জনাব মইনুল ইসলাম, পরিচালক জনাব মোঃ শাহ্ আলম, এবং আরো দুজন কর্মকর্তা সহ মোট ৬ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে। বিষয়টি সংবাদ মাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ডেলটা লাইফ ইনসুরেন্স লিমিটেডের পরিচালক যেয়াদ রহমান।

এমবি ফার্মা কান্ডে আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ: পুঁজিবাজারে ওষুধ ও রসায়ন খাতের তালিকাভুক্ত কোম্পানি এমবি ফার্মাসিউটিক্যালসের ২ কোটি ৯ লাখ টাকা ভ্যাট ফাঁকির অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির মালিক আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। গত মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) এনবিআর থেকে সব ব্যাংকে চিঠি দিয়ে এটি কার্যকর করতে বলা হয়েছে।

এনবিআরের চিঠিতে বলা হয়, ঢাকার তেজগাঁও শিল্প এলাকায় অবস্থিত মেসার্স এমবি ফার্মাসিউটিক্যালসের কাছে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বাবদ ২ কোটি ৯ লাখ তিন হাজার ৩৩৫ টাকা পাওনা রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির মূসক আদায়ে ঢাকা দক্ষিণের কাস্টমস, এপাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট থেকে একাধিকবার চিঠি দিলেও তারা বকেয়া পরিশোধ করেনি। এরকম প্রেক্ষাপটে সরকারি রাজস্ব আদায়ের স্বার্থে সংশ্নিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও মালিকদের অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ বা লেনদেন স্থগিত রাখতে বলা হয়েছে।

চিঠিতে এমবি ফার্মাসিউটিক্যালস, প্রতিষ্ঠানটির মালিক আজিজ মোহাম্মদ ভাই, তার বাবা মোহাম্মদ ভাই, মা খাতিজা মোহাম্মদ ভাইয়ের নামও উল্লেখ রয়েছে। আজিজ মোহাম্মদ ভাই বর্তমানে সপরিবারে থাইল্যান্ডে থাকেন বলে বিভিন্ন মাধ্যমে জানা যায়। মাদক চোরাচালানসহ বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ততার তথ্য বিভিন্ন সময়ে প্রকাশ হয়েছে।

২০১৯ সালে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের সময় তার গুলশানের বাসায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ মদ ও ক্যাসিনো খেলার সরঞ্জাম উদ্ধার করে। তবে তার পরিবারের কাউকে পাওয়া যায়নি। অভিযানের পরদিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) থেকে ৩০ দিনের জন্য অ্যাকাউন্ট ফ্রিজের আদেশ দেওয়া হয়েছিল।

১৩ কোম্পানির বোর্ড সভার তারিখ ঘোষণা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ১৩ প্রতিষ্ঠান বোর্ড সভা ও ট্রাস্টি সভার তারিখ জানিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো সভায় নিরীক্ষিত ও অনীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করবে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

পাইওনিয়র ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড: কোম্পানিটির বোর্ড সভা আগামী ২৪ আগস্ট বিকাল ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় কোম্পানিটির ৩০ জুন, ২০২১ সমাপ্ত দ্বিতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। আগের প্রান্তিকে কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি আয় করেছিল ২ টাকা ০৪ পয়সা।

দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড: কোম্পানিটির বোর্ড সভা আগামী ২৩ আগস্ট বিকাল সাড়ে ৪টায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় কোম্পানিটির ৩১ মার্চ, ৩০ জুন, ২০২১ সমাপ্ত প্রথম ও দ্বিতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।

সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড: কোম্পানিটির বোর্ড সভা আগামী ২৬ আগস্ট বিকাল ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় কোম্পানিটির ৩০ জুন, ২০২১ সমাপ্ত দ্বিতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। আগের প্রান্তিকে কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি আয় করেছিল ৭২ পয়সা।

এছাড়া, তালিকাভুক্ত ১০ মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ট্রাস্টি সভার তারিখ ঘোষণা করেছে। ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ২৫ আগস্ট ফান্ডগুলোর ট্রাস্টি সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ফান্ডগুলোর ৩০ জুন, ২০২১ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ইউনিট হোল্ডারদের জন্য ডিভিডেন্ড ঘোষণা করবে।

পপুলার লাইফ মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ানের ট্রাস্টি সভা আগামী ২৫ আগস্ট দুপুর ২টা ৩৫ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে। পিএইচপি মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ানের ট্রাস্টি সভা ২৫ আগস্ট দুপুর ২টা ৪০ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে।

ইবিএল এনআরবি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ট্রাস্টি সভা ২৫ আগস্ট দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে। এবি ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ট্রাস্টি সভা ২৫ আগস্ট বিকাল ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে। এক্সিম ব্যাংক মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ট্রাস্টি সভা আগামী ২৫ আগস্ট বিকাল ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে। ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ডের ট্রাস্টি সভা ২৫ আগস্ট বিকাল ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে। জনতা ব্যাংক মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ট্রাস্টি সভা ২৫ আগস্ট বিকাল ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে।

আইএফআইসি ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ট্রাস্টি সভা ২৫ আগস্ট বিকাল ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে। ট্রাস্ট ব্যাংক মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ানের ট্রাস্টি সভা ২৫ আগস্ট বিকাল ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে।ইবিএল ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ট্রাস্টি সভা আগামী ২৫ আগস্ট বিকাল ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে।

 

বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্সের উদ্যোক্তার শেয়ার বিক্রির ঘোষণা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বীমা খাতের বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্সের উদ্যোক্তা শেয়ার বিক্রির ঘোষণা দিয়েছেন। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, উদ্যোক্তা এম এফ কামালের কাছে কোম্পানিটির ১২ লাখ শেয়ার রয়েছে। এখান থেকে তিনি ৩ লাখ ১৪ হাজার ১৭৫টি শেয়ার বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে ঘোষণাকৃত শেয়ার বিক্রি সম্পন্ন করতে হবে এই উদ্যোক্তাকে।

অর্থনীতি ভালো হলে পুঁজিবাজারও চাঙ্গা থাকবে: অর্থমন্ত্রী: দেশের অর্থনীতি যখন ভালো হবে, পুঁজিবাজারের অবস্থাও তখন চাঙ্গা থাকবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি অর্থনৈতিক বিষয় ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে অনলাইন ব্রিফিংয়ে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

পুঁজিবাজার বেশ ভালো উচ্চতায় পৌঁছেছে, যেসব কোম্পানি প্রোডাকশনে নেই তাদের মূল্য অনেক উপরে উঠে যাচ্ছে বিষয়টি কীভাবে দেখছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ কমিশন বিষয়টি দেখবেন। আমাদের পুঁজিবাজারের যে বেসিক বিষয় সেটি হচ্ছে দেশের অর্থনীতি। দেশের অর্থনীতি যখন ভালো হবে, পুঁজিবাজারের অবস্থাও চাঙ্গা থাকবে। আপনি যে কথাগুলো বলছেন, যে অসঙ্গতিগুলো আপনারা দেখতে পাচ্ছেন, সেগুলো আমি এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যানের কাছে তুলে ধরবো।

আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের নতুন সচিব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমার এক্সপেকটেশন সব সময় আপনাদের মতোই বেশি। আমি আশা করবো- তিনি আমাদের এক্সপেকটেশন পূরণ করবেন। তার হাত ধরেই আমরা প্রত্যাশাগুলো বাস্তবায়ন করতে পারব, আমরা সেই প্রত্যাশাই করি।
দীর্ঘদিন ধরে এনবিআরের লোকবল নিয়োগ আটকে আছে এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, আমি বিষয়টি দেখব।

মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের সঙ্গে কথা বলবো। নিয়োগের ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয়ের একটি ভূমিকা থাকে। সুতরাং, ডিরেক্টলি বা ইনডিরেক্টলি আমাদের ভূমিকা রয়েছে। পজিটিভলি আমরা বিবেচনায় এটাকে রাখব ও সেভাবেই ব্যবস্থা নেব। এনবিয়ারের চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলবো, তাদের যদি কোনো দাবি থাকে অবশ্যই আমরা সেটাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে বিবেচনা করবো।

ডিএসই দর পতনের শীর্ষে ন্যাশনাল হাউজিং: পুঁজিবাজারে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) শেয়ার দর পতনের শীর্ষে উঠে এসেছে ন্যাশনাল হাউজিং ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, কোম্পানির শেয়ার দর আগের দিনের চেয়ে ৪ দশমিক ৮৬ শতাংশ কমেছে। কোম্পানিটি ১ হাজার ২৫৭ বারে ১৮ লাখ ৬৯ হাজার ১৬ টি শেয়ার লেনদেন করে। যার বাজার মূল্য ১২ কোটি ৯১ লাখ টাকা।

তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা ফার্স্ট ফাইন্যান্সের শেয়ার দর আগের দিনের চেয়ে ৪ দশমিক ৬৫ শতাংশ কমেছে। কোম্পানিটি ৩২৭ বারে ৯ লাখ ৫০ হাজার ৯৬৪ টি শেয়ার লেনদেন করে। যার বাজার মূল্য ৭৭ লাখ টাকা। তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকা আল ঝিলবাংলা সুগারের শেয়ার দর আগের দিনের চেয়ে ৪ দশমিক ৯২ শতাংশ কমেছে। কোম্পানিটি ৬৪ বারে ২ হাজার ৭৬১ টি শেয়ার লেনদেন করে। যার বাজার মূল্য ৪ লাখ টাকা।

তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানির মধ্যে রয়েছে: ফারইস্ট ফাইন্যান্সের ৪.০৪ শতাংশ, পিএফ ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৩.৮৮ শতাংশ, ড্যাফোডিল কম্পিউটার্সের ৩.৬১ শতাংশ, ব্যাংক এশিয়ার ৩.৪১ শতাংশ, বিআইএফসির ৩.৪০ শতাংশ, এক্সিম ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৩.২৯ শতাংশ এবং এমবি ফার্মার শেয়ার দর ৩.২১ শতাংশ কমেছে।

সায়হাম কটনের ১৫ কোটি টাকা বীমা দাবি আদায়: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি সায়হাম কটন লিমিটেড বীমা কোম্পানির কাছ থেকে ১৫ কোটি টাকা আদায় করেছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। জানা যায়, কোম্পানিটির ২০২০ সালের ১৫ অক্টোবরের অগ্নিকান্ডে ভবন নির্মার্ণের কাঁচামাল বাবদ ৫৯ কোটি ৩ লাখ ৭০ হাজার ২২১ টাকার বিমা দাবি ছিল। পরিশোধের অংশ হিসাবে ৪২ কোটি ২ লাখ ৬৪ হাজার ১১৪ টাকা আদায় করেছে কোম্পানিটি। এ অর্থ দিয়ে কোম্পানিটি ভবনের গোডাউন পুর্ননির্মাণ এবং অন্যান্য জরুরি কাছে ব্যবহার হবে।

ডিএসই ৬ কোম্পানির শেয়ার বিক্রেতা উধাও: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৬ কোম্পানির শেয়ার সর্বোচ্চ দরেও বিনিয়োগকারীরা কিনতে পারছেন না। লেনদেনের এক ঘন্টার মধ্যেই কোম্পানিগুলোর শেয়ার বিক্রেতা সংকটে পড়ে হল্টেড হয়ে যায়। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। কোম্পানিগুলো হলো : সাউথবাংলা ব্যাংক, পূরবী জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, কর্ণফুলি ইন্স্যুরেন্স, জনতা ইন্স্যুরেন্স, সিটি ইন্সুরেন্স ও মেঘনা পেট লিমিটেড।

সাউথবাংলা ব্যাংক: বুধবার সাউথবাংলা ব্যাংকের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ১৬ টাকায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ১৭.৬০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৭.৬০ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ১.৬০ টাকা বা ১০ শতাংশ বেড়েছে।

পূরবী জেনারেল ইন্স্যুরেন্স : বুধবার পূরবী জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৪০.৩০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ৪০.৮০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৪৪.৩০ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ৪ টাকা বা ৯.৯২ শতাংশ বেড়েছে।

কর্ণফুলি ইন্স্যুরেন্স :বুধবার কর্ণফুলি ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৪০.৮০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ৪১ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৪৪.৮০ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ৪ টাকা বা ৯.৮০ শতাংশ বেড়েছে।

জনতা ইন্স্যুরেন্স :বুধবার জনতা ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৪০.৮০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ৪১.৩০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৪৪.৮০ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ৪ টাকা বা ৯.৮০ শতাংশ বেড়েছে।

সিটি ইন্স্যুরেন্স :বুধবার সিটি ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৪৩.৬০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ৪৪.৪০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৪৭.৯০ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ৪.৫০ টাকা বা ৯.৬৪ শতাংশ বেড়েছে।

মেঘনা পেট : বুধবার মেঘনা পেটের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ২১.৭০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ২১.৭০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৩.৭০ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ২ টাকা বা ৯.২২ শতাংশ বেড়েছে।

ডিএসই লেনদেন টেনে ধরেছে ছয় খাত: আগেরদিনের মতো সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে পুঁজিবাজারে সামান্য সংশোধন হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সব সূচক আজ কিছুটা কমেছে। পাশাপাশি আগের দিনের চেয়ে লেনদেনও কমেছে কমেছে। আজ আগেরদিনের চেয়ে ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ২৪৬ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। আজ ৬ খাত ডিএসইর লেনদেন টেনে ধরেছে। খাতগুলো হলো- ব্যাংক, বস্ত্র, আর্থিক, প্রকৌশল, ফার্মা ও রসায়ন এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি। ডিএসই সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি: আজ বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে লেনদেন হয়েছে ৭৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছে ১০৭ কোটি ৬০ লাখ টাকা। আজ লেনদেন কমেছে ২৯ কোটি ৮০ লাখ টাকা।

ফার্মা ও রসায়ন: আজ ফার্মা ও রসায়ন খাতে লেনদেন হয়েছে ৮২ কোটি ৫০ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছে ১০১ কোটি ১০ লাখ টাকা। আজ লেনদেন কমেছে ১৮ কোটি ৬০ লাখ টাকা।

বস্ত্র: বস্ত্র খাতে আজ লেনদেন হয়েছে ১৩৯ কোটি ৯০ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছে ১৫৮ কোটি ২০ লাখ টাকা। আজ লেনদেন কমেছে ১৮ কোটি ৩০ লাখ টাকা।

ব্যাংক: ব্যাংক খাতে আজ লেনদেন হয়েছে ১২৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছে ১৪১ কোটি ৭০ লাখ টাকা। আজ লেনদেন কমেছে ১৬ কোটি ৯০ লাখ টাকা।

আর্থিক: আজ আর্থিক খাতে লেনদেন হয়েছে ৮০ কোটি টাকা আগেরদিন লেনদেন হয়েছে ৯৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা। আজ লেনদেন কমেছে ১৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা।

প্রকৌশল: আজ প্রকৌশল খাতে লেনদেন হয়েছে ৭২ কোটি ৭০ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছে ৮৪ কোটি ৩০ লাখ টাকা। আজ লেনদেন কমেছে ১১ কোটি ৬০ লাখ টাকা।

পুঁজিবাজারে বড় দরপতন ঠেকাল বীমা খাত: পুঁজিবাজারে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সূচকের দরপতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। তবে পুঁজিবাজারকে বড় দরপতন থেকে রক্ষা করলো বীমা খাত। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, প্রকৌশল এবং ওষুধ ও রসায়ন খাতের শেয়ার বিক্রির মাধ্যমে লেনদেন শুরু হয়।

লেনদেনের প্রথম ১৫ মিনিটে সূচক কমে যায় ১৪ পয়েন্ট। এরপর বিমা ও বস্ত্র খাতের পাশাপাশি ওষুধ ও রসায়ন এবং প্রকৌশল খাতের শেয়ারের বিক্রিকে কেন্দ্র করে পৌনে ১২টা পর্যন্ত সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় লেনদেন হয়। এরপর থেকে ওষুধ ও প্রকৌশল খাতের শেয়ার বিক্রির হিড়িক পড়ে। এ দুই খাতের শেয়ার বিক্রির কারণে আবারও সূচকের পতনে লেনদেন হয় দুপুর দেড়টা পর্যন্ত। তারপর কয়েকটি বড় মূলধনী কোম্পানির পাশাপাশি বিমা ও বস্ত্র খাতের শেয়ারের দাম বৃদ্ধিকে কেন্দ্র করে দিনের শেষ ঘণ্টা পর্যন্ত লেনদেন হয় সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায়।

দিনের শেষে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক কমেছে ১১ পয়েন্ট। অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক কমেছে ৩৯ পয়েন্ট। ফলে টানা চার দিন উত্থানের পর বুধবার ও বৃহস্পতিবার পুঁজিবাজারে দরপতন হলো।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ছায়েদুর রহমান বলেন, আজ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কিছুটা অস্থিরতা ছিল। বিনিয়োগকারীদের কেউ কেউ প্রফিট টেকিং করেছেন, আবার কেউ কেউ সেক্টর পরিবর্তন করেছেন। ফলে মার্কেট কিছুটা ধীর ছিল। আর এটিই পুঁজিবাজারে ঠিক আচরণ। উত্থান হলে পতন হবে। মার্কেট তার সঠিক জায়গায় ফিরে যাবে। এতে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই।

ডিএসইতে ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ বেশিরভাগ খাতের শেয়ারের দাম কমার দিনে চমক দেখিয়েছে বিমা ও বস্ত্র খাত। বিমা খাতের ৫১টির মধ্যে ৪৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়েছে, ৫টির কমেছে। বস্ত্র খাতের ৫৮টির মধ্যে ৩০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়েছে, ২২টির কমেছে, অপরিবর্তিত রয়েছে ৬টির।

দিন শেষে ডিএসইতে মোট ৩৭৬টির মধ্যে ১৫৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ১৯১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৯টির। মোট ৬৯ কোটি ৭৮ লাখ ৪৭ হাজার ৪২৫টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে। তা থেকে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ২১৮ কোটি ৮৮ লাখ ৯৪ হাজার টাকা। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৪৬৫ কোটি ৫৩ লাখ ৮৭ হাজার টাকা। অর্থাৎ আগের দিনের চেয়ে লেনদেন কমেছে।

বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমায় এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ১১ দশমিক ২২ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ৭৬০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। প্রধান সূচকের পাশাপাশি ডিএসইর অন্য সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ৪ দশমিক ৯২ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৪৬১ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৩ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ৪২৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

এদিন ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে ছিল বেক্সিমকো লিমিটেড। কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৫৫ কোটি টাকার। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সিমেন্ট খাতের কোম্পানি লাফার্জহোলসিম। এরপর সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে লংকাবাংলা ফাইন্যান্স লিমিটেডের শেয়ার। এরপর যথাক্রমে ছিল আইএফআইসি ব্যাংক, সিটি জেনারেল ইনস্যুরেন্স, ওরিয়ন ফার্মা, বিজিবি পাওয়ার, আল-আরাফাহ ব্যাংক, ম্যাক্সন স্পিনিং ও জেনেক্স ইনফোসেস লিমিটেড।

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৩৯ পয়েন্ট কমে ১৯ হাজার ৭০৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩২১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বেড়েছে ১২৪টির শেয়ারের দাম বেড়েছে। কমেছে ১৭১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৬টি কোম্পানির শেয়ারের দাম। এ বাজারে লেনদেন হয়েছে ৮৮ কোটি ৯৯ লাখ ২৩ হাজার ৮৮৩ টাকা। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৯২ কোটি ৪২ লাখ ১ হাজার ২০৯ টাকা।

মার্কেন্টাইল ইনস্যুরেন্সের উদ্যোক্তা-পরিচালকের শেয়ার বিক্রির ঘোষণা: পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত মার্কেন্টাইল ইনস্যুরেন্স লিমিটেডের দুই উদ্যোক্তা ও পরিচালক নিজেদের হাতে থাকা কোম্পানির ১০ লাখ শেয়ার বিক্রি করবেন। এরা হচ্ছেন: মাহাতাব উদ্দিন চৌধুরী ও সৈয়দ নুর আলম। বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

এতে বলা হয়, মার্কেন্টাইল ইনস্যুরেন্সের দুই উদ্যোক্তা-পরিচালক মাহাতাবউদ্দিন চৌধুরীর তার কাছে থাকা কোম্পানির ৮ লাখ ৯৮ হাজার ৫০৯টি শেয়ার এবং উদ্যোক্তা সৈয়দ নুর আলমের কাছে থাকা ১ লাখ ২৩ হাজার ২০০টি শেয়ার বিক্রির ঘোষণা দিয়েছে। তারা আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে ঘোষণা করা শেয়ার বিক্রি শেষ করবেন।

২০০৪ সালে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির মোট ৪ কোটি ৩০ লাখ ৯৫ হাজার ৩৬০টি শেয়ার রয়েছে। এর মধ্যে উদ্যোক্তা-পরিচালকদের হাতে বর্তমানে রয়েছে ৪৩ দশমিক ১৯ শতাংশ শেয়ার। সেখান থেকে দুই পরিচালক হাতে থাকা সব শেয়ার বিক্রি করে দিচ্ছেন।

বাকি শেয়ারের মধ্যে ৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ৫৫ দশমিক ৮২ শতাংশ। কোম্পানিটি সর্বশেষ বছর শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। কোম্পানিটির শেয়ার বুধবার সর্বশেষ বিক্রি হয়েছে ৫৫ টাকায়। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় সর্বশেষ বিক্রি হয়েছে ৫৭ টাকায়।

ব্লক মার্কেটে ৩ কোম্পানি লেনদেনের শীর্ষে: পুঁজিবাজারে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ব্লক মার্কেটে মোট ৪০টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মোট ২ কোটি ৭০ লাখ ৯৮ হাজার ৪২৯টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার আর্থিক মূল্য ৮৪ কোটি ৩০ লাখ টাকা। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ব্লক মার্কেটে সবচেয়ে বেশি টাকার লেনদেন হয়েছে আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের শেয়ার। কোম্পানিটি ৬০ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন করেছে। ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স ৫ কোটি ৭৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন করে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। এসএস স্টিল ২ কোটি ৮৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন করে তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে।

ব্লক মার্কেটে লেনদেন করা অন্য কোম্পানিগুলো হচ্ছে: এবি ব্যাংক, আমান ফিড, অ্যাসোসিয়েটেড অক্সিজেন, অ্যাপোলো ইস্পাত, বিএটিবিসি, বে-লিজিং, বিডি ফিন্যান্স, বেঙ্গল উইন্ডসোর থার্মোপ্লাস্টিক, সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্স, দেশবন্ধু পলিমার, ড্রাগন সোয়েটার, ফাইন ফুডস, ফরচুন সুজ, জিবিবি পাওয়ার, জেনেক্স ইনফোসিস, এইচ.আর টেক্সটাইল, ইন্দো-বাংলা ফার্মা, আইসিবি এএমসিএল সেকেন্ড মিউচ্যুয়াল ফান্ড,

ইসলামিক ফিন্যান্স, কর্ণফুলী ইন্স্যুরেন্স, কেয়া কসমেটিকস, কাট্টালি টেক্সটাইল, লংকাবাংলা ফিন্যান্স, মোজাফফর হোসেন স্পিনিং, পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, পাইওনিয়র ইন্স্যুরেন্স, প্রিমিয়ার সিমেন্ট, আরডি ফুড, আরএসআরএম স্টিল, সাফকো স্পিনিং, স্যালভো কেমিক্যাল, সাউথবাংলা ব্যাংক, এসইএমএল লেকচার ইক্যুয়িটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড ও সামিট পাওয়ার লিমিটেড।

বঙ্গজ তাল্লু গ্রুপের পরিচালক রাবেয়া খাতুনের মৃত্যু: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বঙ্গজ ও তাল্লু গ্রুপের স্পন্সর এবং পরিচালক রাবেয়া খাতুন মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) ভোর ৬টায় তিনি মারা যান।

রাবেয়া খাতুনের মৃত্যুতে বঙ্গজ তাল্লু গ্রুপের সর্বস্তরের কর্মীদের পক্ষ হতে শোক জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে মরহুমার আত্মার মাগফিরাত কামনা ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা।

সাভার রিফ্যাক্ট্ররিজ ও শ্যামপুর সুগারের দরবৃদ্ধির কারন অজানা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি সাভার রিফ্যাক্ট্ররিজ ও শ্যামপুর সুগার মিলস লিমিটেডের অস্বাভাবিক শেয়ার দর বাড়ার পেছনে কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই। কোম্পানি দুইটির শেয়ারে অস্বাভাবিক দর বাড়ার কারণ ডিএসই জানতে চাইলে কোম্পানি দুইটি এমনটিই জানায় ডিএসইকে।

ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সূত্র জানায়, সম্প্রতি কোম্পানি দুইটির শেয়ার দর অস্বাভাবিকভাবে বাড়ার কারণে ডিএসই ১৮ আগস্ট নোটিস পাঠায়। এর জবাবে কোম্পানি দুইটি জানায় কোনো অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই শেয়ার দর বাড়ছে।

বাজার পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, ডিএসইতে গত ২ আগস্ট সাভার রিফ্যাক্ট্ররিজের শেয়ার দর ছিল ২০৯ টাকা। ১৮ আগস্ট কোম্পানিটির শেয়ার দর ২৮১ টাকা ৮০ পয়সায় উন্নীত হয়। একই সময়ে শ্যামপুর সুগারের ৬৭ টাকা ৮০ পয়সা থেকে ৮৫ টাকা ১০ পয়সায় উন্নীত হয়। কোম্পানিগুলোর এই দর বাড়াকে অস্বাভাবিক বলে মনে করছে ডিএসই কতৃপক্ষ।

ব্যাংক খাতের ‘পুরোনো রোগে’ পুঁজিবাজারে ছন্দপতন: পুঁজিবাজারে ব্যাংক খাতের শেয়ারে আর্শীবাদ হলেও বিনিয়োগকারীদের কাছে আতঙ্ক। কারনে ব্যাংকের শেয়ারের দাম যখন দল বেঁধে বাড়লেও পরের কার্যদিবসে পুঁজিবাজারে দরপতন ঘটে। ফলে ব্যাংক খাতের শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের কাছে আতঙ্ক বলে মন্তব্য করছেন বিনিয়োগকারীরা। ইতিমধ্যে ব্যাংক খাতের শেয়ার দর বেঁধে যতবার বাড়ছে ততবার বাজার দরপতন ঘটছে বলে একাধিক বিনিয়োগকারী জানান।

পুঁজিবাজারে সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে ব্যাংক খাতের পাশাপাশি আর্থিক খাতের দরপতন ঘটে। তবে দিনের প্রায় পুরোটা সময় উত্থান হলেও শেষ বেলায় বস্ত্র খাতেও দেখা গেল দরপতন। প্রকৌশল খাতেও দিনটি ভালো যায়নি। সব মিলিয়ে উত্থানে থাকা পুঁজিবাজারে ছন্দপতন হলো। সকাল ১০টা থেকে লেনদেন শুরু হয়ে বেলা পৌনে একটা পর্যন্ত উত্থানে থাকলেও শেষ পৌনে দুই ঘণ্টায় বিক্রয়ের চাপে সূচকের পতন হলো।

দিন শেষে ১৫ পয়েন্টের পতনে সূচকের অবস্থান ৬ হাজার ৭৭১ পয়েন্ট। অবশ্য এক পর্যায়ে সূচক এখান থেকে ৫০ পয়েন্ট বেশি ছিল। লেনদেন শুরুর আধা ঘণ্টার মধ্যে সূচক এক পর্যায়ে উঠে যায় ৬ হাজার ৮২১ পয়েন্টে। তখন আশা করা হচ্ছিল আরও একটি ঝলমলে দিন বুঝি এলো পুঁজিবাজারে। তবে শেষ পর্যন্ত যত কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে, কমেছে তার প্রায় দেড় গুণ। দর সংশোধনের দিন লেনদেনও কমে গেছে।

ডিএসইতে আজ ২ হাজার ৪৬৫ কোটি ৫৩ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের কার্যদিবস থেকে ২০৭ কোটি ৯৬ লাখ টাকা কম। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৬৭৩ কোটি ৪৯ লাখ টাকার। আজ ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫.৩১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার ৭৭১.৮৪ পয়েন্টে। আজ ডিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ২.৭৭ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৪৬৬.২৫ পয়েন্টে। তবে ডিএসই-৩০ সূচক ৪.৬৫ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ৪২৬.৮২ পয়েন্টে।

ডিএসইতে আজ ৩৭৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ১৩৮টির বা ৩৬.৯০ শতাংশের, শেয়ার দর কমেছে ২১৬টির বা ৫৭.৭৫ শতাংশের এবং ২০টির বা ৫.৩৫ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২৭.৬৯ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৯ হাজার ৭৪০.৬৫ পয়েন্টে। সিএসইতে আজ ৩২৮টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৩১টির দর বেড়েছে, কমেছে ১৭৩টির আর ২৪টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে ৯২ কোটি ৪২ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

মহামারিতে পুঁজিবাজারের ১০ ব্যাংকের নগদ অর্থ সংকট: মহামারি করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) থাবায় গোটা বিশ্বের অর্থনীতি ওলট-পালট হয়ে গেছে। এর ধাক্কা লেগেছে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কার্যক্রম তথা জীবনযাত্রায়ও। আয় কমে যাওয়ায় সংসারের খরচ কমাতে অনেকেই সঞ্চয় ভেঙেছেন। আগে বেশি পরিমাণে সঞ্চয় করা অনেকেই খরচের ঘানি টানতে গিয়ে সঞ্চয় কমিয়েছেন। আবার সুদ হার কমে যাওয়ায় ব্যাংকে টাকা রাখার প্রবণতাও কমেছে।

এদিকে ব্যাংক খাতে বিপুল পরিমাণ অলস অর্থ পড়ে থাকলেও পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ১০ ব্যাংকের নগদ অর্থে টান দেখা দিয়েছে। এই ব্যাংকগুলোতে প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা তারল্য সংকট রয়েছে। এই ১০ ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে এবি ব্যাংক, ইষ্টার্ণ ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, এনআরবিসি ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক, ট্রাস্ট ব্যাংক এবং ইউসিবি।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ব্যবস্থাপনা পর্ষদের অদক্ষতা এবং ঋণ বিতরণের অনিয়মের কারণে বর্তমান পরিস্থিতিতে ব্যাংকগুলোতে নগদ অর্থের টান পড়ার অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, মহামারি করোনাভাইরাসের প্রকোপে বর্তমানে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এক ধরনের স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। ফলে ব্যাংকগুলো আমনতের অর্থ ঠিকমতো বিনিয়োগ করতে পারছে না। এতে সার্বিক ব্যাংক খাতে বিপুল পরিমাণ অলস অর্থ পড়ে আছে। এই পরিস্থিতিতে কিছু ব্যাংকের তারল্য সংকট দেখা দেয়া ভালো লক্ষণ না।

সংশ্লিষ্টরা আরও বলছেন, যখন সার্বিক ব্যাংক খাতে বিপুল অলস অর্থ পড়ে আছে, সে সময়ে কিছু ব্যাংক কী কারণে তারল্য সংকটে রয়েছে তা ক্ষতিয়ে দেখা উচিত। এ জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে পদক্ষেপ নিতে হবে। সার্বিক বিষয় ক্ষতিয়ে দেখে সমস্যা সমাধানে দ্রুত উদ্যোগ নিতে হবে। তা না হলে সামনে পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে।

ব্যাংক খাতে উদ্বৃত্ত তারল্য বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের জুন পর্যন্ত ব্যাংক খাতে উদ্বৃত্ত তারল্য রয়েছে ২ লাখ ৩১ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে একবারে অলস পড়ে আছে ৬২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। বিপুল এই অলস অর্থের একটা গতি করতে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ব্যাংক ‘বাংলাদেশ বিল’-এর মাধ্যমে নামমাত্র সুদে ব্যাংকগুলো থেকে অলস অর্থ তুলে নেয়ার পদক্ষেপ নিয়েছে। এরইমধ্যে কিছু অলস অর্থ তুলেও নেয়া হয়েছে।

ব্যাংকগুলোর চলতি বছরের জানুয়ারি-জুন এই ছয় মাসের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা যায়, এবি ব্যাংক, ইষ্টার্ণ ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, এনআরবিসি ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক, ট্রাস্ট ব্যাংক এবং ইউসিবি’র অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো ঋণাত্মক হয়ে পড়েছে। ব্যাংকগুলোতে ঋণাত্মক ক্যাশ ফ্লো আছে ৪৯৮৩ কোটি ৮৮ লাখ ৫ হাজার টাকা।

আলোচ্য ব্যাংকগুলোর মধ্যে এনআরবিসি ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক এবং ট্রাস্ট ব্যাংকের ক্যাশ ফ্লো গত বছরের প্রথম ছয় মাসে পজিটিভ ছিল। বাকি সাতটি ব্যাংকের ক্যাশ ফ্লো গত বছরও ঋণাত্মক ছিল। অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো ঋণাত্মক হওয়ার অর্থ তারল্য সংকট দেখা দেয়া। যে প্রতিষ্ঠানের ক্যাশ ফ্লো যত বেশি ঋণাত্মক, ওই প্রতিষ্ঠানের তারল্য সংকট ততো বেশি। একটি প্রতিষ্ঠানের অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো ঋণাত্মক হয়ে পড়লে ওই প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা পরিচালনায় নানামুখী সমস্যা দেখা দেয়। সময়মতো পাওনাদারের পাওনা পরিশোধ করা কষ্টকর হয়ে পড়ে।

আর্থিক প্রতিবেদনে দেখা যায়, ক্যাশ ফ্লো ঋণাত্মক অবস্থায় থাকা ব্যাংকগুলোর মধ্যে সব থেকে খারাপ অবস্থায় রয়েছে ইষ্টার্ণ ব্যাংক। চলতি বছরের জানুয়ারি-জুন সময়ে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ঋণাত্মক ৯ টাকা ২৫ পয়সা। এতে প্রতিষ্ঠানটিতে মোট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো রয়েছে ঋণাত্মক ৮৮২ কোটি ৩২ লাখ ৪৬ টাকা। গত বছরের প্রথম ছয় মাসেও ব্যাংকটির ক্যাশ ফ্লো মোটা অঙ্কে ঋণাত্মক ছিল। ২০২০ সালের জানুয়ারি-জুন সময়ে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি ক্যাশ ফ্লো ছিল ঋণাত্মক ১২ টাকা ১০ পয়সা।

দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে এবি ব্যাংক। প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারপ্রতি ক্যাশ ফ্লো ঋণাত্মক ৮ টাকা ৭৩ পয়সা। এতে মোট ঋণাত্মক ক্যাশ ফ্লো হয়েছে ৬৯৪ কোটি ৯৪ লাখ এক হাজার টাকা। গত বছর ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি ঋণাত্মক ক্যাশ ফ্লো ছিল ৩৩ টাকা ৩৮ পয়সা। এ হিসেবে প্রতিষ্ঠানটির ঋণাত্মক ক্যাশ ফ্লো কমে চার ভাগের এক ভাগে নেমে এসেছে।

অপারেটিং ক্যাশ ফ্লোর এমন উন্নতি হওয়ার কারণ হিসেবে ব্যাংকটির কর্তৃপক্ষ গ্রাহকদের কাছ থেকে বড় অঙ্কের আমানত পাওয়ার কথা জানিয়েছে। ব্যাংকটির দেয়া তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) গ্রাহকের আমানত ১ হাজার ৭৭০ কোটি টাকা বেড়েছে। শেয়ারপ্রতি ৮ টাকা ১৫ পয়সা ক্যাশ ফ্লো ঋণাত্মক হওয়ার মাধ্যমে পরের স্থানে রয়েছে ইউসিবি। প্রতিষ্ঠানটির ক্যাশ ফ্লো মোট ঋণাত্মক হওয়ার পরিমাণ ১ হাজার ৪১ কোটি ৮৯ লাখ ৩৫ হাজার টাকা।

অবশ্য শেয়ার সংখ্যা বেশি হওয়ায় সব থেকে বেশি ঋণাত্মক ক্যাশ ফ্লো রয়েছে এক্সিম ব্যাংকের। শেয়ারপ্রতি ৭ টাকা ৪৬ পয়সা হিসেবে ব্যাংকটির মোট ঋণাত্মক ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৫৩ কোটি ৫৩ লাখ ৯২ হাজার টাকা। গত বছরের প্রথম ছয় মাসেও ব্যাংকটির ক্যাশ ফ্লো বড় অঙ্কে ঋণাত্মক ছিল। ২০২০ সালের জানুয়ারি-জুন সময়ে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি ঋণাত্মক ক্যাশ ফ্লো ছিল ১৪ টাকা ৫২ পয়সা।

এছাড়া ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের ১৭৯ কোটি ৩১ লাখ ৫৬ হাজার টাকা, মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ৪৪ কোটি ৩১ লাখ ৭৯ হাজার টাকা, এনআরবিসি ব্যাংকের ৫৪ কোটি ৭৯ লাখ ৬৩ হাজার টাকা, প্রিমিয়ার ব্যাংকের ৫৭১ কোটি ৬০ লাখ ২৭ হাজার টাকা, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের ২৭৩ কোটি ৬২ লাখ ৯৪ হাজার টাকা এবং ট্রাস্ট ব্যাংকের ১৮৭ কোটি ৫২ লাখ ৭ হাজার টাকা ক্যাশ ফ্লো ঋণাত্মক রয়েছে।

পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই) অব বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ও ব্র্যাক ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. আহসান এইচ মনসুর এ বিষয়ে বলেন, যে ব্যাংকগুলো এখন তারল্য সংকটে আছে তারা ঠিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে না। তাদের ওপর মানুষের আস্থা কম। এই বাজারে তারল্য সংকট থাকার কথা না। এটি ব্যাংকগুলোর এক ধরনের সংকটেরও ইঙ্গিত দিচ্ছে। এবি ব্যাংক সংকটের মধ্যে পড়ে আছে। স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক বিভিন্ন কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত আমরা জানি।

অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) সভাপতি ও ইবিএল’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আলী রেজা ইফতেখার বিষয়টিতে বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর আমাদের ১৭৭ কোটি টাকা বেশি কালেকশন হয়েছে। আমাদের ব্যাংকের ক্যাশ ফ্লো ঋণাত্মক হওয়ার কারণ আমাদের ঋণের যে গ্রোথ হয়েছে তার থেকে আমানতের গ্রোথ কম হয়েছে।

ব্লক মার্কেটে পাঁচ কোম্পানির লেনদেনের শীর্ষে: পুঁজিবাজারে সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ব্লক মার্কেটে ৪১টি কোম্পানির লেনদেন হয়েছে। এসব কোম্পানির ৭৮ কোটি ৩৯ লাখ ৯৩ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে পাঁচ কোম্পানির বড় লেনদেন হয়েছে। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে আল আরাফাহ ইসলামি ব্যাংকের। কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৫১ কোটি ৮০ লক্ষ টাকার।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে পূবালী ব্যাংকের ১৪ কোটি ৪৯ লক্ষ টাকার, তৃতীয় সর্বোচ্চ এইচআর টেক্সটাইলের ৪ কোটি ২৩ লক্ষ ৮ হাজার টাকার, চতুর্থ সর্বোচ্চ মেঘনা পেট্রোলিয়ামের ৩ কোটি ২১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকার, পঞ্চম সর্বোচ্চ ওরিয়ন ফার্মার ৩ কোটি ১৮ লক্ষ ৯ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

এছাড়া, সালভো কেমিক্যালের ১ কোটি ৭৬ লক্ষ টাকার, জিবিবি পাওয়ারের ১ কোটি ৪৯ লক্ষ ৭০ হাজার টাকার, ইউনিলিভারের ১ কোটি ২৮ লক্ষ ২৫ হাজার টাকার, জেনেক্স ইনফোসিসের ১ কোটি ১০ লক্ষ ১৯ হাজার টাকার, সিটি জেনারেল ইন্সুরেন্সের ১ কোটি ৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার, বেক্সিমকোর ১ কোটি ৯৮ হাজার টাকার, এনসিসি ব্যাংকের ৬৭ লক্ষ ১২ হাজার টাকার, ই-স্কয়ার নিটিংয়ের ৬২ লক্ষ ২৫ হাজার টাকার,

জিএসপি ফাইন্যান্সের ৬১ লক্ষ ৭৪ হাজার টাকার, লাফার্জ হোলসিমের ৫৪ লক্ষ টাকার, পাওয়ার গ্রীডের ৫১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকার, এসএস স্টিলের ৪৭ লক্ষ ৮০ হাজার টাকার, সোনালী পেপারের ৪৬ লক্ষ ৬২ হাজার টাকার, ওরিয়ন ইনফিউশনের ৪৬ লক্ষ ১৩ হাজার টাকার, ওই ম্যাক্সের ৪৪ লক্ষ ৮ হাজার টাকার, মাটিন স্পিনিংয়ের ৩৫ লক্ষ ৮৬ হাজার টাকার, তৌফিকার ৩৪ লক্ষ ৪০ হাজার টাকার, লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের ৩১ লক্ষ ১২ হাজার টাকার, কাট্টালি টেক্সটাইলের ৩০ লক্ষ ৪৭ হাজার টাকার, প্রিমিয়ার সিমেন্টের ৩০ লক্ষ ২৬ হাজার টাকার,

নাহি অ্যালুমিনিয়ামের ২৬ লক্ষ টাকার, আরএকে সিরামিকের ১৮ লক্ষ ৭৬ হাজার টাকার, মেট্রো স্পিনিংয়ের ১৪ লক্ষ ৪০ হাজার টাকার, কেয়া কসমেটিকের ১৩ লক্ষ ৪৮ হাজার টাকার, সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্সের ১১ লক্ষ ৯২ হাজার টাকার, রহিমা ফুডের ১১ লক্ষ ৬৬ হাজার টাকার, ইফাদ অটোর ১১ লক্ষ ৩৮ হাজার টাকার, প্রাইম টেক্সটাইলের ১০ লক্ষ ৫০হাজার টাকার, রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্সের ৮ লক্ষ ৯০ হাজার টাকার,

সমরিতা ৮ লক্ষ টাকার, পিপলস ইন্সুরেন্সের ৭ লক্ষ ৫২ হাজার টাকার, ডরিন পাওয়ারের ৭ লক্ষ ১০ হাজার টাকার, ইন্ডেক্স এগ্রোর ৭ লক্ষ ১ হাজার টাকার, বেক্সিমকো ফার্মার ৭ লক্ টাকার, ফরচুন সুজের ৬ লক্ষ ২৫ হাজার টাকার, ঢাকা ব্রাক হাউসিংয়ের ৬ লক্ষ ১৫ হাজার টাকার, শাইনপুকুর সিরামিকের ৫ লক্ষ ৪ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে।

ডিএসই ৭ কোম্পানির লেনদেনের রেকর্ড: পুঁজিবাজারে সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শীর্ষে দশে থাকা ৭ কোম্পানির লেনদেনে রেকর্ড সৃষ্টি করছে। কোম্পানিগুলোর প্রতি বিনিয়োগকারীদের একটু বাড়তি আগ্রহ থাকায় লেনদেনের আগ্রহ বেড়েছে। বিনিয়োগকারীদের শেয়ার কেনার চাপে আজ কোম্পানিগুলোর লেনদেন যেমন বেড়েছে, তেমনি দরও বেড়েছে।

কোম্পানিগুলো হলো: বেক্সিমকো লিমিটেড, ওরিয়ন ফার্মা, লাফার্জহোলসিম, মালেক স্পিনিং, সাইনপুকুর সিরামিক, জেনেক্স ইনফোসিস এবং ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বেক্সিমকো লিমিটেড: শেয়ার কেনার চাপে থাকা সাত কোম্পানির মধ্যে বেক্সিমকো লিমিটেডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১ কোটি ২৪ লাখ ১০ হাজার ৩১৩টি। যার বাজার মূল্য ১৩০ কোটি ৩৯ লাখ ৯২ হাজার টাকা। আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ৩ টাকা ৯০ পয়সা। গতকাল কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছিলো ১০১ টাকা ৭০ পয়সা। আজ সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১০৫ টাকা ৬০ পয়সায়।

ওরিয়ন ফার্মা: আজ ওরিয়ন ফার্মার শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৭২ লাখ ৬৫ হাজার ৯৯৭টি। যার বাজার মূল্য ৫২ কোটি ৯০ লাখ ৬০ হাজার টাকা। আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ১ টাকা ৫০ পয়সা। গতকাল কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছিলো ৭০ টাকা ৫০ পয়সা। আজ সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৭২ টাকায়।

লাফার্জহোলসিম: আজ লাফার্জহোলসিমের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৭০ লাখ ৫৪ হাজার ৮০৮টি। যার বাজার মূল্য ৪৮ কোটি ৯৪ লাখ ৫৩ হাজার টাকা। আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ২ টাকা ৩০ পয়সা। গতকাল কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছিলো ৬৭ টাকা ৫০ পয়সা। আজ সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৬৯ টাকা ৮০ পয়সা।

মালেক স্পিনিং: আজ মালেক স্পিনিংয়ের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১ কোটি ১৮ লাখ ৪৯ হাজার ১৯৯টি। যার বাজার মূল্য ৪৪ কোটি ৪৭ লাখ ৪৭ হাজার টাকা।আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ৫০ পয়সা। গতকাল কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছিলো ৩৭ টাকা ১০ পয়সা। আজ সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩৭ টাকা ৬০ পয়সায়।

শাইনপুকুর সিরামিকস: আজ সাইনপুকুর সিরামিকের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৪৩ লাখ ৯৫ হাজার ৪৫৩টি। যার বাজার মূল্য ৩৮ কোটি ৫৯ লাখ ৮ হাজার টাকা।আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ৮ টাকা। গতকাল কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছিলো ৮১ টাকা ৭০ পয়সা। আজ সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৮৯ টাকা ৭০ পয়সায়।

জেনেক্স ইনিফোসিস: আজ জেনেক্স ইনিফোসিসের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩৪ লাখ ৩১ হাজার ১৬৯টি। যার বাজার মূল্য ৩৭ কোটি ৭১ লাখ ৪৪ হাজার টাকা।আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ৫ টাকা। গতকাল কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছিলো ১০৫ টাকা ৩০ পয়সা। আজ সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১১০ টাকা ৩০ পয়সায়।

ন্যাশনাল ব্যাংক: আজ ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৪ কোটি ৫৫ লাখ ২৫ হাজার ৯৩৫টি। যার বাজার মূল্য ৩৭ কোটি ৬৭ লাখ ৯৪০ হাজার টাকা। আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ৩০ পয়সা। গতকাল কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছিলো ৮ টাকা। আজ সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৮ টাকা ৩০ পয়সায়।

ডিএসইর সূচক উঠাতে ব্যর্থ মেগা ৩ কোম্পানি: পুঁজিবাজারে সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান ইনডেক্স কমেছে ১৫ পয়েন্ট। এর মধ্যে তিন মেগা কোম্পানি আজ সূচকে টেনে উঠানে চাইলেও ব্যর্থ হয়েছে। সূচক টেনে উঠাতে এই তিন কোম্পানির অবদান ছিলো ১৫ পয়েন্ট। এই তিন কোম্পানির মধ্যে রয়েছে ওয়ালটন, বেক্সিমকো লিমিটেড এবং লাফার্জহোলিসিম বাংলাদেশ লিমিটেড। আমার স্টক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, বুধবার ডিএসইতে ইনডেক্স বাড়ানোতে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে ওয়ালটন। আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ১১ টাকা ১০ পয়সা। এতে কোম্পানিটি ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স ডিএসইএক্স সূচক টেনে উঠানোর চেষ্টায় অবদান রেখেছে ৫.৫২ পয়েন্ট।

বেক্সিমকো লিমিটেডের শেয়ার দর বেড়েছে ৩ টাকা ৯০ পয়সা। এই কারণে কোম্পানিটি ডিএসইর সূচক উঠাতে অবদান রেখেছে ৫.১৯ পয়েন্ট। একইভাবে লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেডের অবদান রয়েছে ৪.৪১ পয়েন্ট। এই তিন কোম্পানি ডিএসইর প্রধান সূচক উঠাতে অবদান রেখেছে ১৫ পয়েন্টের বেশি।

এছাড়াও, ডিএসই ব্রড ইনডেক্স ডিএসইএক্স এর সূচক বৃদ্ধির চেষ্টায় অবদান রাখার শীর্ষ অন্য সাত কোম্পানির মধ্যে সাইন পুকুরের অবদান রয়েছে ২.১২ পয়েন্ট, সাউথ বাংলা ব্যাংকের অবদান রয়েছে ১.৬৭ পয়েন্ট,

ন্যাশনাল ব্যাংকের অবদান রয়েছে ১.৪০ পয়েন্ট, পাইওনির ইন্স্যুরেন্সের অবদান রয়েছে ১.১৯ পয়েন্ট, বেক্সিমকো ফার্মার অবদান রয়েছে ১.০৮ পয়েন্ট, তিতাস গ্যাসের অবদান রয়েছে ১.০৫ পয়েন্ট এবং জেনেক্স ইনফোসিসের অবদান রয়েছে ০.৭৪ পয়েন্ট।

ডিএসই মার্কেট লিডার নতুন ২ কোম্পানি: পুঁজিবাজারে সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে ঢাকা ষ্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই ) মার্কেট লিডারের তালিকায় নতুন দুই কোম্পানি উঠে এসেছে। কোম্পানি দুটো হলো: ন্যাশনাল ব্যাংক ও জেনেক্স ইনফোসিস লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

ন্যাশনাল ব্যাংক: আজ ন্যাশনাল ব্যাংকের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৪ কোটি ৫৪ লাখ ৪৮ হাজার ৯০২টি। যার বাজার মুল্য ছিলো ৩৭ কোটি ৬১ লাখ টাকা। কোম্পানিটি ডিএসইর মার্কেট লিডারের ৮ম স্থানে উঠে এসেছে। আজ কোম্পানিটি দর বেড়েছে ৩০ পয়সা বা ৩.৭৫ শতাংশ। আগেরদিন কোম্পানিটির শেয়ারদর ছিল ৮ টাকা। আজ ক্লোজিং দর হয়েছে ৮ টাকা ৩০ পয়সায়।

ব্যাংকটি চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২১) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) করেছে ১৩ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ৩০ পয়সা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির সম্পদ মূল্য হয়েছে ১৭ টাকা ০৮ পয়সা।

জেনেক্স ইনফোসিস: আজ জেনেক্স ইনফোসিসের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩৪ লাখ ৩১ হাজার ১৬৯টি। যার বাজার মুল্য ছিলো ৩৭ কোটি ৭১ লাখ টাকা। কোম্পানিটি ডিএসইর মার্কেট লিডারের ৯ম স্থানে উঠে এসেছে। আজ কোম্পানিটি দর বেড়েছে ৫ টাকা বা ৪.৭৫ শতাংশ। আগেরদিন কোম্পানিটির শেয়ারদর ছিল ১০৫ টাকা ৩০ পয়সা। আজ ক্লোজিং দর হয়েছে ১১০ টাকা ৩০ পয়সা।

তথ্য প্রযুক্তি খাতের কোম্পানিটির সমাপ্ত অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) ইপিএস হয়েছে ৩ টাকা ০৬ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ৩ টাকা ০১ পয়সা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির সম্পদ মূল্য হয়েছে ১৮ টাকা ০৭ পয়সা।

সম্পদ ব্যবস্থাপকের লাইসেন্স পেল সন্ধানী অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সন্ধানী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান সন্ধানী অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডকে সম্পদ ব্যবস্থাপকের লাইসেন্স প্রদান করা হয়েছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) প্রতিষ্ঠানটিকে এই লাইসেন্স প্রদান করে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সন্ধানী গ্রুপের শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্ট আরো দুটি প্রতিষ্ঠান হলো সন্ধানী লাইফ ফাইন্যান্স লিমিটেড (মার্চেন্ট ব্যাংক) এবং মোনা সিকিউরিটিজ লিমিটেড (ব্রোকারেজ হাউজ)। সন্ধানী গ্রুপের নতুন সদস্য সন্ধানী অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের লাইসেন্স প্রাপ্তির মাধ্যমে সন্ধানী গ্রুপ শেয়ারবাজারে তাদের ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধি আরো সম্প্রসারিত করার সুযোগ পেলো।

মীর আরিফুল ইসলাম সন্ধানী অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে যোগদান করেছেন। সন্ধানী অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড এ যোগদান এর পূর্বে তিনি প্রাইম ফাইন্যান্স অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের হেড অফ রিসার্চ এন্ড ফান্ড ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

তিনি এক যুগের অধিক সময় ধরে শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন। তাঁর ব্রোকারেজ অপারেশন, পোর্টফোলিও ম্যানেজমেন্ট, রিসার্চ আন্ড এনালাইসিস এবং এসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিতে কাজ করার প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা রয়েছে। পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধিতে তিনি দেশ বিদেশে বহু প্রশিক্ষণ ও কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন। শিক্ষাজীবনে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিন্যান্স বিভাগে স্নাতক ও একাউন্টিং এন্ড ইনফেরমেশন সিস্টেম বিভাগে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি ইনস্টিটিউট অফ চার্টার্ড সেক্রেটারিজ অফ বাংলাদেশ এর একজন অ্যাসোসিয়েট মেম্বার।

তিন কোম্পানির দর শেয়ার বৃদ্ধির কারন অজানা: বিনা কারণেই পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত তিন কোম্পানির শেয়ার দর অস্বাভাবিক বাড়ছে বলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই) জানিয়েছে কোম্পানিগুলো। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা যায়। কোম্পানি তিনটি হলো: সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল, স্টাইলক্রাফট এবং এইচআর টেক্সটাইল।

জানা গেছে, শেয়ার দর অস্বাভাবিক বাড়ার কারণ জানতে চেয়ে সম্প্রতি ডিএসই কোম্পানিগুলোকে নোটিশ পাঠায়। এর জবাবে কোম্পানিগুলোর পক্ষ থেকে গত জানানো হয়, কোনো রকম অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই তাদের শেয়ার দর এভাবে বাড়ছে।

উল্লেখ্য, সিভিওপেট্রোকেমিক্যালের শেয়ার দর গত ০২ আগস্ট ছিল ১১১.৯০ টাকায়। আর ১৭ আগস্ট কোম্পানিটির শেয়ারের দর বেড়ে দাঁড়ায় ১৬২.৯০ টাকায়। অর্থাৎ এই ৮ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ার দর ৫০.১০ টাকা বা ৪৫ শতাংশ বেড়েছে।

স্টাইলক্রাফটের শেয়ার দর গত ০২ আগস্ট ছিল ১৪৯.৭০ টাকায়। আর ১৮ আগস্ট কোম্পানিটির শেয়ারের দর বেড়ে দাঁড়ায় ১৯৯.৩০ টাকায়। অর্থাৎ এই ৯ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ার দর ৪৯.৬০ টাকা বা ৩৩ শতাংশ বেড়েছে।

এইচআর টেক্সটাইলের শেয়ার দর গত ১০ আগস্ট ছিল ৬২.৮০ টাকায়। আর ১৮ আগস্ট কোম্পানিটির শেয়ারের দর বেড়ে দাঁড়ায় ৭৫.৮০ টাকায়। অর্থাৎ এই ৫ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ার দর ১২.৫০ টাকা বা ২০ শতাংশ বেড়েছে।

সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্সের পর্ষদ সভা ২৬ আগস্ট: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বীমা খাতের কোম্পানি সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের সভা আগামী ২৬ আগস্ট বিকাল ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র মতে, সভায় কোম্পানিটির ৩০ জুন, ২০২১ সমাপ্ত দ্বিতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। পর্ষদ আলোচিত প্রতিবেদন অনুমোদন করলে তা প্রকাশ করবে কোম্পানিটি।

মালা শাড়ির আনোয়ার হোসেন না ফেরার দেশে: দেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী আনোয়ার গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এবং সাবেক সংসদ সদস্য মালা শাড়ির আনোয়ার হোসেন আনোয়ার হোসেন না ফেরার দেশে পারি জমালেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।

মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। আনোয়ার গ্রুপের পক্ষ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। আনোয়ার হোসেন ২০১২ সাল থেকে ডিমেনশিয়া ও বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন।

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় মরহুমের নামাজে জানাজা ধানমন্ডি ৭ নম্বর রোডে বাইতুল আমান জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে। দেশের পুরোনো উদ্যোক্তাদের অন্যতম আনোয়ার হোসেন। ছোট থেকে শুরু করেছিলেন, এখন আনোয়ার গ্রুপ দেশের অন্যতম শীর্ষ শিল্পগোষ্ঠী।
আনোয়ার হোসেন ১৯৩৮ সালে ঢাকার আলমীগোলায় (লালবাগ) জন্মগ্রহণ করেন।

১৯৭৩ সালে তিনি ধানমন্ডিতে বসবাস করা শুরু করেন। তার বাবা রহিম বখসও ব্যবসায়ী ছিলেন। মালা শাড়ি বাংলাদেশের শাড়ির জগতে প্রথম সুপরিচিত ব্র্যান্ড। দেশে মুক্তিযুদ্ধের আগে ও পরে এই শাড়ি এতটাই জনপ্রিয়তা পেয়েছিল যে, বিয়ে মানেই ছিল মালা শাড়ি দিয়ে। আনোয়ার হোসেন ব্যবসা শুরু করেন ১৯৫৩ সালে। তিনি কর্মসংস্থান করেছেন প্রায় ১৪ হাজার মানুষের।

১৯৬৮ সালে তিনি প্রথম বড় কারখানা আনোয়ার সিল্ক মিলস প্রতিষ্ঠা করেন। বস্ত্র, পাট, সিমেন্ট, ইস্পাত, আবাসন, পলিমার, আসবাব, অটোমোবাইল, ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ তার প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান প্রায় ৩৬টি। ১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠিত দ্য সিটি ব্যাংকে চার দফায় চেয়ারম্যান ছিলেন আনোয়ার হোসেন।

ব্যক্তিজীবনে আনোয়ার হোসেন তিন ছেলে ও চার মেয়ের জনক। তার মেয়েরা হলেন শাহীন বেগম, সেলিনা বেগম মালা, হাসিনা বেগম রুমা ও শাহনাজ বেগম মুন্নী। ছেলেরা হলেন মানোয়ার হোসেন, হোসেন মেহমুদ ও হোসেন খালেদ। রাজনীতিতে যোগ দিয়ে তিনি ১৯৮৮ সালের চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে ঢাকা-৮ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

আনোয়ার গ্রুপের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানসমূহ: আনোয়ার সিমেন্ট লিমিটেড, আনোয়ার সিমেন্ট শিট লিমিটেড, আনোয়ার টেক্সটাইল লিমিটেড, আনোয়ার গ্যালভানাইজিং লিমিটেড, আনোয়ার সিল্ক মিলস লিমিটেড। হোসেন ডাইং অ্যান্ড প্রিন্টিং মিলস লিমিটেড, এ-১ পলিমার লিমিটেড, পাট স্পিনিং মিলস লিমিটেড, অ্যাথেনার আসবাব ও হোমসজ্জা, মাহমুদ ইন্ডাস্ট্রিজ প্রাইভেট লিমিটেড। আনোয়ার ইস্পাত লিমিটেড, আনোয়ার ল্যান্ডমার্ক লিমিটেড, আনোয়ার ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড, এজি অটোমোবাইলস লিমিটেড (এজি অটো)।

এছাড়া গ্রুপটির মালিকানাধীন আর্থিক খাতের প্রতিষ্ঠানগুলো হলো: সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড, বাংলাদেশ ফিনান্স (বিডি ফিনান্স), বিডি ফিন্যান্স সিকিউরিটিজ, বিডি ফিনান্স ক্যাপিটাল হোল্ডিংস লিমিটেড।

ছয় মিউচুয়াল ফান্ডের ট্রাস্টি সভার তারিখ ঘোষণা: সমাপ্ত হিসাব বছর শেষে ট্রাস্টি সভার তারিখ ঘোষণা করেছে ৬ মিউচ্যুয়াল ফান্ড। আগামী ২৫ আগস্ট ফান্ডগুলোর ট্রাস্টি সভা অনুষ্ঠিত হবে। ওই সভায় ফান্ডগুলোর ২০২১ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে তা প্রকাশ করা হবে। বুধবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

যেসব ফান্ডগুলো সভার তারিখ ঘোষণা করেছে সেগুলো হলো: এক্সিম ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড, ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড, ফার্স্ট জনতা ব্যাংক মিউচ্যুয়াল ফান্ড, আইএফআইসি ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড,

ট্রাস্ট ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ান এবং ইবিএল ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড। এসব ফান্ডের ট্রাস্টি সভা নির্ধারিত দিনে বিকাল ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে। সভা শেষে ইউনিটহোল্ডারদের জন্য আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।