দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বীমা খাতের কোম্পানি ফিনিক্স ইন্স্যুরেন্সের বোর্ড সভার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ২৫ আগস্ট বিকাল সাড়ে ৪টায় এ কোম্পানির বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হবে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। জানা যায়, সভায় ৩০ জুন ২০২১ পর্যন্ত কোম্পানিটির অনিরিক্ষতি দ্বিতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে প্রকাশ করা হবে।

ব্যাংক-আর্থিক ও বস্ত্র খাতের চমকে সূচকের বড় উত্থান: পুঁজিবাজারে টানা দুই কার্যদিবস সংশোধন শেষে সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সূচকের বড় উত্থান ঘটছে। একদিন ব্যাপকভাবে বাড়ার পর দুদিন ব্যাংক খাতের শেয়ারগুলো দর হারানোর পর তৃতীয় কর্মদিবসে আবার ঘুরে দাঁড়াল। বিমা খাত ছাড়া প্রধান প্রায় সব খাতের বিনিয়োগকারীদের মাঝে উৎফুল্ল ভাব বিরাজ করছে। এর মধ্যে ব্যাংক ছাড়া দ্বিতীয় যে খাতটিতে সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে, সেটি হলো বস্ত্র। এই খাতেও ব্যাংকের মতো হাতেগনা এক দুইটি ছাড়া বেড়েছে বাকিগুলোর দাম।

গত মঙ্গলবার ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লেনদেনের পর দুই দিনের সংশোধনে বিনিয়োগকারীরা কেনাবেচা কমিয়ে দিলেও রোববার তারা ছোটখাট সংশোধন কাটিয়ে আবার শেয়ার ক্রয়ের দিকে ঝুঁকছেন। দুই কর্মদিবস পর লেনদেন আবার আড়াই হাজার পয়েন্ট ছাড়াল।

দিন শেষে সূচকের যে অবস্থান, সেটি ২০১১ সালের ৩ ফেব্রুয়ারির পর সর্বোচ্চ। সেদিন সে সময়ের ডিএসই সূচক ছিল ৭ হাজার ১২৫ পয়েন্ট। রোববার সূচক দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৮৪২ পয়েন্টে। আগের দুই দিন ২৬ পয়েন্ট হারানোর পর একদিনেই বেড়েছে ৮১ পয়েন্ট। এই উত্থানের মধ্য দিয়ে সূচকের অবস্থান ২০১১ সালের ৮ ফেব্রুয়ারির ৬ হাজার ৮২২ পয়েন্টের অবস্থানকে অতিক্রম করে গেল।

ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং প্রকৌশলসহ ১৪ খাতের শেয়ারের দাম বাড়ায় সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে দেশের পুঁজিবাজারে বড় উত্থান হয়েছে। রোববার দিনভর সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় চলে লেনদেন। এদিন দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক বেড়েছে ৮১ পয়েন্ট। অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক বেড়েছে ২০৮ পয়েন্ট।

বুধ ও বৃহস্পতিবার টানা দুদিন দরপতনের পর বড় উত্থানের মধ্যদিয়ে সপ্তাহ শুরু করল দেশের পুঁজিবাজার। আর এ উত্থানে সূচক দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৮৪২ পয়েন্টে, যা এর ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এদিন সূচকের পাশাপাশি বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম ও লেনদেন।

ডিএসইর বাজার মূলধনও আগের দিনের চেয়ে ৪ হাজার ৭১৭ কোটি ৬২ লাখ ১৯ হাজার টাকা বেড়ে ৫ লাখ ৫৪ হাজার ৪৩৯ কোটি ২৪ লাখ ২৩ হাজার টাকায় দাঁড়িয়েছে, যা পুঁজিবাজারের ইতিহাসে আরও একটি মাইলফলক।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, রোববার ব্যাংক খাতে তালিকাভুক্ত ৩২টি কোম্পানির মধ্যে ২৮টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। কমেছে দুটি ব্যাংকের শেয়ারের দাম। আর্থিক খাতের ২৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২০টির শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে একটির শেয়ারের দাম। প্রকৌশল খাতের ৪২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়েছে। বিপরীতে কমেছে ৫টির শেয়ারের দাম।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ২৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৫টির শেয়ারের দাম বেড়েছে। কমেছে ৭ টির শেয়ারের দাম। বস্ত্র খাতের ৫৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৪৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়েছে। বিপরীতে ৯ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম কমেছে। একইভাবে টেলিযোগাযোগ খাতের ৩টি কোম্পানির মধ্যে ২টির শেয়ারের দাম।

সব মিলিয়ে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ২২টি খাতের কোম্পানির মধ্যে রোববার ১৪টি খাতের কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। আর তাতে ডিএসইতে মোট লেনদেন হওয়া ৩৭৬টির মধ্যে ২৪৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ৯৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৩টির। মোট ৯০ কোটি ৬৪ লাখ ৫৪ হাজার ১৯০টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে। তা থেকে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৭০৬ কোটি ৩১লাখ ৮১ হাজার টাকা। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ২১৮ কোটি ৮৮ লাখ ৯৪ হাজার টাকা।

অর্থাৎ আগের দিনের চেয়ে লেনদেন বেড়েছে। বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমায় এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৮১ দশমিক ৬১ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ৮৪২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। প্রধান সূচকের পাশাপাশি ডিএসইর অন্য সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ১৮ দশমিক ৩৮ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৪৭৯ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ২৮ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ৪৫১ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

এদিন ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে ছিল বেক্সিমকো লিমিটেড। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সিমেন্ট খাতের কোম্পানি লাফার্জহোলসিম। এরপর সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে ফার্স্ট সিকিউরিটিজ ব্যাংক লিমিটেডের শেয়ার। এরপর যথাক্রমে ছিল আইএফআইসি ব্যাংক, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, ন্যাশনাল ব্যাংক, ম্যাক্সন স্পিনিং, পাওয়ার গ্রিড, ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্স ও ওরিয়ন ফার্মা লিমিটেড।

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২০৮ পয়েন্ট বেড়ে ১৯ হাজার ৯২১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩২৪টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২১৮টির শেয়ারের দাম বেড়েছে। কমেছে ৮৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম। এ বাজারে লেনদেন হয়েছে ১০০ কোটি ৮ লাখ ৫১ হাজার ৩৬০ টাকা। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৮৮ কোটি ৯৯ লাখ ২৩ হাজার ৮৮৩ টাকা।

ফারইস্ট ইসলামী লাইফের দুর্নীতি তদন্তে যৌথ কমিটি গঠন বিএসইসি’র: শেয়ারবাজারে বিমা খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের বিরুদ্ধে নানা আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতি খতিয়ে দেখতে যৌথ তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। চারটি সংস্থার প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে এ যৌথ তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ বিধিমালা, ২০১৯ এর বিধি ৫৪ অনুযায়ী যৌথ অনুসন্ধান ও তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি বিএসইসির কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের নেতৃত্বে ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের বিরুদ্ধে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনার জন্য অন্যান্য সংস্থার মধ্যে রয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। এ যৌথ তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক রিপন কুমার দেবনাথকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এছাড়া তদন্ত কমিটিতে বিএসইসির আরো দুজন প্রতিনিধি রাখা হয়েছে। তারা হলেন-বিএসইসির পরিচালক আবু রায়হান মোহাম্মদ মুতাসীম বিল্লাহ ও উপ-পরিচালক মো. শাহনেওয়াজ।

ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইস্যুরেন্সের বিরুদ্ধে নিরীক্ষা ও বিশেষ নিরীক্ষায় ব্যাপক দুর্নীতি, প্রতারণা, জালিয়াতি এবং পুঁজিবাজার সম্পর্কিত অপরাধ সংগঠনের মাধ্যমে মানিলন্ডারিং করা হয়েছে। তাই বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করতে আরো যাচাই-বাচাই করা প্রয়োজন বলে মনে করে বিএসইসি। এরই ধরাবাহিকতায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ বিধিমালা, ২০১৯ এর বিধি ৫৪ অনুযায়ী যৌথ অনুসন্ধান ও তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি।

এ বিষয়ে বিএসইসির কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইস্যুরেন্সের বিরুদ্ধে বেশি কিছু অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই অভিযোগুলোর সত্যতা নিশ্চিত করতেই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।’

চলতি বছরের গত ২৮ জুন কোম্পানির একজন উদ্যোক্তা পরিচালকসহ আরও বেশ কয়েকজনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের বিরুদ্ধে বিএসইসি তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয়। গঠিত তদন্ত কমিটিতে ছিলেন সহকারী পরিচালক মো. শাহনেওয়াজ ও মো. সিরাজুল ইসলাম। তদন্ত কার্যক্রমে গঠিত কমিটি বেশ কিছু অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাতের ঘটনা চিহ্নিত করেছে। এর আগে ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের আর্থিক প্রতিবেদনে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া যায়। এ বিষয়ে প্রাথমিক তদন্তে সত্যতা পায় বিএসইসি।

প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, এক প্রভাবশালী পরিচালককে আর্থিক সুবিধা দিতে গিয়ে কোম্পানির স্থায়ী আমানত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে কোম্পানির কয়েক বছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশেষ নিরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেয় বিএসইসি। গত বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়।

কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে জানা গেছে, ২০১৬ সালে বিভিন্ন ব্যাংকে কোম্পানির স্থায়ী আমানত ছিল ১ হাজার ৪৩১ কোটি ১০ লাখ টাকা। ২০১৮ সালে তা নেমে এমেছে ২৫১ কোটি টাকায়। আর ২০১৯ সালের জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর সময়কালে, কোম্পানির মোট জীবন বিমা পলিসি ৩ হাজার ২৬৯ কোটি টাকা থেকে ৬৩ কোটি টাকা কমেছে। এছাড়া আর্থিক সক্ষমতা কমে যাওয়ায় গ্রাহকদের দাবি যথাযথভাবে পূরণ করতে পারছে না কোম্পানিটি। এতে করে কোম্পানির গ্রাহক হারানোর পাশাপাশি জীবন বিমা পলিসিও কমে গেছে। একইসঙ্গে ফারইস্ট লাইফের বিনিয়োগের পরিমাণও কমেছে।

শেয়ারবাজারে ২০০৫ সালে তালিকাভুক্ত হওয়া ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানির মোট শেয়ার সংখ্যা ৭ কোটি ৪৭ লাখ ৪২ হাজার ৭৫১টি। এর মধ্যে চলতি বছরের ৩১ জুলাই পর্যন্ত কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে ৩০.৫৫ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৪১.২২ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে ০.৮১ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ২৭.৪২ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। গত ১৯ আগস্ট কোম্পানির শেয়ার সর্বশেষ লেনদেন হয়েছে ৬০.৪০ টাকায়।

আর্থিক খাতের শেয়ারে বড় চমক: পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত ২০ খাতের মধ্যে অন্যতম খাত হিসাবে পরিচিত আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাত। এই খাতে আজ সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ সবচেয়ে বেশি লক্ষ্য করা গেছে। এতে করে আজ আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাত বিনিয়োগকারীদের চমক দেখিয়ে বেড়েছে ২১ কোম্পানির শেয়ার দর। লেনদেন হওয়া ২২টি কোম্পানির মধ্যে মাত্র ১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দর কমতে দেখা গেছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, আজ আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতে লেনদেন হয়েছে ডিএসইর মোট লেনদেনের ৮ শতাংশ বা ২০৬ কোটি টাকা। লেনদেনে খাতটি আজ ৬ষ্ঠ স্থানে অবস্থান করছে। এই খাতে আজ সর্বোচ্চ ৮ শতাংশেরও বেশি শেয়ার দর বেড়েছে।

বাজার পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, রবিবার আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতে সবচেয়ে বেশি শেয়ার দর বেড়েছে ফাস্ট ফাইন্যান্সের। আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ৭০ পয়সা বা ৮.৫৪ শতাংশ। কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ৮ টাকা ৩০ পয়সায়। আর লেনদেন শেষ হয়েছে ৯ টাকায়।

আইএলএফএসএল আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের শেয়ার দর বৃদ্ধিতে দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে। আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ৬০ পয়সা বা ৬ শতাংশ। কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ১০ টাকায়। আর লেনদেন শেষ হয়েছে ১০ টাকা ৬০ পয়সায়।

আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের শেয়ার দর বৃদ্ধিতে তৃতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে ফারইস্ট ফাইন্যান্স। আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ৫০ পয়সা বা ৫.২৬ শতাংশ। কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে আজ ৯ টাকা ৬০ পয়সায়। আর লেনদেন শেষ হয়েছে ১০ টাকা ১০ পয়সায়।
আর্থিক খাতের ২৩টি কোম্পানির মধ্যে পিএলএফএস-এর শেয়ার লেনদেন দীর্ঘ দিন যাবত বন্ধ রয়েছে।

খাতটিতে আজ লেনদেন হওয়া ২২টি কোম্পানির মধ্যে ২১টি কোম্পানিই দর বৃদ্ধিতে চমক দেখিয়েছে। কেবল ন্যাশনাল হাউজিংয়ের শেয়া দরে পতন দেখা গেছে। কোম্পানিটির শেয়ার দর আজ কমেছে ১ টাকা ৮০ পয়সা বা ২.৬৩ শতাংশ। আজ ন্যাশনাল হাউজিংয়ের শেয়ার ডিএসইতে দর পতনের শীর্ষ তালিকায় উঠে এসেছে। উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবারও ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্স ডিএসইতে দর পতনের শীর্ষ তালিকায় শীর্ষ স্থানে ছিল। ওইদিন কোম্পানিটির দর কমেছিল ৩ টাকা ৫০ পয়সা বা ৪.৮৭ শতাংশ।

ডিএসই চার খাতের ওপর ভর করে লেনদেনে উস্ফল্লণ: আগের দুই কার্যদিবসের মন্দাভাব কাটিয়ে পুঁজিবাজারে সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস বড় উত্থান হয়েছে। এদিন পুঁজিবাজারের সব সূচক বেড়েছে। পাশাপাশি বেড়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর।

আজ আগের দিনের তুলনায় লেনদেনও বেড়েছে ৪৮৮ কোটি টাকা। চার খাতের ওপর ভর করে আজ লেনদেনে চাঙ্গা ভাব দেখা দিয়েছে। খাতগুলো হলো- বস্ত্র, ব্যাংক, প্রকৌশল এবং জ্বালানি খাত। ডিএসই সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

বস্ত্র খাত: বস্ত্র খাতে আজ লেনদেন হয়েছে ১৬৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা। আগেরদিন লেনদেন হয়েছে ১৩৯ কোটি ৯০ লাখ টাকা। আজ লেনদেন বেড়েছে ২৮ কোটি ৬০ লাখ টাকা।

ব্যাংক খাত: ব্যাংক খাতে আজ লেনদেন হয়েছে ১৫৩ কোটি ৭০ লাখ টাকা। আগেরদিন লেনদেন হয়েছে ১২৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা। আজ লেনদেন বেড়েছে ২৫ কোটি টাকা।

প্রকৌশল খাত: প্রকৌশল খাতে আজ লেনদেন হয়েছে ৯৫ কোটি ৩০ লাখ টাকা। আগেরদিন লেনদেন হয়েছে ৭২ কোটি ৭০ লাখ টাকা। আজ লেনদেন বেড়েছে ২২ কোটি ৬০ লাখ টাকা।

জ্বালানি খাত: জ্বালানি খাতে আজ লেনদেন হয়েছে ৯৬ কোটি ১০ লাখ টাকা। আগেরদিন লেনদেন হয়েছে ৭২ কোটি ৭০ লাখ টাকা। আজ লেনদেন বেড়েছে ১৮ কোটি ৩০ লাখ টাকা।

ব্লক মার্কেটে চার কোম্পানির লেনদেনের শীর্ষে: পুঁজিবাজারে সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ব্লক মার্কেটে ৫৭টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নিয়েছে। কোম্পানিগুলোর ৬৩ কোটি ৮ লাখ ৬০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে চার কোম্পানির বড় লেনদেন হয়েছে। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি শেয়ার লেনদেন হয়েছে আল আরাফা ইসলামি ব্যাংকের। কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৯ কোটি ১৮ লাখ ২৪ টাকার।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে বিডি ফাইন্যান্সের ১৬ কোটি ৭৮ লাখ ৫০ হাজার টাকার, তৃতীয় সর্বোচ্চ এসিআই ফর্মুলার ৪ কোটি ৬১ লাখ ৯১ হাজার টাকার, চতুর্থ সর্বোচ্চ জেনেক্স ইনফোসিসের ৩ কোটি ৯৬ লাখ ৭ হাজার টাকার শেয়ার।

এছাড়া, এবি ব্যাংকের ১ কোটি ৩৮ লাখ ৪০ হাজার টাকার, কে এন্ড কিউয়ের ১ কোটি ৩৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার, সিটি জেনারেল ইন্সুরেন্সের ১ কোটি ১২ লাখ ৭৪ হাজার টাকার, পাওয়ার গ্রীডের ১ কোটি ৪ লাখ ৪০ হাজার টাকার, কাট্টালি টেক্সটাইলের ৯৭ লাখ ৭ হাজার টাকার, ন্যাশনাল ব্যাংকের ৯১ লাখ ২০ হাজার টাকার, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলের ৯১ লাখ টাকার, ন্যাশনাল ফিড মিলের ৭৫ লাখ ৮১ হাজার টাকার,

এসএস স্টিলের ৬৬ লাখ টাকার, বিকন ফার্মার ৬২ লাখ ৭৩ হাজার টাকার, ফার কেমিক্যালের ৬১ লাখ ৫ হাজার টাকার, জিবিবি পাওয়ারের ৫৭ লাখ ৫৭ হাজার টাকার, ফু-ওয়াং সিরামিকের ৪৮ লাখ ৬৪ হাজার টাকার, সিঙ্গার বিডির ৪৫ লাখ ৪৮ হাজার টাকার, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের ৪৪ লাখ ৪০ হাজার টাকার, ইস্টার্ন ইন্সুরেন্সের ৪৪ লাখ ৩৭ হাজার টাকার,

ড্রাগন সোয়েটারের ৪২ লাখ টাকার, ইবিএলএনআরবি মিউচুয়াল ফান্ডের ৪১ লাখ টাকার, সোনালী পেপারের ৩৮ লাখ ৩০ হাজার টাকার, এসবিএসি ব্যাংকের ৩৮ লাখ ২৭ হাজার টাকার, এইচআর টেক্সটাইলের ৩৬ লাখ টাকার, সালভো কেমিক্যালের ২৮ লাখ ৩৫ হাজার টাকার, শাহজিবাজার পাওয়ারের ২৭ লাখ ৩০ হাজার টাকার, জেনারেশন নেক্সটের ২৬ লাখ ৭০ হাজার টাকার, রিং সাইনের ২৬ লাখ ৬৮ হাজার টাকার,

ই-জেনারেশনের ২০ লাখ ৪০ হাজার টাকার, জিপিএইচ ইস্পাতের ১৮ লাখ ৯০ হাজার টাকার, মেঘনা পেট্রোলিয়ামের ১৪ লাখ ১১ হাজার টাকার, লাফার্জ হোলসিমের ১৩ লাখ ৬০ হাজার টাকার, ওয়ান ব্যাংক লিমিটেডর ১৩ লাখ ৬০ হাজার টাকার, সামিট পাওয়ারের ১৩ লাখ ৫০ হাজার টাকার, আলহাজ টেক্সটাইলের ১৩ লাখ ১৪ হাজার টাকার, গ্রামীন টুর ১২ লাখ ২৪ হাজার টাকার,

অ্যাসোসিয়েট অক্সিজেনের ১১ লাখ ৪০ হাজার টাকার, প্রিমিয়ার সিরামিকের ১০ লাখ ৪৬ হাজার টাকার, ইন্টার্নেশনাল লিজিংয়ের ১০ লাখ ১৭ হাজার টাকার, লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের ১০ লাখ ৮ হাজার টাকার, ট্রাস্ট ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৯ লাখ ৬০ হাজার টাকার, ইসলামিক ফাইন্যান্সের ৮ লাখ ৯৭ হাজার টাকার, রেকিট বেনকিজারের ৮ লাখ ৮৮ হাজার টাকার, অলিম্পিকের ৮ লাখ ৩৪ হাজার টাকার,

মোজাফফর হোসেনের ৮ লাখ ১৬ হাজার টাকার, এনালাইজ ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৭ লাখ ৭৫ হাজার টাকার, আলিফের ৭ লাখ ৩০ হাজার টাকার, ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংকের ৬ লাখ ৮৮ হাজার টাকার, সি-পার্লের ৬ লাখ ৬৭ হাজার টাকার, রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্সের ৫ লাখ ৬৪ হাজার টাকার, ইন্ডেক্স এগ্রোর ৫ লাখ ৬০ হাজার টাকার, ইফাদ অটোর ৫ লাখ ১৯ হাজার টাকার, মীর আক্তারের ৫ লাখ ১২ হাজার টাকার, যমুনা ব্যাংকের ৫ লাখ ২ হাজার টাকার, ফনিক্স ফাইন্যান্সের ৫ লাখ ১ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে।

অরিজা এগ্রোর আবেদনের তারিখ শুরু ৫ সেপ্টেম্বর: পুঁজিবাজার থেকে অর্থ উত্তোলনের অনুমোদন পাওয়া অরিজা এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের কোয়ালিফাইড ইনভেস্টর অফার (কিউআইও) আবেদন আগামী ৫ সেপ্টেম্বর থেকে আবেদন গ্রহণ শুরু হবে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্রমতে, কোম্পানিটির কিউআইওতে আবেদন গ্রহণ ৫ সেপ্টেম্বর শুরু হয়ে চলবে ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। গত ১৪ জুলাই বিএসইসির ৭৮৪তম সভায় অরিজা এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের কোয়ালিফাইড ইনভেস্টর অফার বাই স্মল ক্যাপিটাল কোম্পানিজের (কিউআইও) মাধ্যমে অর্থ উত্তোলনের অনুমোদন দিয়েছে। অরিজা এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ কিউআইও এর মাধ্যমে প্রতিটি ১০ টাকা মূলে ১ কোটি শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে ১০ কোটি টাকা উত্তোলন করবে।

উত্তোলিত অর্থ দিয়ে ব্যাংক ঋণ পরিশোধ,কার্যকরী মূলধন এবং ইস্যু ব্যবস্থাপনা খরচ খাতে ব্যয় করবে। কোম্পানিটির ৩০ ডিসেম্বর ২০২০ সমাপ্ত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ১.০২ টাকা এবং পুন:মূল্যায়ন সঞ্চিতি ছাড়া নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৮.০৯ টাকায়।

এসএমই প্লাটফর্মে লেনদেনের তারিখ থেকে পরবর্তী ৩ বছর ইস্যুয়ার কোম্পানিটি কোনো বোনাস শেয়ার ইস্যু করতে পারবে না। কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে যথাক্রমে ইম্পেরিয়াল ক্যাপিটাল এবং সিটি ব্যাংক রিসোর্সেস।

বস্ত্র খাতের দুই কোম্পানির ডিএসইর সতর্কতা জারি: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি মেট্রো স্পিনিং মিলস ও আনলিমা ইয়ার্ন লিমিটেডের অস্বাভাবিক শেয়ার দর বৃদ্ধির পেছনে কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য না থাকায় কোম্পানি দুটি সম্পর্কে সতর্কতা জারি করেছে ডিএসই।

ডিএসই জানায়, সম্প্রতি কোম্পানি দুটির শেয়ার দর অস্বাভাবিকভাবে বাড়ার কারণে কোম্পানি দুটির কর্তৃপক্ষকে নোটিশ প্রেরণ করে ডিএসই। এর জবাবে কোম্পানি দুটির কর্তৃপক্ষ জানায় কোনো অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই কোম্পানি দুটির শেয়ার দর বাড়ছে।

তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত ২৫ জুলাই মেট্রো স্পিনিংয়ের শেয়ার দর ছিল ১৭ টাকা ২০ পয়সা। ২২ আগস্ট কোম্পানিটির শেয়ার দর ৩০ টাকায় উঠেছে। একই সময়ে আনলিমা ইয়ার্নের শেয়ার দর ৩৮ টাকা ১০ পয়সা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৪৯ টাকা ৪০ পয়সায় উঠে। কোম্পানিগুলোর এই দর বাড়াকে অস্বাভাবিক বলে মনে করছে ডিএসই কতৃপক্ষ। সেজন্য কোম্পানি দুটি সম্পর্কে সতর্কতা জারি করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন নতুন ৬টি জাহাজ কিনছে: নতুন ৬টি জাহাজ কিনছে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন (বিএসসি)। জাহাজ সংগ্রহের প্রক্রিয়া এরই মধ্যে শুরু হয়েছে। এ ব্যাপারে গঠিত একাধিক কমিটি কারিগরি ও বাণিজ্যিক বিষয়গুলো যাচাই-বাছাই করছে।

বিএসসির কর্মকর্তারা বলেছেন, একটি সমৃদ্ধ জাহাজের বহর গড়ে তুলতে চায় শিপিং করপোরেশন। এ লক্ষ্যে বিভিন্ন পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এর অংশ হিসেবে ৬টি জাহাজ বিএসসির বহরে যুক্ত হচ্ছে। বিএসসির পরিচালনা বোর্ডে অনুমোদনের ভিত্তিতে নতুন ৬ জাহাজ কেনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের নির্বাহী পরিচালক (প্রযুক্তি) মোহাম্মদ ইউসুফ জানান, নতুন ৬ জাহাজের মধ্যে রয়েছে ১ লাখ থেকে ১ লাখ ২৫ হাজার টন ধারণক্ষমতার দুটি মাদার ট্যাংকার, ৮০ হাজার টন ধারণক্ষমতার দুটি প্রোডাক্ট অয়েল ট্যাংকার ও ৮০ হাজার টন ধারণক্ষমতার দুটি বাল্ক ক্যারিয়ার।

তিনি বলেন, ‘বিএসসি নতুন ৬টি জাহাজ কেনার ব্যাপারে মন্ত্রণালয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বসবে আগামী ২৬ আগস্ট বৃহস্পতিবার। জাহাজগুলো জিটুজি পদ্ধতিতে কোনো বিদেশি সরকার বা অন্য কোনো দেশের সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে তাদের প্রস্তাব অনুযায়ী কেনা সমীচীন হবে কিনা সে ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

‘এ ছাড়া টেকনিক্যাল কমিটির সঙ্গে পরামর্শ করে জাহাজ ক্রয়ের প্রকল্পের মূল্য নির্ধারণ করা হবে, যা চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির কাছে উপস্থাপন করা হবে।’ নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এ গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিতে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের ৯ জনকে সদস্য করে এ প্রকল্পের নেগোসিয়েশন কার্যক্রম শেষ করতে কমিটি গঠন করা হয়েছে।

আগামী বৃহস্পতিবারের সভায় কমিটির ৯ সদস্যের মধ্যে সভাপতি হিসেবে রয়েছেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব, সদস্য হিসেবে আছেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রতিনিধি, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের প্রতিনিধি, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রতিনিধি এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রতিনিধি। এ ছাড়া অন্য অসদস্যের মধ্যে আছেন অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন),

বিএসসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম প্রধান (পরিকল্পনা)। নতুন ৬টি জাহাজের মধ্যে থাকবে ২টি ক্রুড ওয়েল মাদার ট্যাংকার, যার প্রতিটির ধারণক্ষমতা হবে ১ লক্ষ থেকে ১ লক্ষ ২৫ হাজার টন। দেশের জ্বালানি চাহিদার সঙ্গে ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডের ক্রুড অয়েল পরিশোধন সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। দেশের চাহিদা অনুযায়ী ক্রুড অয়েল বিএসসির নিজস্ব জাহাজের মাধ্যমে পরিবহনের জন্য নতুন এ দুটি মাদার ট্যাংকার কেনা হবে।

এ ছাড়া বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) প্রতিবছর প্রায় ৩৫ লক্ষ টন ডিজেল অয়েল ও প্রায় ৩ লক্ষ টন জেট ফুয়েল আমদানি করে, যা বিদেশি জাহাজের মাধ্যমে পরিবহন করা হয়। ইস্টার্ন রিফাইনারির দুটি ‘সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) উইথ ডাবল পাইপলাইন’ শীর্ষক প্রকল্প সমাপ্ত হলে কমপক্ষে ৮০ হাজার টন ক্ষমতাসম্পন্ন মাদার প্রোডাক্ট অয়েল ট্যাংকার কিনবে।

অন্যদিকে রামপাল, পায়রা ও মাতারবাড়ীতে তিনটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। এসব প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় কয়লা আমদানি করা হবে। দেশের জ্বালানি নিরাপত্তার স্বার্থে কয়লা পরিবহনের ‘আনইনটেরাপটেড সাপ্লাই চেইন’ গড়ে তোলার জন্য কমপক্ষে ৮০ হাজার টনের ২টি মাদার বাল্ক ক্যারিয়ার কেনার কার্যক্রম চলছে।

আশির দশকের প্রথমদিকে বিএসসির বহরে একসঙ্গে সর্বমোট ২৮টি জাহাজ ছিল। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় সে সংখ্যা বাড়িয়ে বিএসসিতে মোট ৪৪টি জাহাজ যুক্ত করা হয়। পরে বয়সজনিত কারণে ও বাণিজ্যিকভাবে অলাভজনক বিবেচিত হওয়ায় বিভিন্ন পর্যায়ে ৩৬টি জাহাজ বিক্রি করার পর বর্তমানে করপোরেশনে জাহাজের সংখ্যা মাত্র ৮টি।

যার মধ্যে ৩টি বাল্ক ক্যারিয়ার যুক্ত হয় ২০১৮ সালের ২৭ জুলাই, ১০ অক্টোবর ও ৩০ ডিসেম্বর। এ ছাড়া ৩টি প্রোডাক্ট ওয়েল ট্যাংকার যুক্ত হয় ২০১৯ সালের ২৫ জানুয়ারি, ১ মার্চ ও ২৫ মে । এরপর আর নতুন কোনো জাহাজ বিএসসির বহরে যুক্ত হয়নি। তবে নতুন চলমান প্রকল্পে ৬টি জাহাজ যুক্ত হলে বিএসসির মোট জাহাজের সংখ্যা দাঁড়াবে ১৪টিতে।

ইউনাইটেড এয়ারের ইঞ্জিন নিয়ে লুকোচুরি: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ সম্প্রতি পুনর্গঠন হয়েছে। নতুন বোর্ডের একজন সদস্যও বলেছেন, ইঞ্জিন চুরি যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। ২০১৬ সালে হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়ার সময় থেকেই শাহজালাল বিমানবন্দরে পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে ইউনাইটেড এয়ারের ৯টি উড়োজাহাজ। সম্প্রতি কয়েকটি অনলাইন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানানো হয়, এই উড়োজাহাজগুলোর একটির ইঞ্জিন বিমানবন্দর থেকে চুরি হয়েছে।

বিষয়টি জানতে চাইলে শাহজালাল বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক তৌহিদ উল আহসান বলেন, ‘ইঞ্জিনটা এয়ারক্রাফটের সঙ্গে নেই এটা সত্য। কিন্তু এটা চুরি বা গায়েব হয়নি। ইউনাইটেড আমাদের বলেছে, এটা তাদের হেফাজতে আছে। তবে কত দিন আগে হেফাজতে নিয়েছে, এটা আমার জানা নেই।’

তিনি বলেন, ‘ইঞ্জিন তো ছোট কোনো জিনিস নয়, এটা তো ইচ্ছা করলেই নিয়ে যাওয়া যায় না।’ যে বিমানের ইঞ্জিন গায়েব হয়েছে বলে সংবাদ প্রচার হয়েছে, সেটি মার্কিন নির্মাতা প্রতিষ্ঠাতা ম্যাকডোনেল ডগলাসের তৈরি এমডি এইটি থ্রি মডেলের বিমান। এর মোট ওজন ৬৩ হাজার ৩০০ থেকে ৭৩ হাজার কেজি।

এ ধরনের উড়োজাহাজে ইঞ্জিন থাকে দুটি। একেকটি ইঞ্জিন কত ওজনের সে বিষয়ে জানতে চাইলে একজন পাইলট নিউজবাংলাকে বলেন, একেকটি ইঞ্জিনের ওজন ১ হাজার ১৩৬ কেজি।

বিমানবন্দর থেকে দুই টন ওজনের ইঞ্জিন কাউকে না জানিয়ে নিয়ে যাওয়া যাবে, এমন কোনো সুযোগই নেই- বলছেন শাহজালাল বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক তৌহিদ উল আহসান।

তবে ইউনাইটেড এয়ার সেই ইঞ্জিনটি কবে নিয়ে গেছে, সেটি কাজগপত্র না দেখে বলার সুযোগ নেই বলেও জানিয়েছেন তিনি। ২০১৬ সালে কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর ইউনাইটেড এয়ারের ৯টি উড়োজাহাজ শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফেলে রাখা হয়েছে

দেশি এয়ারলাইনসগুলোর মধ্যে প্রথম পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ। ২০০৭ সালে ব্যবসা শুরু করা এয়ারলাইনসটি হঠাৎ করেই বন্ধ হয়ে যায় ২০১৬ সালে। সে সময় তাদের বহরে ১০টি উড়োজাহাজ ছিল।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে এয়ারলাইনসটির পর্ষদ পুনর্গঠন করে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্চ কমিশন- বিএসইসি। নতুন পর্ষদে ইউনাইটেড এয়ারের আগের পর্ষদের কাউকেই রাখা হয়নি। তবে দায়িত্ব নেয়ার পর এখনও পরিত্যক্ত উড়োজাহাজগুলো পরিদর্শনের অনুমতি পায়নি এয়ারলাইনসটির নতুন পর্ষদ।

বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) কাছে এয়ারলাইনসটির বকেয়া ২০৩ কোটি ৬ লাখ ৬৯ হাজার ৪৯৩ টাকা। সম্প্রতি বকেয়া আদায়ে এয়ারলাইনসটির পরিত্যক্ত উড়োজাহাজগুলো নিলামে তুলতে চেয়েছিল বেবিচক। কিন্তু পরে নতুন পর্ষদের অনুরোধে আপাতত নিলাম স্থগিত রাখা হয়েছে।

ইউনাইটেড এয়ারের নতুন পরিচালনা পর্ষদের এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘আমরা তো দায়িত্ব নেয়ার পর এখনও ঢুকতে পারিনি। তাই বলতেও পারছি না। কিন্তু এটা কোথা থেকে কে খবর দিল, তাও জানি না। আমরা মনে করি, এটা হারানোর কোনো উপায় নেই।’

তিনি বলেন, ‘ইঞ্জিন তো আর ছোট জিনিস না। তবে আমরা যতক্ষণ না ভেতরে যেতে পারছি বুঝতে পারছি না। নিশ্চয়ই এটা এয়ারক্রাফট থেকে খুলে রাখা হয়েছে। তবে আমি নিশ্চিত নই। তবে এটা চুরি করে কেউ নিয়ে যাবে, এটাও সম্ভব না।’

আজিজ পাইপসের উৎপাদন শুরু অক্টোবরে: শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত আজিজ পাইপস লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ উৎপাদন চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ১ অক্টোবর থেকে উৎপাদন শুরু হবে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। তথ্য মতে, প্রায় ১০ মাস বন্ধ থাকার পর আজিজ পাইপস উৎপাদনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কাঁচামাল জটিলতায় চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি থেকে কোম্পানিটির উৎপাদন বন্ধ রয়েছে।

ওই সময় কোম্পানিটি জানিয়েছিল, করোনা কারণে সরবরাহকারীরা সময়মত প্রধান কাঁচামাল পিভিসি রেসিন সরবরাহ করছে না। তাতে উৎপাদন কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হয়। এছাড়া, স্থানীয় বাজারে কাঁচামালের অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধি পেয়েছে। যা ব্যবহারে উৎপাদন খরচ অনেক বেড়ে যাবে।

যাতে পণ্য বাজারজাতকরনে কোম্পানি ভোগান্তিতে পড়বে। এমন পরিস্থিতিতে কোম্পানির সি-সিফট থেকে সাময়িকভাবে উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে। তবে কাঁচামালের জটিলতা কেটে গেলে, আবারও উৎপাদন কার্যক্রম শুরু করা হবে। সে অনুযায়ী আগামী অক্টোবর থেকে উৎপাদনে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।

মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারপ্রতি মুনাফা বেড়েছে ৯৭.৫০ শতাংশ : শেয়ারবাজারে বিমা খাতে তালিকাভুক্ত মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড চলতি হিসাব বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত অর্ধবার্ষিক অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী হিসাব বছরের প্রথম ৬ মাসে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি মুনাফা বেড়েছে ৯৭.৫০ শতাংশ। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য মতে, চলতি হিসাব বছরের জানুয়ারি থেকে জুন, ২১ পর্যন্ত ৬ মাসে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ০.৭৯ টাকা। আগের বছর একই সময়ে মুনাফা হয়েছিল ০.৪০ টাকা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা বেড়েছে ০.৩৯ টাকা বা ৯৭.৫০ শতাংশ।

শুধু চলতি হিসাব বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে এপ্রিল থেকে জুন, ২১ পর্যন্ত ৩ মাসে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ০.০৭ টাকা। আগের বছর একই সময়ে মুনাফা হয়েছিল ০.০৭ টাকা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা অপরিবর্তিত রয়েছে। গত ৩০ জুন শেষে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৯.৮৫ টাকা।

মাল্টি প্রোডাক্টসে ৮০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে ইফাদ: ইফাদ মাল্টি প্রোডাক্টসে ৮০ কোটি টাকা বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতের ইফাদ অটোস লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ। ইফাদ মাল্টি প্রোডাক্টস ইফাদ প্রুপের সিস্টার কনসার্ন। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য মতে, ইফাদ মাল্টি প্রোডাক্টস লিমিটেডের ৪০ শতাংশ শেয়ার আছে ইফাদ অটোসের। মাল্টি প্রোডাক্টসে বিনিয়োগের বিষয়ে বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতি নেবে ইফাদ অটোস। ইফাদ অটোস আলোচ্য বিনিয়োগ নিজস্ব অর্থায়ন থেকে করবে।

এদিকে, ইফাদ অটোসের পরিচালনা পর্ষদ বাংলাদেশ ইকোনোমিক জোন অর্থরিটির (বেজা) সঙ্গে একটি চুক্তি সম্পন্ন করেছে। চুক্তি অনুযায়ী ইফাদ অটোস মিরসরায়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগরে ৫০ বছরের জন্য ভাড়া ভিত্তিতে ৩০ একর জমি লিজ নিবে। এর ভাড়া বাবদ প্রতি বছর ৩ লাখ ৩ হাজার ৫১৪ মার্কিন ডলার ভাড়া দিতে হবে। এছাড়া, ইফাদ অটোস বেজাকে ইতিমধ্যে ৫ কোটি ১৫ লাখ ৬৭ হাজার ১১৪ টাকা পরিশোধ করেছে। যা ৬ লাখ ৭ হাজার ২৯ মার্কিন ডলারের সমান। কোম্পানিটি আগামী ২ বছরের জন্য সিকিউরিটি ডিপোজিট হিসাবে এই টাকা পরিশোধ করেছে।

সানলাইফ ইন্স্যুরেন্সের বোর্ড সভা স্থগিত: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড অনিবার্য কারণে বোর্ড সভা স্থগিত করেছে। আজ ২২ আগস্ট বিকাল ৩টায় কোম্পানিটির বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, অনুষ্ঠিত সভায় কোম্পানিটির ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ডিভিডেন্ড ঘোষণার সম্ভাবনা ছিল। একই সভায় কোম্পানির প্রথম ও দ্বিতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনও পর্যালোচনার করার কথা ছিল।

 

ন্যাশনাল ব্যাংকের ক্রেডিট রেটিং সম্পন্ন: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড ক্রেডিট রেটিং সম্পন্ন করেছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। জানা গেছে, আর্গুস ক্রেডিট রেটিং সার্ভিসেস লিমিটেডের (এসিআরএসএল) রেটিং অনুযায়ী ন্যাশনাল ব্যাংকের দীর্ঘমেয়াদে রেটিং হয়েছে ‘এএ+’। আর স্বল্প মেয়াদে রেটিং হয়েছে ‘এসটি-২’। ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ সমাপ্ত বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক হিসাব ৩০ জুন ২০২১ সমাপ্ত ছয় মাসের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী এই রেটিং নির্ণয় করা হয়েছে।

এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্সের বোর্ড সভা ২৬ আগস্ট: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বীমা খাতের এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের বোর্ড সভা আগামী ২৬ আগস্ট অনুষ্ঠিত হবে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। জানা গেছে, ওই দিন কোম্পানিটির বোর্ড সভা বিকাল ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করা হতে পারে।