দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত রিলায়েন্স ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ট্রাস্টি কমিটি ৩০ জুন, ২০২১ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ১০.৫০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সমাপ্ত অর্থবছরে ফান্ডটির ইউনিটপ্রতি মুনাফা (ইপিইউ) হয়েছে ৪ টাকা ০৬ পয়সা। আর ২০২১ সালের ৩০ জুন ফান্ডটির ইউনিটপ্রতি সম্পদ (এনএভিপিইউ) মূল্য দাঁড়িয়েছে ১৪ টাকা ৭৬ পয়সা। ফান্ডটির রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ২০ সেপ্টেম্বর।

ন্যাশনাল লাইফের উদ্যোক্তা পরিচালকের শেয়ার ক্রয়ের ঘোষণা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বীমা খাতের কোম্পানি ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের এক উদ্যোক্তা পরিচালক শেয়ার ক্রয়ের ঘোষণা দিয়েছেন। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালক সাউথইস্ট ব্যাংক ক্যাপিটাল সার্ভিস লিমিটেড ৬ লাখ ৫০ হাজার শেয়ার কিনবেন। কোম্পানির এই উদ্যোক্তা আগামী ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে চট্রগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ব্লক মার্কেটে উল্লেখিত পরিমাণ শেয়ার কিনতে পারবে।

ব্লক মার্কেটে ৩ কোম্পানির লেনদেনের শীর্ষে: পুঁজিবাজারে সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ব্লক মার্কেটে ৪১টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব কোম্পানির ৫১ কোটি ১২ লাখ ৮০ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। আজ ব্লক মার্কেটে তিন কোম্পানির বিশাল লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর শেয়ার লেনদেন হয়েছে প্রায় ৩৩ কোটি টাকার।

কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি শেয়ার লেনদেন হয়েছে পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্সের। কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৪ কোটি ৭৫ লাখ হাজার টাকার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে আমান ফিডের। কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৯ কোটি ৯৪ লাখ ৮৭ হাজার টাকার।

তৃতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে জিবিবি পাওয়ারের। কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৮ কোটি ৮৬ লাখ ৪৭ হাজার টাকার। এছাড়া, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইলের ২ কোটি ৪৬ লাখ ৭২ হাজার টাকার, মেট্রো স্পিনিংয়ের ২ কোটি টাকার, বিডি ফাইন্যান্সের ১ কোটি ৮৯ লাখ ৯৪ হাজার টাকার, এসিআইর ৮৬ লাখ ৫৩ হাজার টাকার, কেয়া কসমেটিকের ৮১ লাখ ৭৮ হাজার টাকার, প্রিমিয়ার সিমেন্টের ৭২ লাখ ১৬ হাজার টাকার, ফার কেমিক্যালের ৬৯ লাখ ৮২ হাজার টাকার, বেক্সিমকোর ৬৮ লাখ ৪০ হাজার টাকার, জিপিএইচ ইস্পাতের ৬৭ লাখ ৭৯ হাজার টাকার,

এশিয়া ইন্স্যুরেন্সের ৬০ লাখ টাকার, ন্যাশনাল ব্যাংকের ৫৫ লাখ ৮০ হাজার টাকার, ফু-ওয়াং সিরামিকের ৫১ লাখ টাকার, ডেল্টা লাইফের ৪২ লাখ ৩০ হাজার টাকার, শাহজিবাজার পাওয়ারের ৩৭ লাখ ২৯ হাজার টাকার, মোজাফফর হোসেনের ৩৭ লাখ ১৬ হাজার টাকার, নাহি অ্যালুমিনিয়ামের ৩৫ লাখ ২৩ হাজার টাকার, ম্যাকসন স্পিনিংয়ের ৩৪ লাখ ৪৪ হাজার টাকার, মেঘনা লাইফের ৩৩ লাখ ৪৫ হাজার টাকার, আলিফের ৩১ লাখ ৪০ হাজার টাকার, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্সের ৩০ লাখ ৮ হাজার টাকার, পেনিনসুলার ২৫ লাখ ৭৮ হাজার টাকার,

ডাচ বাংলা ব্যাংকের ২০ লাখ ৪২ হাজার টাকার, সায়হাম টেক্সটাইলের ১৮ লাখ ৯৭ হাজার টাকার, ওরিয়ন ইনফিউশনের ১৭ লাখ টাকার, বারাকা পাওয়ারের ১৬ লাখ ৬ হাজার টাকার, নূরানীর ১৫ লাখ ২৬ হাজার টাকার, রেনাটার ১৫ লাখ ১৭ হাজার টাকার, সাইফ পাওয়ারের ১৫ লাখ ১২ হাজার টাকার, আলহাজ টেক্সটাইলের ১২ লাখ ৩৬ হাজার টাকার, ইসলামিক ফাইন্যান্সের ১১ লাখ ৬৯ হাজার টাকার,

এনআরবিসি ব্যাংকের ৯ লাখ ৯০ হাজার টাকার, রবি আজিয়াটার ৯ লাখ ৬৮ হাজার টাকার, আইএফআইসি ব্যাংকের ৭ লাখ ৪৮ হাজার টাকার, স্কয়ার ফার্মার ৭ লাখ টাকার, পাওয়ার গ্রীডের ৬ লাখ ৯ হাজার টাকার, কপার টেকের ৫ লাখ ৯৮ হাজার টাকার, ওরিয়ন ফার্মার ৫ লাখ ৯২ হাজার টাকার, দেশবন্ধুর ৫ লাখ ২৮ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে।

বীমা খাতের ১৬ কোম্পানির প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ কমেছে: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বীমা খাতের ১৬ কোম্পানির জুন মাসের তুলনায় জুলাই মাসে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ কমেছে। কোম্পানিগুলো হলো: এশিয়া ইন্স্যুরেন্স, বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স, ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স, মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স, মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্স, নিটল ইন্স্যুরেন্স, পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স, পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স, পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স, প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্স, রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স এবং তাকাফুল ইসলামী ইন্স্যুরেন্স। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ কমেছে বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স এবং ডেল্টা লাইফ ইন্সুরেন্সের। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ কমার ১৬ ইন্সুরেন্সের সর্বশেষ শেয়ার ধারণ তথ্য নিচে তুলে ধরা হলো-

বিজিআইসি: জুন মাসে কোম্পানিটির প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ৩৭.৫৮ শতাংশ। যা জুলাই মাসে ১৭.২৫ শতাংশ কমে ২০.৩৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। একই সময়ে উদ্যোক্তা পরিচালক বিনিয়োগ ছিল ৩৩.৯৮ শতাংশ। জুলাই মাসে ৪.২৯ শতাংশ বেড়ে বিনিয়োগ ৩৮.২৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। সাধারণ বিনিয়োগ ছিল ২৮.৪৪ শতাংশ জুলাই মাসে ১২.৯৬ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪১.৪০ শতাংশ।

এশিয়া ইন্স্যুরেন্স : জুন মাসে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ২৩.২৪ শতাংশ। জুলাই মাসে ০.৭০ শতাংশ কমে ২২.৫৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। একই সময়ে সাধারণ বিনিয়োগ ছিল ২৮.৪৯ শতাংশ জুলাই মাসে ০.৭০ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৯.১৯ শতাংশ।

বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স : জুন মাসে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ১৬.১২ শতাংশ। যা জুলাই মাসে ০.১২ শতাংশ কমে ১৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। একই সময়ে সাধারণ বিনিয়োগ ছিল ২৪.৩২ শতাংশ জুলাই মাসে ০.১২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪.৪৪ শতাংশ।

ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স : জুন মাসে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ১৭.৮৪ শতাংশ। যা জুলাই মাসে ৩.৭৯ শতাংশ কমে ১৪.০৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। একই সময়ে সাধারণ বিনিয়োগ ছিল ৪৫.০৮ শতাংশ জুলাই মাসে ৩.৭৯ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৮.৮৭ শতাংশ।

মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স : জুন মাসে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ২৫.২২ শতাংশ। যা জুলাই মাসে ০.৩৩ শতাংশ কমে ২৪.৮৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। একই সময়ে সাধারণ বিনিয়োগ ছিল ৪৪.৩৭ শতাংশ জুলাই মাসে ০.৩৩ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৪.৭০ শতাংশ।

মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্স : জুন মাসে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ১১.৬২ শতাংশ। যা জুলাই মাসে ১.৬৩ শতাংশ কমে ৯.৯৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। একই সময়ে উদ্যোক্তা পরিচালক বিনিয়োগ ছিল ৩৪.৮৬ শতাংশ। জুলাই মাসে ০.৬৭ শতাংশ কমে বিনিয়োগ ৩৪.১৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। সাধারণ বিনিয়োগ ছিল ৫৩.৫২ শতাংশ জুলাই মাসে ২.৩০ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৫.৮২ শতাংশ।

নিটল ইন্স্যুরেন্স : জুন মাসে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ৮.০৬ শতাংশ। যা জুলাই মাসে ১.৯২ শতাংশ কমে ৭.৯৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। একই সময়ে সাধারণ বিনিয়োগ ছিল ৫৬.৯৪ শতাংশ জুলাই মাসে ১.৯২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৭.০২ শতাংশ।

পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স : জুন মাসে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ১৭.৮৩ শতাংশ। যা জুলাই মাসে ০.৭০ শতাংশ কমে ১৭.১৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। একই সময়ে সাধারণ বিনিয়োগ ছিল ৪৭.৩৮ শতাংশ জুলাই মাসে ০.৭০ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৮.০৮ শতাংশ।

প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স : জুন মাসে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ৭.৮৪ শতাংশ। যা জুলাই মাসে ০.৬০ শতাংশ কমে ৭.২০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। একই সময়ে বিদেশী বিনিয়োগ ছিল ০.০২ শতাংশ জুলাই মাসে ০.০১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ০.০৩ শতাংশ। সাধারণ বিনিয়োগ ছিল ৪৩.৬৫ শতাংশ জুলাই মাসে ০.৬৩ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৪.২৮ শতাংশ।

পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স : জুন মাসে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ২৪.৯৭ শতাংশ। যা জুলাই মাসে ১.৫২ শতাংশ কমে ২৩.৪৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। একই সময়ে সাধারণ বিনিয়োগ ছিল ২৯.৪১ শতাংশ জুলাই মাসে ১.৫২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০.৯৩ শতাংশ।

পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স : জুন মাসে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ৯.৫২ শতাংশ। যা জুলাই মাসে ০.৯৩ শতাংশ কমে ৮.৫৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। একই সময়ে সাধারণ বিনিয়োগ ছিল ৬০.১৮ শতাংশ জুলাই মাসে ০.৯৩ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬১.১১ শতাংশ।

প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্স : জুন মাসে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ১৪.৯৭ শতাংশ। যা জুলাই মাসে ১.৪৫ শতাংশ কমে ১৩.৫২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। সাধারণ বিনিয়োগ ছিল ৪৬.২১ শতাংশ জুলাই মাসে ১.৪৫ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৭.৬৬ শতাংশ।

রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স : জুন মাসে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ৯.৭৮ শতাংশ। যা জুলাই মাসে ০.২৭ শতাংশ কমে ৯.৫১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। একই সময়ে সাধারণ বিনিয়োগ ছিল ৫৮.১৫ শতাংশ জুলাই মাসে ০.২৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৮.৪২ শতাংশ।

সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স : জুন মাসে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ১৬ শতাংশ। যা জুলাই মাসে ৭.৯২ শতাংশ কমে ৮.০৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। একই সময়ে উদ্যোক্তা পরিচালক বিনিয়োগ ছিল ৪৩ শতাংশ। জুলাই মাসে ০.০২ শতাংশ কমে বিনিয়োগ ৪২.৯৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। সাধারণ বিনিয়োগ ছিল ৪১ শতাংশ জুলাই মাসে ৭.৯৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৮.৯৪ শতাংশ।

সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স : জুন মাসে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ২৯.০৪ শতাংশ। যা জুলাই মাসে ০.৯১ শতাংশ কমে ২৮.১৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। একই সময়ে সাধারণ বিনিয়োগ ছিল ৩০.১৬ শতাংশ জুলাই মাসে ০.৯১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩১.০৭ শতাংশ।

তাকাফুল ইসলামী ইন্স্যুরেন্স: যা জুন মাসে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ১৮ শতাংশ। জুলাই মাসে ০.২২ শতাংশ কমে ১৭.৭৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। একই সময়ে উদ্যোক্তা পরিচালক বিনিয়োগ ছিল ৫০.৮৭ শতাংশ। জুলাই মাসে ১.১২ শতাংশ বেড়ে বিনিয়োগ ৫১.৯৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। সাধারণ বিনিয়োগ ছিল ৩১.০৫ শতাংশ জুলাই মাসে ০.৯০ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৩০.১৫ শতাংশ।

ডিএসই ৫ খাত মন্দায় লেনদেনে পতন: পুঁজিবাজারে সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সূচক ও লেনদেনে পতন হয়েছে। এদিন পুঁজিবাজারের সব সূচক কমেছে। কমেছে বেশিরভাগ শেয়ার দর ও লেনদেন। আজ ডিএসইর লেনদেন আগের দিনের চেয়ে কমেছে ৩৮১ কোটি টাকার বেশি। পাঁচ খাতের লেনদেনে ভাটার কারণে আজ প্রতিষ্ঠানটির লেনদেন দুই হাজার কোটি টাকার নিচে গেছে। স্টক বাংলাদেশের সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। খাতগুলো হলো- আর্থিক, ব্যাংক, মিউচুয়াল ফান্ড, ওষুধ ও রসায়ন এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত।

আর্থিক: আর্থিক খাতে আজ লেনদেন হয়েছে ৯৮ কোটি টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছে ১৬৮ কোটি ৯০ লাখ টাকা। আজ লেনদেন কমেছে ৭০ কোটি ৯০ লাখ টাকা।

ব্যাংক: ব্যাংক খাতে আজ লেনদেন হয়েছে ৬৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছে ৯২ কোটি ২০ লাখ টাকা। আজ লেনদেন কমেছে ২৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা।

মিউচুয়াল ফান্ড: মিউচুয়াল ফান্ড খাতে আজ লেনদেন হয়েছে ৩২ কোটি ৪০ লাখ টাকা। আগেরদিন লেনদেন হয়েছে ৫২ কোটি ৩০ লাখ টাকা। আজ লেনদেন কমেছে ১৯ কোটি ৯০ লাখ টাকা।

ওষুধ ও রসায়ন: ওষুধ ও রসায়ন খাতে আজ লেনদেন হয়েছে ৬৯ কোটি টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছে ৮৫ কোটি ৭০ লাখ টাকা। আজ লেনদেন কমেছে ১৬ কোটি ৭০ লাখ টাকা।

জ্বালানি: জ্বালানি খাতে আজ লেনদেন হয়েছে ৮৮ কোটি ৬০ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছে ৯৫ কোটি ১০ লাখ টাকা। আজ লেনদেন কমেছে ৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

৩ কোম্পানির দর বৃদ্ধিতে ডিএসইর সতর্কবার্তা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত তিন কোম্পানির অস্বাভাবিক দর বাড়ার পেছনে কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই বলে জানিয়েছে কোম্পানি তিনটির কর্তৃপক্ষ। কোম্পানিগুলোর কর্তৃপক্ষের মতামতের ভিত্তিতে প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কোম্পানি তিনটি শেয়ার নিয়ে সতর্কবার্তা জারি করেছে।

ডিএসই জানায়, সম্প্রতি কোম্পানি তিনটির শেয়ার দর অস্বাভাবিকভাবে বাড়ার কারণে গত ২৬ আগস্ট নোটিশ পাঠায় প্রতিষ্ঠানটি। এর জবাবে কোম্পানি তিনটি জানায় কোনো অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই শেয়ারগুলোর দর বাড়ছে।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, অলটেক্সের শেয়ার দর গত ১৭ আগস্ট ছিল ১৭ টাকায়। আর ২৬ আগস্ট কোম্পানিটির শেয়ারের দর বেড়ে দাঁড়ায় ২০ টাকা ২০ পয়সায়। অর্থাৎ এই ৭ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ার দর ৩.২০ টাকা বা ১৯ শতাংশ বেড়েছে।

জুট স্পিনার্সের শেয়ার দর গত ২ আগস্ট ছিল ১৩৩ টাকা ২০ পয়সায়। আর ২৯ আগস্ট কোম্পানিটির শেয়ারের দর বেড়ে দাঁড়ায় ১৭২ টাকা ৫০ পয়সায়। অর্থাৎ এই ১৬ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ার দর ৩৯ টাকা ৩০ পয়সা বা ২৯ শতাংশ বেড়েছে।

ইউনিয়ন ক্যাপিটালের শেয়ার দর গত ৯ আগস্ট ছিল ৯ টাকা ১০ পয়সায়। আর ২৯ আগস্ট কোম্পানিটির শেয়ারের দর বেড়ে দাঁড়ায় ১২ টাকা ৩০ পয়সায়। অর্থাৎ এই ১৩ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ার দর ৩ টাকা ২০ পয়সা বা ৩৬ শতাংশ বেড়েছে।

ন্যাশনাল লাইফের উদ্যোক্তা পরিচালকের শেয়ার ক্রয়ের ঘোষণা: পুঁজিবাজারের এসএমই প্ল্যাটফরমে তালিকাভুক্তির অনুমোদন পাওয়া মাস্টার ফিড অ্যাগ্রোটেক লিমিটেডের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। কোম্পানিটির কোয়ালিফাইয়েড ইনভেস্টরস (QI) অফার শুরু হবে আগামী ১২ সেপেম্বর, রোববার। চলবে ১৬ সেপেম্বর, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত। বিএসইসি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। এর আগে গত ১৪ জুলাই অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৭৮৪তম কমিশন সভায় এসএমই প্ল্যাটফরমে কোম্পানিটির আইপিও প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়।

সূত্র জানায়, কিউআই অফারে অভিহিত মূল্য ১০ টাকা দরে ১ কোটি শেয়ার বিক্রি করে ১০ কোটি টাকা মূলধন সংগ্রহ করবে। এই অর্থ কোম্পানিটি ব্যাংক কার্যকরি মূলধন ও কিউআই অফারের জন্য ব্যয় করবে।

৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ তারিখে সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় বা ইপিএস ছিল ৬৮ পয়সা। পুনঃমূল্যায়ন সঞ্চিতি ছাড়া শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ১৪ টাকা ৮ পয়সা। কোম্পানিটির ইস্যু ম্যানেজারের দায়িত্বে আছে এনবিএল ক্যাপিটাল অ্যান্ড ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড এবং এশিয়ান টাইগার ক্যাপিটাল পার্টনার্স ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড।

ডিএসইর নতুন ৯ ট্রেক অনুমোদন দিয়েছে বিএসইসি: পুঁজিবাজারে শেয়ার কেনাবেচার জন্য আরও নতুন ৯টি ব্রোকারেজ হাউজ বা ট্রেকের (ট্রেডিং রাইট এনটাইটেলমেন্ট সার্টিফিকেট) অনুমোদন দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। ডিএসইর সদস্য হিসেবে এসব প্রতিষ্ঠান পুঁজিবাজারে লেনদেন করার সনদ পাবে। বিএসইসি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। সূত্র জানায়, গত বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) নতুন ৯টি ট্রেকের অনুমোদন দিয়ে ডিএসইর কাছে প্রেরণ করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।

নতুন অনুমোদিত ৯টি ট্রেক হলো-অ্যাসুরেন্স সিকিউরিটিজ এন্ড মেনেজম্যান্ট লিমিটেড, মেট্রিক্স সিকিউরিটিজ সিকিউরিটিজ লিমিটেড, সিএএল সিকিউরিটিজ লিমিটেড, এসবিআই সিকিউরিটিজ লিমিটেড, উইংস ফিন লিমিটেড, ফারইস্ট শেয়ারস এন্ড সিকিউরিটিজ লিমিটেড, ট্রাস্ট রিজিওনাল ইকুইটি লিমিটেড, ইন্নোভা সিকিউরিটিজ লিমিটেড, এবং ডিপি৭ লিমিটেড।

এর আগে গত ১৮ মে প্রথম ৩০টি ট্রেকের অনুমোদন দেয় বিএসইসি। তারপর ২১ জুন আরও ২৬টি ট্রেকের অনুমোদন দেওয়া হয়। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত ৬৫টি ব্রোকারেজ হাউজ বা ট্রেকের অনুমোদন দিল নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।

জানা যায়, নতুন ৯টি ট্রেকের অনুমোদন ছাড়াও আরও ৪টি প্রতিষ্ঠানকে আগামী ১৪ অক্টোবরের মধ্যে প্রয়োজনীয় হালনাগাদ কাগজ-পত্রসহ পুনরায় আবেদন করার অনুমতি দিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো-গিবসন সিকিউরিটিজ, এসকিউ ও্যায়ার কেবল কোম্পানি, ফারিহা নিট টেক্স এবং সিভিসি ফাইন্যান্স।

অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজের মূল্যসংবেদনশীল তথ্য নেই: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের অস্বাভাবিক শেয়ারদর বাড়ার পেছনে কোনো মূল্যসংবেদনশীল তথ্য নেই। শেয়ারদর বৃদ্ধির কারণ জানতে চাইলে কোম্পানিটি এমনটিই জানায় ডিএসইকে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বাজার পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, ডিএসইতে গত ২ আগস্ট কোম্পানিটির শেয়ারদর ছিল ১৫ টাকা। ২৬ আগস্ট তাদের শেয়ারদর ২০ টাকা ২০ পয়সায় উন্নীত হয়। এই দর বাড়াকে অস্বাভাবিক বলে মনে করছে ডিএসই কর্তৃপক্ষ।

সূত্র জানায়, সম্প্রতি অলটেক্সের শেয়ারদর অস্বাভাবিকভাবে বাড়ার কারণে ডিএসই ২৬ আগস্ট নোটিস পাঠায়। এর জবাবে তারা জানায়, কোনো অপ্রকাশিত মূল্যসংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই তাদের শেয়ারদর বাড়ছে।