দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: শেয়ারবাজারকে দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন(বিএসইসি) তিন দফায় ৫৫ ব্রোকার হাউজের অনুমোদন দিয়েছে। নতুন করে অনুমোদন দেওয়া এই ৫৫ ব্রোকারকে শেয়ার কেনা-বেচার করার জন্য অনুমোদনের সনদ হস্তান্তর করবে প্রতিষ্ঠানটি। এই সনদ হস্তান্তরের জন্য সময় নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ৪ সেপ্টেম্বর (শনিবার)। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, সনদ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারিক আমিন ভূঁইয়া। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিএসইসি’র চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। বিশেষ অতিথি থাকবেন ডিএসই’র চেয়ারম্যান ইউনুসুর রহমান।

গত তিন মাসে তিন দফায় মোট ৫৫ প্রতিষ্ঠানকে শেয়ার ব্যবসার জন্য ট্রেকের অনুমোদন দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এর মধ্যে প্রথম ধাপে ১৯ মে অনুমোদন পাওয়া ৩০টি ট্রেক হলো- কবির সিকিউরিটিজ,মোনার্ক হোল্ডিংস, সোহেল সিকিউরিটিজ,যমুনা ব্যাংক সিকিউরিটিজ, আরএকে ক্যাপিটাল, স্নিকদা ইক্যুইটিস, ইন্টারন্যাশনাল সিকিউরিটিজ, সাউথ এশিয়া সিকিউরিটজ, ট্রিস্টার সিকিউরিটজ,৩আই সিকিউরিটজ,

সোনালী সিকিউরিটজ,কেডিএস শেয়ার অ্যান্ড সিকিউরিটজ,আল হারমাইন সিকিউরিটজ, মির সিকিউরিটজ,টি.কে. শেয়ার অ্যান্ড সিকিউরিটজ,এনআরবি ব্যাংক সিকিউরিটিজ, এসবিএসি ব্যাংক ইনভেস্টমেন্ট, আমায়া সিকিউরিটজ, প্রোটেন্সিয়াল ক্যাপিটাল, তাকাফুল ইসলামি সিকিউরিটজ,বিএনবি সিকিউরিটজ, অগ্রনী ইন্স্যুরেন্স সিকিউরিটজ, মাহিদ সিকিউরিটজ,বারাকা সিকিউরিটজ,এএনসি সিকিউরিটজ, এসএফআইএল সিকিউরিটজ, তাসিয়া সিকিউরিটজ, ডেনিস্টি সিকিউরিটজ,ক্লিসটাল সিকিউরিটজ এবং ট্রেড এক্স সিকিউরিটজ লিমিটেড।

দ্বিতীয় ধাপে ২১ জুন অনুমোদন পাওয়া ১৬টি ট্রেক হলো: আমার সিকিউরিটিজ, বেঙ্গ জিন (বিজি) জিইউ টেক্সটাইল, মিনহার সিকিউরিটিজ, বিপ্লব হোল্ডিংস, অ্যাসোসিয়েট ক্যাপিটাল সিকিউরিটিজ, বি রিচ লিমিটেড, কলোম্বিয়া শেয়ার অ্যান্ড সিকিউরিটিজ, রহমান ইক্যইটি ম্যানেজমেন্ট, এমকেএম সিকিউরিটিজ, স্ম্যার্ট শেয়ার অ্যান্ড সিকিউরিটিজ, বিনিময় সিকিউরিটিজ, রিলিফ এক্সচেঞ্জ, ইমপিরর সিকিউরিটিজ অ্যান্ড ওয়েলথ ম্যানেজমেন্ট, এনওয়াই ট্রেডিং, বি অ্যান্ড বিএসএস ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনাল এবং ব্রিজ স্টক অ্যান্ড ব্রোকারেজ লিমিটেড।

তৃতীয় ধাপে ২৬ আগস্ট অনুমোদন পাওয়া ৯টি ট্রেক হলো: অ্যাসুরেন্স সিকিউরিটিজ অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড,ম্যাটরিক্স সিকিউরিটজ, সিএএল সিকিউরিটিজ,এসবিআই সিকিউরিটিজ, ওয়িংস ফিন লিমিটেড, ফারইস্ট শেয়ারস অ্যান্ড সিকিউরিটিজ, ট্রাস্ট রিজোনাল ইক্যুইটি, ইনোভা সিকিউরিটিজ এবং ডিপি৭ লিমিটেড।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেড়েছে ১১টি, কমেছে ৯টি: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ২৩টি কোম্পানির মধ্যে ২০টি কোম্পানির প্রকাশিত হালনাগাদ অনুযায়ী জুন মাসের তুলনায় জুলাই মাসে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেড়েছে ১১টি কোম্পানির, কমেছে ৯টি। বিনিয়োগ বেড়েছে ১১টি, কোম্পানিগুলো হলো: অ্যাসোসিয়েট অক্সিজেন, বারাকা পাওয়ার, ডরিন পাওয়ার, এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন, যমুনা অয়েল, খুলনা পাওয়ার, লুব-রেফ, পদ্মা অয়েল, পাওয়ার গ্রিড, সামিট পাওয়ার এবং তিতাস গ্যাস লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ কমেছে ৯টি কোম্পানিগুলো হলো: বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার, সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল, ডেসকো, ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টস, জিবিবি পাওয়ার, এমজেএল বাংলাদেশ, মেঘনা পেট্রোলিয়াম, শাহজিবাজার পাওয়ার এবং ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন। ডিএসই সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। কোম্পানিগুলোর প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগের সর্বশেষ চিত্র নিচে ধারাবাহিকভাবে আলোচনা করা হলো: প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বাড়ার প্রতিষ্ঠানগুলোর তথ্য ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরা হলো-

খুলনা পাওয়ার : জুলাই মাসে সবচেয়ে বেশি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেড়েছে খুলনা পাওয়ারে। জুন মাসে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ০.৫২ শতাংশ। যা জুলাই মাসে ৭.৯৩ শতাংশ বেড়ে ৮.৪৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। আলোচ্য সময়ে সাধারণ বিনিয়োগ ছিল ২৯.৪৮ শতাংশ। জুলাই মাসে ৮.১৩ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ২১.৩৫ শতাংশ।

অ্যাসোসিয়েট অক্সিজেন : জুন মাসে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ২২.৩৫ শতাংশ। যা জুলাই মাসে ৩.৫১ শতাংশ বেড়ে ২৫.৮৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। আলোচ্য সময়ে সাধারণ বিনিয়োগ ৩.৫১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৪৩.৪৩ শতাংশ।

বারাকা পাওয়ার : জুন মাসে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ২৮ শতাংশ। যা জুলাই মাসে ০.০৯ শতাংশ বেড়ে ২৮.০৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। আলোচ্য সময়ে সাধারণ বিনিয়োগ ০.০৯ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৪০.৮৭ শতাংশ।

ডরিন পাওয়ার : জুন মাসে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ২২.৯৯ শতাংশ। যা জুলাই মাসে ০.৩৭ শতাংশ বেড়ে ২৩.৩৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। আলোচ্য সময়ে সাধারণ বিনিয়োগ ০.৩৭ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১০.০৩ শতাংশ।

এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন : জুন মাসে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ১৬.৭০ শতাংশ। যা জুলাই মাসে ০.০২ শতাংশ বেড়ে ১৬.৭২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। আলোচ্য সময়ে সাধারণ বিনিয়োগ ০.০২ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ২৯.১৫ শতাংশ।

যমুনা অয়েল : জুন মাসে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ২৬.৭৪ শতাংশ। যা জুলাই মাসে ০.০৬ শতাংশ বেড়ে ২৬.৮০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। আলোচ্য সময়ে সাধারণ বিনিয়োগ ০.০৬ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৯.৭৩ শতাংশ।

লুব-রেফ (বাংলাদেশ) লিমিটেড : জুন মাসে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ২১.২১ শতাংশ। যা জুলাই মাসে ০.০২ শতাংশ বেড়ে ২১.২৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। আলোচ্য সময়ে বিদেশী বিনিয়োগ ০.০৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ০.০০ শতাংশ। সাধারণ বিনিয়োগ ছিল ৪৩.০৫ শতাংশ। জুলাই মাসে ০.০৩ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৩.০৮ শতাংশ।

পদ্মা অয়েল : জুন মাসে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ৩১.২৪ শতাংশ। যা জুলাই মাসে ০.০৬ শতাংশ বেড়ে ৩১.৩০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। আলোচ্য সময়ে বিদেশী বিনিয়োগ ছিল ০.৯০ শতাংশ। যা জুলাই মাসে ০.০৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ০.৮৬ শতাংশ। সাধারণ বিনিয়োগ ছিল ১৫.৪৫ শতাংশ। জুলাই মাসে ০.০২ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৫.৪৩ শতাংশ।

পাওয়ার গ্রিড : জুন মাসে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ১৬.২৪ শতাংশ। যা জুলাই মাসে ০.৫৯ শতাংশ বেড়ে ১৬.৮৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। আলোচ্য সময়ে উদ্যোক্তা পরিচালক বিনিয়োগ ছিল ৭৬.৯৬ শতাংশ। জুলাই মাসে ১.৯৫ শতাংশ কমে বিনিয়োগ ৭৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। বিদেশী বিনিয়োগ ০.০১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ০.০৭ শতাংশ। সাধারণ বিনিয়োগ ১.৩৫ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮.১০ শতাংশ।

সামিট পাওয়ার : জুন মাসে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ১৮.৮০ শতাংশ। যা জুলাই মাসে ০.৩৫ শতাংশ বেড়ে ১৯.১৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। আলোচ্য সময়ে সাধারণ বিনিয়োগ ০.৩৫ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৩.৯৯ শতাংশ।

তিতাস গ্যাস : জুন মাসে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ১৪.৮১ শতাংশ। জুলাই মাসে ০.১৪ শতাংশ বেড়ে ১৪.৯৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। আলোচ্য সময়ে বিদেশী বিনিয়োগ ছিল ০.৬২ শতাংশ জুলাই মাসে ০.০১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ০.৬৩ শতাংশ। সাধারণ বিনিয়োগ ছিল ৯.৫৭ শতাংশ। জুলাই মাসে ০.১৫ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৯.৪২ শতাংশ।

প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ কমেছে ৯টি কোম্পানিগুলো হলো: শাহজীবাজার পাওয়ার : জুন মাসের তুলনায় জুলাই মাসে সবচেয়ে বেশি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ কমেছে শাহজীবাজার পাওয়ারের। জুন মাসে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ২০.৪৪ শতাংশ। জুলাই মাসে ১.৭৭ শতাংশ কমে ১৮.৬৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। জুন মাসে সাধারণ বিনিয়োগ ছিল ১৯.২৭ শতাংশ। জুলাই মাসে ১.৭৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১.০৪ শতাংশ।

বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার : জুন মাসে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ২৮ শতাংশ। জুলাই মাসে ০.০৯ শতাংশ বেড়ে ২৮.০৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। আলোচ্য সময়ে সাধারণ বিনিয়োগ ছিল ৪০.৯৬ শতাংশ জুলাই মাসে ০.০৯ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৪০.৮৭ শতাংশ।

সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল : জুন মাসে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ২২.০৭ শতাংশ। যা জুলাই মাসে ০.১৮ শতাংশ কমে ২১.৮৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। আলোচ্য সময়ে বিদেশী বিনিয়োগ ০.০৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ০.২৩ শতাংশ। সাধারণ বিনিয়োগ ০.২২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২.৫৭ শতাংশ।

ডেসকো : জুন মাসে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ২৩.৩৯ শতাংশ। যা জুলাই মাসে ০.০৮ শতাংশ কমে ২৩.৩১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। আলোচ্য সময়ে সাধারণ বিনিয়োগ ছিল ৮.৯২ শতাংশ জুলাই মাসে ০.০৮ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ শতাংশ।

ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টস : জুন মাসে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ১০.৯৮ শতাংশ। জুলাই মাসে ০.৫৪ শতাংশ কমে ১০.৪৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। আলোচ্য সময়ে সাধারণ বিনিয়োগ ছিল ২২.৯৮ শতাংশ জুলাই মাসে ০.৫৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩.৫২ শতাংশ।

জিবিবি পাওয়ার : জুন মাসে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ২৭.৯১ শতাংশ। জুলাই মাসে ০.৭৪ শতাংশ কমে ২৭.১৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। আলোচ্য সময়ে সাধারণ বিনিয়োগ ছিল ৪০.০৮ শতাংশ জুলাই মাসে ০.৭৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪০.৮২ শতাংশ।

এমজেএল বাংলাদেশ : জুন মাসে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ২০.৪৭ শতাংশ। জুলাই মাসে ০.০১ শতাংশ কমে ২০.৪৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। আলোচ্য সময়ে সাধারণ বিনিয়োগ ছিল ৭.৮৪ শতাংশ জুলাই মাসে ০.০১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭.৮৫ শতাংশ।

মেঘনা পেট্রোলিয়াম : জুন মাসে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ৩২.০৯ শতাংশ। জুলাই মাসে ০.১৪ শতাংশ কমে ৩১.৯৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। আলোচ্য সময়ে সাধারণ বিনিয়োগ ছিল ৮.৮৯ শতাংশ জুলাই মাসে ০.১৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯.০৩ শতাংশ।

ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন : জুন মাসে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ৭.১৮ শতাংশ। জুলাই মাসে ০.০২ শতাংশ কমে ৭.১৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। আলোচ্য সময়ে সাধারণ বিনিয়োগ ছিল ২.৭৮ শতাংশ জুলাই মাসে ০.০২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২.৮০ শতাংশ।খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেড়েছে ৬ কোম্পানির: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের ২০ কোম্পানির মধ্যে জুন মাসের তুলনায় জুলাই মাসে বেশিরভাগ কোম্পানির প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ কমেছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ কমেছে ৯টি কোম্পানির, বেড়েছে ৬টির, অপরিবর্তিত ছিল ২টির এবং শেয়ার ধারণ তথ্য আপডেট করেনি ৩টি কোম্পানি। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ কমা কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ কমেছে ফু-ওয়াং ফুডের। অন্যদিকে, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বাড়ার কোম্পানিগুলোর মধ্যে বেশি বেড়েছে তৌফিকা ফুডের।

প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বাড়া ৬ কোম্পানি: তৌফিকা ফুড: ৩০ জুন কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ৫.৫২ শতাংশ। যা ৩১ জুলাই এসে দাঁড়িয়েছে ১০.৪৫ শতাংশে। এক মাসের ব্যবধানে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেড়েছে ৪.৯৩ শতাংশ।

জেমিনী সী ফুড: ৩০ জুন কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ৪.০৪ শতাংশ। যা ৩১ জুলাই এসে দাঁড়িয়েছে ৪.৬৫ শতাংশে। এক মাসের ব্যবধানে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেড়েছে ০.৬১ শতাংশ।

অলিম্পিক: ৩০ জুন কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ১৯.০২ শতাংশ। যা ৩১ জুলাই এসে দাঁড়িয়েছে ১৯.৫৪ শতাংশে। এক মাসের ব্যবধানে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেড়েছে ০.৫২ শতাংশ। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটিতে বিদেশি বিনিয়োগও বেড়েছে ০.২৩ শতাংশ।

গোল্ডেন হার্ভেস্ট: ৩০ জুন কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ৪০.৮৫ শতাংশ। যা ৩১ জুলাই এসে দাঁড়িয়েছে ৪১.০৬ শতাংশে। এক মাসের ব্যবধানে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেড়েছে ০.২১ শতাংশ।

এএমসিএল প্রাণ: ৩০ জুন কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ১৬.১৩ শতাংশ। যা ৩১ জুলাই এসে দাঁড়িয়েছে ১৬.১৭ শতাংশে। এক মাসের ব্যবধানে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেড়েছে ০.০৪ শতাংশ।

ইউনিলিভার: ৩০ জুন কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ৭.৭২ শতাংশ। যা ৩১ জুলাই এসে দাঁড়িয়েছে ৭.৭৬ শতাংশে। এক মাসের ব্যবধানে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেড়েছে ০.০৪ শতাংশ।

প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ কমার ৯ কোম্পানি: ফু-ওয়াং ফুড: ৩০ জুন কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ২২.১২ শতাংশ। যা ৩১ জুলাই এসে দাঁড়িয়েছে ১৮.০৫ শতাংশে। এক মাসের ব্যবধানে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ কমেছে ৪.০৭ শতাংশ। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটিতে বিদেশি বিনিয়োগও কমেছে ০.০২ শতাংশ।

এমারল্ড অয়েল: ৩০ জুন কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ১৪.৩৭ শতাংশ। যা ৩১ জুলাই এসে দাঁড়িয়েছে ১২.০৬ শতাংশে। এক মাসের ব্যবধানে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ কমেছে ২.৩১ শতাংশ।

আরডি ফুড: ৩০ জুন কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ২৩.৭৩ শতাংশ। যা ৩১ জুলাই এসে দাঁড়িয়েছে ২১.৬৯ শতাংশে। এক মাসের ব্যবধানে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ কমেছে ২.০৪ শতাংশ।

শ্যামপুর সুগার: ৩০ জুন কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ৩.৯২ শতাংশ। যা ৩১ জুলাই এসে দাঁড়িয়েছে ১.৯১ শতাংশে। এক মাসের ব্যবধানে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ কমেছে ২.০১ শতাংশ।

ফাইন ফুডস্: ৩০ জুন কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ১৪.৯৭ শতাংশ। যা ৩১ জুলাই এসে দাঁড়িয়েছে ১৩.৯৬ শতাংশে। এক মাসের ব্যবধানে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ কমেছে ১.০১ শতাংশ।

এপেক্স ফুডস: ৩০ জুন কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ৪.৪৬ শতাংশ। যা ৩১ জুলাই এসে দাঁড়িয়েছে ৪.০৩ শতাংশে। এক মাসের ব্যবধানে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ কমেছে ০.৪৩ শতাংশ।

বঙ্গজ: ৩০ জুন কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ৫.৯৬ শতাংশ। যা ৩১ জুলাই এসে দাঁড়িয়েছে ৫.৭১ শতাংশে। এক মাসের ব্যবধানে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ কমেছে ০.২৫ শতাংশ।

জিলবাংলা সুগার: ৩০ জুন কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ১২.৪৫ শতাংশ। যা ৩১ জুলাই এসে দাঁড়িয়েছে ১২.২০ শতাংশে। এক মাসের ব্যবধানে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ কমেছে ০.২৫ শতাংশ।

ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো: ৩০ জুন কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ১১.৯৭ শতাংশ। যা ৩১ জুলাই এসে দাঁড়িয়েছে ১১.৯৪ শতাংশে। এক মাসের ব্যবধানে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ কমেছে ০.০৩ শতাংশ। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটিতে বিদেশি বিনিয়োগও কমেছে ০.১১ শতাংশ।
অপরতিবর্তিত থাকা ২ কোম্পানি: ন্যাশনাল টি: ৩০ জুন কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ৯.৯০ শতাংশ। যা ৩১ জুলাই এসে দাঁড়িয়েছে ৯.৯০ শতাংশে।

রহিমা ফুড: ৩০ জুন কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ১২.৮২ শতাংশ। যা ৩১ জুলাই এসে দাঁড়িয়েছে ১২.৮২ শতাংশে। ৩টি কোম্পানি জুলাই মাসের তথ্য আপডেট করেনি। কোম্পানিগুলো হলো- বিচ হ্যাচারী, মেঘনা কনডেন্সড মিল্ক এবং মেঘনা পেট।

৫১০ কোটি টাকার বন্ডের অনুমোদন পেলো নগদ: মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) কোম্পানি নগদকে ৫১০ কোটি টাকার জিরো কুপন বন্ড ইস্যুর অনুমতি দিয়েছে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। রোববার বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের সভাপতিত্বে কমিশনের ৭৮৯ তম সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

জানা গেছে, কোম্পানিটি প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে শুধুমাত্র কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান এবং অন্যান্য যোগ্য বিনিয়োগকারীদের কাছে এই বন্ড বিক্রির অনুমতি পেয়েছে। বন্ডের প্রকৃতি হস্তান্তরযোগ্য, রেডিমাবল এবং অ-রূপান্তরযোগ্য।

বিএসইসির কর্মকর্তারা জানায়, কোম্পানিকে ট্রাস্ট ডিড রেজিস্ট্রেশন, ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোর সকল পরিচালকদের ছাড়পত্র এবং তার নিয়ন্ত্রকের কাছ থেকে অনাপত্তি সনদ জমা দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া নগদ ৭৫০ কোটি টাকা পর্যন্ত মূল্যের জিরো কুপন বন্ডের জন্য আবেদন করেছিল। এই কুপন বন্ডের মেয়াদ পাঁচ বছর এবং কুপনের হার ১০ শতাংশ পর্যন্ত।

বন্ডের মাধ্যমে সংগ্রহ করা অর্থ ‘নগদ’তাদের ভবিষ্যতের প্রয়োজনীয় ডিজিটাল অবকাঠামো নির্মাণ, নেটওয়ার্ক তৈরি, কার্যকর প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলা, আইটি সরঞ্জাম সংগ্রহ, বিপণন ও প্রচারের কাজে খরচ করবে কোম্পানিটি। এছাড়াও বিএসইসি সূত্রে জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক কিউ গ্লোবাল লিমিটেড নামের একটি ডিজিটাল কোম্পানি এই বন্ডে ৩০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতে চায়। বন্ডটির ব্যবস্থাপক হিসেবে কাজ করবে রিভারস্টোন ক্যাপিটাল লিমিটেড।

অরিজা অ্যাগ্রোর ৫ সেপেস্টম্বর, মাস্টার ফিডের আবেদন শুরু ১২ : পুঁজিবাজারের এসএমই প্ল্যাটফরমে কোয়ালিফাইয়েড ইনভেস্টরসদের জন্য আবেদন তারিখ নির্ধারণ করেছে অরিজা অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। কোম্পানিটির কিউআই আবেদন শুরু হবে আগামী ৫ সেপ্টেম্বর। চলবে ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। ডিএসই সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

গত ১৪ জুলাই বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৭৮৪তম কমিশন সভায় কোম্পানিটির এসএমই প্ল্যাটফরমে তালিকাভুক্তর প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়। কোম্পানিটি কিউআই অফারে অভিহিত মূল্য ১০ টাকা দরে ১ কোটি শেয়ার বিক্রি করে ১০ কোটি টাকা মূলধন সংগ্রহ করবে। এই অর্থ কোম্পানিটি ব্যাংক কার্যকরি মূলধন ও কিউআই অফারের জন্য ব্যয় করবে।

৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় বা ইপিএস ছিল ১ টাকা ২ পয়সা। পুনঃমূল্যায়ন সঞ্চিতি ছাড়া শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ১৮ টাকা ৯ পয়সা। কোম্পানিটির ইস্যু ম্যানেজারের দায়িত্বে আছে ইমপেরিয়াল ক্যাপিটাল লিমিটেড ও সিটি ব্যাংক ক্যাপিটাল রিসোর্সেস লিমিটেড।

এছাড়া মাস্টার ফিড অ্যাগ্রোটেক লিমিটেডের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। কোম্পানিটির কোয়ালিফাইয়েড ইনভেস্টরস (QI) অফার শুরু হবে আগামী ১২ সেপেম্বর, রোববার। চলবে ১৬ সেপেম্বর, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত। বিএসইসি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। এর আগে গত ১৪ জুলাই অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৭৮৪তম কমিশন সভায় এসএমই প্ল্যাটফরমে কোম্পানিটির আইপিও প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়।

সূত্র জানায়, কিউআই অফারে অভিহিত মূল্য ১০ টাকা দরে ১ কোটি শেয়ার বিক্রি করে ১০ কোটি টাকা মূলধন সংগ্রহ করবে। এই অর্থ কোম্পানিটি ব্যাংক কার্যকরি মূলধন ও কিউআই অফারের জন্য ব্যয় করবে।

৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ তারিখে সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় বা ইপিএস ছিল ৬৮ পয়সা। পুনঃমূল্যায়ন সঞ্চিতি ছাড়া শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ১৪ টাকা ৮ পয়সা। কোম্পানিটির ইস্যু ম্যানেজারের দায়িত্বে আছে এনবিএল ক্যাপিটাল অ্যান্ড ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড এবং এশিয়ান টাইগার ক্যাপিটাল পার্টনার্স ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড।

মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যানের দুর্নীতির খোঁজে দুদক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের কোম্পানি মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান ফিরোজ আলমের অবৈধ সম্পদের খোঁজে অনুসন্ধানে নামছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধানে ফিরোজ আলমের জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের সন্ধান পাওয়ায় সম্পদের হিসাব চেয়ে এর আগে নোটিশ দেওয়া হয়েছিল।

এর প্রেক্ষিতে জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে দুদক সচিব আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বরাবর সম্পদের হিসাব বিবরণী জমা দেন ফিরোজ আলম। রোববার (২৯ আগস্ট) জমাকৃত সম্পদের হিসাব যাচাই-বাছাই করার জন্য সংস্থাটির উপপরিচালক বেগম রেভা হালদারকে অনুসন্ধান কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। দুদকের জনসংযোগ দফতর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

প্রথম মার্কেট মেকার লাইসেন্স পাচ্ছে বি রিচ: দেশের পুঁজিবাজারে প্রথম বাজার সৃষ্টিকারী তথা মার্কেট মেকার (গধৎশবঃ গধশবৎ) লাইসেন্স পেতে চলেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ট্রেকহোল্ডার বি রিচ লিমিটেড। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) প্রতিষ্ঠানটিকে এই লাইসেন্স দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রোববার অনুষ্ঠিত বিএসইসির ৭৮৯তম কমিশন সভায় এই অনুমোদন দেয়া হয়েছে। বিএসইসি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বাজার সৃষ্টিকারী) বিধিমালা, ২০১৭ এর আওতায় বি রিচ লিমিটেডকে বাজার সৃষ্টিকারী নিবন্ধন সনদ প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করলে বি রিচ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী রফিকুল হাসান বলেন, বিএসইসি আমাদেরকে বাজার সৃষ্টিকারী লাইসেন্স দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে অনানুষ্ঠানিকভাবে জেনেছে। বিএসইসির কাছ থেকে আনুষ্ঠানিক চিঠি পেতে হয়তো একটু সময় লাগবে।
তিনি বলেন, মার্কেট মেকারের দায়িত্ব পালনের বিষয়টি অনেক চ্যালেঞ্জিং। কারণ এই বিষয়টি দেশের বাজারে একেবারেই নতুন।

এই বিষয়ে আমাদের যেমন কোনো অভিজ্ঞতা নেই, অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানেরও তা নেই। কনসেন্ট লেটার দেওয়ার সময় বিএসইসি নিশ্চয়ই আমাদের নানা নির্দেশনা দেবে। স্টক এক্সচেঞ্জও আমাদের কিছু গাইডলাইন দেবে। বিএসইসি ও স্টক এক্সচেঞ্জের গাইডলাইন অনুসারে আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করবো।

তিনি আরও বলেন, দেশের প্রথম বাজার সৃষ্টিকারী লাইসেন্স দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএসইসি আমাদেরকে ইতিহাসের একটি অংশ হওয়ার সুযোগ দিয়েছে। আমাদের প্রতি কমিশনের এই আস্থার পরিপূর্ণ মর্যাদা রাখতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাবো। উল্লেখ, মার্কেট মেকার হচ্ছে এমন একটি প্রতিষ্ঠান, যেটি এক বা একাধিক কোম্পানির শেয়ারের বাজার তৈরি করে থাকে।

প্রতিষ্ঠানটি ওই শেয়ারের দামের একটি উর্ধসীমা ঘোষণা করে, যে সীমা অতিক্রম করলে সে তার কাছে থাকা শেয়ার বিক্রি করবে। একইভাবে ওই শেয়ারের একটি নিম্নসীমা উল্লেখ ঘোষণা করে, যে সীমায় নামলে সে ওই শেয়ার বাজার থেকে কিনে নেবে। মার্কেট মেকার পুঁজিবাজারের স্থিতিশীলতা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের বন্ড অনুমোদন: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড বন্ড ইস্যু করে ৫শ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ব্যাংকটিকে বন্ড ইস্যুর অনুমোদন দিয়েছে। রোববার অনুষ্ঠিত বিএসইসি ৭৩৯তম কমিশন সভায় এই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

বিএসইসি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। আলোচিত বন্ডের মধ্যে ৪৫০ কোটি টাকার ইউনিট প্রাইভেট প্লেসমেন্ট বরাদ্দ করা হবে। বাকী ৫০ কোটি টাকার ইউনিট বরাদ্দ করা হবে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে। এর প্রতি ইউনিটের অভিহিত মূল্য ৫ হাজার টাকা। প্রাইভেট প্লেসমেন্টের ক্ষেত্রে ন্যুনতম সাবস্ক্রিপশন হবে ৫ কোটি টাকা। আর আইপিওতে ন্যুনতম ৫ হাজার টাকা লাগবে আবেদন করতে। আলোচিত বন্ডটি হবে মেয়াদহীন (চবৎঢ়বঃঁধষ ইড়হফ)। বন্ডটির কুপন হার হবে ৬ থেকে ১০ শতাংশের মধ্যে।

বন্ডটি স্টক এক্সচেঞ্জের অলটারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে তালিকাভুক্ত হবে। স্থানীয় উচ্চ সম্পদশালী ব্যক্তি, করপোরেট প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান, মিউচুয়াল ফান্ড, অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি, মার্চেন্ট ব্যাংক ও অনিবাসী বাংলাদেশীদের মধ্যে প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে এই বন্ড বরাদ্দ দেওয়া হবে। এই বন্ডের অ্যারেঞ্জার ও ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে রয়েছে প্রাইম ব্যাংক ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড ও ইউসিবি ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড। ট্রাস্টির দায়িত্ব পালন করবে এমটিবি ক্যাপিটাল লিমিটেড। আর আন্ডাররাইটার হিসেবে থাকবে ইসলামী ব্যাংক ক্যাপিটাল লিমিটেড।