দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজার থেকে অর্থ উত্তোলন করার অনুমোদন পাওয়া সেনা কল্যাণ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড এর প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) আবেদন আগামী ৩ অক্টোবর থেকে শুরু হতে যাচ্ছে। যা ৮ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এর আগে গত ১১ আগস্ট বিএসইসির ৭৮৬তম কমিশন সভায় কোম্পানিটির আইপিও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

আইপিওর মাধ্যমে কোম্পানিটি শেয়ারবাজার থেকে ১৬ কোটি টাকা উত্তোলন করবে। কোম্পানিটি ফিক্সড প্রাইস পদ্ধতির আইপিও’র মাধ্যমে অভিহিত মূল্য তথা ১০ টাকা দরে ১ কোটি ৬০ লাখ শেয়ার ইস্যু করবে।

কোম্পানিটি শেয়ারবাজার থেকে উত্তোলিত অর্থ সরকারি সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ, মেয়াদি আমানত (Fixed Deposit), শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ, নিজস্ব অফিস স্পেস কেনা ও আইপিওর ব্যয় বাবদ ব্যবহার করবে।

৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় বা ইপিএস ৩ টাকা ৯৩ পয়সা। আর গত পাঁচ বছরের ভারিত গড় ইপিএস ২ টাকা ৬৫ পয়সা।

গত ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২০ তারিখে কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভি) ছিল ২১ টাকা ৯ পয়সা (সম্পদ পুনঃমূল্যায়ন ছাড়া)। ব্যাংকটির ইস্যু ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছে এএএ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।

ইউনিয়ন ক্যাপিটালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে লোকসান কমেছে: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আর্থিক খাতের প্রতিষ্ঠান ইউনিয়ন ক্যাপিটাল লিমিটেড চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল’২১-জুন’২১) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

আজ বুধবার (৩১ আগস্ট) অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে ওই প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে সহযোগী প্রতিষ্ঠানের আয়সহ কোম্পানিটির সমন্বিত শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ২৬ পয়সা। গত বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে সমন্বিত লোকসান ছিল ১ টাকা ২৭ পয়সা ছিল।

অন্যদিকে হিসাববছরের প্রথম দুই প্রান্তিক তথা ৬ মাসে (জানুয়ারি’২১-জুন’২১) কোম্পানির সমন্বিতভাবে শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ৮৪ পয়সা। গত বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে সমন্বিত লোকসান ছিল ১ টাকা ৪০ পয়সা।

দুই প্রান্তিকে সমন্বিতভাবে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো ছিল ২৩ পয়সা। গত বছর একই সময়ে ক্যাশ ফ্লো ছিল মাইনাস ২ টাকা ৪ পয়সা। গত ৩০ জুন, ২০২১ তারিখে সমন্বিতভাবে কোম্পানির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ৩ টাকা ২৮ পয়সা।

দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বহুজাতিক তামাক কোম্পানি ব্রিটিশ অ্যামেরিকান টোবাকো বাংলাদেশ লিমিটেড। গত চার মাসের মধ্যে আজ কোম্পানিটির শেয়ার বেড়েছে সর্বোচ্চ। শেয়ারও লেনদেন হয়েছে অনেক বেশি। এতে করে আজ কোম্পানিটির সূচক বৃদ্ধিতে সর্বোচ্চ অবদান রেখেছে। এর ফলে গত কয়েক মাস কোম্পানিটির শেয়ার দর ঝিমানো থেকে হঠাৎ জ্বলে উঠেছে। আমার স্টক সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, আজ সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ১২ টাকা ৬০ পয়সা বা ২.২১ শতাংশ। এর ফলে আজ কোম্পানিটি ডিএসইর ব্রড ইনডেক্সকে টেনে তুলতে অবদান রেখেছে ৯.৭৭ পয়েন্ট।

আজ কোম্পানিটি মোট শেয়ার লেনদেন করেছে ১১ লাখ ৫ হাজার ৪৯টি। যার বাজার মূল্য ৬৪ কোটি ১২ লাখ টাকা। আজ কোম্পানিটি ডিএসইর লেদেনের শীর্ষ তালিকায় ৩য় অবস্থানে উঠে এসেছে। সর্বশেষ শেয়ার দর অনুযায়ী, কোম্পানিটির পিই রেশিও অবস্থান করছে ১৮.২৫ পয়েন্ট।

সমাপ্ত অর্থবছরের প্রথম দুই প্রান্তিক (জানুয়ারি-জুন’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় দেখিয়েছে ১৫ টাকা ৯৬ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে আয় ছিলো ১১ টাকা ১২ পয়সা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ৬৮ টাকা ৯৩ পয়সা।

উৎপাদন বন্ধের তথ্য ১৫ মাস গোপন রাখছে তাল্লু স্পিনিং: পুঁজিবাজারে বঙ্গজ-তাল্লু গ্রুপের তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান তিনটি। করোনার কারণ দেখিয়ে গত বছরের ৭ এপ্রিল থেকে তাল্লু স্পিনিং মিলস বন্ধ ঘোষণা করা হয়। টানা চার বছর লোকসান দেয়া কোম্পানিটি ১৯৯০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছে। এরপর সর্বশেষ ২০১৫ সালে ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছিল শেয়ারধারীদের।

এ ছাড়া ২০১২ সালে রাইট ইস্যুর মাধ্যমে কোম্পনিটি মূলধন সংগ্রহ করেছিল। তাল্লু সবশেষ লভ্যাংশ দিয়েছিল ২০১৫ সালে। ওই বছর বিনিয়োগকারীরা ১০ শতাংশ বোনাস, অর্থাৎ প্রতি ১০টি শেয়ারে একটি পেয়েছিলেন লভ্যাংশ হিসেবে।

এদিকে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় ১৯৮৫ সালে প্রতিষ্ঠিত তাল্লু স্পিনিং মিলস বাণিজ্যিক উৎপাদনে আসে ১৯৮৯ সালে। বেশ কয়েক বছর ধরেই কোম্পানিটির আর্থিক ও ব্যবসায়িক পারফরম্যান্সের গ্রাফ নিম্নমুখী। ২০১৫ সালের পর থেকে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশ দিচ্ছে না। তাছাড়া ২০১৮-১৯ হিসাব বছরের পর থেকে কোম্পানিটি নিরীক্ষিত ও অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনও প্রকাশ করছে না। এতে কোম্পানিটির হালনাগাদ তথ্য পাচ্ছেন না বিনিয়োগকারীরা। সর্বশেষ ২০১৮-১৯ হিসাব বছরে ১০ কোটি টাকা লোকসানে ছিল কোম্পানিটি।

সেই হিসাব বছরে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি মিলিয়ে ১১৭ কোটি টাকা ব্যাংকঋণ ছিল কোম্পানিটির। গত বছরের এপ্রিলে কারখানা বন্ধ ঘোষণা করার পর এখন পর্যন্ত কারখানা চালুর বিষয়ে কোনো তথ্য জানায়নি কোম্পানিটি। তবে ২০২০ সালের ৩১ মে তাল্লু কর্তৃপক্ষ ঢাকা ও চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জে নোটিশ দেয়। জানানো হয়, ৭ এপ্রিল কারখানা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়।

করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত তা বন্ধ থাকবে। ১৫ মাস পর এখন তারা বলছে, ২০২০ সালের ৬ মে থেকে কারখানা চালু আছে। মাঝে শেয়ার দরে উল্লম্ফনের কারণ জানতে একবার নোটিশও করা হয়। তখনও কারখানা চালুর বিষয়ে কিছু না জানিয়ে বলা হয়, কোম্পানির কোনো অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত তাল্লু স্পিনিং’র কোম্পানির বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃতভাবে উৎপাদন চালুর তথ্য গোপন করে এর পরিচালকদের কম দামে শেয়ার কেনার সুযোগ করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। ২০২০ সালের ৩১ মে ঢাকা ও চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জকে দেয়া নোটিশে তারা জানায়, ওই বছরের ১৪ এপ্রিল থেকে কারখানা বন্ধ। আর করোনার পরিস্থিতির উন্নতি হলে সেটি আবার চালু হবে।

এরপর কোম্পানির তিনজন পরিচালক গত এক বছরে মোট ৪ লাখ ৯০ হাজার শেয়ার কিনেছেন বাজার থেকে। ১৫ মাস পরে এসে রোববার এই কোম্পানিটি আবার ঢাকা ও চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জকে জানায়, ২০২০ সালের ৬ মে থেকে কারখানা চালু আছে। অথচ এর ২৫ দিন পর কারখানা বন্ধের সেই নোটিশটি এসেছিল।

আবার কারখানা গত বছরের ৬ মে থেকে যে চালু, সেটি গত ১৫ জুলাইও কোম্পানির পক্ষ থেকে দেয়া জবাবে জানানো হয়নি। কারখানার উৎপাদন বন্ধের ঘোষণা দেয়ার পর কোম্পানিটির শেয়ারদর ২ টাকা ৭০ পয়সায় নেমে গিয়েছিল। আর সম্প্রতি হঠাৎ করেই টানা বাড়তে বাড়তে তা প্রায় ১৩ টাকা হয়ে যায়।

বন্ধ একটি কোম্পানির শেয়ার নিয়ে এত হুলুস্থুল হয়ে হওয়ার কী কারণ, এ নিয়ে দুবার তাল্লুকে নোটিশ করে ঢাকা ও চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ। তার জবাবেও কোম্পানির উৎপাদন চালুর বিষয়ে তথ্য না জানিয়ে বলা হয়, তাদের পক্ষে কোনো অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই।
২০২০ সালের ৩১ মে তাল্লু কর্তৃপক্ষ ঢাকা ও চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জে নোটিশ দেয়।

জানানো হয়, ৭ এপ্রিল কারখানা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত তা বন্ধ থাকবে। এই সিদ্ধান্ত জানানোর সময় পুঁজিবাজারে লেনদেন স্থগিত ছিল। জুলাইয়ে লেনদেন আবার চালু হলে কোম্পানিটির শেয়ারদর ২ টাকা ৭০ পয়সায় নেমে আসে। প্রায় এক বছরে সেখান থেকে শেয়ারমূল্য প্রায় দ্বিগুণ হয়। গত ৫ মে দাম ছিল ৪ টাকা। সেখান থেকে হঠাৎ করেই দামে উল্লম্ফন হয়। বন্ধ কোম্পানির শেয়ারদর তড়তড় করে কেন বাড়ছে, এ নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। ঢাকা ও চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জ তাল্লুকে কারণ দর্শানোর নোটিশও দেয় গত ১৪ জুলাই।

এই নোটিশের জবাবে পরদিন তাল্লু জানায়, তাদের কোনো অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই। এই নোটিশ দেয়ার আগে ৯ কর্মদিবসের মধ্যে ৭ কর্মদিবসই বেড়েছে কোম্পানিটির শেয়ার দর। একটি বন্ধ কোম্পানির শেয়ারদর এভাবে বৃদ্ধির পেছনে কোনো কারসাজি আছে কি না, সে প্রশ্ন বড় হয়ে ওঠে। গত ২৭ জুন দাম বৃদ্ধি শুরুর দিন কোম্পানিটির শেয়ার দর ছিল ৫ টাকা ৯০ পয়সা। আর নোটিশ দেয়ার দিন মূল্য ছিল ৭ টাকা ৯০ পয়সা।
তৃতীয় দফায় মূল্য উল্লম্ফন শুরু হয় ৩ আগস্ট থেকে। ৬ কর্মদিবসে ৭ টাকা ৯০ পয়সা থেকে ১২ টাকা ৬০ পয়সা হয়ে যায়, দাম বাড়ে ৫৯ শতাংশ। এই কোম্পানির হঠাৎ কী হলো, এমন প্রশ্নে ২২ আগস্ট আবার তাল্লুকে নোটিশ দেয় ডিএসই কর্তৃপক্ষ। এই নোটিশের জবাব আসে এক সপ্তাহ পর। গত রোববার লেনদেন শুরু হওয়ার আগে আগে স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটে বিনিয়োগকারীদের জন্য তাল্লুর জবাবটি পোস্ট করা হয়। এতে বলা হয়, ২০২০ সালের ৬ মে থেকে তাল্লুর কারখানা চালু আছে, যেটি লকডাউনের কারণে ১৪ এপ্রিল বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল।

পুঁজিবাজারে কোম্পানির যেকোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য প্রকাশ করতে কোম্পানি বাধ্য। অথচ কোম্পানি বন্ধ করার তথ্য দিলেও কোম্পানি চালু করার বিষয়টি গোপন রাখে, ১৫ মাস পর সেটি জানানোর বিষয়ে প্রশ্নে তাল্লুর কোম্পানি সচিব মমিনুর রহমান দেন আরেক ধরনের ব্যাখ্যা। তিনি বলেন, ‘আমাদের কোম্পানি পুরোদমে কখনও বন্ধ ছিল না। করোনার কারণে কোম্পানির উৎপাদন সাময়িক বন্ধ ছিল। যেহেতু সেটি বোর্ডসভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল, তাই সেটি জানানো হয়েছিল। কিন্তু তা পরবর্তী সময়ে আবার চালু করা হয়েছে ৬ মে ২০২০।’

কোম্পানির উৎপাদন চালু করে গোপন রাখা হলো কি না এমন প্রশ্নে বলেন, ‘সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা কোম্পানির উৎপাদন বন্ধ রেখেছিলাম এবং সে সময়ই নোটিশে বলে দেয়া হয়েছিল, সরকারের লকডাউনের সময়সীমা পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকবে। ফলে সরকার যখন লকডাউন তুলে নিল, তখন আমরা উৎপাদন চালু করেছি। ফলে এটি মূল্য সংবেদনশীল তথ্যের মধ্যে পড়বে না।’ রোববারের নোটিশ, যাতে বলা হয়েছে ২০২০ সালের ৬ মে থেকে উৎপাদন চালু। এটি আবার গত ১৫ জুলাইয়ের নোটিশে জানানো হয়নি

তাহলে এখন কেন জানালেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রথম নোটিশে সবকিছু স্পষ্ট করে বলে দেয়া হলেও বিনিয়োগকারীরা কোম্পানির উৎপাদন বন্ধ, সেটিকেই গুরুত্ব দিয়েছে। ফলে বিনিয়োগকারীরা প্রায়ই আমাদের কাছে ফোন করে জানতে চান, কোম্পানি চালু হয়েছে কি না। কিন্ত আমাদের কোম্পানি তো বর্তমানে চালু আছে।

‘বিনিয়োগকারীদের প্রশ্নের বিষয়টি বিএসইসি ও ডিএসইকে জানানোর পর আমাদের একটি নোটিশ করে দিতে বলেছে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে এই নোটিশ করা হয়েছে। তিনি আবারও বলেন, এটি কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নয়।’ কোম্পানি সচিব এ কথা বললেও গত ১৪ জুলাই ডিএসইর আগের নোটিশের পর কেন জানানো হয়নি- এই প্রশ্নের জবাব অবশ্য তার কাছে পাওয়া যায়নি।

ডিএসইর একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ করে বলেন, ‘এটি মূল্য সংবেদনশীল তথ্যের মধ্যেই পড়ে। তবে কোম্পানি কেন বিষয়টিকে মূল্য সংবেদনশীল তথ্য বলছে না, সেটি দেখতে হবে।’

কোম্পানির উৎপাদন চালু এই বিষয়টি যখন জানা ছিল না, সে সময় তাল্লুর পরিচালক আতিকুল হক গত বছরের ৯ ডিসেম্বর ২ লাখ ৪০ হাজার শেয়ার কেনার ঘোষণা দেন। ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে এই শেয়ার কেনা হবে বলে জানানো হয়। গত ৮ ফেব্রুয়ারি জানানো হয় আতিকুল তার শেয়ার কেনা শেষ করেছেন। উৎপাদন বন্ধ থাকার ঘোষণা দেয়ার পর তাল্লুর তিন পরিচালক কিনেছেন ৪ লাখ ৯০ হাজার শেয়ার। শেয়ার কেনার ঘোষণা দেয়ার দিন দাম ছিল ৪ টাকা ৮০ পয়সা আর কেনা শেষ করার কথা জানানোর দিন দাম ছিল ৪ টাকা ১০ পয়সা।

এই সময়টায় দাম সর্বোচ্চ ছিল ৫ টাকা ৬০ পয়সা। আরেক পরিচালক রাবেয়া খাতুনের ১০ হাজার শেয়ার কেনার ঘোষণা আসে ১০ ডিসেম্বর। তিনি এই শেয়ার কিনে শেষ করেছেন বলে ঘোষণা আসে ৮ ফেব্রুয়ারি। তৃতীয় যে পরিচালক শেয়ার কিনেছেন, তিনি হলেন রফিকুল হক। তিনি গত ১০ ডিসেম্বর ২ লাখ ৪০ হাজার শেয়ার কেনার ঘোষণা দেন। তিনিও গত ৮ ফেব্রুয়ারি শেয়ার কেনা শেষ করার তথ্য জানান। সেদিন থেকে শেয়ারের দর বেড়েছে ৭ টাকা বা ১৭০ শতাংশ।

তিন কোম্পানির দরবৃদ্ধিতে ডিএসইর সতর্কবার্তা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত তিন কোম্পানির অস্বাভাবিক দর বাড়ার পেছনে কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই বলে জানিয়েছে কোম্পানি তিনটির কর্তৃপক্ষ। কোম্পানিগুলোর কর্তৃপক্ষের মতামতের ভিত্তিতে প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কোম্পানি তিনটি শেয়ার নিয়ে সতর্কবার্তা জারি করেছে। ডিএসই সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। কোম্পানি তিনটি হলো : রহিমা ফুড, পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স এবং আলহাজ্ব টেক্সটাইল।

ডিএসই জানায়, সম্প্রতি কোম্পানি তিনটির শেয়ার দর অস্বাভাবিকভাবে বাড়ার কারণে গত ২৬ আগস্ট নোটিশ পাঠায় প্রতিষ্ঠানটি। এর জবাবে কোম্পানি তিনটি জানায় কোনো অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই শেয়ারগুলোর দর বাড়ছে।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, রহিমা ফুডের শেয়ার দর গত ১৬ আগস্ট ছিল ৩০৯ টাকা ৩০ পয়সায়। আর ২৯ আগস্ট কোম্পানিটির শেয়ারের দর বেড়ে দাঁড়ায় ৩৫৩ টাকা ১০ পয়সায়। অর্থাৎ এই ৯ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ার দর ৫৩ টাকা ৮০ পয়সা বা ১৪ শতাংশ বেড়েছে।

পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর গত ১৬ আগস্ট ছিল ৩৩ টাকা ২০ পয়সায়। আর ৩১ আগস্ট কোম্পানিটির শেয়ারের দর বেড়ে দাঁড়ায় ৪৭ টাকা ২০ পয়সায়। অর্থাৎ এই ১০ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ার দর ১৪ টাকা বা ৪২ শতাংশ বেড়েছে।

আলহাজ্ব টেক্সটাইলের শেয়ার দর গত ১৭ আগস্ট ছিল ৫০ টাকা ১০ পয়সায়। আর ৩১ আগস্ট কোম্পানিটির শেয়ারের দর বেড়ে দাঁড়ায় ৬৩ টাকা ৫০ পয়সায়। অর্থাৎ এই ৯ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ার দর ১৩ টাকা ৪০ পয়সা বা ২৭ শতাংশ বেড়েছে।

ব্রোকার হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংকের আইপিও ফি বেড়েছে পাঁচগুণ: দেশের সব ব্রোকারেজ হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংকের প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) আবেদনের ফি বেড়েছে পাঁচ গুণ। তবে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের আইপিওতে আবেদনের ফি বাড়েনি।

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) আইপিও আবেদনের ফি বৃদ্ধি করে নিয়ম জারি করেছে। যা গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়েছে। নতুন নিয়ম অনুসারে, ব্রোকার হাউজগুলোর আইপিওতে আবেদন ৫ হাজার টাকা আর রাইট শেয়ার বিক্রির আবেদনের ফি ১০ হাজার টাকার পরিবর্তে ৫০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আইপিওতে আবেদনের পাশাপাশি স্টক ব্রোকার, মার্চেন্ট ব্যাংকসহ পুঁজিবাজারের মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সব ধরনের লাইসেন্স ও অন্যান্য ফি বাড়িয়েছে বিএসইসি।

ফি বৃদ্ধি করার বিষয়ে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র রেজাউল করিম বলেন, বাজার মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর ফি যুগোপযোগী করা হয়েছে। ১৯৯৬ থেকে ২০২১ অর্থাৎ দুই যুগ পর আইনটি যুগোপযোগী করা হয়েছে। এই ২৪-২৫ বছরের পুঁজিবাজারের আকার বেড়েছে। স্টক ব্রোকার, মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর আয়ও অনেক বেড়েছে। এখন ফি বাড়িয়ে যেটা নির্ধারণ করা হয়েছে তা বর্তমান সময় বিবেচনায় একেবারে বেশি নয়।

বিএসইসির নতুন নিয়ম অনুসারে, বিনিয়োগকারীদের শেয়ার এবং বিও হিসাবের তথ্য সংরক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান ডিপোজিটরি পার্টিসিপেন্ড (ডিপি) লাইসেন্স পেতে আবেদন ফি ৫ লাখ টাকা দিতে হবে। আর লাইসেন্সের জন্য ১ কোটি টাকা এবং প্রতি বছর নবায়ন ফি ২০ লাখ টাকা করে দিতে হবে। এর আগের ডিপি) লাইসেন্স পেতে আবেদনে কোনো ফি ছিল না। শুধু বছর প্রতি নবায়ন ফি ছিল ৫০ হাজার টাকা।

এখন থেকে স্টক ব্রোকারের লাইসেন্স পেতে আবেদন ফি দিতে হবে ২ লাখ টাকা। যা আগে ছিল ২০ হাজার টাকা। আগে লাইসেন্স ফি ছিল না, এখন লাইসেন্স পেতে ৫ লাখ টাকা দিতে হবে। নবায়ন ফি ১০ হাজার টাকার পরিবর্তে করা হয়েছে ৫০ হাজার টাকা।

নতুন নিয়ম অনুসারে, স্টক ডিলার লাইসেন্স নিতেও একই হারে ফি দিতে হবে। ডিপোজিটরি সার্ভিস প্রদানেও লাইসেন্স ফি নামমাত্র থাকলেও তা ৪০ গুণ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। শেয়ার কেনাবেচায় সাহায্যকারী কর্মকর্তা বা অনুমোদিত প্রতিনিধির লাইসেন্সের আবেদন ফি ৫ হাজার টাকা করা হয়েছে।

যা আগে ছিল ১ হাজার টাকা। প্রতি বছরের নবায়ন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ হাজার টাকা। যা আগে ছিল মাত্র ৫০০ টাকা। অন্যদিকে, এক হাজার টাকার মার্চেন্ট ব্যাংকের লাইসেন্স পেতে আবেদন ফি’র পরিবর্তে এখন দিতে হবে ১ লাখ টাকা।

লাইসেন্স নিতে আগে ফি ছিল ১ লাখ টাকা, এখন ১০ লাখ টাকা। নবায়ন ফি ৫০ হাজার টাকার পরিবর্তে ২ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। বিলম্ব ফি প্রতি মাসের জন্য ৫০ হাজার টাকা। এছাড়াও ক্রেডিট রেটিং কোম্পানির লাইসেন্স গ্রহণের জন্য আগে কোনো ফি লাগত না। এখন ২৫ লাখ টাকা দিতে হবে। আগে নবায়ন ফি না লাগলেও এখন দিতে হবে বছরে ৫ লাখ টাকা।

ব্লক মার্কেটে ৬ কোম্পানির লেনদেনের শীর্ষে: পুঁজিবাজারে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ব্লক মার্কেটে ৫২টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব কোম্পানির ৫১ কোটি ৩৯ লাখ ৮৪ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। আজ ব্লক মার্কেটে পাঁচ কোম্পানির বড় লেনদেন হয়েছে।

কোম্পানিগুলোর শেয়ার লেনদেন হয়েছে প্রায় ২৮ কোটি টাকার শেয়ার। কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি শেয়ার লেনদেন হয়েছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্সের। কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১১ কোটি ২৩ লাখ ৫৭ হাজার টাকার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে সাফকো স্পিনিংয়ের। কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৬ কোটি ৮ লাখ টাকার।

তৃতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকো ফার্মার। কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৪ কোটি ৫৪ লাখ ২ হাজার টাকার। চতুর্থ সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে জেনেক্স ইনফোসিসের। কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩ কোটি ৫৫ লাখ ৬ হাজার টাকার। পঞ্চম সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে আমান ফিডের। কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩ কোটি ৬৪ হাজার টাকার।

এছাড়া ষষ্ঠ সর্বোচ্চ এসএস স্টিলের লেনদেন হয়েছে ২ কোটি ৮০ লাখ ৮০ হাজার টাকার, ফর্চুন সুজের ২ কোটি ৮০ লাখ ৪০ হাজার টাকার, বেক্সিমকোর ২ কোটি ৬৪ লাখ ৩২ হাজার টাকার, সোনালী পেপারের ১ কোটি ২৯ লাখ ৫০ হাজার টাকার, পাওয়ার গ্রিডের ১ কোটি ২৪ লাখ টাকার, বিডি থাইয়ের ১ কোটি ১৭ লাখ ২০ হাজার টাকার, তৌফিকার ৯৫ লাখ ২১ হাজার টাকার, কাট্টালি টেক্সটাইলের ৯৫ লাখ ১৮ হাজার টাকার,

আরডি ফুডের ৯২ লাখ ৯৯ হাজার টাকার, ব্রিট্রিস আমেরিকান টোব্যাকোর ৮৭ লাখ ২১ হাজার টাকার, কে অ্যান্ড কিউর ৫৭ লাখ টাকার, ম্যাকসন স্পিনিংয়ের ৫৫ লাখ ৪০ হাজার টাকার, আইপিডিসির ৪১ লাখ ৭৪ হাজার টাকার, ইসলামীক ফাইন্যান্সের ৪০ লাখ টাকার, বিডি ফাইন্যান্সের ৩৭ লাখ ২ হাজার টাকার, ন্যাশনাল ব্যাংকের ৩৬ লাখ টাকার, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইলের ৩১ লাখ ৬৭ হাজার টাকার,

ই- জেনারেশনের ৩১ লাখ ৫০ হাজার টাকার, গ্রামীণফোনের ২৬ লাখ ৬৪ হাজার টাকার, ইবনে সিনার ২৪ লাখ ২৫ হাজার টাকার, মেট্রো স্পিনিংয়ের ২৩ লাখ ৮০ হাজার টাকার,জিপিএইচ ইস্পাতের ২৩ লাখ ৪০ হাজার টাকার,ন্যাশনাল হাউজিংয়ের ২২ লাখ ৯২ হাজার টাকার,মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকার,সালভো কেমিক্যালের ২১ লাখ ৩০ হাজার টাকার, বার্জার পেইন্টসের ১৯ লাখ ৬৪ হাজার টাকার,

আলিফ ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের ১৮ লাখ ৩৬ হাজার টাকার, মুন্নু এগ্রোর ১৬ লাখ ৯১ হাজার টাকার, বে-লিজিংয়ের ১৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকার, সোনারগাঁও টেক্সটাইল ১৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকার, ম্যারিকোর ১৫ লাখ ২৩ হাজার টাকার, আইএফআইসি ব্যাংকের ১৫ লাখ ৩ হাজার টাকার, ইস্টল্যান্ড ইন্স্যুরেন্সের ১৪ লাখ ১৩ হাজার টাকার, জিবিবি পাওয়ারের ১৩ লাখ ৬০ হাজার টাকার, গ্রিন ডেল্টা মিউচুয়াল ফান্ডের ১১ লাখ ৭৬ হাজার টাকার, অ্যাসোসিয়েট অক্সিজেনের ৯ লাখ ২২ হাজার টাকার, পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্সের ৮ লাখ ২২ হাজার টাকার,

ইন্টার্নেশনাল লিজিংয়ের ৮ লাখ ২ হাজার টাকার, ড্রাগন সোয়েটারের ৬ লাখ ৯৬ হাজার টাকার, এশিয়ান টাইগার গ্রোথ ফান্ডের ৬ লাখ ৭০ হাজার টাকার, ডেল্টা স্পিনিংয়ের ৫ লাখ ৬৫ হাজার টাকার, প্রিমিয়ার সিমেন্টের ৬ লাখ ৪০ হাজার টাকার, কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্সের ৬ লাখ ১৮ হাজার টাকার, রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্সের ৫ লাখ ৯২ হাজার টাকার, পূরবী জেনারেল ইন্সুরেন্সের ৫ লাখ ৪১ হাজার টাকার, সিএপিএম বিডিবিএল মিউচুয়াল ফান্ডের ৫ লাখ ৩৬ হাজার টাকার, আমরা নেট ৫ লাখ ৩৫ হাজার টাকার টাকার লেনদেন হয়েছে।

ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের ১১৬ কোটি টাকা লোপাট: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড অস্তিত্বহীন ১৬টি প্রতিষ্ঠানকে ১১৬ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে। আলোচিত পি কে হালদারের দুর্নীতির অভিযোগগুলোর প্রধান ক্ষেত্র এই প্রতিষ্ঠানটি। এর সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সৈয়দ আবেদ হাসান আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে দুর্নীতির অনেক তথ্য প্রকাশ করেছেন।

ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে গত ২৪ আগস্ট ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন সৈয়দ আবেদ হাসান। এতে তিনি জানান, পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন ছাড়াই ১৬টি চেকের মাধ্যমে ওই বিপুল অঙ্কের টাকা প্রদান করা হয়। পি কে হালদারের নির্দেশে সৈয়দ আবেদ হাসান, রাশেদুল হক, নাহিদা রুনাই, অভীক সিনহা জালিয়াতির মাধ্যমে ১১৬ কোটি ৫৫ লাখ টাকা প্রতিষ্ঠান থেকে বের করে দেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, সাবেক সৈয়দ আবেদ হাসান তার জবানবন্দিতে প্রতিষ্ঠানের তহবিল সংগ্রহের কমিশনের নামে প্রায় ৬৪ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার তথ্যও দিয়েছেন। জবানবন্দিতে তিনি বলেন, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে ২০১৬ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত তিন বছরে বিভিন্ন প্রকার ডিপোজিট সংগ্রহ করার কমিশন হিসেবে প্রায় ৬৪ কোটি টাকা প্রদান করা হয়েছে।

সূত্রমতে, মূলত সাবেক এমডি সৈয়দ আবেদ হাসান ও রাশেদুল হকের স্বাক্ষরেই কমিশনের চেকগুলো প্রদান করা হয়। ওই সময় ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত নূর মোহাম্মদ, মো. রাসেল, মো. রাজ্জাকসহ অন্যরা কমিশন এজেন্ট হিসেবে প্রতিষ্ঠানের ওই অর্থ নিয়েছেন।

সৈয়দ আবেদ হাসান জবানবন্দিতে তিনি আরও বলেন, ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের সর্বমোট ঋণের পোর্টফোলিও প্রায় চার হাজার কোটি টাকা। এর বিপরীতে প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান সম্পদ প্রায় ৭০০ কোটি টাকার। লোকসানের পরিমাণ প্রায় তিন হাজার ৩০০ কোটি টাকা। এই অর্থ আদায়ের ক্ষেত্রে কোনো নিশ্চয়তা নেই।

১১৬ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া ১৬টি ভুয়া কোম্পানির মধ্যে রয়েছে- আনান কেমিক্যাল, দ্রিনান অ্যাপারেলস লিমিটেড, নিউট্রিক্যাল লিমিটেড, ওকায়ামা লিমিট, মুন ইন্টারন্যাশনাল, সুখাদা প্রপার্টিজ, ন্যাচার এন্টারপ্রাইজ, আরবি এন্টারপ্রাইজ, দিয়া শিপিং, নিউটেক এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স বর্ন, কণিকা এন্টারপ্রাইজ, হাল ইন্টারন্যাশনাল, জিঅ্যান্ডজি এন্টারপ্রাইজ, এমটিবি মেরিন।

দুদক সূত্র জানায়, ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ে পি কে হালদার একক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। প্রতিষ্ঠানের সব কর্মকর্তাই তার নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করতেন। প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদ সাজিয়েছিলেন তার লোকজন দিয়েই। পি কে হালদার প্রতিটি পর্ষদ সভায় উপস্থিত থাকতেন। তার কথায় ঋণের অনুমোদন দেওয়া হতো।

প্রতিষ্ঠানটির সাবেক এমডি সৈয়দ আবেদ হাসান বিভিন্ন অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠানের ভিজিট প্রতিবেদন ছাড়া এবং অনেক ক্ষেত্রে কোনো জামানত না নিয়ে ব্যাংকিং রীতি-নীতির বাইরে রাশেদুল হক, এভিপি আল মামুন সোহাগ, সিনিয়র ম্যানেজার রাফসান রিয়াদ চৌধুরী, কোম্পানি সচিব রফিকুল ইসলাম খান ঋণ প্রস্তাব তৈরির পর ইন্টারন্যাল মেমোতে স্বাক্ষর প্রদান করেন। পরবর্তী সময়ে বোর্ডে ঋণ অনুমোদন হওয়ার পর সংশ্নিষ্ট প্রতিষ্ঠানে ওই অর্থ না পাঠিয়ে পি কে হালদারের মৌখিক নির্দেশে বিভিন্ন ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের হিসাবে পাঠানো হতো।

এই প্রক্রিয়ায় আনান কেমিক্যাল লিমিটেড নামীয় প্রতিষ্ঠানে ৭০ কোটি ৮২ লাখ টাকা ঋণ প্রদানের ইন্টারন্যাল মেমোতে সাবেক এমডি আবেদ হাসান, রাশেদুল হক, আল মামুন সোহাগ, রাফসান রিয়াদ চৌধুরী, রফিকুল ইসলাম খান স্বাক্ষর করেন। এরপর ঋণের অর্থ পি কে হালদারসহ তার বিভিন্ন কোম্পানি ও দুর্নীতি সহযোগী সতীর্থদের ব্যাংক হিসাবে পাঠানো হয়।

প্রতিষ্ঠানটির সাবেক এমডি সৈয়দ আবেদ হাসান ও সিনিয়র ম্যানেজার রাফসান রিয়াদ বর্তমানে কারাগারে আছেন। আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কারাগার থেকে এনে গত ২২-২৪ আগস্ট পর্যন্ত তাদের রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এর আগে গত ১৬ মার্চ তাদের গ্রেপ্তার করে দুদক। গ্রেপ্তারের পর তাদের আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়েছিল। আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন। জিজ্ঞাসাবাদের তিন দিনেই তারা ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিতে রাজি হন।

আর্থিক খাতে কারেকশন চাঙ্গা বীমা খাত: পুঁজিবাজারে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ব্যাংক-আর্থিক খাতে কারেকশন হলেও চাঙ্গাভাব বিরাজ করছে বীমা খাতে। ফলে হঠাৎ করে বীমা খাতে আগ্রহ বাড়ছে বিনিয়োগকারীদের। এছাড়া পুঁজিবাজারের কারেকশন আতঙ্ক কাটিয়ে স্বস্তি ফিরছে বিনিয়োগকারীদের। আগের তিন কর্মদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক কমেছিল মোট ৫৯ পয়েন্ট।

আর সপ্তাহের দ্বিতীয় কর্মদিবসে বেড়েছে ৪৫ পয়েন্ট। তবে এক পর্যায়ে সূচক বেড়েছিল ৬০ পয়েন্টে। বিনিয়োগকারীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে আরও একটি কারণে। শেয়ার মূল্য বাড়ার পাশাপাশি লেনদেন আবার বেড়ে দুই হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছি। ১৬ কর্মদিবস পর রোববার লেনদেন প্রথমবারের মতো দুই হাজার কোটি টাকার নিচে নেমে এসেছিল। সেটি আবার ২ হাজার ২০০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।

৪ এপ্রিলের পর প্রথমবারের মতো টানা তিন দিন সূচকের পতন বিনিয়োগকারীদের মনে উৎকণ্ঠার জন্ম দিয়েছিল, তার আপাতত অবসান হয়েছে। এদিকে গত রোববার প্রথম কর্মদিবস শেষে সোমবার জন্মাষ্ঠমীর কারণে সাধারণ ছুটি ছিল। তাই সেদিন লেনদেন বন্ধ ছিল।

এদিকে টানা তিন কার্যদিবস দরপতনের পর সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় লেনদেন হয়েছে। গ্রামীণফোন, রবি আজিয়াটা এবং ওয়ালটন হাইটেক পার্কসহ বড় মূলধনী কোম্পানির পাশাপাশি বিমা ও আর্থিক খাতের অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ায় দিনভর সূচকের তেজিভাব লক্ষ্য করা যায়। ফলে লেনদেন বাড়ছে।

এ দিন দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক বেড়েছে ৪৫ পয়েন্ট। অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক বেড়েছে ১৫৩ পয়েন্ট।

ডিএসইর তথ্য মতে, মঙ্গলবার ডিএসইতে মোট ৩৭৬টি প্রতিষ্ঠানের ৬০ কোটি ৩০ লাখ ৮ হাজার ৬৮১টি শেয়ার হাত বদল হয়েছে। এর মধ্যে ২২৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ১১৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩২টির। ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ২৪৯ কোটি ৩৪ লাখ ১৪ হাজার টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৮৪৬ কোটি ৮৯ লাখ ৭ হাজার টাকা।

অর্থাৎ আগের দিনের চেয়ে লেনদেন বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ায় এ দিন ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৪৫ দশমিক ৬৪ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ৮৬৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। প্রধান সূচকের পাশাপাশি ডিএসইর অন্য সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ৬ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৪৯০ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১০ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ৪৫৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

এ দিন ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে ছিল বেক্সিমকো লিমিটেড। দ্বিতীয় স্থানে ছিল লাফার্জ-হোলসিম লিমিটেড। এরপর সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে ব্রিটিশ অ্যামেরিকান টোব্যাকোর শেয়ার। এরপর যথাক্রমে ছিল-ম্যাক্সন স্পিনিং, বেক্সিমকো ফার্মা, শাইনপুকুর সিরামিক, স্কয়ার ফার্মা, ইসলামিক ইনস্যুরেন্স, সাইফ টাওয়ার এবং লংকাবাংলা ফাইন্যান্স লিমিটেড।

এদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৫৩ পয়েন্ট বেড়ে ১৯ হাজার ৯৯৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩২৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২০২টির শেয়ারের দাম বেড়েছে। কমেছে ১০০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৫টি কোম্পানির শেয়ারের দাম। এ বাজারে লেনদেন হয়েছে ৭১ কোটি ৪৪ লাখ ১৯ হাজার ৮৪০ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৮৫ কোটি ১৩ লাখ ৭৯ হাজার ৩৭৩ টাকা।

গ্রামীণ স্কীম ২ আর্থিক হিসাব নিরীক্ষার দাবি বিনিয়োগকারীদের: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত গ্রামীন স্কীম-টু আশা জাগিয়ে বিনিয়োগকারীদের হতাশ করছে। কোম্পানিটির কাছ থেকে প্রত্যাশিত লভ্যাংশ না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়ছেন। ৯ মাসে ফান্ডটির যে পরিমান মুনাফা দেখিয়েছেন তার সাথে লভ্যাংশে কোন মিল নেই। তা হলে প্রশ্ন ৯ মাসের মুনাফা কি সাজানো। শুধু শেয়ারের দর বাড়ানোর নাটক।

তৃতীয় প্রান্তিকে ফান্ডটি (জানুয়ারি-মার্চ’২১) ইউনিট প্রতি লোকসান দেখিয়েছে ১০ পয়সা। এতে তিন প্রান্তিক মিলে তথা ৯ মাসে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) ফান্ডটির ইউনিট প্রতি আয় দাঁড়িয়েছে ৩ টাকা ৯১ পয়সায়। যার ফলে ফান্ডটির ডিভিডেন্ড নিয়ে বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশা কমেনি। যে কারণে ফান্ডটির ইউনিট দর ১৫ টাকা থেকে ধারাবাহিকভাবে বেড়ে ২১ টাকার উপরে ওঠে আসে।

কিন্তু ফান্ডটির ট্রাস্টি বছর শেষে ইউনিট প্রতি আয় দেখিয়েছে ১ টাকা ২১ পয়সা। যেখানে ৯ মাসে ফান্ডটির ইউনিট প্রতি আয় ছিল ৩ টাকা ৯১ পয়সা, সেখানে ১২ কীভাবে ১ টাকা ২১ পয়সা হয়? তাহলে কী চতুর্থ প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন’২) ফান্ডটি ইউনিট প্রতি ২ টাকা ৭০ লোকসান গুণেছে? কিন্তু এপ্রিল-জুন সময়তো পুঁজিবাজার আরও রমরমা ছিল। এই প্রান্তিকে তো আরও বেশি আয় হওয়ার কথা।

কিন্তু ফান্ডটি কেন বড় লোকসান দেখাল। তাহলে কী আগের তিন প্রান্তিকের আয় সাজানো ছিল? ফান্ডটির বিনিয়োগকারীরা কোনভাবেই ফান্ডটির আয় ও ডিভিডেন্ডের হিসাব মিলাতে পারছে না। কোম্পানিটি যে আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে তা এখন আগাগোড়াই অবিশ্বাস্য ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে মনে হচ্ছে। বিনিয়োগকারীরা বলছেন, ফান্ডটির আর্থিক প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের দেখা উচিত। উল্লেখ্য, ফান্ডটির ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রযেছে এইমস অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট।

এদিকে এশিয়ান টাইগার ১৫ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করলেও গ্রামীন স্কীম-টু ১৩ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করে। অথচ এশিয়ান টাইগারের চেয়ে গ্রামীন স্কীম-টু মুনাফা অনেক বেশি ছিল। সমাপ্ত অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর’২০) বিনিয়োগকারীদের ফান্ডটি বড় মুনাফার মুখ দেখিয়েছিল। তখন থেকেই ফান্ডটির ডিভিডেন্ড নিয়ে তাদের প্রত্যাশা শুরু হয়। যদিও শেষ দুই প্রান্তিকে সেভাবে আয় দেখাতে পারেনি।

তৃতীয় প্রান্তিক পর্যন্ত কোম্পানিটির যে আয় ছিল তাও সন্তোষজন ছিল। কিন্তু বছর শেষে কোম্পানিটি যে পরিমাণ আয় প্রকাশ করেছে এবং যে পরিমাণ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে, তাতে তারা আকাশ থেকে যেন মাটিতে লুটিয়ে পড়েছে। ৩০ জুন, ২০২১ অর্থবছরের জন্য ফান্ডটি ১৩ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। আর সমাপ্ত অর্থবছরে ফান্ডটির ইউনিট প্রতি আয় (আইপিইউ) দেখিয়েছে ১ টাকা ২১ পয়সা।

অথচ ফান্ডটি প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর’২০) ইউনিট প্রতি আয় (ইপিএস) দেখিয়েছে ৩ টাকা ৭ পয়সা। দ্বিতীয় প্রান্তিকের (অক্টোবর-ডিসেম্বর‘২১) ইউনিট প্রতি আয় (ইপিএস) ছিল৯৫ পয়সা। দুই প্রান্তিক মিলে (জুলাই-ডিসেম্বর’২০) ফান্ডটির আয় হয়েছে ৪ টাকা ২ পয়সা।

এদিকে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) শেয়ার দর পতনের শীর্ষে উঠে এসেছে গ্রামীণ-২ মিউচ্যুয়াল ফান্ড। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। জানা গেছে, ফান্ডটির ইউনিট দর আগের দিনের চেয়ে ১৪ দশমিক ২৮ শতাংশ কমেছে। ফান্ডটি ১ হাজার ৯৮৯ বারে ৬১ লাখ ৮০ হাজার ১৭৪ টি শেয়ার লেনদেন করে। যার বাজার মূল্য ১১ কোটি ১৭ লাখ টাকা।

ডিএসই পাঁচ খাতের ওপর ভর করে সূচকের উত্থান: পুঁজিবাজারে টানা তিন কার্যদিবস সংশোধনের পর সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে সূচকের বড় উত্থান হয়েছে। এদিন পুঁজিবাজারের সব সূচক বেড়েছে। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে। পাশাপাশি আগের দিনের তুলনায় আজ লেনদেন বেড়েছে ৪০৩ কোটি টাকার বেশি। পাঁচ খাতের ওপর ভর করে আজ লেনদেন চাঙ্গা ভাব দেখা দিয়েছে। স্টক বাংলাদেশ সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। খাতগুলো হলো: বিমা, ওষুধ ও রসায়ন, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক, ব্যাংক এবং সিমেন্ট খাত।

বিমা খাত: বিমা খাতে আজ লেনদেন হয়েছে ১৬২ কোটি ৪০ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছে ১৩২ কোটি ৬০ লাখ টাকা। আজ লেনদেন বেড়েছে ২৯ কোটি ৮০ লাখ টাকা।

ওষুধ ও রসায়ন খাত: ওষুধ ও রসায়ন খাতে আজ লেনদেন হয়েছে ৯৫ কোটি ৪০ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছে ৬৯ কোটি টাকা। আজ লেনদেন বেড়েছে ২৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা।

খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাত: খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে আজ লেনদেন হয়েছে ৫৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছে ৪৩ কোটি ২০ লাখ টাকা। আজ লেনদেন বেড়েছে ১৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা।

ব্যাংক খাত: ব্যাংক খাতে আজ লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকা। আগেরদিন লেনদেন হয়েছে ৬৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা। আজ লেনদেন বেড়েছে ৭ কোটি ২০ লাখ টাকা।

সিমেন্ট খাত: সিমেন্ট খাতে আজ লেনদেন হয়েছে ৫১ কোটি ৭০ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছে ৪৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা। আজ লেনদেন বেড়েছে ৭ কোটি ২০ লাখ টাকা।

পূরবী জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের বোর্ড সভার তারিখ ঘোষণা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বীমা খাতের কোম্পানি পূরবী জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের বোর্ড সভার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ২ সেপ্টেম্বর বিকাল ৩টায় কোম্পানিটির বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হবে।

ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। জানা যায়, সভায় ৩০ জুন ২০২১ পর্যন্ত কোম্পানিটির দ্বিতীয় প্রান্তিকের অনিরিক্ষীত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে অনুমোদনের পর প্রকাশ করা হবে।

ডিএসই ৮ কোম্পানির শেয়ার বিক্রেতা উধাও: পুঁজিবাজারে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে সার্কিট ব্রেকারের সর্বোচ্চ দরেও মিলছে না ৮ কোম্পানির শেয়ার। আজ লেনদেন চলাকালীন সময় কোম্পানিগুলোর শেয়ার বিক্রেতা শূন্য হয়ে পড়ে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্যজানা গেছে। কোম্পানিগুলোর হলো : মিথুন নিটিং, ইসলামী ইন্স্যুরেন্স, তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স, ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্স, তাল্লু স্পিনিং এবং সিঅ্যান্ডএ টেক্সটাইল।

মিথুন নিটিং: রোববার মিথুন নিটিংয়ের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ২০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ২০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ২ টাকা বা ১০ শতাংশ বেড়েছে।

ইসলামী ইন্স্যুরেন্স : রোববার ইসলামী ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৬১ টাকায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ৬১.৮০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৬৭.১০ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ৬.১০ টাকা বা ১০ শতাংশ বেড়েছে।

তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল : রোববার তমিজউদ্দিন টেক্সটাইলের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৯৪.৫০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ৯৮ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১০৩.৯০ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ৯.৪০ টাকা বা ৯.৯৪ শতাংশ বেড়েছে।

বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স : রোববার বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ১২৮.৭০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ১৩১.৮০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৪১.৫০ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ১২.৮০ টাকা বা ৯.৯৪ শতাংশ বেড়েছে।

ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্স : রোববার ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ১০৫.৭০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ১০৮.৭০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১১৬.২০ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ১০.৫০ টাকা বা ৯.৯৩ শতাংশ বেড়েছে।

তাল্লু স্পিনিং : রোববার তাল্লু স্পিনিংয়ের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ১১.৪০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ১২.৫০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১২.৫০ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ১.১০ টাকা বা ৯.৬৪ শতাংশ বেড়েছে।

মেঘনা পেট : রোববার মেঘনা পেটের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৩১.৫০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ৩১.৪০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩৪.৪০ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ৩ টাকা বা ৯.২০ শতাংশ বেড়েছে।

সিঅ্যান্ডএ টেক্সটাইল : রোববার সিঅ্যান্ডএ টেক্সটাইলের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৬.৬০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ৬.৬০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৭.২০ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ০.৬০ টাকা বা ৯.০৯ শতাংশ বেড়েছে।