দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বেক্সিমকো লিমিটেড গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে ২৮০ মেগাওয়াটের সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের অনুমতি পেয়েছে। এই কেন্দ্র স্থাপনের চুক্তিমূল্য ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। বাংলাদেশে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনে শীর্ষস্থানীয় এই কোম্পানির মোট উৎপাদনক্ষমতা ৩২৫ মেগাওয়াট। তবে উৎপাদন হবে ২৩০ মেগাওয়াট।

বৃহস্পতিবার ঢাকা ও চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটে বেক্সিমকোর পক্ষ থেকে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়। এতে জানানো হয়, কেন্দ্রটি ২০২০ সালের মাঝামাঝি সময়ে উৎপাদনে আসবে।

কেন্দ্র নির্মাণের পাশাপাশি ৩৫ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার লম্বা সঞ্চালন লাইনও তৈরি করছে বেক্সিমকো। এই লাইনের মাধ্যমেই সুন্দরগঞ্জের কেন্দ্রটি থেকে রংপুর গ্রিড সাবস্টেশনে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে। এটিই দেশের সবচেয়ে বড় সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র। আর এই চুক্তিটিকে দেশে সৌর বিদ্যুতের বিস্তারে একটি মাইলফলক হিসেবে দেখছে বেক্সিমকো।

কেন্দ্রটি নির্মাণে অর্থায়নের জন্য বেক্সিমকো লিমিটেড ৩ হাজার কোটি টাকার সুকুক বন্ড ছেড়েছে। বছরে ন্যূনতম ৯ শতাংশ মুনাফা ছাড়াও শর্তে আরও বেশি কিছু বিষয় আছে, যা বিনিয়োগকারীদের জন্য বেশ সুবিধাজনক হতে পারত।

তবে সাধারণ বিনিয়াগকারীরা এই বন্ড নিয়ে উচ্ছ্বাস দেখায়নি। বেক্সিমকোর ৭৫০ কোটি টাকা তোলার পরিকল্পনা ছিল সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে। তবে তারা ৬০ কোটি টাকার জন্য আবেদন করেছেন। ৩০০ কোটি টাকার কিছু বেশি আবেদন জমা পড়েছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের পক্ষ থেকে। বাকি অর্থ এখন প্রাইভেট প্লেসমেন্ট থেকে সংগ্রহ করবে বেক্সিমকো।

এই বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ বেক্সিমকো লিমিটেডের ব্যবসা সম্প্রসারণের একটি অংশ। গত এক বছর করোনার সময় যুক্তরাষ্ট্রে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী পাঠাতে একটি পিপিই পার্কও করেছে কোম্পানিটি। সেখান থেকে বছরে ৫ হাজার কোটি টাকার পণ্য নেবে দেশটি। এসব তথ্যে বেক্সিমকো লিমিটেডের শেয়ার দরে উল্লম্ফন হয়েছে গত এক বছরে। এই সময়ে শেয়ার মূল্য ১৮ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১৫১ টাকা ২০ পয়সা পর্যন্ত উঠানামা করেছে।