দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: বড় দরপতনের মধ্য দিয়ে গত সপ্তাহ পার করেছে দেশের পুঁজিবাজার। পতনের এই বাজারে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ হারানোর শীর্ষ স্থানটি দখল করেছে আলহাজ টেক্সটাইল। বিনিয়োগকারীরা কোম্পানিটির শেয়ার কিনতে আগ্রহী না হওয়ায় সপ্তাহজুড়েই দাম কমেছে। এতে গত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দাম কমার শীর্ষ স্থানটি দখল করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

গেল সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া মাত্র ৩১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৩৩৮টির। এতে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১৬৭ দশমিক শূন্য ৪ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৩১ শতাংশ। আর বাজার মূলধন কমেছে ১০ হাজার ২৬১ কোটি টাকা।

পতনের এই বাজারে গেল সপ্তাহজুড়ে আলহাজ টেক্সটাইলের শেয়ার দাম কমেছে ১৫ দশমিক ৫২ শতাংশ। টাকার অঙ্কে প্রতিটি শেয়ারের দাম কমেছে ৯ টাকা ৯০ পয়সা। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে কোম্পানিটির শেয়ার দাম দাঁড়িয়েছে ৫৩ টাকা ৯০ পয়সা, যা আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৬৩ টাকা ৮০ পয়সা।

হঠাৎ শেয়ারের এমন দাম কমে যাওয়া কোম্পানিটি সর্বশেষ ২০২১ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত বছরের জন্য বিনিয়োগকারীদের ১ শতাংশ অন্তবর্তী লভ্যাংশ দিয়েছে। আর চুড়ান্ত লভ্যাংশ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য বোর্ডসভার তারিখ নির্ধারণ করেছে ২৪ অক্টোবর।

এর আগে ২০১৮ সালে ১০ শতাংশ বোনাস শেয়ার, ২০১৭ সালে ১০ শতাংশ বোনাস শেয়ার ও ৫ শতাংশ নগদ এবং ২০১৬ সালে ১০ শতাংশ বোনাস শেয়ার ও ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয় কোম্পানিটি।

ডিএসইতে কোম্পানিটির সর্বশেষ প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২০ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত নয় মাসের ব্যবসায় শেয়ার প্রতি মুনাফা হয়েছে ৩৮ পয়সা। এদিকে দাম কমে যাওয়ার পরও গত সপ্তাহে বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ কোম্পানিটির শেয়ার কিনতে রাজি হয়নি। ফলে সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩ কোটি ৪০ লাখ ৬৯ হাজার টাকা। এতে প্রতি কার্যদিবসে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৮৫ লাখ ১৭ হাজার টাকা।

আলহাজ টেক্সটাইলের পরেই গত সপ্তাহে দাম কমার তালিকায় ছিল বাংলাদেশ ল্যাম্প। সপ্তাহজুড়ে এই কোম্পানিটির শেয়ার দাম কমেছে ১৫ দশমিক ৪২ শতাংশ। ১৪ দশমিক ৯৭ শতাংশ দাম কামার মাধ্যমে পরের স্থানে রয়েছে মিথুন নিটিং।

এছাড়া গত সপ্তাহে দাম কমার শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় থাকা ফু-ওয়াং সিরামিকের ১৪ দশমিক ৩৫ শতাংশ, সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজের ১৪ দশমিক ৩৫ শতাংশ, পেপার প্রসেসিং অ্যান্ড প্যাকেজিংয়ের ১৪ দশমিক ১৪ শতাংশ, উসমানীয়া গ্লাসের ১৩ দশমিক ৪০ শতাংশ, ন্যাশনাল ফিডের ১৩ দশমিক ৩৬ শতংশ, ওরিয়ন ইনফিউশনের ১৩ দশমিক ২০ শতাংশ এবং এএফসি এগ্রোর ১৩ শতাংশ দাম কমেছে।