দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: বাংলাদেশ বিশ্বের শীর্ষ পাঁচটি সহনশীল অর্থনীতির দেশের মধ্যে একটি বলে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জানান, কোভিড-১৯ মহামারির মধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ যখন অর্থনৈতিক সংকটের মুখোমুখি হয় তখন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি গতি ততটা কমেনি। রোববার অর্থমন্ত্রী রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশনের ভবন নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এ সময় তিনি এ কথা বলেন।

দুটি ভূগর্ভস্থ বেইজমেন্টসহ ১২ তলা বিশিষ্ট এ ভবন নির্মাণে ব্যয় হবে ৩৮ কোটি ৬৩ লাখ। ভবনটি নির্মিত হলে বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশনের স্থায়ী দপ্তর স্থাপিত হবে। ফাউন্ডেশনের দারিদ্র্য বিমোচনের কাজ গতিশীল হবে বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়।

অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা একটি সুখী সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গঠনের স্বপ্ন দেখেছিলেন। তার আজীবনের স্বপ্ন ছিল একটি দারিদ্র্যমুক্ত ও শোষণমুক্ত সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলা। জাতির পিতার সেই অর্থনৈতিক দর্শন অনুসরণ করে তারই রক্তের উত্তরাধিকার বর্তমান প্রজন্মের কিংবদন্তী ও আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী ও হিরন্ময়ী নেতৃত্বে গত এক দশক গড়ে ৭.৪ শতাংশ অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে।

মুস্তফা কামাল বলেন, অপ্রত্যাশিত অভিঘাত কোভিড-১৯ মহামারি কালে গত বছর যেখানে বৈশ্বিক অর্থনীতি ৩ শতাংশ সংকুচিত হয়েছে, এমন ক্রান্তিকালেও বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের জরিপ অনুযায়ী বাংলাদেশ শীর্ষ পাঁচটি সহনশীল অর্থনীতির মধ্যে রয়েছে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ফাউন্ডেশনটি প্রতিষ্ঠার পর বিভিন্ন সময় সরকার থেকে আয়বিধায়ক তহবিল হিসেবে ১৬২ কোটি টাকা, প্রাপ্ত অনুদান ও অর্জিত মুনাফা থেকে সহযোগী সংস্থাকে ১৫৯ কোটি ৬৭ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়ার পরেও বর্তমান আয়বিধায়ক তহবিলে স্থিতি রয়েছে ২৭০ কোটি টাকা। এটা অবশ্যই ফাউন্ডেশনের গুরুত্বপূর্ণ সাফল্যের ইঙ্গিত বহন করে।

তিনি বলেন, এটি অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক, বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশন দেশের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র এনজিওর মাধ্যমে সুবিধাবঞ্চিত, পিছিয়ে পড়া, অসহায়, অতি দরিদ্র জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে দারিদ্র্য বিমোচনে কাজ করে যাচ্ছে। প্রায় সাড়ে সাত হাজার গ্রামে ১১২০টি এনজিও (সহযোগী সংস্থা) ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে হতদরিদ্র মানুষের সেবা করে যাচ্ছে।