দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম আগামীকাল বুধবার (১ ডিসেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাৎ করবেন । সাক্ষাতকালে তিনি দেশের পুঁজিবাজারের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরবেন। পাশাপাশি বাজারের উন্নয়নে বিএসইসির নেওয়া নানা পরিকল্পনা বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর গাইডলাইন চাইবেন।

গত কিছুদিন যাবত দেশের শেয়ারবাজারে অস্থিরতা বিরাজ করছে। নানা ধরণের গুজবে নেতিবাচক প্রবণতায় রয়েছে বাজার। এমন বড় পতনে বিনিয়োগকারীদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। তাদের মধ্যে নেমে এসেছে বিষাদের ছায়া। এমনি অবস্থায় বাজারের সংবেদনশীল বিষয়গুলো নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাথে বৈঠক করেছে বিএসইসি। বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে বলেও মন্তব্য করেছে বিএসইসির কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ।

বৈঠকশেষে তিনি সাংবাদিকদের জানান, শেয়ারবাজার উন্নয়নে বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসি বেশিরভাগ বিষয়ে একমত হয়েছে। তিনি জানান, এখন থেকে বিনিয়োগ সীমায় ব্যাংক ও লিজিং কোম্পানির বন্ডের বিনিয়োগকে অন্তর্ভূক্ত করবে না বাংলাদেশ ব্যাংক। একইসঙ্গে বাজার দরের পরিবর্তে কস্ট প্রাইসকে (ক্রয় মূল্য) বিবেচনায় নিয়ে বিনিয়োগ সীমা গণনা করা হবে। তবে বিষয়গুলো কার্যকরে কিছুটা সময় লাগবে। কারণ এসব বিষয়ে দাপ্তরিক সার্কুলার জারি করতে হবে। প্রশাসনিক প্রক্রিয়ায়ে দাপ্তরিক সার্কুলার জারি করতে কিছু সময়ের প্রয়োজন হবে।

শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির মধ্যে কিছু কিছু বিষয়ে যে দুরত্ব তৈরি হয়েছিল, আজকের বৈঠকের মাধ্যমে তা দূরীভূত হয়েছে। এখন থেকে উভয় সংস্থা শেয়াবাজার উন্নয়নে একযোগে কাজ করবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বিএসইসি এমন সাফল্যজনক আলোচনার একদিন পরেই অর্থাৎ আগামীকাল (বুধবার) শেয়ারবাজারের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করবেন বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবায়েত উল ইসলাম। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেন বিএসইসির চেয়ারম্যানের এই স্বাক্ষাৎ বাজারের জন্য আরও ভালো কিছু বয়ে আনবে বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।

তারা মনে করেন, অতিতেও বাজার যখন অতিরিক্ত খারাপ হয়েছিলো, ঠিক তখনই প্রধানমন্ত্রী বিষয়টিকে নিজ হাতে কন্ট্রোল করে বাজারকে স্থিতিশীলতার দিকে নিয়ে এসেছে। বর্তমানে বাজার অনেক ভালো রয়েছে। কিন্তু বাজারে টানা কারেকশনের কারণে বিনিয়োগকারীদের মাঝে যে অস্থিতিরতা তৈরি হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনা ফেলে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা ফিরে আসবে এবং বাজার স্বাভাবিক গতিতে এগুবে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ সাধারণ বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিশোদের সাধারণ সম্পাদক কাজী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, অতিতেও বাজারের খারাপ সময়ে প্রধানমন্ত্রী আমাদের বাজারকে স্থিতিশীল করার জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছিলেন। আমরা মনে করি পূর্বের ন্যায় বাজারের বর্তমান অস্থিরতাকে দুরীভূত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী ভালো দিক নির্দেশনা দিবেন।