দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের উঠানামার মধ্যে লেনদেন চলছিল। তবে বিনিয়োগকারিদের দ্বিধাদ্বন্দের কারনে সূচকের তেমন একটা উন্নতি লক্ষ্য করা যায়নি। এছাড়া করোনা পিছু ছাড়ছে না পূঁজিবাজারের। সব মিলিয়ে পুঁজিবাজারে গোমট একটা ভাব কাজ করছে। তার মধ্যে শঙ্কা কাটিয়ে ৩ খাতের ক্রয়ের চাপে সূচকের দরপতন ঠেকালো।

সূচক ৭ হাজারের ঘরে ঘুরপাক খাচ্ছে। আজ পুঁজিবাজারে লেনদেনে অংশ নেয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে বেশিরভাগেরই শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে। একই সাথে বেড়েছে টাকার পরিমাণে লেনদেনও। তবে সপ্তাহের তৃতীয় দিনের লেনদেনে শেয়ার কেনা বেচায় অনেকটা বিভ্রান্তিতে ছিল বিনিয়োগকারীরা। লেনদেনের শুরুতে সূচকের যে উত্থান আর লেনদেনের যে গতি ছিল সেটি শেষের দুই ঘণ্টায় ছন্দ হারিয়েছে।

মঙ্গলবার বেলা ১২ টাকা ৫২ মিনিট পর্যন্ত সূচক আগের দিনের চেয়ে ৪২ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছিল ৭ হাজার ৯৭ পয়েন্টে। তবে দিন শেষে বাড়তি সূচকের প্রায় পুরোটাই কমে আসে। আগের দিনের তুলনায় কেবল ০.৪৩ পয়েন্ট যোগ হয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে।

লেনদেনে ১৮৪ কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে। কমেছে ১৪৬টি কোম্পানির। দর পাল্টায়নি ৪৮টি কোম্পানির। সূচক অবস্থান ধরে রাখতে পেরেছে বস্ত্র, প্রকৌশল, ওষুধ ও রসায়ন খাতের শেয়ারের দর বৃদ্ধির কারণে।

বস্ত্র খাতে এদিন ৭১ শতাংশ বা ৪২টি কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে। বিপরীতে কমেছে ৯টির। বাকি কোম্পানিগুলোর দর ছিল অপরিবর্তিত। প্রকৌশল খাতে ৬৯ শতাংশ বা ২৯টি কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে। কমেছে ২৩ শতাংশ বা ১০টি কোম্পানির। বাকিগুলোর দর ছিল অপরিবর্তিত।

ওষুধ ও রসায়ন খাতে ৭৪ শতাংশ বা ২৩টি কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে। অন্যান্য খাতের মধ্যে ব্যাংক খাতের ৫৩ শতাংশ কোম্পানির, আর্থিক খাতের ৪৫ শতাংশ আর মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতের ৩৯ শতাংশের দর বেড়েছে।

সূচকের উঠানামা থাকলেও বিনিয়োগকারীদের সক্রিয় হতে শুরু করার লক্ষণ স্পষ্ট লেনদেনে। দিন শেষে হাতবদল হয়েছে এক হাজার ৭১২ কোটি ৮৭ লাখ ৯৭ হাজার টাকার শেয়ার, যা আগের দিন ছিল ১ হাজার ৬৮৬ কোটি টাকা। সদ্য সমাপ্ত বছরের শেষ মাসে লেনদেন তলানিতে নেমে আসার পর চলতি বছর এ নিয়ে টানা ১২ ‍কর্মদিবস হাজার কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে পুঁজিবাজারে।