দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই সদস্যভুক্ত) আরও তিনটি ব্রোকারেজ হাউসকে অনুমোদন দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এসব ব্রোকারেজ হাউসকে শেয়ার কেনাবেচা করার জন্য ট্রেক সনদ (ট্রেডিং রাইট এনটাইটেলমেন্ট সার্টিফিকেট) দেবে ডিএসই। সম্প্রতি ডিএসই’র ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে নতুন ট্রেক অনুমোদন-সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে। এগুলো হচ্ছে এসকিউ ওয়্যার অ্যান্ড ক্যাবল কোম্পানি, ফারিহা নিট টেক্স ও গিবসন সিকিউরিটিজ।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বিএসইসি নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র রেজাউল করিম বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানগুলো যেন দ্রুত বাণিজ্যিক কার্যক্রমে আসতে পারে, এ জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের কথা বলা হয়েছে।’

গত বছরের ৪ সেপ্টেম্বর নতুন ৫৫টি ব্রোকারেজ হাউস বা ট্রেককে (ট্রেডিং রাইট এনটাইটেলমেন্ট সার্টিফিকেট) লাইসেন্স দেয় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। এদের একটি সাকিব আল হাসানের মোনার্ক। এটি আগামী সপ্তাহে কার্যক্রম শুরু করবে। বাকিগুলো কবে কার্যক্রম শুরু করবে, সে বিষয়টি এখনও নিশ্চিত নয়।

এর আগের নতুন করে ট্রেক বা ব্রোকারেজ হাউসের সার্টিফিকেট পেতে ৬৬টি প্রতিষ্ঠান আবেদন করে। এখান থেকে ডিএসই ১৫টি প্রতিষ্ঠানের আবেদন বাতিল করে ৫১টি প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন দিতে বিএসইসির কাছে পাঠায়। পরে আরও ৪টি প্রতিষ্ঠান যুক্ত করে ১৮ মে ৩০টি, ২১ জুন ২৬টি ও ২৬ আগস্ট ৯টি ব্রোকারেজ হাউসকে অনুমোদন দেয়া হয়।

নতুন স্টেকহোল্ডারদের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে লাইসেন্স বিতরণ করেন বিএসইসি চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম। নতুন তিনটি অনুমোদন পাওয়ায় এখন এ তালিকা বেড়ে হয়েছে ৫৮টি। এতে ডিএসইর সদস্যভুক্ত ব্রোকারেজ হাউস বা ট্রেকের সংখ্যা দাঁড়াবে ২৮৩টিতে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএসই’র প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) এম. সাইফুর রহমান মজুমদার বলেন, ‘ডিএসই’র সদস্যভুক্ত আরও ৩টি ব্রোকারেজ হাউসকে অনুমোদন দিয়েছে বিএসইসি। এর ফলে নতুন ব্রোকারেজ হাউসের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৮টি। নতুন ট্রেক লাইসেন্স প্রাপ্ত ব্রোকারেজ হাউসগুলো যাতে দ্রুত বাণিজ্যিক কার্যক্রমে আসতে পারে সে জন্য ডিএসই’র পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে।’

উল্লেখ্য, ট্রেক হলো শেয়ারবাজারে লেনদেন করার জন্য মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠান, যার মাধ্যমে বিনিয়োগকারীরা শেয়ার কেনাবেচা করতে পারেন।