এরশাদ খালেদাআহসান আমীন, ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদ গৃহবন্ধি। খালেদা জিয়া বাড়িতে বন্দি  এরশাদ হাসপাতালে বন্ধি। খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসভবনে অবরুদ্ধ। ৭৯ নম্বর সড়কের ‘ফিরোজা’ নামে তার বাসভবনকে ঘিরে র‌্যাব-পুলিশের কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা আরও বাড়ানো হয়।

সকালে পূর্ব ও পশ্চিম পাশের রাস্তা থেকে বালুভর্তি ট্রাক এনে দুই পাশে আড়াআড়িভাবে রাখা হয়। একইভাবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যসংখ্যা বাড়ানো হয়। পুলিশি নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যেই দিনাতিপাট কাটছে খালেদা জিয়ার। অন্যদিকে হাসপাতালে বসে গলফ আর খেলে দিন কাটছে এরশাদের। বিএনপির হাজার হাজার রাজনৈতিক কর্মী কারাগারে।

দেশের সর্বোচ্চ আদালত কলঙ্কিত হয়েছে। ব্যারিস্টার রফিক-উল হকের ভাষায় জানাজা পাঠ হয়ে গেছে। সাংবাদিকদের মিলনস্থল জাতীয় প্রেস ক্লাবের গায়ে কলঙ্ক লেপে দেয়া হয়েছে। দেশের দু’রাজনৈতিক দলের কাছে ১৬ কোটি মানুষ জিম্মি হয়ে পড়ছে।

এ পরিস্থিতিতে বুধবার বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে প্রায় দেড় ঘণ্টা বৈঠক করেন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মোজেনা। বৈঠক শেষে লিখিত বিবৃতিতে মোজেনা বলেন, বিরোধী দলকে তার মত প্রকাশের সুযোগ দেওয়া উচিত। সুপ্রিম কোর্ট, প্রেসক্লাব ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রবিবার সংঘটিত ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগের কথা জানান তিনি।

রাষ্ট্রদূত বলেন, এগুলো গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার পরিপন্থী। কোনোভাবেই যেন এ ঘটনাগুলোর পুনরাবৃত্তি না ঘটে সে ব্যাপারে আমরা অনুরোধ করছি। একইভাবে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পথ খোঁজা জরুরি বলেও মন্তব্য করেন মোজেনা।

বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত একজন নিরাপত্তাকর্মী আজকের বাংলাদেশকে জানান, গত কয়েক দিনের তুলনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আরও বেশি সদস্যকে অবস্থান নিতে দেখা যায়। পুব পাশে নিরাপত্তা জোরদারে আরও একটি বাঁশের ব্যারিকেড তৈরি করা হয় বলে জানান তিনি।