স্টাফ করেসপসীমান্তে বাড়তি নিরাপত্তার ন্ডেন্ট, ঢাকা: ভারতের পশ্চিম বঙ্গে বাংলাদেশের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত রাজনীতির নেতিবাচক কোন প্রভাব যাতে পড়ে, তার জন্য সীমান্ত জুড়ে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করছে ভারত। সীমান্ত সিল করা থাকবে জানুয়ারির চার থেকে ছয় তারিখ পর্যন্ত।

স্থল ও পানিপথে নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফকে । স্পিড বোট ব্যবহার করে পানিপথ পাহারা দেবে বিএসএফ। এলাকার থানাগুলোকে সতর্ক করা হয়েছে সীমান্তবর্তী।

ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অনিল গোস্বামী পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে মঙ্গলবার কলকাতায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠক করেছেন।

পশ্চিমবঙ্গের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার বিষয় নিয়েই মূলত বৈঠকটি ছিল। সে সঙ্গে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা ও নির্বাচনের প্রসঙ্গ এই বৈঠকে আলোচিত হয়েছে।

জানা গেছে বাংলাদেশের সাথে পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত অঞ্চলের পরিস্থিতি নিয়ে বিএসএফ এবং রাজ্য পুলিশের প্রধান আলাদা আলাদা রিপোর্ট দিয়েছেন।জানা গেছে, সে সব রিপোর্টে তেমন কোনো উদ্বেগের কথা না থাকলেও সম্ভাব্য কয়েকটি পরিস্থিতি আর সেগুলি বাস্তবে ঘটলে কী করণীয় সেগুলোও আলোচিত হয়েছে মঙ্গলবারের বৈঠকে।

বৈঠকের পশ্চিমবঙ্গের স্বরাষ্ট্র সচিব বাসুদেব ব্যানার্জী বলছেন বাংলাদেশের নির্বাচনের আগের দিন অর্থাৎ ৪ জানুয়ারি থেকে আন্তর্জাতিক সীমান্ত সিল করে দেয়া হবে যা ৬ তারিখ পর্যন্ত বলবত থাকবে।বলা হয়েছে, বৈধভাবে লোক বা পণ্য চলাচল বন্ধ না হলেও এই তিনদিন চেকপোস্ট গুলোতে কড়া নজরদারি থাকবে।

বিএসএফের পূর্বাঞ্চলীয় প্রধান বিডি শর্মা আগেই জানিয়েছিলেন ইতিমধ্যেই তারা শুধু দক্ষিণ বঙ্গ সীমান্তেই বাড়তি দু ব্যাটালিয়ন অর্থাৎ আড়াই হাজার বিএসএফ সদস্য মোতায়েন করেছেন।গত একমাসে বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায় ৫০ কেজি বিস্ফোরক বাংলাদেশে পাচার হওয়ার সময়ে আটক হয়েছে বিএসএফের হাতে।

সহিংসতার কারণে বাংলাদেশে থেকে বিশেষত হিন্দুরা পশ্চিমবঙ্গে ঢোকার চেষ্টা করতে পারে বলে ভারতের আশঙ্কা রয়েছে। তেমন কিছু হলে মানবিকভাবে তা সামাল দেওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে বিএসএফকে।

তবে স্বরাষ্ট্র সচিবের মঙ্গলবারের আজকের বৈঠকে বা বিএসএফ কর্মকর্তাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী এরকম কোনো পরিসংখ্যান নেই, যাতে এমনটা মনে করা যায় যে প্রচুর বাংলাদেশী নাগরিক ভারতে চলে আসছেন।