স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,ঢাকা: গোপালগঞ্জের নাম বদলে দেখালেদা জিয়ারয়া সংক্রান্ত বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বিরোধী দলীয় নেতা ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা মানহানি মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুপুর ১২টায় শুনানি শুরু হয়ে শেষ হয় সোয়া ১২টায়। আদেশ দেয়া হবে পরে।

মামলায় বাদীর পক্ষে শুনানি করেন ঢাকা বারের সাবেক সভাপতি শেখ হেমায়েত হোসেন। তিনি বলেন, ‘বেগম জিয়ার ওই দিনের  বক্তব্য মিডিয়ার মাধ্যমে সারা বিশ্ববাসী দেখেছে। গোপালগঞ্জে কয়েক লাখ লোক বাস করেন। তারা এ বক্তব্যে ব্যথিত ও অপমানিত হয়েছেন।’তিনি আসামির বিরুদ্ধে সমন জারির জন্য বিচারকের প্রতি আবেদন জানান।এর আগে বাদীর বক্তব্য শোনেন আদালত।

মামলা দায়েরের দিন আসামি পক্ষের কোনো বক্তব্য দেয়ার সুযোগ না থাকলেও বাদী পক্ষের শুনানির শেষ হওয়ার পর খালেদা জিয়ার পক্ষে অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া, অ্যাডভোকেট মোর্শেদ মিয়া আলম, অ্যাডভোকেট খোরশেদ আলম, অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন মেজবাহ শুনানিতে  অংশ নেন।

অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া বলেন, ‘গোপালগঞ্জবাসীকে অপমান করার উদ্দেশ্যে তিনি কিছু বলেননি।’নাম পাল্টে ফেলার যে কথা মিডিয়ায় এসেছে সে বিষয়ে তিনি বলেন, ‘নাম বদলে আমরা মুজিবনগরও রাখতে পারি ‘এসময় পেছন থেকে কোনো কোনো আইনজীবী ইসলামাবাদ রাখার কথা বলেন।

তখন সানাউল্লাহ মিয়া পেছনে ফিরে তাদের ধমক দেন। এর পর অ্যাডভোকেট মোর্শেদ আলম বলেন, ‘গোপালগঞ্জবাসীর প্রতি আমাদের অনেক শ্রদ্ধা রয়েছে।’

বাদীর বক্তব্যের সূত্র ধরে তিনি বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমান শেখ মুজিবের মাজার জিয়ারত করেছেন। আমরা যখন বারে ছিলাম তখন আমরা তার জন্য দোয়া করেছি।’এর পর বিচারক পরে আদেশ দেবেন বলে এজলাস থেকে নেমে যান।

বুধবার সকাল ১০টায় মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূরের আদালতে দণ্ডবিধির ৫০০  ও ৫০৪ ধারায় মামলাটি দায়ের করেন বাংলাদেশ আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মো. মুজিবুর রহমান মোল্লা।