বেনাপোল:  বেনাপোল benapol_kastomকাস্টম হাউসে  চলতি ২০১৩-১৪ অর্থ বছরের  ৬ষ্ঠ মাসে রাজস্ব আদায়ে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪১.২৯ কোটি টাকা কম রাজস্ব আদায় হয়েছে। গত অর্থ বছরের ঠিক একই সময়ে ৫০.৭৯ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় কম হয়েছিল।

কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ২০১৩-১৪ অর্থ বছরে বেনাপোল কাস্টম হাউসে জুলাই মাসে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৮৩.১৬ কোটি টাকা। আদায় হয়েছে ২৪০.৮০ কোটি  টাকা। আগস্ট মাসে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৯৩.৪৫ কোটি  টাকা। আদায় হয়েছে ১৩৬.৮৩ কোটি টাকা।

এবং সেপ্টেম্বর মাসে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৮৩.১৬ কোটি টাকা। সেখানে রাজস্ব আদায় হয়েছে ২১৯.৩০ কোটি টাকা। অক্টোবর মাসে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৯৮.৩৩ কোটি টাকা। সেখানে রাজস্ব আদায় হয়েছে ১৬৮.০৫ কোটি টাকা। নভেম্বর মাসে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৮৭.৯০ কোটি টাকা।

সেখানে রাজস্ব আদায় হয়েছে ১৬১.১০ কোটি টাকা। ডিসে¤¦র মাসে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৮৭.৯০ কোটি টাকা। সেখানে রাজস্ব আদায় হয়েছে ১৪৬.৬১ কোটি টাকা
গত ২০১২-২০১৩ অর্থ বছরের ৬ মাসে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১২৬৪.২০ কোটি টাকা। সেখানে আদায় হয়েছিল১০২৮.৪১ কোটি  টাকা।

বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যসোসিয়েশনের কাস্টম বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব নাসির উদ্দিন জানান, বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়েই সম্পন্ন হচ্ছে ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্যের সর্ববৃহৎ অংশ। সরকার বছরে হাজার হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আয় করছে এই বন্দর থেকে। অথচ কেউ বন্দরের অবকাঠামো এবং পরিকাঠামোগত বিদ্যমান বিভিন্ন সমস্যা নিরসন করতে উদ্দ্যোগ নিচ্ছেন না।

দীর্ঘদিনের বিরাজমান সমস্যা গুলোর কারণে ব্যবসায়ীরা ও বন্দর ব্যবহারকারীরা নিত্যদিন হয়রানি ও নানামুখি অসুবিধার সম্মুখিন হচ্ছেন । গুরুত্বপূর্ন এই বন্দরটিতে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়ে দেশের অর্থনৈতিক ক্ষতি হোক আমরা তা চাই না।এসব কারণে গত অর্থবছরে বেনাপোল কাস্টম হাউসে রাজস্ব আদায়ে ধস নামে।

গত মাসে নতুন কমিশনার হিসাবে মাহবুবউজ্জামান বেনাপোল কাস্টমস হাউসে যোগদান করার পর বন্দরে কিছুটা গতিশীলতা ফিরে এসেছে এবং অন্য বর্ডার থেকে ব্যবসায়ীরা আবার বেনাপোল বন্দরে ফিরে আসতে শুরু করেছে কিন্তু একের পর এক ধর্মঘট,হরতাল ও অবরোধের কারণে দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোল আবার ও রাজস্ব ঘাটতির দিকে  যাচ্ছে ।

এ ব্যাপারে বেনাপোল কাস্টমসের যুগ্ম কমিশনার-১ ফাইজুর রহমান জানান, চলতি অর্থবছরের জুলাই ও সেপ্টেম্বর মাসে আমাদের গাড়ি আমদানি বেশি হয়েছে। তাছাড়া উচ্চ শুল্কযুক্ত পণ্য আমদানি হবার কারণে এই দু-মাসে আমাদের রাজস্ব আদায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কিছুটা বেশি হলেও আগষ্ট,অক্টোবর,নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে লক্ষ্যমাত্রাপূরণ হয়নি।
এ ব্যাপারে বেনাপোল বন্দরের পরিচালক ড. মল্লিক আনোয়ার হোসেন জানান, বেনাপোল বন্দরটি  বারবার হরতাল,অবরোধ আর বন্ধের কবলে পড়ে টার্মিনালসহ বন্দর অভ্যন্তরে  পণ্যজট দেখা দেয়। এসব ঝামেলার কারণে অনেক আমদানিকারকরা অন্য বন্দরে চলে গেছে।