স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,ঢাকা: বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজেরুহুল আমিন গাজী বলেন, আওয়ামী সন্ত্রাসী দ্বারা ২৯ ডিসেম্বর প্রেসক্লাব আক্রমণের শিকার হয়েছে। এদিন বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি কালো দিন। এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা প্রেসক্লাবের ইতিহাসে পূর্বে কখনও ঘটেনি।

বুধবার দুপুরে বিএফইউজে সভাপতি রুহুল আমিন গাজী এসব কথা বলেন। এসময় তিনি দিনটিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের কালো দিবস হিসেবে ঘোষণা দেন।ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন আয়োজিত জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে সদস্যদের পরিচয়পত্র প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ ঘোষণা দেন।তিনি বলেন, ‘প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নির্ধারণ করবেন কে ঢুকবে আর ঢুকবে না। অন্য কারও অধিকার নেই প্রেসক্লাবে কাউকে ঢুকতে বাধা দেয়ার।’

গাজী আরো বলেন, ‘এই পরিচয়পত্র প্রেসক্লাবে ঢোকার সময় ব্যবহার হবে অন্যথায় প্রদর্শন করার জন্য নয়, পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য ব্যবহৃত হবে। ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন সদস্যদের পরিচয়পত্র জাতীয় প্রেসক্লাবে ঢোকার জন্য দেখাতে হবে না।’

৫ জানুয়ারি প্রহসনের নির্বাচন বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে এত ভয় কেন? কেননা সুষ্ঠু নির্বাচন হলে দেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে ভোট দিবে না। ২৯ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগ সমর্থিত বহিরাগতরা প্রেসক্লাবে ঢুকে সাংবাদিকদের উপর হামলা করেছে উল্লেখ করে তিনি দিনটিকে কালো দিবস হিসেবে অভিহিত করেন।’

তিনি পুলিশ কমিশনার বেনজীর আহমেদকে উদ্েেদ্শ্য বলেন,আপনাকে ক্ষমা চাইতেই হবে কারণ আপনি প্রেস ক্লাব নিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা গ্রহণযোগ্য নয়।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি আবদুল হাই শিকদার বলেন, ‘পরিচয়পত্রধারী ডিইউজে সদস্যদের গণপরিবহনে চড়ার ক্ষেত্রে ৫০ ভাগ রেয়াতের জন্য বিআরটিসির সঙ্গে কথা চলছে এবং এটিকে হেলথকার্ড হিসেবে ব্যবহার করা যায় কিনা সে বিষয়েও চিন্তা ভাবনা চলছে। তবে খেয়াল রাখতে হবে কেউ যাতে এই কার্ডের অপব্যবহার না করতে  পারে।’

তিনি আরো বলেন, ‘ফ্যাসিবাদী, মিথ্যাবাদী ও অবৈধ সরকারের নির্বাচন বাতিল করার জন্য সাংবাদিক সমাজ দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।’

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের ৬৭ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম সদস্যদের পরিচয়পত্র বিতরণ করা হয়েছে। এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সংগঠনের শতাধিক সদস্যের হাতে পরিচয়পত্র তুলে দেয়া হয়। সংগঠনটির ২৯টি নির্বাচনী অঙ্গিকারের একটি ছিল সদস্যদের পরিচয়পত্র প্রদান।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শওকত মাহমুদ বলেন, ‘ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন সর্বপ্রথম রাজনৈতিক কারণে ১৯৯২ সালে বিভক্ত হয়ে যায়।’সংগঠনটির নেতারা জানান অনেক যাচাই-বাছাইয়ের পর সদস্যদের এই পরিচয়পত্র দেয়া হয়েছে বলে । তারা বলেন, ‘ডিইউজের সদস্য পরিচয়ে অনেকেই নানা দুর্নীতি এবং অনৈতিক কাজে জড়িত বলে জানা গেছে। ডিইউজের পরিচয়পত্র বহনকারী কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে অনৈতিক কাজে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে তার সদস্যপদ সঙ্গে সঙ্গে বাতিলসহ কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, দপ্তর সম্পাদক কাদের গণি চৌধুরী, ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, শরীফ আবদুল গোফরান প্রমুখ।