প্রধানমন্ত্রী আহসান আমীন, ঢাকা: আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, খালেদা জিয়া যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে চান। বিএনপি’র নেত্রী বরাবরই উল্টো পথে হাঁটতে পছন্দ করেন।‘মানুষ যা চায় আ’লীগ সেই কাজ করতে সর্বদা সচেষ্ট থাকে।  নির্বাচনী পথসভায় বুধবার কাফরুল আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তিনি এ কথাগুলো বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নেত্রীর বিশেষ দুইটি গুণ আছে,আর এ বিশেষ দুটি গুন হচ্ছে দুর্নীতি আর মানুষ হত্যা করা।উনার কাজ হলো মানুষ হত্যা করা, জ্বালাও-পোড়াও জানমালের ক্ষতি সাধন করা।

ওনি (খালেদা জিয়া) বোমাবাজি ও মানুষ খুন ছাড়া আর কিছু বোঝেন না।আমি তাকে ফোন করে বিভিন্নভাবে নির্বাচনে আনার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু জামায়াত যেহেতু নির্বাচন করতে পারবে না। সেই দুঃখে খালেদা জিয়া নির্বাচনে আসেননি।’

শেখ হাসিনা ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে সবাইকে ভোট দেয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আগামী নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। আপনারা কামাল আহমেদ মজুমদারকে ভোট দিয়ে আমাদের আবারও আপনাদের সেবা করার সুযোগ দিন।’

তিনি বলেন, এখনো সক্রিয় আছে ‘এক-এগারোর কলাকুশলীরা । তারা চায় আবার এক-এগারো। কারণ গণতান্ত্রিক সরকার থাকলে তাদের কদর থাকে না। অসাংবিধানিক সরকার এলে তাদের কদর বেড়ে যায়।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে অব্যাহত রাখার জন্য এই নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা আপনাদের সমস্যা মেটাতে চাই সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠন করে ।’তিনি বলেন, ‘আ’লীগ সরকার গঠনের পর নতুন ট্রেন, ফ্লাইওভার ও হাতিরঝিল করেছি। সমাধান করেছি পানির সমস্যার । বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধান করেছি। বিদ্যুৎ উৎপাদন ১০ হাজার মেগাওয়াট করেছি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে আজ খাদ্য ঘাটতি নেই। চালের দাম নিয়ন্ত্রণে রেখেছি। বিভিন্নভাবে মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছি। শ্রমিকদের জন্য ১৬ থেকে ৫ হাজার ৩০০ টাকা মজুরি বৃদ্ধি করেছি। বিএনপি ক্ষমতায় এসে একটি স্কুলও করেনি। আমরা ঢাকায় ১১টি স্কুল সরকারি করেছি। বিনামূল্যে যথাসময়ে ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে বই তুলে দিয়েছি, যা আওয়ামী লীগ সরকার ছাড়া আর কেউ করেনি।’

ঢাকা-১৫ আসনের সংসদ কামাল আহমেদ মজুমদারের সভাপতিত্বে সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজ, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এনামুল হক শামীম, যুবমহিলা লীগের সভাপতি আশরাফুনেছা মোশাররফ, যুবলীগ উত্তরের সভাপতি মাঈনুল হোসেন নিখিল প্রমুখ।