স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,ঢাকা: বিএনস্পিকারের -বিএনপিপি’র নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের নেতা ও বিএনপি’র চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে কি কারণে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে সে বিষয়ে স্পিকার শিরিন শারমিনের হস্তক্ষেপ কামনা করে স্মারকলিপি দিয়েছে বিএনপি।

বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় স্পিকারের সাথে সাক্ষাৎ করে এ স্মারকলিপি হস্তান্তর করেন।বিরোধী দলের চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক ৮ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন।

স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, নবম জাতীয় সংসদ এখনো বহাল রয়েছে। সে হিসেবে বেগম খালেদা জিয়া বিরোধী দলীয় নেতা। অথচ গত ২৪ ডিসেম্বরের পর থেকে বেগম খালেদা জিয়াকে তার বাসভবনে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। নেত্রীর সাথে কাউকে সাক্ষাৎ করতে দেওয়া হচ্ছে না। এমনকি তাকে বাসা থেকেও বের হতে দেওয়া হচ্ছে না। এ অবস্থায় অবরুদ্ধের কারণ জানতে স্পিকারের হস্তক্ষেপ প্রার্থনা করা হয়েছে।

জয়নুল আবদিন ফারুক পরে সাংবাদিকদের জানান, খালেদা জিয়াকে কি কারণে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে তা জানতে স্পিকারের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে। এ ব্যাপারে স্পিকার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে কথা বলবেন বলে আমাদের আশ্বস্ত করেছেন।

বৃহস্পতিবার সকালে বিএনপি সংসদীয় প্রতিনিধি দলের পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে বিরোধী দলের চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, খালেদা জিয়া এখনো বিরোধী দলের নেতা তাকে কি সরকার গ্রেফতার, অবরুদ্ধ না গৃহবন্দি করে রেখেছে কিনা জনগণ জানতে চায় বলে আমরা স্পিকারের কাছে স্মারকলিপি জমা দিতে এসেছি।

জয়নুল বলেন, আমরা অত্যন্ত গভীর এবং মর্মাহত হয়ে আপনার বরাবর স্মারক লিপির মাধ্যমে জানাচ্ছি যে, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া গত ২৯ ডিসেম্বর মার্চ ফর ডেমোক্রেসি ঘোষণা দেয়ার পর থেকে নিজ বাসভবন গুলশানে অবরুদ্ধ হয়ে আছেন। যা দেশ-বিদেশে সকল গণমাধ্যমে প্রচার হয়েছে।

আমরা আপনার করণীয় বিষয়ে অবগত হতে চাই যে, একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং বর্তমান বিরোধী দলের নেতাকে কি কারণে সরকার অবরুদ্ধ করেছেন এবং বিরোধী দলীয় নেতার প্রটোকলের গাড়িসহ নিরাপত্তার সাথে সম্পৃক্ত সহায়কগুলো প্রত্যাহার করেছেন। এমনকি দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দকেও সাক্ষাত করতে দেয়া হচ্ছে না। বিএনপি চেয়ারপারসনকে তার রাজনৈতিক কার্যালয়ে যেতে দেয়া হচ্ছে না।

তিনি বলেন, সংসদ এখনো বহাল আছে, বিরোধী দলীয় নেতা এখনো স্বপদে আছেন। অথচ তার বাসভবন অবরুদ্ধ করে বাড়ির চারপাশে প্লাটুনের পর প্ল্টাুন পুলিশ, র‌্যাব পাহারা এবং বালু ভর্তি ট্রাক দিয়ে বাড়ির দুইধারের রাস্তা বন্ধ করে রাখা হয়েছে। এমনকি গণমাধ্যমের কর্মীদের তার বাড়ির সামনে অবস্থান করতে এবং প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না।

বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ বলেন, বিরোধী দল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে আছেন। সমগ্র দেশের জনগণ এই একদলীয় প্রহসনের নির্বাচনের তফসিল বাতিল করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ ব্যক্তির অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছেন। সরকার সেই দিকে লক্ষ্য না করে গায়ের জোরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে জনগণের দাবি উপেক্ষা করে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়ে যাচ্ছে।

ফারুক বলেন, স্পীকার আমদের স্মারকলিপি গ্রহণ করেছেন এবং আমাদের বলেছেন তিনি এব্যাপারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাথে যোগাযোগ করে বিষয়টি অবহিত করবেন।এছাড়া, আমরা রাষ্ট্রপতির সাথে সাক্ষাত করার জন্য সময় চেয়ে তার সামরিক সচিবের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি দুপুর একটার সময় জানাবেন বলে জানান।

বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুকের নেতৃত্বে অন্যান্য সংসদ সদস্যরা হলেন, মো: হারুনুর রশিদ, এ বি এম আশরাফ উদ্দিন নিজান, রেহেনা আক্তার রানু, সৈয়দা আশিফা আশরাফি পাপিয়া, নিলোফার চৌধুরী মনি, রাশেদা বেগম হীরা প্রমুখ।