টুকু-সাঈদস্টাফ করেসপন্ডেন্ট,ঢাকা: স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু আগামী ৫ই জানুয়ারীর একতরফা দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পাবনা-১ (বেড়া-সাঁথিয়া) আসনে আ’লীগের নৌকা প্রতীক নিয়েও চরম বিপাকে আছেন । তিনি র‌্যাব-পুলিশ সাহায্যে নির্বাচনী প্রচারণা চালালেও বিপাকে রয়েছেন বলে বিশেষ সুত্রে জানা গেছে। কারণ আ’লীগের বলিষ্ঠ নেতা ও সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ড. অধ্যাপক আবু সাঈদের সঙ্গে তার ভোটযুদ্ধ করতে হচ্ছে ।

সংস্কারপন্থী সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী আ’লীগের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তালা প্রতীক নিয়ে লড়ছেন নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে।

ভোটের সর্বশেষ প্রস্তুতি জানতে চাইলে আবু সাঈদ আজকের বাংলাদেশ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘আমিও আ’লীগের, তবে একটু ভিন্ন। কারণ আমি স্পষ্টবাদী আ’লীগ করি। আমার এই আসনে ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে আসতে পারলে আমাকে হারাতে পারবে না।’

তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাধার মধ্যদিয়ে আমাকে নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে হয়েছে। আমার নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দেয়া হয়েছে এবং সেই সঙ্গে নেতাকর্মীদের ঘড়ছাড়া করা হয়েছে।তাদের অপরাধ তারা আমার পক্ষে কাজ করছেন।’

সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমি এই এলাকার মানুষের স্বার্থে এই নির্বাচনে দাঁড়িয়েছি। গত পাঁচ বছর এই এলাকার মানুষকে শোষণ করা হয়েছে। তারা অতিষ্ঠ হয়ে আমার কাছে এসেছেন, বলছেন আপনি আমাদের মাঝে আসেন।’

সাঈদ অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে দুর্বৃত্তরা হুমকি দিয়ে এসেছে।তাদের ভোট দিতে আসতে বাধা দেয়া হবে। নেতাদের বাধা এক রকম আর পুলিশের বাধা অন্যরকম।’

অন্যদিকে, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী টুকু নির্বাচনী প্রস্তুতি নিয়ে আজকের বাংলাদেশ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এই নির্বাচনে আমার ধারে কাছেই আসতে পারবে না আমার বিপক্ষ প্রার্থী । নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতের আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীকে বিপুল ভোটে পরাজিত করেছি। আমি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে এই এলাকায় যত উন্নয়ন করেছি তা ইতিহাসে রেকর্ড। আমি আশাবাদী আমরা বিপুল ভোটে জিতবো।’

স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী টুকু বলেন, ‘যে দলকে বিপদে ফেলে আনন্দ পায় তাকে দিয়ে আর যাই হোক জনগণের উন্নয়ন সম্ভব নয়। বিপক্ষ প্রার্থীর নেতাকর্মীকে নির্বাচনী প্রচারনায় সে ভাবে দেখা যাচ্ছে না। যদি নেতাকর্মীরা প্রচার-প্রচারণা না করে তাহলে সে কিভাবে নির্বাচন করবে। সে তো এলাকা থেকে বিতাড়িত।’

১৮ দলীয় জোট নির্বাচন বর্জন করায় নিজেদের মধ্যেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে তুমুল। টুকুর বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আনা হলেও কোনো প্রতিকার হয়নি।