এরশাদআমিনুল ইসলাম, ঢাকা: সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ মধুর সঙ্কটে পড়েছেন। নির্বাচন বয়কট করেও তিনি সংসদ নির্বাচিত হয়ে গেছেন। তাও আবার বিপুল ভোটের ব্যবধানে। ঘোষণা দিয়ে নির্বাচন বর্জন করায় এখন এমপি হিসেবে শপথ নেওয়ার বিষয়টি হবে দারুণ হাস্যকর।

জাতির কাছে আরেক দফা ক্লাউন বা ভাড় হিসেবে পরিচিত হবেন তিনি। অন্যদিকে সাধা লক্ষী পায়ে ঠেলে দিলে বিপদই বাড়বে শুধু। এমন অবস্থায় তিনি কোন পথে হাঁটবেন তা নিয়ে কৌতুহলের শেষ নেই।

নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়ে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের আবেদন করেছিলেন এরশাদ। তবে নিয়মমাফিক না হওয়ায় এটি গ্রহণ করা সম্ভব নয় বলে জানায় নির্বাচন কমিশন।

রোববার সেই বর্জন করা নির্বাচনেই তিনি রংপুর-৩ আসন থেকে প্রায় ৩০ হাজার ভোটের ব্যবধানে জয়ী হন। নির্বাচন করা সত্ত্বেও তাকে দুৱহাত ভরে ভোট দেন রংপুরবাসী। নির্বাচনে ৫৫ হাজারের বেশি ভোট পান তিনি।

গত মাসের গোড়ার দিকে মহাজোটের শরীক জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান সবাইকে বিষ্মিত করে দিয়ে ঘোষণা করেন, সব দল নির্বাচনে না এলে তার দল তাতে অংশ নেবে না। নির্বাচন নিয়ে বেশ কয়েকবার অবস্থান বদলের এক পর্যায়ে তিনি অসুস্থ হয়ে সিএমএইচে ভর্তি হন।

আর তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা দিতে মাইক্রোবাসে করে তুলে নিয়ে যায় র‌্যাব সদস্যরা। স্ত্রী রওশন এরশাদের নেতৃত্বে তার দল জাতীয় পার্টির একাংশ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিলেও  হাসপাতাল থেকে এরশাদ নির্বাচন বর্জনের বার্তা পাঠিয়েছে বলে জানান দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা।

রোববার রাতে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য আহসান হাবিব লিংকন এক সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা করেন দলের চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ এ নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছন। তিনি এ নির্বাচন বাতিল করে নতুন নির্বাচন দেওয়ার দাইব জানান।