ঢাকা: বাংলাSayeeda_ Warsi_picদেশে নতুন সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোকে দেশ ও জনগণের স্বার্থে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছে ব্রিটেন। একই সাথে স্থিতিশীলতা, সমৃদ্ধি ও গণতান্ত্রিক   ভবিষ্যতের জন্য সহযোগিতা অব্যাহত রাখারও আশ্বাস জানিয়েছে দেশটি।

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের একদিন পর সোমবার ব্রিটিশ ফরেন অ্যান্ড কমনওয়েলথ অফিসের সিনিয়র মিনিস্টার ব্যারোনেস সাঈদা ওয়ারসি এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে সাঈদা ওয়ারসি বলেন, ‘বাংলাদেশের সংবিধানের বিধান অনুযায়ী নির্বাচনের ঘোষিত ফলাফল আমরা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। একটি পরিপক্ক, কার্যকরী গণতন্ত্রের প্রকৃত চিহ্ন শান্তিপূর্ণ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনে যাতে জনগণের প্রকৃত ইচ্ছার বহিঃপ্রকাশ ঘটে- বিশ্ব সম্প্রদায়ের মতো ব্রিটেনও এটি বিশ্বাস করে।

বাংলাদেশের প্রায় অর্ধেক আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না হওয়ায় জনগণ ভোট প্রদানের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছে। আর যেসব আসনে নির্বাচন হয়েছে সেসব আসনে ভোটও পড়েছে অনেক কম।’

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সাম্প্রতিক সহিংসতায় হতাহত ও রাজনৈতিক হয়রানির ঘটনায় উদ্বেগ ও নিন্দা জানিয়ে সাঈদা ওয়ারসি বলেন, ‘অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, সাম্প্রতিক সপ্তাহে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সংগঠিত সহিংস ঘটনায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মীরা জড়িত হয়েছেন। স্কুল ও কলেজসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আক্রমণ, অগ্নিসংযোগসহ সাধারণ মানুষকে ভীতি প্রদর্শনের ঘটনা ঘটেছে।’

সহিংসতায় হতাহত, রাজনৈতিক হয়রানির ঘটনার নিন্দা জানান তিনি। গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে ও আগামীতে সহিংসতা এড়িয়ে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পথ খুঁজতে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর এক সঙ্গে কাজ করা জরুরি বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থে কাজ করার জন্য নতুন সরকার ও সব রাজনৈতিক দলকে আহ্বান জানাই।’বাংলাদেশকে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে উল্লেখ করে তিনি জানান, ‘বাংলাদেশের অধিকতর স্থিতিশীলতা, সমৃদ্ধশালী ও গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের জন্য যুক্তরাজ্য তার সহায়তা অব্যাহত রাখবে।’