milk vitaবিশেষ প্রতিবেদক, ঢাকা: টানা হরতাল-অবরোধে দেশের অর্থনীতি ধ্বংসের ধারপ্রান্তে। তেমনি নাজুক হয়ে উঠছে দেশের সবচেয়ে বড় দুধ ও দুধজাত পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান মিল্কভিটার কার্যক্রম। অবরোধে স্বাভাবিক চলাচল ব্যাহত হওয়ায় দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে দুধ সংগ্রহ করে ডিপোতে পাঠানো যাচ্ছে না।

ফলে উৎপাদিত পণ্য সরবরাহ করা যাচ্ছে না বিক্রয়কেন্দ্র ও এজেন্টের কাছে। সংস্থাটির পণ্য বিক্রিতে তাই ধস নেমেছে। গত  ডিসেম্বর মাসে মিল্কভিটাতে শুধু দুধ বিক্রি কমেছে প্রায় ৩৪ শতাংশ। টাকার অংকের এর পরিমাণ প্রায় সাড়ে ৮ কোটি টাকা।

বিদায়ী বছরের ডিসেম্বর মাসে মিল্কভিটা ২৯ লাখ ৩৮ হাজার লিটার দুধ বিক্রি করেছে,যার মূল্য ১৬ কোটি ৪৭ লাখ টাকা।

২০১২ সালের ডিসেম্বরে ৪৪ লাখ ২৪ হাজার লিটার তরল দুধ বিক্রয় হয়েছিল; আর তার মূল্য ছিল প্রায় ২৫ কোটি টাকা। আগের বছরের তুলনায় ২০১৩ সালের ডিসেম্বর মাসে ১৫ লাখ ৮ হাজার লিটার দুধ কম বিক্রি হয়েছে।

মিল্কভিটা সূত্রে জানা জানা গেছে, ২০১২ সালের ডিসেম্বর মাসে দুধসহ অন্যান্য সকল পণ্য বিক্রয় করে মিল্কভিটা মাসে ৩০ কোটি ৩০ লাখ টাকা আয় করে। গত বছরের ডিসেম্বরে তা কমে ২১ কোটি ৪২ লাখ টাকায় নেমে আসে।আগের বছরের তুলনায় গত বছরের ডিসেম্বর মাসে সামগ্রিক আয় কমেছে ৮ কোটি ৮৮ লাখ টাকা।

এ বিষয়ে মিল্কভিটার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী আজকের বাংলাদেশ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, ডিসেম্বর মাসে ২১ দিন অবরোধ ও হরতাল কর্মসূচী ছিল। এ কারণে সংস্থার বিক্রিতে ধ্বস নেমেছে।

পুলিশি নিরাপত্তা সত্ত্বেও সম্প্রতি মিল্কভিটার ট্যাংকার অবরোধকারীদের হামলার শিকার হয়ছে। এর মধ্যে ৭ টি ট্যাংকার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর ২ জন চালক গুরুতর আহত হয়েছেন।
তবে এসব কর্মসূচির মধ্যেও চরম ঝুঁকি নিয়ে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে মিল্কভিটার ট্যাংকারে করে দুধ পরিবহন করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।