খালেদাস্টাফ করেসপন্ডেন্ট,ঢাকা: বিএনপি’র নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট নেতা ও বিএনপি’র চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে জামায়াত-শিবিরের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে, তার উত্তরে তিনি বলেন, ‘জামায়াতের সঙ্গে আমাদের কোনো স্থায়ী জোট নেই।

তবে এই মুহূর্তে আমি পারছি না, কিন্তু যখন সময় আসবে তখন দেখা যাবে।খালেদা বলেন, জমায়াত-শিবিরকে যদি সরকার বড় ফ্যাক্টর মনে করে তাহলে ক্ষমতশীনের উচিত জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করা। তা হলেই তো সমস্ত সমস্যার সমাধান হয়ে যায়।
সোমবার নিউইয়র্ক টাইমসের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকালে খালেদা জিয়া এ আভাস দেন।
১৯৯৮ সালের চারদলীয় জোটের (বর্তমান ১৮ দলীয় জোট) প্রধান খালেদা জিয়া তার রাজনৈতিক মিত্র জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে রাজনৈতিক সম্পর্ক ত্যাগ করার ইঙ্গিত দিয়েছেন।

নির্বাচন পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপিকে ‘সহিংসতা’ এবং ‘জঙ্গী’ জামায়াতকে ছেড়ে সংলাপে আসার আহবান জানান। তিনি আরো বলেন, ‘যতদিন না বিএনপি’র কাধে জামায়াত থাকবে ততদিন কোনো গঠনমূলক আলোচনা সম্ভব নয়।’

সোমবার বিবিসি বাংলাকে দেয়া আরেক সাক্ষাতকারে বেগম খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কথার উত্তরে বলেন, ‘তিনি (প্রধানমন্ত্রী) হুকুম করতে পারেন না। তিনিও জামায়াতের সঙ্গে ছিলেন। তিনি জামায়াতের সঙ্গে ক্ষমতা ভাগের কথাও ভেবেছিলেন।খালেদা বলেন, তার নির্দেশনা অনুযায়ী পার্টি চালাবো না। আমরা একটি স্বাধীন পার্টি। সুতরাং বিএনপি তার নিজস্ব পন্থাতেই চলবে।’

এই বিষয় নিয়ে বিএনপির অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা হলে কেউই এবিষয়ে কথা বলেননি। যদিও যুদ্ধাপরাধ ইস্যু এবং সাম্প্রতিক সহিংসতার পর বিএনপি’র কিছু নীতিনির্ধারক জামায়াতকে নিজেদের মিত্র ভাবতে সাচ্ছন্দ্য বোধ করেন না। তারা জানান, জামায়াতকে দল থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে কিছু অনানুষ্ঠানিক আলোচনা হয়েছে। কিন্তু তারা কোনো সিদ্ধান্তে পৌছাতে পারেনি।