কলাপাড়া: সংখ্যালঘু বিধবা রাণী দাসকে kalapara_rani_pic কুপ্রস্তাবে রাজি করতে না পেরে ঘর থেকে টেনেহিচড়ে বাইরে এনে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। ন্যাক্কারজনকভাবে তার শ্লীলতাহানি ঘটানো হয়েছে।

বর্তমানে অসহায় এই মহিলা কলাপাড়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। রবিবার রাতে কলাপাড়া পৌর শহরের নাচনাপাড়া এলাকায় বঙ্গবন্ধু কলোনীর এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার দুপুরে রাণী দাস কলাপাড়া থানায় একটি মামলা দাখিল করেছেন।

এর পর থেকে একমাত্র ছেলে কৃষ্ণ দাসকে নিয়ে চরম নিরাপত্তহীনতায় রয়েছেন। পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযুক্ত তিনজনকে আটক করেছে। এরা হচ্ছে শৈলেন বেপারী, বাবুল মিস্ত্রি ও মূল হোতা ইউপি মেম্বার সোবাহান বিশ্বাসের ছেলে রিপন বিশ্বাস।

রাণী জানান, দীর্ঘদিন তাকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল একই এলাকার ইউপি মেম্বার আব্দুস সোবাহান বিশ্বাস। এতে রাজি না হয়ে বিভিন্নভাবে ভিটি থেকে উচ্ছেদের ষড়যন্ত্র করে আসছিল মেম্বারসহ ওই এলাকার কল্যাণ বেপারী, শৈলেন বেপারীসহ একটি চক্র।

অবশেষে রবিবার রাতে ঘর থেকে টেনে হিচড়ে বের করে রড, লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। বিবস্ত্র করে শ্লীলতাহানি ঘটানো হয়েছে। ওই রাতে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় রাণীকে কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

বৃহস্পতিবার দুপুরে কলাপাড়া প্রেসক্লাবে গিয়ে সাংবাদিকদের রাণী জানান, সে নিতান্ত গরিব মানুষ। একটি খাবার হোটেলে রান্নার কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। বর্তমানে তার এবং একমাত্র ছেলের জীবন বিপন্নের আশঙ্কার কথাও তিনি ব্যক্ত করেন।

চিকিৎসক আব্দুল মতিন জানান, রাণী এখন অনেকটা সুস্থ। তবে তার বাম চোখের নিচে ঘুষির আঘাতে কাল দাগ হয়ে গেছে। কলাপাড়া থানার ওসি কেএম তারিকুল ইসলাম জানান, থানায় অবগত করার সঙ্গে সঙ্গে তিনজনকে আটক করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।