এম এ লতিফ, ঢাবি: সারাদে ঢাবি  মানববন্ধনশে চলমান সহিংসতা, সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমন ও নির্যাতনের প্রতিবাধে এবং দুষ্কৃতিকারীদের দ্রুত বিচারের দাবিতে আজ দুপুর ০১.০০ টায় মানব বন্ধন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।এ মানব বন্ধনে উপস্থিত ছিলেন প্রায় তিনশ জন শিক্ষক ও বিভিন্ন হলের প্রাধ্যক্ষগন।

সংখ্যালঘুদের উপর হামলার প্রতিবাধ জানিয়ে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সাদ উদ্দিন বলেন,  ধর্ম নিরপেক্ষ বাংলাদেশে জামায়াত-শিবির কিভাবে সংখ্যালঘুদের উপর হামলা চালায়? ধর্ম নিরপেক্ষ মতবাদকে বাস্তবায়ন করে এসব  দুষ্কৃতিকারীদের কঠোর শাস্তি দিতে হবে।

এখন টিভি খোললেই মনে হয় টিভি গুলো আগুনে জ্বলছে, মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে এ আগুন আর বেশি দিন জ্বলতে পারেনা, আমাদের এর বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে, এ কথা বলেন শিক্ষক সমিতির সদস্য গোলাম রাব্বানি।

সিনেট সদস্য আখতারুজ্জামান বলেন, আমাদের আশ্চর্য হতে হয় সরকারের যৌথ বাহিনী মাঠে থাকতে কিভাবে এ ধরনের হামলা হয়! এ সব দুষ্কৃতিকারীদের বিশেষ  ট্রাইব্যুনাল গঠন করে বিচার করতে হবে।

সংখ্যালঘুদের ক্ষতিপূরণ ও গৃহ নির্মাণ করে দিতে হবে দাবি করেন সিনেট সদস্য শাফিউল আলম ভুঁইয়া। অধ্যাপক শিতেস চন্দ্র মজুমদার বলেন, স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তির মাঝেও দুষ্কৃতিকারীরা ঘাপটি মেরে আছে ওদেরও বিচার করতে হবে। সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, সংখ্যালঘুদের উপর হামলাকারীদের এদেশ থেকে উৎখাত করতে হবে, ওদেরকে খুঁজে খুঁজে বের করে শাস্তি দিতে হবে।

তিনি বলেন ক্ষতিগ্রস্থদের ক্ষতিপূরণ ও ঘর-বাড়ি নির্মাণ করে দিতে হবে।    সভাপতির বক্তব্য চলাকালে হঠাৎ এক মহিলা এসে চিৎকার বলে  ওঠেন, হাসিনাকে কে বানিয়েছে আমি ওকে মানিনা….মানুষ মারার নির্বাচন মানিনা।

মানব বন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন,  সিনেট সদস্য ও অধ্যাপক আব্দুল আজিজ, অধ্যাপক জিয়াউর রহমান, সিনেট সদস্য অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন,  অধ্যাপক ফখরুল আলম(ইংরেজী বিভাগ), অধ্যাপক আফতাব আলী শেখ।