ডাকাতিকালে ৭ জলদস্যু আটককক্সবাজার:  কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনী দুইটি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্রসহ ৭ জলদস্যুকে আটক করেছে।কক্সবাজারের সোনাদিয়া দ্বীপের অদূরে একটি মাছ ধরার ট্রলারে ডাকাতির সময় জলদস্যুদের আটক করা হয়।

বৃহস্পতিবার  সোনাদিয়া উপকূল থেকে তাদের আটক করা হয়। এ সময় জলদস্যুদের কাছ থেকে তিনটি ট্রলারসহ ৬২ জন জেলেকে উদ্ধার করা হয়েছে।উদ্ধারকৃত ট্রলারগুলো হলো- এফভি হাজী আনোয়ার, এফভি আল্লাহর দান এবং এফভি নূর জাহান। এসব ট্রলার চট্টগ্রামের বাঁশখালী এলাকার সহোদর আবছার ও সবুরের মালিকানাধীন বলে জানা গেছে।

কোস্টগার্ড জানায়, বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়া ও সোনাদিয়া উপকূলে মাছ ধরার সময় একদল সশস্ত্র ডাকাতদল স্পিডবোট যোগে মাঝি মাল্লার ওপর হামলা চালিয়ে মাছ লুট করে নিয়ে যাওয়ার খবর পেয়ে কোস্টগার্ডের সদস্যরা গিয়ে তাদের ধাওয়া করে। ডাকাতদল ৩টি ট্রলারের ৬২ মাঝি মাল্লাকে জিম্মি করে পাল্টা গুলি চালায়। সমুদ্রে টহলরত নৌবাহিনী সদস্যরা এ খবর পেয়ে তাত্ক্ষণিক নৌবাহিনী জাহাজ অপরাজেয় নিয়ে ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে আগ্নেয়াস্ত্রসহ সাত ডাকাতকে আটক করে।

এ সময় জলদস্যুদের কাছ থেকে ২টি দেশীয় তৈরি বন্দুক, তাজা গুলি ও রামদাসহ বেশকিছু ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।নৌবাহিনীর চট্টগ্রাম অফিস জানায়, আটককৃত জলদস্যুদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তারা সোনাদিয়া দ্বীপের অদূরে মাছ ধরার সময় স্পিডবোট যোগে জেলেদের ট্রলারগুলোতে ডাকাতির উদ্দেশে হামলা চালিয়েছে বলে স্বীকার করেছে।

নৌবাহিনী চট্টগ্রাম বিভাগের গোয়েন্দা শাখা জানিয়েছে- উদ্ধারকৃত ৬২ জেলে, ৩টি ট্রলার ও আটককৃত ৭ ডাকাতদের বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কুতুবদিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।এদিকে কুতুবদিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহিরুল ইসলাম হস্তান্তরের বিষয়টি অস্বীকার করে জানান,

তিনি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত আছেন কিন্তু তার কাছে নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে কাউকে হস্তান্তর করা হয়নি।নাম প্রকাশ না করার শর্তে কুতুবদিয়া এলাকার কয়েকজন মাঝি মাল্লা জানান, সাগরে জলদস্যুদের সঙ্গে কুতুবদিয়া থানা পুলিশের কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশ রয়েছে।

এর ফলে জলদস্যুরা নির্বিঘ্নে ট্রলার ডাকাতি, মাঝি মাল্লা অপহরণ, হত্যা ও মাছ লুটের ঘটনা চালিয়ে যাচ্ছে। সাগরে জলদস্যুতা রোধে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।