বেনাপোল: শার্শা উপজেলায় দুইটি থানার oc_benapole_picমধ্যে শার্শা থানা পুলিশ এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে জামায়াত-বিএনপির নাশকতা এড়াতে তাদের অভিযান অব্যাহত রাখা সহ ব্যাপক ধরপাকড় করলেও বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশ এ ধরনের কোন উদ্যেগ নেয়নি।

তবে, জামায়াত-শিবির কর্মীদের ধড়পাকড়ের নামে অর্থ বানিজ্যে মরিয়া হয়ে উঠেছে। পুলিশ ধরপাকড়ের নামে জামায়াত-শিবিরের কর্মীদের কাছ থেকে অর্থ বানিজ্য করায় তারা আবারো চাঙ্গা হয়ে উঠতে শুরু করেছে বলে বিশ্বস্ত সুত্রে জানাগেছে।

এ বিষয়ে এলাকার সচেতন মহল আশঙ্কা করে বলেছেন, যেকোন সময়ে এখানে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা নাশকতা ঘটাতে পারে।

এ বিষয়ে বেনাপোলের সচেতন মহল আরো বলেন, অফিসার ইনচার্য (ওসি) কায়ুম আলী সরদার বেনাপোল পোর্ট থানায় যোগদানের পরপরই জামায়াত-শিবিরের নেতাদের কাছ থেকে বড়ো অংকের অর্থ বানিজ্য করে ইতিমধ্যে তাদেরকে বেনাপোল বাজারের ফাজিল মাদ্রাসায় সমাবেশ করতে অনুমতি প্রদাণ করেন।

এদিন, শার্শা উপজেলার জামায়াত শিবিরের সকল তৃর্ণমূল পর্যায়ের কর্মী থেকে শুরু করে উচ্চ পর্যায়ের নেতারা পর্যন্ত জড়ো হয়ে সমাবেশ করেন। এ সময় তারা নাশকতার উদ্দেশ্যে বের হওয়ার চেষ্টাকালে এলাকার শান্তিপ্রিয় জনগণের বাধার মুখে তাদের সব নাশকতার ষঢ়যন্ত্র বাধাপ্রাপ্ত হয়।

বিষয়টি প্রশাসনের উপরিমহল পর্যন্ত জানাজানি হলে সেদিনই ওসি কায়ুম আলী সরদার তাদেরকে আপাতত ভাবে এলাকা ছেড়ে অণ্যত্র আত্মগোপন হতে বলেন বলে সংলিষ্ট একটি সুত্রে জানাযায়।

সে সময়ে কিছুদিন তারা আত্ম গোপন করে থাকলেও পরে তারা বাড়িতে ফিরে এলে এই বিতর্কিত পুলিশ কর্মকর্তা তাদের সাথে অগ্রীম ও বড়ো অংকের মাসিক অর্থ চুক্তিতে বাড়ি থাকার অনুমতি প্রদাণ করেন।

সাথেসাথে তাদেরকে মদদ দিচ্ছে হরতাল-অবরোধ পালনসহ নাশকতায় জড়াতে। জামায়াত শিবিরের কাছ থেকে ওসি কায়ুম আলী সরদার এহেন অর্থ বানিজ্য করা সহ মদদ দেওয়ায় যেকোন সময়ে বেনাপোলে জামায়াত শিবিরের ক্যাডাররা নাশকতা ঘটাতে পারে বলে আশঙ্কা করছে একটি সচেতন মহল।

এ বিষয়ে বেনাপোল পোর্ট থানার অফিসার ইনচার্য(ওসি) কায়ুম আলী সরদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি এক কথায়ই জামায়াতের এ সংগঠিত হওয়ার বিষয়ে কিছুই জানেননা বলে জানান। তিনি আরো বলেন, সাংবাদিকেরা পত্র পত্রিকায় লিখলে আমাদের কিছু আসে জাইনা।

তবে, সাংবাদিকেরা আমার নামে কিছু লিখে যদি পত্র পত্রিকায় দেয় তাহলে হয়তো তাদের পত্রিকা কিছুটা বেশি বিক্রি হয় তা ছাড়া আমাদের কিছু আসে জায়না। আমি শুধু বোর্ডের দিকে তাকিয়ে থাকি। যখন ৬ মাস পূর্ণ হবে তখন অণ্য জায়গায় বদলি হয়ে চলে যাবো। আমি ছদো-মদো ওসি না। আমার খুটির জোর আছে।