শেখ হাসিনা আহসান আমীন, ঢাকা: আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “জাতির পিতা যে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করেছিলেন, সে যুদ্ধাপরাধীদেরকে বাঁচাতে মরিয়া হয়ে ওঠে পাকিস্তানের দুসররা।

যুদ্ধাপরাধীদের পুনর্বাসন করার চেষ্টা করা হয়। সরাকারি চাকরিসহ বিভিন্ন দূতাবাসে তাদের চাকরি দেওয়া হয়।” বাংলাদেশকে পাকিস্তানের একটি প্রদেশ বানানোর জন্য তারা চেষ্টা  করছিল।

শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টায় বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের জনসভায় তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, “যারা শত বাধা বিপত্তি উপক্ষো করে ভোট কেন্দ্রে গিয়েছে, তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা জানাই, সংগ্রামী অভিনন্দন জানাই।” দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ সেসব নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সেগুলো বাস্তবায়নেরও অঙ্গীকার করেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, খালেদার জিয়ার  অভিশাপ, আমার জন্য আর্শীবাদ। তিনি বলছিলেন আমি নাকি কথনো বিরোধী দল হতে পারবো না। কিন্তু আল্লাহর রহমতে আমি তিনবার  প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছি।  দেশের মানুষ শান্তিতে থাকলে একজন মানুষের মনে অশান্তি শুরু হয়।তিনি হলেন বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নির্বাচন ঠেকাতে পারেননি। আর কিছুই করতে পারবেন না। যা কিছু করতে চান তা আলোচনা করেই করতে হবে। নিরিহ মানুষকে হত্যা বন্ধ করতে হবে। আর যদি বন্ধ না করেন তাহলে কীভাবে বন্ধ করতে হয় তা আওয়ামী লীগের জানা আছে। বাংলাদেশের মানুষের জানমাল রক্ষার জন্য যতো কঠোর হওয়া দরকার ততোই কঠোর হবে সরকার বলে হুঁশিয়ারি উচ্চরণ করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আবারও বলবো, আপনি আলোচনায় আসুন। আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান হবে। আমি অনুরোধ করবো আপনি সহিংসতা পরিহার করুন।’বেলা আড়াইটায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর সভাপতিত্বে ‘বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যার্বন দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত এই জনসভা শুরু হয়।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, মোহাম্মদ নাসিম, আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, আহমদ হোসেন, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জাল হোসেন চৌধুরী মায়াসহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতারাও সমাবেশে বক্তব্য দেন।