নিবার্চিত হতে যাচ্ছেন আমুস্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা: ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু বলেন,‘খালেদা জিয়া কৌশলগত কারনে জামায়াতে ইসলামের সঙ্গে আতাঁত করেছেন বলার মধ্য দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করছেন। খালেদা জিয়া আজকে জনগণের চাপ ও চিন্তা-চেতনা বুঝতে পেরে একথা বলছেন।’ যুদ্ধাপরাধীদের যিনি আচঁলের তলে লুকিয়ে রাখেন সেই খালেদা জিয়ার নাম নিতেও লজ্জা পাই।

‘স্বাধীনতা বিরোধী বিএনপি-জামাত-শিবির চক্রের নাশকতা ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদ’ এবং ‘বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস’ উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন মঞ্চ।

শনিবার দুপুরে বিএমএ মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য।

আমির হোসেন আমু বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর মুক্তিযোদ্ধারা বিভক্ত হয়ে পড়ায় ২১ বছর স্বাধীনতার সপক্ষ শক্তি ক্ষমতায় আসতে পারেনি। এখন সুযোগ এসেছে। সে ভুল করলে আর কোনো দিন মুক্তিযোদ্ধা বলে পরিচয় দিতে পারবো না। তাই সব মুক্তিযোদ্ধাকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
বিএনপি নেত্রীর প্রতি প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ‘আপনি যুদ্ধাপরাধী রাজাকারদের বিচার কাজের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়েছিলেন এটাও কি কৌশলগত কারণে?’

পঁচাত্তর পরবর্তী সরকারগুলো মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তিগুলোকে পুনপ্রতিষ্ঠিত করেছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের এই বর্ষীয়ান নেতা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর মুক্তিযোদ্ধাদের বিভক্ত করতে না পারলে ২১ বছর তারা ক্ষমতায় থাকতে পারতো না। আমরা আবার সুযোগ পেয়েছি, এবার ভুল করলে কোনো দিন আর মুক্তিযোদ্ধা বলে পরিচয় দিতে পারবো না। তাই দল মত নির্বিশেষে সকল মুক্তিযোদ্ধাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’

তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে বলেন, জঙ্গীবাদ, যুদ্ধাপরাধী জামায়াতে-শিবিরকে ছাড়–ন গণতন্ত্র,রাজনীতিসহ সকল বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে।

সংগঠনের সভাপতি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক ও নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান বলেন, ৭১ সালে জামায়াত ও হানাদাররা যা যা করেছে আজকেও আবার বিএনপি ও জামায়াত ঐক্যবদ্ধ হয়ে একই কাজ করছে। তাই তাদের এই পুরানো অভ্যাসকে মুছে দিতে সকল মুক্তিযোদ্ধাদের এক হতে হবে।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন- তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন মঞ্চের সভাপতি নৌমন্ত্রী শাহজাহান খান, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) হেলাল মোর্শেদ খান (বীর বিক্রম), মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক চেয়ারম্যান কবির আহাম্মেদ, সাবেক চেয়ারম্যান আহাদ চৌধুরী, সম্মিলিত মুক্তিযোদ্ধা ফ্রন্টের চেয়ারম্যান ইসমত কাদির গামা, ফাউন্ডেশন ৭১ এর মহাসচিব মেজর (অব.) ওয়াকার হাসান, মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মালেক মিয়া প্রমুখ।