নতুন মন্ত্রীদের শপথ পাঠস্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা: ভারত ও রাশিয়া ছাড়া অন্য দেশের কুটনীতিকরা মন্ত্রিসভার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান বর্জন করতে চেয়েছিলেন । তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তারা ওই অনুষ্ঠানে যাবেন না। কারণ দেশে যে নির্বাচন হয়েছে তাতে বড় আরেকটি দল বিএনপিসহ অর্ধেকের বেশি দলই ইতিমধ্য সম্পন্ন হওয়া নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত ছিল।

তাই শপথ অনুষ্ঠানে কুটনীতিকরা আসতে নারাজ ছিলেন। এজন্য শপথ অনুষ্ঠানে কেবল তাদের কুটনীতিক কোরের ডীনকে পাঠাবেন। সেই হিসাবে সিদ্ধান্তও নেয়া হয়েছিল। কিন্তু‘ কুটনীতিকদের মধ্যে দ্বিধাবিভক্তি ছিল শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দেয়া নিয়ে।

কুটনীতিকদের একটি গ্রুপ মনে করেছিল তারা অনুষ্ঠানে যোগ না দেয়াটাই ঠিক হবে। আর একটি গ্রুপ মনে করেছিল তারা অনুষ্ঠানে যোগ দিবেন। যোগ না দিলে সমস্যা হবে। সব মিলিয়ে তাদের মধ্যকার দোটানা কাটাতে বৈঠক করেই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন। পরে সিদ্ধান্ত নেন বঙ্গভবনে গেলেও সেখানে তারা চা চক্রে যোগ দিবেন না। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বেশিরভাগ কুটনীতিক চা চক্রে যোগ দেননি। তারা মন্ত্রী পরিষদের শপথ গ্রহণের পর চলে যান।

এদিকে বিএনপি এখনও কুটনীতিকদের দিকে তাকিয়ে আছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অষ্ট্রেলিয়া, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাতিসংঘ, জার্মান, জাপান, চীন সহ বিভিন্ন দেশ সম্মিলিতভাবে বাংলাদেশে সকল দলের অংশগ্রহণে আগাম নির্বাচনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিবেন।

সেই অনুযায়ী সরকারের উপর চাপ তৈরি করবেন। বিএনপির সঙ্গে সরকারকে আলোচনায় বসানোর চেষ্টা করবেন। তবে শেখ হাসিনার কঠোর অবস্থানের কারণে তারা খুব দ্রুত হাঁটছেন না। তারা অনেকটা ধীর গতিতে পথ হাঁটছেন। দেখছেন পরিস্থিতি কি হয়।

এছাড়াও তারা সরকারের আগামী কয়েকদিনের সিদ্ধান্ত দেখেই সিদ্ধান্ত নিবেন। তারা এখনই এমন কোন সিদ্ধান্ত নিতে চাইছেন না যে সরকার তা মানবে না। ইতোমধ্যে শেখ হাসিনা স্পষ্ট করেই বলে দিয়েছেন যে তিনি আন্তর্জাতিক কোন চাপ সহ্য করবেন না।

কোন চাপের কাছে নতি স্বীকার করবেন না। এই কারণে তারা মনে করছেন সরকার এখন কঠোর অবস্থানে রয়েছেন। এই অবস্থায় তারা কোন সিদ্ধান্ত নিলে তা বাস্তবায়ন করতে না পারলে সমস্যা হবে।

সূত্র জানায়, সরকারের সিদ্ধান্ত, কর্মকান্ড, বিএনপির প্রতি এখন সরকারের কি মনোভাব হয় তা দেখেই সিদ্ধান্ত নিবে। এই জন্য তারা সময় নিচ্ছে। অন্য দিকে তারা কিছুটা সময় নিতে চাইছেন যে সরকার ওই সব দেশের সঙ্গেই বা পরবর্তী সম্পর্ক কেমন করতে চাইছে। যদিও ইতোমধ্যে ওই দেশের তরফ থেকে সরকারকে কোন অভিনন্দন বার্তা পাঠানো হয়নি। বরং বিএনপির সঙ্গে সংলাপ করে সমস্যা সমাধানের জন্য পরামর্শ দিয়েছে।