fakrul_স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার একতরফা ভোটারবিহীন প্রহসনের নির্বাচনে জয়ের মেকি আনন্দে আত্মহারা হয়ে আছেন বলে মন্তব্য করেছেন । সোমবার বিকেলে এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, “অনৈতিক, অবৈধ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের পরে বলেছেন, কোনো চাপের কাছে, সেটা দেশী হোক অথবা বিদেশী, তিনি নতি স্বীকার করেননি, করবেন না। এই কথা উচ্চারণের মধ্য দিয়ে তার প্রকৃত মানসিকতা প্রকাশিত হয়েছে। জনগণের মতামতকে উপেক্ষা করেই তিনি একতরফা ভোটারবিহীন প্রহসনের নির্বাচনে জয়ের মেকি আনন্দে আত্মহারা হয়ে আছেন।”

মির্জা আলমগীর  বলেন, শেখ হাসিনা তার স্বভাব সুলভ দাম্ভিকতাপূর্ণ উক্তির মাধ্যমে আবার জাতিকে জানিয়ে দিলেন যে, তিনি দেশের জনমতকে, আন্তর্জাতিক মতামতকে তোয়াক্কা করেন না। ভোটের অধিকার হরণ করে, নিপীড়ন, নির্যাতন, দমন-পীড়নের মধ্য দিয়ে জাতিকে আবারও চরম অনিশ্চয়তা, অস্থিতিশীলতার গভীর অন্ধকার নিক্ষেপ করতে চান।

সরকার মেকী আনন্দে আত্মহারা উল্লেখ করে মির্জা আলমগীর বলেন,  অনৈতিক, অবৈধ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের পরে বলেছেন, কোনো চাপের কাছে, সেটা দেশি হোক অথবা বিদেশি, তিনি নতি স্বীকার করেননি, করবেন না। এ কথা উচ্চারণের মধ্য দিয়ে তার প্রকৃত মানসিকতা প্রকাশিত হয়েছে। জনগণের মতামত কে উপেক্ষা করেই তিনি একতরফা ভোটার বিহীন প্রহসনের নির্বাচনে জয়ের মেকী আনন্দে আত্মহারা হয়ে আছেন।

দেশবাসী নির্বাচন প্রত্যাখান করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন,  তথাকথিত সাজানো একতরফা নির্বাচন দেশে-বিদেশে প্রত্যাখ্যত হয়েছে। জনগণের বিজয় সুচিত হয়েছে। আওয়ামী লীগ ছলচাতুরী করে রাষ্ট্রযন্ত্রকে অপব্যবহার করে ক্ষমতায় যেতে পারে, কিন্তু জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি। শতকরা সর্বাধিক ৫% ভোটারের উপস্থিতিতে প্রহসনের নির্বাচনের তামাশা দিয়ে প্রতিনিধিত্বশীল জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা যায়নি।

তিনি দাবি করেন, “বিগত ৭৫ দিনের নজিরবিহীন আন্দোলনে জনগণ মতামত দিয়েছে যে, নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন ব্যতীত নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য হবে না। তথাকথিত ৫ই জানুয়ারির প্রহসনের নির্বাচনে তার প্রমাণ মিলেছে মাত্র ৩% থেকে ৫% ভোটার উপস্থিতির মধ্য দিয়ে। এই নির্বাচন বর্জনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রামী গণতন্ত্রকামী মানুষ আর একটি বড় বিজয় অর্জন করেছে।”

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসিচব বলেন, “আওয়ামী লীগ ছলচাতুরী করে রাষ্ট্রযন্ত্রকে অপব্যবহার করে ক্ষমতায় যেতে পারে কিন্তু জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি। শতকরা সর্বাধিক ৫% ভোটারের উপস্থিতিতে প্রহসনের নির্বাচনের তামাশা দিয়ে প্রতিনিধিত্বহীন জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা যায়নি।”

তিনি বলেন, “অহংকার ও দাম্ভিকতা পরিত্যাগ করে, জনমতকে সম্মান দিয়ে প্রকৃত গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সকল দলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে, নিরপেক্ষ, নির্দলীয় সরকারের অধীনে অতি দ্রুত একটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেই কেবলমাত্র এই ভয়াবহ সংকট থেকে বাংলাদেশকে রক্ষা করা সম্ভব।” একটি কার্যকরী সংলাপের মাধ্যমে সমঝোতায় পৌঁছানো ব্যতীত চলমান সংকট উত্তরনের কোনো পথ নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

“অবিলম্বে এই জন সমর্থনহীন সরকারের পদত্যাগ, নিরপেক্ষ, নির্দলীয় সরকারের অধীনে সকল দলের অংশগ্রহণে একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার গঠনই একমাত্র পথ বলে আমরা মনে করি।” বলেন ফখরুল।