জাপাস্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা: জাতীয় পার্টি এবার আ’লীগের কাছে জাতীয় সংসদে ডেপুটি স্পিকারের পদ চাইবে। একই সঙ্গে মন্ত্রিসভায় জাতীয় পার্টির প্রতিনিধির সংখ্যা বাড়ানো যায় কি না, এ ব্যাপারে আলোচনা চলছে।

তবে ডেপুটি স্পিকারসহ কিছু মন্ত্রনালয় জাতীয় পার্টি দাবী করে আসছে নতুন মন্ত্রীসভা গঠনের আগ থেকে। তাদের দাবী ছিল ১০

টি তাতে অন্তত: ৮ টি পাওয়ার কথা ছিল বলে দলীয সুত্রে জানা গেছে।

মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদের গুলশানের বাসায় জাতীয় পার্টির সংসদীয় দলের সভা শেষে পানিসম্পদমন্ত্রী ও জাতীয় পার্টির সাংসদ আনিসুল ইসলাম মাহমুদ সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

তবে বৈঠকে দলের চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ উপস্থিত ছিলেন না।
আনিসুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রংপুরে যে আসনটি ছেড়ে দিয়েছেন সেই আসন থেকে জাতীয় পার্টি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে।

আজকের সভায় দলের ৩৩ জন সাংসদের মধ্যে ২৭ জন উপ স্থিত থাকলেও উপস্থিত ছিলেন না দলের মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার। তবে তাঁর স্ত্রী সাংসদ নাসরিন জাহান উপস্থিত ছিলেন।

গতকাল সোমবার দলের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জাপার চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ তাঁর দলীয় মুখপাত্র হিসেবে পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য জি এম কাদের ও মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদারকে দায়িত্ব দেন। এর ঠিক এক দিন পরই আজ এ বৈঠক বসল।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এখন থেকে দলের চেয়ারম্যান এরশাদের সব নির্দেশনা এবং দলীয় সিদ্ধান্তের কথা বলবেন জি এম কাদের ও রুহুল আমিন হাওলাদার। অন্য কেউ পার্টির চেয়ারম্যান বা দলীয় মুখপাত্র হিসেবে পরিচয় দিয়ে পার্টির পক্ষে নী

তিনির্ধারণী বিবৃতি বা বক্তব্য প্রদান করতে পারবেন না বলে পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদ এক সাংগঠনিক নির্দেশে জানিয়ে

আজ দলের কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এ বৈঠক নিয়ে দলের মধ্যে একটি অস্বস্তি দেখা দিয়েছে। কারণ দলের চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ সিএমএইচ থেকে ছাড়া পেয়েছেন। তার পরও রওশন এরশাদের বাসায় নেতা-কর্মীদের বৈঠকে বসা নিয়ে দলের ভেতরে মতবিরোধ রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার এরশাদ সিএমএইচে থাকাকালে দলের সাংসদেরা জাতীয় সংসদে রওশন এরশাদকে বিরোধীদলীয় নেতা নির্বাচন করেন।দিয়েছেন। এটা জাতীয় পার্টি ও পার্টির সংসদীয় দল—এই উভয় ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে বলে জানানো হয়েছে।

৫ জানুয়ারির নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছিলেন এরশাদ। তবে এরশাদপতœী রওশনের নেতৃত্বে জাপার একাংশ ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সঙ্গে মিলেমিশে নির্বাচনে অংশ নেয়। এতে এরশাদসহ ১৩ জন জয়ী হন। এর আগে রওশনসহ দলটির ২০ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হন। এখন দলটির মোট সাংসদ ৩৩ জন।

বৃহস্পতিবার দলের সাংসদেরা শপথ নিলেও এরশাদসহ দলের দুজন শপথ নেননি। পরে গত শনিবার এরশাদ শপথ নেন।