ফখরুল তারেক ফয়েজ মাহমুদ, ঢাকা: হঠাৎ করেই দলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। কি কারনে ফখরুল দলের সাথে এমন আচরন করছেন তা এখনো জানা যায়নি।

এটা কি তার কৌশল নাকি নিজেকে গ্রেফতার হওয়া থেকে রক্ষার্থে এমন পথ বেছে নিয়েছেন তা এখনও কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারছেনা।

মির্জা ফখরুলের এহেন আচরনে নেতা কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তার এই কর্মকান্ডের জন্য চরম মুল্য দিতে হতে পারে বলে দলীয় সুত্রে জানা যায়।

যার ফলশ্রুতিতে বিএনপি’র সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানও তার প্রতি দিন দিন আস্থা হারিয়ে ফেলছেন। তার বিরুদ্ধে স্বয়ং তারেক রহমান অভিযোগও তুলেছেন যে তাকে বার বার ফোন দেয়া হলে তিনি ফোন রিসিভ করছেন না। এমনকি গত এক সপ্তাহ ধরে অন্তত ১৫ বার ফোন দিয়েও ফখরুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলতে পারেননি তিনি।

দলের একটি দায়িত্বশীল সূত্র আজকের বাংলাদেশ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানায়, সবগুলো ফোন বন্ধ পেয়ে অন্য মাধ্যমে যোগাযোগ করেও ফখরুলের সঙ্গে কথা বলতে পারেননি তিনি। কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবকে। এ নিয়ে দারুণ ক্ষুব্ধ তারেক রহমান। এ অবস্থায় দলের গুরুত্বপূর্ণ পদটি নিয়ে তিনি নতুন করে চিন্তাভাবনা করছেন বলে দলের নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে।

এদিকে মহাসচিবের আত্মগোপন ও শীর্ষ নেতাদের ‘ধরি মাছ না ছুঁই পানি’ নীতিতে চরম বিরক্ত দলের এ কান্ডারি। নির্বাচন প্রতিরোধের আন্দোলনে সারা দেশ যখন উত্তাল, তখন ঢাকায় কেন্দ্রীয় নেতাদের পালিয়ে বেড়ানোয় চরমভাবে ক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতা-কর্মীরাও। তারেক রহমানও বিষয়টি জানেন।

দেশে-বিদেশে এ নির্বাচন ব্যাপকভাবে সমালোচিত হওয়ার পরও কেন্দ্রীয় নেতাদের দূরদর্শিতার অভাবে আওয়ামী লীগের কৌশল প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। এ জন্য দলের প্রবীণ নেতাদের কিছুটা কোণঠাসা রেখে আন্দোলন জমাতে দলের ভবিষ্যৎ তরুণ নেতাদের সামনে আনতে নিজেই কথা বলা শুরু করেছেন তারেক রহমান। গত কয়েক দিনে একাধিক নিবেদিতপ্রাণ এমন তরুণ নেতার সঙ্গে সরাসরি কথা বলেছেন তিনি।

দলের নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানায়, বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থায়ও দলের মহাসচিব কেন প্রকাশ্যে না এসে আত্মগোপনে থাকছেন, তা নিজেই বুঝতে পারছেন না তারেক রহমান। মির্জা আলমগীরের বিরুদ্ধে ঢাকা থেকে অভিযোগের পাহাড় জমেছে তার কাছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে লন্ডন অবস্থারত তারেক রহমানের আস্থাভাজন বিএনপির এক নেতার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি আজকের বাংলাদেশ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ফখরুলের এ আচরনে তারেক রহমান দু:খ পেয়েছে। তিনি কোন এমন আচরন করছেন তা বোধগম্য নয়।

তার এই আত্মগোপনে থাকাকে কেন্দ্র করে দল বির্পয়ের মুখে পড়েছে। তিনি যদি দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হন বা দলীয় কারনে গ্রেফতার হতে না চান তাহলে তার এমন দায়িত্বশীল পদে থাকার অধিকার নেই। তিনি ইচ্ছা করলে পদ থেকে অব্যাহতি নিতে পারেন।