বাংলাদেশ-সংসদ-ভবনস্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা: সংসদ সদস্যরা দশম জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনেই ফ্রি ল্যাপটপ পাচ্ছেন। ফলে প্রযুক্তিবান্ধব সরকার নিজ গৃহ থেকেই তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিলো। ২৯ জানুয়ারি শুরু হতে যাওয়া দশম জাতীয় সংসদের স্বাগত অধিবেশনেই সব সংসদ সদস্যকে একটি করে ল্যাপটপ দেওয়া হবে।

সংসদ সদস্যরা অফিসিয়াল কাজ ছাড়াও ব্যক্তিগত কাজে এ ল্যাপটপ ব্যবহার করতে পারবেন। এর মাধ্যমে সহজেই অন্য সদস্যদের বিভিন্ন তথ্য ই-মেইলের মাধ্যমে দ্রুত প্রেরণ করতে পারবেন।
তবে সংসদ সদস্যদের মধ্যে যারা ল্যাপটপ পরিচালনায় অদক্ষ, তাদেরকে আলাদা প্রশিক্ষণেরও ব্যবস্থা করবে জাতীয় সংসদ সচিবালয়।

সংসদ সদস্যদের যাবতীয় তথ্য কম্পিউটারাইজড ও দ্রুত প্রেরণের জন্যই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।  ইতোমধ্যে প্রত্যেক সংসদ সদস্যের জন্য একটি করে ল্যাপটপ জাতীয় সংসদে প্রস্তাব রাখা হয়েছে। স্পিকারের অনুমতি সাপেক্ষে অধিবেশন শুরু হলে এগুলো বিতরণ করা হবে। এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সরকার ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে আরো এক ধাপ এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।

জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আশরাফুল মকবুল বলেন, নবম জাতীয় সংসদের শেষ ভাগে সংসদ সদস্যদের জন্য ল্যাপটপ সরবরাহের কথা ছিল। কিন্তু  সিদ্ধান্তটি নবম জাতীয় সংসদ অধিবেশনের শেষ পর্যায়ে হওয়ায় তা আর সরবরাহ করা সম্ভব হয়নি।

তাই দশম জাতীয় সংসদ অধিবেশনের শুরুর দিনই প্রত্যেক সংসদ সদস্যকে একটি করে ল্যাপটপ দেওয়া হবে। আশরাফুল মকবুল বলেন, সংসদ সদস্যরা তাদের অফিসিয়াল ও ব্যক্তিগত কাজে এ ল্যাপটপ ব্যবহার করতে পারবেন। সংসদ সদস্যদের কাজ দ্রুত ও সার্বক্ষণিক যোগাযোগের জন্য ই-মেইলে তথ্য পাওয়ার নিশ্চয়তার জন্যই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

তবে অধিবেশন শেষে ল্যাপটপ পুনরায় জমা দেওয়া হবে কি না বিষয়টি নিয়ে এখনও নিশ্চিত নয় জাতীয় সংসদ সচিবালয়। এর ফলে আ’লীগের নির্বাচনী ইশতেহার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার কাজ আরও এগিয়ে গেল। নবীণ-প্রবীণ সব সংসদ সদস্যকেই প্রযুক্তিবান্ধব ও প্রযুক্তি সহায়ক করতেই এ উদ্যোগ। তবে সরকারের এ উদ্যোগের সঙ্গে বেশিরভাগ সংসদ সদস্যই অবগত নন। আবার সংসদ সদস্যদের অনেকে প্রবীণ হওয়ায় ল্যাপটপ সম্পর্কে তাদের ধারণা খুবই কম।