সংখালঘু-সেমিনারে-বক্তারাস্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা: বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান ও ১৮ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতা মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহীম বীর প্রতীক বলেছেন, ‘দেশের সংখ্যালঘুদের নির্যাতন করা হচ্ছে। তাদের নিরাপত্তার বিঘ্ন ঘটাচ্ছে বর্তমান সরকার। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে বোকা বানানোর চেষ্টা চলছে।

শুক্রবার বেলা ১১টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

আলোচনা সভায় জনগণের কল্যাণের জন্য বিবেকবান মানুষদের আন্দোলনে আসার আহ্বান জানানো হয়।

মেজর জেনারেল ইব্রাহীম বলেন, ‘দেশের সংবিধান জনগণের। এ সংবিধান মানুষের আশা আকাঙ্খা পূরণ করেনি। তাকে নির্যাতন করা হচ্ছে। ক্ষমতাসীনরা নিজেদের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতেই একে কাটাছেড়া করছে। আবার এর দোহাই দিয়েই জনগণকে বোকা বানানোর চেষ্টা করছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে নিয়ে আ’লীগ রাজনীতি করছে। তারাই তাদের ওপর অত্যাচার করছে। সংখ্যালঘুরা এদেশের নাগরিক। তাদের নিরাপত্তা দেয়া রাষ্ট্রের কর্তব্য।

তাদের নিরাপত্তায় এগিয়ে আসার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

সৈয়দ ইব্রাহীম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আজ যে ভাষায় কথা বলেন তা আজ দেশের জনগণ ঠিকই বুঝে। তিনি মানুষকে বোকা বানাতে চেষ্টা করেন। শাসক গোষ্ঠী আজ অসুস্থ, তারা মাতাল হয়ে গেছেন।’

সমাজের ও দেশের বিবেকবান মানুষদের জনগণের কল্যাণের জন্য তাদের আন্দোলনে যোগ দেয়ার আহ্বানও জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা এ এফ এম হাসান আরিফ বলেন, ‘সংবিধান কোনা বায়বীয় বিষয় নয়। জনগণের জন্য সংবিধান। সংবিধানের মধ্যে জনগণের অধিকার সম্পর্কে বিস্তারিত আছে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সংবিধান পরিবর্তন করা হচ্ছে। আমাদের সংবিধানও পরিবর্তন করা যাবে।’

এসময় তিনি সংবিধান সংশোধনে গণভোটের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে ১৮ দলীয় জোটের অন্যতম নেতা ও ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি বলেন, ‘আজ গণতন্ত্রের জন্য গুলি খেয়ে রাস্তায় মানুষ মরছে। যাকেই ক্ষমতার আসনে বসানো হয় তিনিই দানব হয়ে পড়েন। অর্থের পাহাড় গড়ে তোলেন। তারা রাজনীতিকে ব্যবসায় পরিণত করেছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘এই সংবিধান নিয়ে এতো অহংকার কিসের। সংবিধানে জবাবদিহিতার কোনো ব্যবস্থা নেই। শুধুমাত্র ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতেই একে ধ্বংস করা হচ্ছে। এ দিয়ে বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে বাঁচানো সম্ভব নয়। এ থেকে সরে আসতেই হবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা সবাই বাংলাদেশি। এদেশেই আমাদের জন্ম। স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি আর পক্ষের শক্তি বলে আর জাতিকে বিভক্ত করবেন না। নতুন প্রজন্মকে আর ধোকা দিতে পারবেন না। মূল সমস্যা চিহ্নিত করতে হবে। আমাদের এই সংবিধান পরিবর্তন করতে হবে।’

সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ এফ এম হাসান আরিফ, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী প্রফেসর আবদুল লতিফ মাসুম, ব্যারিস্টার পারভেজ, অ্যাডভোকেট নাজির প্রমুখ।